‘ইসলাম নারীকে বাইরের কাজে মানা করেনি’
লিখেছেন লিখেছেন েনেসাঁ ২২ জুলাই, ২০১৩, ১২:৪৮:৫২ দুপুর
রাসূল (সাঃ) এরশাদ করেন,“ জ্ঞানার্জন করা প্রত্যেক নর-নারীর জন্য ফরয।” নারীরা জ্ঞানার্জন করবে,কর্ম করবে, সম্মানার্জন করবে স্বাধীনভাবে, তবে তা হতে হবে নিরাপত্তার মধ্যে শরীয়ত সম্মত উপায়ে। ইসলামই একমাত্র ধর্ম যেখানে নারীর নিরাপত্তা,সম্মান ও মর্যাদার স্বীকৃতি দেয়া হয়েছে। মায়ের মর্যাদা দেয়া হয়েছে সবার উপরে। নারীরা শরীয়তের বিধানের ভেতরে থেকে সব কাজই করতে পারেন।ইসলামে নারীকে কখনোই বাইরের কাজে বাধা দেয়া হয়নি। শুধুমাত্র সতর্ক করা হয়েছে। ইসলামী পোশাকরীতিতে সে কথাই বলা হয়েছে।নারী চাইলে বিমান চালনাও করতে পারেন। বিমান চালনা শিক্ষা একটি ফরজে কেফায়া। তবে এমন শিক্ষা গ্রহণ করা হারাম, যে শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে ‘ইয়াবা’ ট্যাবলেট বানাতে শিখবে।খোলামেলা পোষাকে চলাফেরার অবাধ সুযোগের কারণেই আমেরিকায় প্রতি ৩ সেকেন্ডে একজন মহিলা প্রকাশ্যে ধর্ষণের শিকার হন।যেসব দেশে মহিলাদের খোলামেলা পোশাকে চলাফেরা সুযোগ রয়েছে সেসব দেশেই যৌন অপরাধের হার বেশি।ইসলামই সর্বকালের শ্রেষ্ঠ জীবন বিধান। সমাজের সকল ধর্মের ও মতের মানুষ যেন নিরাপদে সহযোগী হয়ে বসবাস করতে পারে তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ এখানেই দেয়া হয়েছে।সমাজে সর্বদা শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখা ইসলামেরই অনুপম নির্দেশনা । আলেমগণ হলেন সমাজের নেতা। ইসলামের কালজয়ী শান্তির বার্তাবাহক। তাদেরই দায়িত্ব হলো মানুষের মাঝে ইসলামের সংস্কৃতি ও সংহতির প্রকৃত আহ্বান ছড়িয়ে দেয়া। আরেকটি কথা, বাংলাদেশে বর্তমানে আহলে কিতাব/ খ্রিষ্টানদের সাথে মুসলমানের বিয়ে ও আত্মীয়তার সম্পর্কের জোয়ার লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তাই তো বলি, ইসলামে ধর্মান্তরিত না করেই আহলে কিতাবদের বিয়ে করা জায়েয। তবে ধর্মান্তরিত না করে বিয়ে না করাই উত্তম।আহলে কিতাব হলেও এমন খ্রিস্টানদের ইসলামে ধর্মান্তরিত না করে বিয়ে করা জায়েয নয়, যারা হযরত মরিয়মকে আল্লাহর স্ত্রী ও হযরত ঈসাকে (আ.) আল্লাহর পুত্র বলে বিশ্বাস করেন।
বিষয়: বিবিধ
১২১২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন