বৃটেনের এক চতুথাংশ মেয়েই অপরিণত বয়সে যৌনকর্মে লিপ্ত হচ্ছে। যারা পর্দার বিরুদ্ধে কথা বলে তারা কি বাংলাদেশেও এই পরিসংখ্যান দেখতে চান ?
লিখেছেন লিখেছেন েনেসাঁ ২৭ অক্টোবর, ২০১৩, ০১:২১:৩৬ দুপুর
বৃটেনের এক চতুথাংশ মেয়েই অপরিণত বয়সে যৌনকর্মে লিপ্ত হচ্ছে। শুক্রবার এক জরিপে প্রকাশিত এ ফলাফলে রক্ষণশীল বলে পরিচিত বৃটেন বেশ স্তম্ভিত হয়ে পড়েছে। জরিপে অংশগ্রহণকারী ১৬ থেকে ২৪ বছর বয়সী নারীদের মধ্যে ২৭ শতাংশই স্বীকার করেছেন যে, সম্মতি দেয়ার মতো বয়সে পদার্পণ করার আগেই তারা যৌনতার স্বাদ নিয়েছেন। এ নিয়ে তাদের মাঝে তেমন কোন আক্ষেপ বা হতাশাও নেই। ১৬ বছরের এলিস ক্যাটলিং ১৫ বছর বয়সেই তার কুমারিত্ব হারিয়েছেন। এজন্য তার মোটেও কোন আক্ষেপ নেই। ১৫ বছর বয়সী বয়ফ্রেন্ডের সঙ্গে দীর্ঘ আট মাস ডেট করার পরেই তারা সেঙ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। লিভারপুলের বাসিন্দা এলিস বলেছেন, সেঙ করার সিদ্ধান্তটি আমরা হঠাৎ করেই নেইনি। আমরা দুজনেই একে অপরকে ভালবাসতাম। তাই আমাদের দু’জনেরই এতে আগ্রহ ছিল। মা তখন বাড়িতে ছিল না। টেলিভিশনে ছবি দেখছিলাম। তখনই এ ঘটনা ঘটে। আমি কেবল মাকেই বিষয়টি জানিয়েছিলাম। এলিস বলেছে, আমার বন্ধুদের মধ্যে অনেকেই ১৩ বছর বয়সেই কুমারিত্ব হারিয়েছে। কিন্তু আমি মনের মতো এক মানুষের জন্যই অপেক্ষা করেছিলাম। এলিসের সঙ্গে তার বয়ফ্রেন্ডের সম্পর্ক এখন নষ্ট হয়ে গেছে। এ নিয়ে আক্ষেপ করে এলিস বলেছেন সম্পর্কটা টিকাতে পরলাম না। বিষয়টি লজ্জার। কিন্তু ওই ঘটনার পর থেকে আমিও আর সেঙ করিনি। অথচ জরিপে অংশ নেয়া ৫৫ থেকে ৬৯ বছর বয়সী নারীদের মধ্যে মাত্র চার শতাংশ নারী জানিয়েছেন, তারা ১৬ বছরে পদার্পণের আগে যৌনকর্মে লিপ্ত হয়েছেন। এ জরিফের ফলাফলে প্রতীয়মান হচ্ছে, বৃটেনের অপরিণত মেয়ে ক্রমেই যৌনতার দিকে ঝুঁকে পড়ছে। মেয়েদের মতো ছেলেদের ক্ষেত্রেও একই কথা প্রযোজ্য। ১৬ থেকে ২৪ বছর বয়সী ২২ শতাংশ ছেলেই যৌনতার স্বাদ নিয়েছে বলে জরিপে জানিয়েছে। এ জরিপে প্রাপ্ত ফলাফলে স্কুলে যৌন শিক্ষার গুরুত্বের বিষয়টি আরও ত্বরান্বিত করার ইঙ্গিত বহন করছে। যৌনস্বাস্থ্য বিষয়ক দাতব্য সংস্থা ইপিএ’র রেবেকা ফিন্ডলে বলেছেন, গত ৫০ বছরে সমাজে নাটকীয়ভাবে পরিবর্তন এসেছে। তরুণ-তরুণীদেরকে যৌনস্বাস্থ্যকে সুরক্ষিত রাখতে শিক্ষা এবং তথ্য সরবরাহের প্রয়োজন রয়েছে। এসবই তাদেরকে পরিণত বয়স না হওয়ার আগে যৌনতা থেকে বিরত রাখতে সহায়ক ভূমিকা পালন করতে পারে। এদিকে বৃটেনের ছায়া স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডিয়ানে আবট বলেছেন, সংস্কৃতি পর্নোর ছাড়াছড়ি আর উঠতি বয়সের ছেলে-মেয়েদের মাঝে আবেদনময়ভাবে উপস্থাপনের প্রবণতার কারণে এ সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে। এনএইচএস ইনফরমেশন সেন্টার পরিচালিত দ্য হেলথ সার্ভে ফর ইংল্যান্ড শীর্ষক জরিপে ৮৪২০ জন পূর্ণ বয়স্ক নারনারীকে তাদের যৌনাচার সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছিল। এতে আরও দেখা গেছে, ১৬ থেকে ২৪ বছরের তরুণদের মধ্যে এক দশমাংশ ১০ বা তার চেয়ে বেশি সঙ্গীর সঙ্গে সময় কাটিয়েছে। আর সব বয়সীর মধ্যে একজন পুরুষ সাধারণ সারাজীবনে ৯.৩ জন নারীর সঙ্গে সময় কাটিয়েছে। আর নারীদের ক্ষেত্রে এ সংখ্যা হচ্ছে ৪.৭ জন পুরুষ।
বিষয়: বিবিধ
১৪২৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন