এক নাস্তিকের তিন প্রশ্ন ও তার থাপ্পর খাওয়ার গল্প

লিখেছেন লিখেছেন েনেসাঁ ২৮ অক্টোবর, ২০১৩, ০১:০৯:০২ দুপুর



এক নাস্তিকের তিন প্রশ্ন ও তার থাপ্পর খাওয়ার গল্প (কাল্পনিক) দেশের এক সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গ্রাজুয়েট, বিদেশ থেকে পিএইচডি করে এসেছে মাত্র!, আবার নাস্তিকতাও রপ্ত করেছে ভালো। সে বাবা মা কে বলল "তোমারা কোন দুঃখে ইসলামে আল্লাহতে বিশ্বাস কর? আল্লাহ, ইসলাম, ধর্ম পরকাল যে নাই (নাউযুবিল্লাহ) তা আমি প্রমাণ করব তোমাদের সাথে, আমি অনেক বড় বড় স্কলারকে জিজ্ঞেস করেছি তারা আমার প্রশ্নের উত্তর দিতে পারে নাই, তোমাদের কেউ এরকম বড় আলেম জানা থাকলে তাকে ডাক" বাবামা পড়লেন বিপাকে। ছেলে নাছড়বান্দা কিছুতেই সে এই বিষয়ে বাবা মায়ের পিছু ছাড়ে না। বাধ্য হয়েই বাবা মা ডাকলেন তাদের মসজিদের ইমাম কে। ইমাম এসে বললেন, বল হে বৎস তোমার কি কি প্রশ্ন। উত্তর দিতে পারি না পারি, শুনে একটু ধন্য হই! ছেলে জিজ্ঞেস করল আমার প্রথম প্রশ্ন, "ভাগ্য কি জিনিস, ভাগ্য বলতে কিছু আছে নাকি?" ইমাম বলল, হুম, তার পরের প্রশ্ন, ছেলে- "তোমরা বল শয়তান আগুনের সৃষ্টি, তাকে নাকি কিয়ামতের পর আবার আগুনে শাস্তি দেয়া হবে? যে আগুনের তঈরী সে কিভাবে সেখানে শাস্তি পাবে?" ইমাম- বাহ ভালো প্রশ্ন তো, তা এর পরের টা? ছেলে- এটা হল সব থেকে গুরুত্বপূর্নঃ আল্লাহর কি অস্তিত্ব আছে? থাকলে তার প্রমাণ দেখান (নাউজুবিল্লাহ) এই কথা বলার সাথে সাথে ইমাম তার গালে একটা বিশাল থাপ্পর মারলেন। ছেলে হতবাক হয়ে বললঃ কি ব্যাপার আপনি এমন করলেন কেন? আমি কী দোষ করেছি? ইমাম- কোন দোষ কর নাই, কিন্তু এই থাপ্পরের মধ্যে তোমার সকল প্রশ্নের উত্তর আছে? ছেলে- মানে?!!!!!! ইমাম- থাপ্পর মারার সময় ব্যাথা পেয়েছ? ছেলে- হ্যাঁ ইমাম- থাপ্পরের আকার আকৃতি, বস্তুগত প্রমাণ দেখাতে পারবে? আমি যখন থাপ্পর দিয়েছি তুমি তা দেখেছ; ছেলে- না, পারব না। তখন চোখ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল ইমাম- তাহলে কিভাবে বুঝলে; ছেলে- ব্যাথা অনুভব করেছি ইমাম- আমরাও আল্লাহর নিদর্শনের মাধ্যমে তার উপস্থিতি অনুভব করি, পৃথিবীর সব স্থানে তার এই নিদর্শন ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে, তোমার দেহটাই তো বড় নিদর্শন! কুরআন পড়ে দেখ এটা তো সব থেকে বড় নিদর্শন ছেলে- আচ্ছা মানলাম অন্য গুলোর উত্তর? ইমাম- তুমি কি জানতে আমি তোমাকে থাপ্পর দিব? আমি আসব এই কথাও কি কেউ কখনো তোমাকে বলেছে? বা তুমি জানতে?; ছেলে- না জানতাম না ইমাম- এই যে তোমাকে কেউ বলেনি আমি এসে তোমাকে থাপ্পর দিব, কিন্তু তুমি না জেনে, থাপ্পর খেলে unexpectedly এটাই তোমার ভাগ্য। জীবনে তুমি চেষ্টা করতে পার কিন্তু ফলাফল তোমার হাতে নাই। এতাই ভাগ্য বা তকদ্বির ছেলে- আর আরেকটার উত্তর? ইমাম- আমি তোমাকে থাপ্পর মেরেছি হাত দিয়ে গালে, দুইটাই একি জিনিস চামড়া, ফ্যাট, গোস্ত আর হাড্ডি দিয়ে তোইরী, তাহলে একি জিনিস দিয়ে একি জিনিসের উপর আঘাত করলে ব্যাথা পেলে আগুণের মাঝে আগুণের তৈরী শয়তান কষ্ট বা শাস্তি পাবে না কেন? পোস্ট গ্রাজুয়েট মেধাবী সেই ছেলে- হ্যাঁ আমি ভুল ছিলাম, ঘোরের মধ্যে ছিলাম...বাবা, মা...... আমি ক্ষমা চাচ্ছি বাবা- ক্ষমা আল্লাহর কাছে চা, বেটা মা- (কাঁদতে কাঁদতে) ধূর বোকা! আমি কত্ত খুশি হয়েছি জানিস... আমার ছেলে সঠিক পথ বুঝতে পেরেছে এর থেকে আনন্দের কি আছে!! আয় কোলে আয়... দূরে দাঁড়িয়ে আছিস কেন!!

বিষয়: বিবিধ

১৬৮৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File