আশারাম বাপু ইন্দোর আশ্রম থেকে যৌন হয়রানীর দায়ে গ্রেফতার
লিখেছেন লিখেছেন েনেসাঁ ০১ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০৪:২৫:৩৬ বিকাল
১১ দিনের বহু নাটক শেষে অবশেষে শনিবার রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ গ্রেফতার হলেন আশারাম বাপু । নাবালিকাকে যৌন নির্যাতনের দায়ে অবশেষে ভারতের এই স্বঘোষিত ধর্মগুরুকে তার ইন্দোরের আশ্রম থেকে গ্রেফতার করেন জোধপুর পুলিশ।
এর আগে শনিবার সকালে ওই আশ্রমের সামনেই দুই সাংবাদিকের উপরে চড়াও হন আশারামের কিছু মহিলা সমর্থক। সাংবাদিকদের মারধর করে তারা তাদের ক্যামেরাও ভেঙে দেন।
জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হাজির হতে আশারামকে শুক্রবার পর্যন্ত সময় দিয়েছিল জোধপুর পুলিশ। কিন্তু, নানা অজুহাতে এড়িয়ে যাচ্ছিলেন আশারাম। শনিবার বিকেলের দিকে ইন্দোরের আশ্রমে পৌঁছে যায় জোধপুর পুলিশের একটি দল। সেখানে প্রায় আট ঘণ্টা চেষ্টার পরে আশারামকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়।
এরইমধ্যে আশারামের মেডিক্যাল রিপোর্টও পুলিশের হাতে আসে। যাতে বলা হয়, জেরা করার মতো সুস্থই আছেন ধর্মগুরু। এর পর মাঝরাতে আশ্রমের ভিতর থেকে পুলিশের দুটি সাদা গাড়িকে পরপর বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। আশপাশে ভিড় করা আশারাম-অনুগামীরা তখন পুলিশ-বিরোধী স্লোগান দিচ্ছেন। আশারামকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হয়েছে, সে সম্পর্কে ইন্দোরের এসপি কিছু বলতে চাননি।
একটি সূত্রের দাবি, আশ্রম থেকে সোজা বিমানবন্দরে নেয়া হয়েছে তাকে। সেখান থেকে আশারামকে জোধপুরেই নিয়ে যাওয়ার কথা, যেহেতু যৌন নিগ্রহের দায়ে তার বিরুদ্ধে এফআইআর জোধপুরেই দায়ের করা হয়েছিল।
উল্লেখ্য ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি নাবালিকা কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে স্বঘোষিত ধর্মগুরু আশারাম বাপুর বিরুদ্ধে সমন জারি করা হয়। অভিযোগে মেয়েটি বলেছে, ধর্মগুরু আশারাম বাপু তাকে নগ্ন করে শরীরের উপর খামচি মারে। আর চিৎকার করায় সে তাকে হত্যার হুমকি দেয়। অভিযোগে মেয়েটি জানায়, আশারাম মেয়েটিকে ওরাল সেক্সের প্রস্তাব দিয়েছিল কিন্তু মেয়েটি তা প্রত্যাখান করে। গত ১৫ আগস্ট রাত দশটায় যোধপুর শহর থেকে ৪০ কিলোমিটার দূরে শ্লীলতাহানীর এই ঘটনা ঘটে। আসারামের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছাত্রী ছিল মেয়েটি।
ছবি সূত্র: তেলেগু নিউজ কর্ণার
বিষয়: বিবিধ
১৪৯৭ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন