সাধু হও, সাধু সেজ না
লিখেছেন লিখেছেন েনেসাঁ ২০ মে, ২০১৩, ০৩:৫২:৫৩ দুপুর
ছোট বেলা থেকেই আমরা একটা হাদিস শুনে আসছি তা হলো “ প্রত্যেক মানব শিশুই ফিতরাত বা ইসলাম নিয়ে জম্মগ্রহন করে।” কিন্তু পারিপার্শ্বিক অবস্থার কারনে মানুষ বিভিন্ন ধর্মে বিভক্ত। মানুষের ছোট ঘরে জম্ম নেয়াটা অপরাধ নয়, কিন্তু ছোট হয়ে মৃত্যু বরণ করাটা তার অপরাধ। এখানে তার কর্ম বিবেচিত হবে। মানুষ বিবেক বুদ্ধি দিয়ে পরিচালিত না হয়ে, শুধুমাত্র আশেপাশের পরিবেশের সাথে খাপ খাওয়ানোর জন্য নিজের জীবন পরিচালিত করলে, সে অপরাধী হবে তার বিবেকের কাছে।
একটা বাঘের বাচ্চাকে যদি শেয়ালের বাচ্চার সাথে পালন করা হয় তবে সেই বাঘের বাচ্চার আচরন শেয়ালের বাচ্চার মতই হবে। আয়না বা পানির মাঝে যদি বাঘের বাচ্চা নিজের চেহারা দেখতে পায় তাহলে কিন্তু তার আচরণ পাল্টে যাবে। তাই মানুষ হিসাবে নিজেকে চিনতে চাই জ্ঞানের সাধনা, চাই বিবেকের বিচার। তাহলে সে নিজেকে চিনতে পারবে, নিজেকে বদলে নিবে।
আমরা ছোট বেলায় যখন ক্লাস সেভেন বা এইটে পড়ি তখন প্রতিদিন বিকালে খেলাধূলা শেষ করে বাড়ীর ধারে স্কুলের মাঠে গা জুড়ানোর জন্য বসতাম। কিছু নষ্ঠ ছেলে এই স্কুলের মাঠে সেই সময়ে এসে গাঁজা সেবন করত। তারা ছিল বয়সে আমাদের বড়। আমাদের কিছূ ছেলে তাদের সাথে মিশতে শুরু করল। মাঝে মাঝে তারা দু-এক টান দেয়া শুরু করল। এমনি ভাবে তারা আস্তে আস্তে আসক্ত হয়ে পড়ল। পরবর্তীতে তারা হেরোইনসহ সকল মাদকদ্রব্য নেয়া শুরু করল ও বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ল। যার মধ্যে ছিল মেধাবী ছাত্র ও এলাকার সম্মানীত লোকদের সন্তান। এভাবে তারা এখন সবাই ধ্বংস পথের যাত্রী।
একদিন “ তামাকমুক্ত বিশ্ব” দিবসে এই আসক্ত ছেলেরা সমাজে ভাল সাজার জন্য তামাক বিরোধী মিছিল বের করল ও মিটিং করল। তারা ৫-৭ দিন গোপনে সেবন করতে থাকল, আর কিছুদিন পর সবকিছু প্রকাশ্যে আগের মতই চলতে থাকল।
তাই অপরাধীকে শুধু ভাল হওয়ার ঘোষনা দিলেই চলবে না তা মানতেও হবে। আজ আমরা মিডিয়ার সামনে যা বলছি কাজ করছি তার উল্টো। তাই তো আমরা বলি “ সাধু হও, সাধু সেজ না”।
বিষয়: বিবিধ
১২৯১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন