ব্র্যাকের ডাকে হাফসার ‘না’। আসুন আমরা সবাই হাফসার সংঙ্গে সুর মিলিয়ে দেশ ও জনগণের সংস্কৃতি বিরোধী ব্রাককে না বলি।
লিখেছেন লিখেছেন েনেসাঁ ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০৫:২৩:০৪ বিকাল
নেকাব পরার কারণে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ব্র্যাক থেকে বহিষ্কৃত ছাত্রী হাফসা ইসলাম আপাতত ব্র্যাকে ফিরছেন না। হাফসার পরিবার থেকে এ ব্যাপারে বলা হচ্ছে, “ব্র্যাক কর্তৃপক্ষ যতক্ষণ পর্যন্ত তাদের ড্রেসকোড থেকে হিজাব ও নেকাব সংক্রান্ত নীতিমালা তুলে না নেয়, ততক্ষণ পর্যন্ত তারা হাফসাকে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠাবে না।
ব্র্যাক 'স্ববিরোধী' আচরণ করছে উল্লেখ করে আবদুল্লাহ বলেন, “ব্র্যাক একদিকে তাদের ড্রেসকোড ভঙ্গের দায়ে হাফসাকে বের করে দিলো, অন্যদিকে এখন বিশেষ সুবিধা দেওয়া হচ্ছে বলে হাফসাকে ডাকা হচ্ছে। বিশেষ সুবিধা শুধু হাফসার ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে এটা আমরা মেনে নিতে পারি না।”
হাফসাকে ফিরিয়ে নিতে রোববারও ব্র্যাক থেকে একাধিকবার ফোন দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
আবদুল্লাহ বলেন, “যে সমস্ত ছাত্রী এখন পর্যন্ত কর্তৃপক্ষের চাপে নেকাব খুলতে বাধ্য হয়েছে, তাদের ব্যাপারে ব্র্যাককে সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত জানাতে হবে। একইসাথে ভবিষ্যতে যেসব নেকাব পরিহিতা ছাত্রী ব্র্যাকে ভর্তি হবে তাদের ব্যাপারেও ব্র্যাকের অবস্থান জানাতে হবে।”
ব্যাপারটি নিয়ে ব্যক্তিগতভাবে ‘ছাড়’ দেওয়ার কোনো সুযোগ নেই বলেও মন্তব্য আবদুল্লাহ মুহাম্মদের। এছাড়াও বোর্ড অব ট্রাস্টি থেকে এখনো লিখিত কোনো চিঠি পাঠানো হয়নি বলে উল্লেখ করেন তিনি।
ব্র্যাক যদি তাদের ড্রেসকোডের ব্যাপার নিয়ে অবস্থান পরিবর্তন না করে, তাহলে হাফসার পরিবারের পক্ষ থেকে আইনের আশ্রয় নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
ব্র্যাকের উপাচার্য আইনুন নিশাতের ‘জোব্বা’র বিষয়টিও পরিষ্কার করতে হবে বলেও দাবি করেন তিনি।
উল্লেখ্য, শনিবার ব্র্যাকের উপাচার্য আইনুন নিশাত বলেন, “ড্রেসকোডের ব্যাপারটি পিওরলি সিকিউরিটির পয়েন্ট অব ভিউ থেকে করা হয়েছে। যেটা আমরা প্রধান্য দিচ্ছি সেটা হচ্ছে নিরাপত্তা। ড্রেসকোডে আমরা বলতে চেয়েছি, সবার পরিচয় যেন চেক করা যায়। বোরকার ব্যাপারে আপত্তি নেই, কিন্তু একজন যদি কালো একটা জোব্বা পরে আসে সেটা কেমন হয়?”
দেশব্যাপী প্রতিবাদের মুখে তথাকথিত 'ড্রেসকোড ভঙ্গের' অভিযোগে বহিষ্কৃত ছাত্রী হাফসা ইসলামকে ফিরিয়ে নিতে রাজি হয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ব্র্যাক। শনিবার ব্র্যাকের উপাচার্য ড. আইনুন নিশাত ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটির রেজিস্ট্রার ইসফাক ইলাহী চৌধুরী পক্ষ থেকে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গিয়েছে।
গত ১২ সেপ্টেম্বর ‘ড্রেসকোড ভাঙ্গার’ অভিযোগে হাফসা ইসলাম নামে এক ছাত্রীকে বহিস্কার করে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে (স্নাতক) সপ্তম সেমিস্টারের (মোট ১২ সেমিস্টার) ছাত্রী। বহিষ্কারের ঘটনায় সমালোচনার ঝড় চলছে ফেসবুক, ব্লগসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে-বিপক্ষে নানা ধরণের মতামত তুলে ধরেছেন অনেকে।
বিষয়: বিবিধ
১১৭২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন