তাকওয়া বা খোদাভীতি মানুষকে পাপ কাজ থেকে বিরত রাখে !
লিখেছেন লিখেছেন েনেসাঁ ০১ অক্টোবর, ২০১৩, ০১:১৬:২২ দুপুর
হযরত উমর (রা) প্রায় সময় ছদ্মবেশে ঘুরে বেড়াতেন। একদিন তিনি চলতে চলতে একটি জঙ্গলের দিকে গেলেন। দেখলেন, একজন রাখাল কিছু বকরীর পাল নিয়ে বকরীগুলোকে ঘাস খাওয়াচ্ছে। খলীফা উমর (রাযি.) তাকে পরীক্ষা করার জন্য তার কাছে গেলেন। দেখলেন, সে একটা ছাগল থেকে দুধ পান করছে। হযরত উমর (রাযি.) ছদ্মবেশে থাকার কারণে রাখাল তাঁকে চিনতে পারেনি। হযরত উমর (রাযি.)কে সে কোন মুসাফির মনে করেছিল। তিনি রাখালকে বললেন, হে রাখাল! আমার ভীষণ ক্ষুধা লেগেছে, তুমি অন্য একটি বকরীর দুধ দোহন করে আমাকে দাও। আমি পান করে একটু পরিতৃপ্ত হই।
একথা শুনে রাখাল বলল, হে মুসাফির! এই ছাগলের পালের মালিক আমি নই। আমি মাত্র বেতনভুক্ত রাখাল। যেহেতু ছাগলের মালিকানা আমার নেই, সেহেতু আমি আপনাকে দুধ দিতে পারব না। তিনি বললেন, যেহতু আমি সারাদিন রাখালী করি, তাই মালিক আমাকে অনুমতি দিয়েছেন নিজে পান করার। অন্যকে পান করানোর অনুমতি আমার নেই। সুতরাং আমি অন্য কাউকে পান করাতে পারবো না। তিনি বললেন, হে রাখাল,তুমি আমার কাছে একটা দুধের ছাগল বিক্রি করো। আমি এর মালিক হয়ে যাব তাহলে দুধ খেতে পারবো, আর তুমিও কিছু টাকা পাবে? যদি মালিক গণনা করে বলে,ছাগল একটা কম কেন? তাহলে তুমি বলবে, বাঘ খেয়ে ফেলছে।এবার রাখাল বলল, আমার মালিক আমার উপর আস্থা রাখেন। আমি যা বলি তিনি তা বিশ্বাস করবেন। কিন্তু মুসাফির ভাই, তোমাকে এখন বলতে হবে- কিয়ামতের দিন যখন আল্লাহ্ আমাকে জিজ্ঞেস করবেন, একটা ছাগল কী করেছিলে? তখন কি তোমার জবাব দিলে আল্লাহর সামনে পার পাওয়া যাবে? সাহাবাযুগে একজন রাখালের তাকওয়াও কি রকম মজবুত ছিল। আল্লাহ্ তা'আলা আমাদেরকে তাকওয়াবান হওয়ার তাওফীক দান করুন।আমীন
বিষয়: বিবিধ
১৬২৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন