তেতুলের ধকে মামা আর মামা থাকে না
লিখেছেন লিখেছেন েনেসাঁ ২০ জুলাই, ২০১৩, ০৫:১২:০৯ বিকাল
[img]http://www.bdtomorrow.net/blog/bloggeruploadedimage/dolon/1374318513.jpg[/img
আল্লামা শফীর নারীকে তেঁতুলের সাথে তুলনা করায় মিডিয়ায় তাকে নিয়ে রীতিমত মুখোরোচক কল্পকাহিনী তৈরীর ধূম পড়ে গেছে। আজ সর্বত্র তাকে নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা। নারী দেখলে পুরুষের মুখে লালা আসে তথ্যটি বিজ্ঞানসম্মত বলে দাবি করে তিনি বলেন, বিষয়টি তিনি জেনেছেন আমেরিকার শিকাগো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণা ও বিশ্বের অন্যতম বিখ্যাত অনলাইন পত্রিকা 'ডেইলি মেইল' প্রতিবেদন থেকে। প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, 'সুন্দরী নারীদের সংস্পর্শে এলে ব্রেন স্বয়ংক্রিয়ভাবে তথ্য পাঠাতে থাকে পিটুইটারি গ্লান্ডে। ফলে পুরুষের শরীরে টেস্টোস্টরেন হরমোন নিঃসরিত হয়ে থাকে বেশি মাত্রার। এতে মুখে লালা বেড়ে যায়। আর যা তা প্রমাণ করেছেন আমেরিকার গবেষকরা।' তিনি বলেন, এ গবেষণার ফলাফল দিয়ে পরবর্তীতে প্রতিবেদন করা হয়েছে বিশ্বের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পেপার ডেইলি মেইলের স্বাস্থ্য পাতায়। বিপরীত লিঙ্গের প্রতি আকর্ষন এটা প্রকৃতির দান। কিন্তু কেন আমরা এই আকর্ষনকে অস্বীকার করতে চাচ্ছি ? এই আকর্ষনেই প্রেমের সৃষ্টি। আর এই প্রেমেই নির্ভর করছে মানব জাতির বংশ পরিক্রমা। প্রেম-ভালবাসা অন্যায় নয় যদি তা হয় ধর্মীয় ও সামাজিক রীতিনীতির মধ্যে। ব্যক্তি চায় ভোগ করতে আর সমাজ তাকে নিয়ন্ত্রন করতে চায়। তাই ব্যক্তির পক্ষে ভুল করা স্বাভাবিক। যে সমাজের মানুষ আইনের প্রতি যত শ্রদ্ধাশীল, সে সমাজের মানুষ তত সুখী।
আসুন একটু তেঁতুলের ধক বোঝার চেষ্টা করি। ফরিদপুরের একটি মেয়ে থাকত তার নানা বাড়ীতে। কুষ্টিয়াতে তার নানা বাড়ী। সেখানেই তার বেড়ে ওঠা। এইচ,এস,সি পাশ করেছে সেখান থেকে। এবার বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির পালা। পড়াশোনায় বেশ ভালো তাই তার লক্ষ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। ঢাকাতে সে তার চাচার বাসায় উঠেছে। চাচা ঢাকাতে ঘর জামাই হিসাবে থাকে। চাচার ছোট শ্যালকের উপর দায়িত্ব পড়ল মেয়েটিকে কোচিং এ আনা নেয়ার, এ রকম চলতে থাকল ভর্তি পরীক্ষা পর্যন্ত। এর মধ্যে তেঁতুলের ধক লেগে গেছে। মামা মাঝে মাঝে তেঁতুল খাওয়া শুরু করেছে। মামা বিবাহিত তার দুই সন্তান আছে আর ভাগ্নি পাক্কা আট বছর যাবৎ চুটিয়ে প্রেম করেছে কুষ্টিয়ার এক ছেলের সাথে। প্রথম দিকে বড় মামা ব্যাপারটি টের পেয়ে বাড়ীর বড়দের জানালে তারা তার কথা বিশ্বাস করেনি বরং তাকে ভৎসনা করেছে। তার পর যা হবার তাই হলো ভাগ্নির পেটে মামা বাচ্চা। এরপর গোপনে বিয়ে। এখনও সংসার চলছে। মেয়েটি তার পড়াশোনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েই চালিয়ে যাচ্ছে।
তাইতো বলি প্রকৃতির নিয়মের উপরে কারও হাত নেই। যেদিন বিদ্যুতের নেগেটিভ ও পজেটিভ তার উপরের কাভার ছাড়া একসাথে ব্যবহার করা যাবে কেবল সে দিনই নারী-পুরুষ পর্দাহীন ভাবে চলতে পারবে।
বিষয়: বিবিধ
৫১০৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন