হালাল উপার্জন ইবাদত কবুলের অন্যতম প্রধান শর্ত
লিখেছেন লিখেছেন েনেসাঁ ১৮ জুলাই, ২০১৩, ০১:১৭:৪৫ দুপুর
ইবাদত কবুলের অন্যতম শর্ত হচ্ছে উপার্জন হালাল হওয়া। হারাম আয়ের খাবার আর পোশাক গায়ে নিয়ে কিংবা হারাম উপার্জনের সুবিধা ভোগ করে ইবাদত করলে তার কোনো সুফল পাওয়া যায় না। এটি শুধু ইবাদত ও পুণ্যের সুফল লাভের সঙ্গেই জড়িত নয়, হারাম উপার্জন করা, অন্যায়ভাবে আয় করা মারাত্মক গোনাহের কাজও বটে। রমজান মাসে আয়-উপার্জনের এ দিকটির প্রতি মনোযোগ দানের একটি কঠোর অনুশীলন গড়ে তোলার সুযোগ সৃষ্টি হয়। এ সুযোগটি আমাদের গ্রহণ করা উচিত। আমরা অনেকেই ইবাদত আমল-পুণ্যকে একদিকের বিষয় আর আয়-উপার্জন, আচরণ, নৈতিকতাকে অন্যদিকের বিষয় মনে করি। এজন্য তাকওয়া অর্জনে কষ্ট করে রোজা রাখলেও জীবন-জীবিকায় সংযমের কোনো চর্চা আমাদের মাঝে সেভাবে গড়ে ওঠে না। অথচ আখেরাতের ‘নাজাত প্রত্যাশী’ যে কোনো মুসলমানের জীবনে হালাল-হারামের তারতম্য ও গুরুত্বের ভূমিকা বিরাট।
সূরা বাকারায় ইরশাদ হয়েছে, ‘হে ঈমানদারগণ, তোমরা পবিত্র বস্তুসামগ্রী আহার কর যেগুলো আমি তোমাদের রিজিক হিসেবে দান করেছি এবং শুকরিয়া আদায় করো আল্লাহর, যদি তোমরা তারই ইবাদত করে থাক (বাকারা-১৭২)।’ সূরা মায়েদার ১০০ নম্বর আয়াতে আল্লাহতায়ালা ইরশাদ করেন : ‘পবিত্র-অপবিত্র সমান হয় না, যদিও অপবিত্রের প্রাচুর্য তোমাকে বিস্মিত করে। অতএব হে বুদ্ধিমানগণ! আল্লাহকে ভয় করো, যাতে তোমরা সফল হও।’ রাসূলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেন : ‘হালাল উপার্জন করা অপরাপর ফরজ কাজগুলোর পর একটি ফরজ।’ কোরআন-হাদিসে এভাবেই হালাল উপার্জন করা এবং জীবিকায় হারামের মিশ্রণ থেকে বেঁচে চলার জন্য নানা নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। তাকওয়া ও সংযম অর্জন এবং উন্নত নৈতিকতার প্রশিক্ষণের এ মাসের সব ইবাদত ও সাধনাকে তাত্পর্যপূর্ণ ও অর্থবহ করে তুলতে হালাল বা বৈধ জীবিকায় জীবন অতিবাহিত করার কোনো বিকল্প নেই। একই সঙ্গে বহুগুণ পুণ্যের সৌভাগ্যের মতো পাপের বহুগুণ ভয়াবহ শাস্তির এ মৌসুমে দুনিয়া এবং আখেরাতে ক্ষমাপ্রাপ্তি ও নাজাত লাভ করতেও হারাম ত্যাগ করে হালাল আয়ের পথ গ্রহণ আমাদের জন্য অপরিহার্য। হারাম ত্যাগ ও হালাল অনুরক্তির এ প্রশিক্ষণ ঠিকভাবে চললে এ সমাজে দুর্নীতি, মজুতদারি ও অন্ধকার ধান্ধামুক্ত একটি সুস্থ আবহ গড়ে উঠতে বাধ্য।
বিষয়: বিবিধ
১৮৫০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন