মন্ত্রীর জামাই লুট করলো বিমানের ৭৮০ কোটি টাকা...!! দেশ উন্নয়নের জোয়ারে ভেসে যাচ্ছে....
লিখেছেন লিখেছেন কথার_খই ০৯ আগস্ট, ২০১৫, ১২:২৬:১৩ রাত
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমান পরিচালিত গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের জন্য বরাদ্দ এবং ইকুইপমেন্ট ক্রয় ও ব্যবহারের আয় থেকে গত ৫ বছরে ৭৮০ কোটি টাকার বেশি লোপাট হয়েছে। এর মধ্যে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং খাতে বরাদ্দ থেকে ৩৫০ কোটিরও বেশি টাকা সরানো হয়েছে। বাকি টাকা যন্ত্রপাতি কেনা এবং এগুলো ব্যবহারের আয় থেকে দফায়-দফায় লোপাট করা হয়।
চাঞ্চল্যকর এ ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে বিমানের সংশ্লিষ্ট শাখার সাবেক জেনারেল ম্যানেজার আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে এ বিপুল অর্থ সরানোর প্রমাণ পেয়েছে বিমান গঠিত তদন্ত কমিটি। আমিনুল ইসলাম সাবেক ভূমিমন্ত্রী রেজাউল করিম হীরার জামাতা। অভিযোগ রয়েছে, সাবেক ভূমিমন্ত্রীর জামাতা হওয়াতেই আমিনুল ইসলামের বিরুদ্ধে কোনো কার্যকর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়নি বিমান কর্তৃপক্ষ। শুধু তাকে গত বছর জুলাইয়ে তার পদ থেকে সরিয়ে এমটি (মোটর ট্রান্সপোর্ট) বিভাগে নিয়োগ দেওয়া হয়। একই কারণে অন্য অভিযুক্তরা একরকম বহাল তবিয়তেই আছেন। আরও অভিযোগ রয়েছে, সাবেক ভূমিমন্ত্রীর কারণেই দুর্নীতি তদন্তের ওই ফাইলটি এখন থমকে আছে।
0এ ব্যাপারে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের পরিচালক (প্রশাসন) রাজপতি সরকার আমাদের সময়কে বলেন, এটা সামান্য বিষয়। কারও ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে খোঁচাখুঁচি করবেন না। এটা আমাদের ইন্টারনাল ব্যাপার। এ নিয়ে ঘাঁটাঘাঁটি না করাই শ্রেয়। তদন্ত প্রতিবেদন আমাদের হাতে এসেছে। তবে মনে হচ্ছে, এটা অসম্পূর্ণ। অচিরেই অভিযোগের বিষয়ে আবার তদন্ত কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন। তদন্তে যে কারোর বিরুদ্ধে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এদিকে সব অভিযোগ ভিত্তিহীন দাবি করে জিইসি শাখার সাবেক জিএম আমিনুল ইসলাম আমাদের সময়ের কাছে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
বিমান সূত্র জানায়, নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে বিমান কর্তৃপ জিইসি (গ্রাউন্ড সাপোর্ট ইকুইপমেন্ট) বিভাগের সব বিষয়ে তদন্ত করে দেখার জন্য সাবেক পরিচালক (গ্রাহক সেবা) কানাডিয়ান নাগরিক জর্জ-রি-লিভার্সকে তদন্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করে। প্রাথমিক তদন্তে ওই কর্মকর্তা পুরো বিভাগের দুর্নীতির চিত্র এবং এর সঙ্গে জড়িতদের নাম তুলে ধরেন।
তার দেওয়া তদন্ত রিপোর্টে দেখা যায়, সাবেক জেনারেল ম্যানেজার আমিনুল ইসলাম ও তার সহযোগী সিবিএ সিন্ডিকেট এতটাই প্রভাবশালী ছিল যে, সাবেক বিমানমন্ত্রী জিএম কাদের একাধিকবার লিখিত ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলেও কিছু করতে পারেননি। জিএম কাদের বিমান ম্যানেজমেন্টকে দেওয়া এক চিঠিতে বলেছিলেন, সিবিএসহ কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীর দুর্নীতির কারণে শাহজালাল বিমানবন্দরের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং কার্যক্রম মুখ থুবড়ে পড়েছে। বিমানের স্বার্থে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।
জানা গেছে, শ্বশুর মন্ত্রী থাকায় প্রভাব খাটিয়ে আমিনুল ইসলাম শ্রমিক লীগ সমর্থিত সিবিএ নেতাদের নিয়ে বিমানের গ্রাউন্ড সাপোর্ট ইকুইপমেন্ট (জিইসি) শাখায় লুটপাটের উৎসবে মেতেছিলেন। নামে-বেনামে কেনাকাটা, ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে বিপুল অংকের টাকা আয় করেন তিনি। তার বিরুদ্ধে টুঁ-শব্দ করারও সাহস ছিল না কারও। সম্প্রতি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পরও শ্বশুর ও সিবিএ নেতাদের প্রভাবে তার বিরুদ্ধে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে পারেনি বিমান কর্তৃপক্ষ। উল্টো মোটর ট্রান্সপোর্ট (এমটি) শাখার মতো গুরুত্বপূর্ণ শাখায় লোভনীয় পোস্টিং দেওয়া হয় তাকে।
তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বিমানবন্দরে দেশি-বিদেশি সব ফাইট ট্যাক্সিওয়েতে আসার পরপরই এয়ারক্রাফটের ইঞ্জিন বন্ধ হয়ে যায়। এরপর গ্রাউন্ড সাপোর্ট যন্ত্রপাতির মাধ্যমে চলে এয়ারক্রাফটের সব কার্যক্রম। বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হয় গ্রাউন্ড পাওয়ার ইউনিট (জিপিইউ) দিয়ে। এয়ারকন্ডিশন চলে এসি ভ্যানের মাধ্যমে। পানি সরবরাহ হয় ‘ওয়াটার কার্ড’, বাথরুমগুলোর মলমূত্র পরিষ্কার করতে ‘পাঞ্চ কার্ড’, উড়োজাহাজকে সরাতে ‘পুশ কার্ড’ এবং বন্ধ ইঞ্জিন পুনরায় চালুর জন্য ‘স্টার্ট কার্ড’ ব্যবহার করতে হয়। এছাড়া যাত্রীসেবার জন্য কন্ট্রোলার প্যালেস ট্রান্সপোর্টার (সিপিটি), সেফটি প্যাসেঞ্জার প্যালেস (সিপিএল), মালামাল পরিবহনের জন্য টো-ট্রাক্টর, ফর্ক লিফট, প্যাসেঞ্জার স্টেপ (যাত্রীসিঁড়ি) ও বেল্ট লোডার ব্যবহৃত হয়। উড়োজাহাজে জ্বালানি তেল সরবরাহ, ফাইট ছাড়ার আগে প্রতিটি যন্ত্রপাতি চেক করা, উড়োজাহাজের মেরামত ও মেইনটেন্যান্স, বোর্ডিং কার্ড ইস্যু, লাগেজ আনা-নেওয়া, ওজন করাসহ আনুষঙ্গিক সবকিছু গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিংয়ের মাধ্যমে করতে হয়।
প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্ট সূত্রে আরও জানা গেছে, শাহজালালে প্রতিদিন গড়ে ৯৬ থেকে ১০০টি ফাইট অবতরণ করে। এর মধ্যে ৮টি বাংলাদেশ বিমানের। বাকি ৯২টি দেশি-বিদেশি এয়ারলাইনসের। এছাড়া সপ্তাহে ১৫ থেকে ২০টি কার্গো ফাইট ওঠানামা করে শাহজালালে।
বিমানের হিসাব অনুযায়ী, একটি বিদেশি উজোড়াহাজে এক ঘণ্টা বিদ্যুৎ সার্ভিস দিলে বিমানকে গ্রাউন্ড পাওয়ার ইউনিট (জিপিইউ) বাবদ ভাড়া দিতে হয় ১৪ হাজার ৭০০ টাকা। প্রতিটি যাত্রীবাহী উড়োজাহাজে গড়ে ৫-৬ ঘণ্টা ও কার্গো ফাইটে গড়ে ৩-৪ ঘণ্টা জিপিইউ প্রয়োজন হয়। সে হিসাবে প্রতিদিন ৩৩০ ঘণ্টা হিসাবে এই জিপিইউ থেকে বিমানের আয় হওয়ার কথা মাসে ১৫ কোটি টাকা। কিন্তু বিমানের খাতাপত্রে এই যন্ত্র গড়ে ১০০ ঘণ্টার ওপরে ব্যবহারের নজির নেই। এতে শুধু এই একটি যন্ত্র থেকে বিমানের মাসে লোপাট হচ্ছে গড়ে ১০ কোটি টাকার ওপরে। এইভাবে এয়ারকন্ডিশন ইউনিট থেকে মাসে গড়ে ২৫ কোটি টাকার স্থলে আয় দেখানো হয় ১০ কোটি টাকা। প্যাসেঞ্জার বাস প্রতিটি ফিটে একবার চললে মাসে বিমানের গড় আয় হওয়ার কথা ৪ থেকে ৫ কোটি টাকা। কিন্তু