নারীদের বিয়ের ক্ষেত্রে অভিভাবক এবং যাকে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে – উভয়ের সম্মতি লাগবে। একতরফা কোনো কিছু ইসলামে গ্রহণযোগ্য নয়।

লিখেছেন লিখেছেন েনেসাঁ ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০৪:২৬:০৮ বিকাল



কোনো নারীর সম্মতি ছাড়া তার গার্জিয়ান জোর করে কারো সাথে বিয়ে দিতে পারবে না। বিশেষ করে, নারীর কোনো ছেলেকে বিয়ের ব্যপারে আপত্তি যদি শরীয়ত সম্মত কারণে করে থাকে, তাহলে তো ঐ বিয়েই বৈধ হবেনা। এমন হলে, ঐ নারীকে যদিও বা জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে বিয়ের পরে শরীয়াহ কোর্টের দ্বারস্থ হয়ে ঐ বিয়ে বাতিল করে দিতে পারবেন।

রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেনঃ “পূর্বে বিয়ে হয়েছে এমন নারীর সাথে পরামর্শ করা ছাড়া তাকে বিয়ে দেওয়া যাবেনা। আর একজন কুমারী মেয়েকে তার সম্মতি আছে কিনা জিজ্ঞাস না করে তাকে বিয়ে দেওয়া যাবেনা।

রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কে জিজ্ঞাসা করা হলো, কুমারী মেয়েকে কিভাবে জিজ্ঞাসা করা হবে (কারণ, সেতো লজ্জায় হ্যা বা না কিছুই বলবেনা)।

জবাবে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বললেনঃ “কুমারী মেয়ের নীরব থাকাই হলো সম্মতি।” সহীহ আল-বুখারী ৬৪৫৫।

কোনো অভিভাবক যদি কোনো নারীর ইচ্ছার বিরুদ্ধে বিয়ে দেয় তাহলে শরীয়াহ কোর্টের মাধ্যমে সেই বিয়ে বাতিল করে দিতে পারবেঃ আয়েশা (রাঃ) এর কাছে একটি মেয়ে এসে বললো, সামাজিক মান-মর্যাদা বৃদ্ধির জন্য আমার বাবা তার ভাইয়ের ছেলের সাথে (চাচাতো ভাইয়ের সাথে) আমার বিয়ের বিয়ে দেয় কিন্তু আমি এই বিয়ে করতে চাইনি (অর্থাৎ আমাকে জোর করে বিয়ে দেওয়া হয়েছে)।

আয়েশা (রাঃ) বললেন, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) না আসা পর্যন্ত তুমি এখানে বসে থাকো। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) আসলে আয়শা (রাঃ) তাঁকে মেয়েটির ব্যপারে বললেন। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) মেয়েটির বাবাকে ডেকে পাঠালেন এবং পরে মেয়েটিকে বললেন তুমি যেকোনো একটা বেছে নিতে পারো (হয় এই বিয়ে মেনে নিয়ে সংসার করতে পারো অথবা চাইলে এই বিয়ে ভেঙ্গে দিতে পারো)। মেয়েটি বললোঃ ইয়া রাসুলুল্লাহ (সাঃ) আমার বাবা যা করেছে আমি সেটা মেনে নিয়েছি। কিন্তু আমি অন্য নারীদের কাছে এটা প্রমান করতে চাচ্ছিলাম (অর্থাৎ নারীদেরকে জোর করে বিয়ে দেওয়া যাবেনা)।

সুনানে আন-নাসায়ী ৩২১৭।

সুতরাং, নারীদের বিয়ের ক্ষেত্রে অভিভাবক এবং যাকে বিয়ে দেওয়া হচ্ছে – উভয়ের সম্মতি লাগবে। একতরফা কোনো কিছু ইসলামে গ্রহণযোগ্য নয়।

বিষয়: বিবিধ

৮৮৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File