আয় দেখানো হয়েছে ৫০ থেকে ৬০ লাখ টাকা। এয়ারক্রাফট পুশ টো-ট্রাক্টর থেকে মাসে গড়ে ৫ কোটি টাকার স্থানে আয় হচ্ছে ১ থেকে দেড় কোটি টাকা। তেমনি এয়ারক্রাফট টো-বার থেকে প্রতি মাসে ৬০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকার স্থলে ১০ থেকে ১৫ লাখ, কার্গো লোডার থেকে দেড় থেকে ২ কোটির স্থলে ৬০ থেকে ৭০ লাখ, মেইন ডেক কার্গো লোডার থেকে ৫ কোটি টাকার স্থলে ২ থেকে ৩ কোটি, ওয়াটার সার্ভিস ট্রাক থেকে ৭ কোটি টাকার স্থলে ২ থেকে ৩ কোটি, ট্রলি সার্ভিস ট্রাক থেকে মাসে ৭ থেকে সাড়ে ৭ কোটির স্থানে ২-৩ কোটি, কনভেয়র বেল্ট থেকে মাসে ৫০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকার স্থলে মাত্র ৫০ লাখ টাকা আয় দেখানো হচ্ছে। এছাড়া ঘণ্টায় ২০ ডলার হিসাবে কার্গো ব্যাগেজ কার্ট ট্রলি থেকে মাসে আয় হওয়ার কথা ১০ থেকে ১৫ লাখ টাকা। এই খাতে আয় দেখানো হয় গড়ে ২ থেকে ৩ লাখ টাকা। ঘণ্টায় ৯০ ডলার হিসাবে ফর্ক লিফট থেকে মাসে আয় হওয়ার কথা ৭ থেকে ৮ কোটি টাকা। কিন্তু গড়ে আয় দেখানো হচ্ছে ৩ থেকে ৪ কোটি টাকা। ৩ টনের ফর্ক লিফট থেকেও মাসে ৩-৪ কোটি টাকা লুটপাট করা হয়েছে। প্রতি ফিটে ৭৫ ডলার হিসাবে ক্রু ট্রান্সপোর্ট কোচ থেকে মাসে আয় হওয়ার কথা ২ কোটি টাকা। কিন্তু এই খাতেও মাসে ১ কোটি টাকার ওপর লুটপাট হচ্ছে। প্রতি ঘণ্টায় ২২০ ডলার হিসাবে ৪ টনি মোবাইল ক্রেন থেকে মাসে আয় হওয়ার কথা ১৫ থেকে ২০ কোটি টাকা। এই খাত থেকে মাসে ৫ থেকে ৭ কোটি টাকা লোপাট হচ্ছে। প্রতিবারে ২৬৪ ডলার হিসাবে প্রতি মাসে ইন্টেরিয়র এয়ারকন্ডিশনার কিনিং থেকে আয় হওয়ার কথা ৬ থেকে ৭ কোটি টাকা। কিন্তু এই খাত থেকেও প্রতি মাসে ২-৩ কোটি টাকার ওপরে লোপাট হচ্ছে।
তদন্ত কর্মকর্তা তার রিপোর্টে বলেন, এসব যন্ত্রপাতি ব্যবহারে যে বিল করা হচ্ছে তা মনিটরিং করার কেউ নেই। শীর্ষ কর্মকর্তা বলতে ছিলেন আমিনুল ইসলাম আর সিবিএ নেতারা। প্রতিবেদনে আরও দেখা যায়, বিমানের গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং খাতে যন্ত্রপাতি কেনার নামেও বিপুল অর্থ লোপাট করা হয়েছে। ক্রয় করা এসব যন্ত্র এতটাই নিম্নমানের যে দেশে আনার কিছুদিনের মধ্যে সেগুলো ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ে। ২০০৬ সাল থেকে মূলত বিমানের এই শাখার কেনাকাটার নামে পুকুর চুরি শুরু হয়। এর আগে গ্রাউন্ড হ্যান্ডলিং শাখার জন্য যেসব যন্ত্রপাতি কেনা হতো সেগুলোর মান ছিল ভালো। ২০০৬ সাল থেকে কেনা কিছু মেশিনে কোটি টাকার পার্টস লাগিয়েও চালানো যায়নি। কিছু যন্ত্রপাতি আনার পর থেকেই ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে পড়ে। জিইসি শাখার জন্য ৪টি এসি-ভ্যান, ৩টি মিনি ফর্ক লিফট, ৬টি জিপিইউ ইউনিট (গ্রাউন্ড পাওয়ার ইউনিট), ৩টি স্টার্ট কার্ড, ৬০টি ১০ ফুট বাই ১০ ফুটের এয়ার ট্রলি, ১০টি ২০ ফুট বাই ২০ ফুটের ট্রলিসহ বিপুল পরিমাণ যন্ত্রপাতি কেনা হলেও নিম্নমানের কারণে এগুলো দিয়ে কোনো কাজ করা যায়নি। ইকুইপমেন্টগুলোর অধিকাংশ ২-৩ মাস চলার পর নষ্ট হয়ে গেছে। পরবর্তীকালে মেরামতের নামে কোটি কোটি টাকার যন্ত্রপাতি এনেও এগুলো সচল করা সম্ভব হয়নি। যন্ত্রপাতি মেরামতের নামে বিদেশ থেকে ইঞ্জিনিয়ার এনেও কোটি টাকার ভুয়া বিল-ভাউচার করে টাকা আত্মসাৎ করা হয়। এমন কিছু মেশিন আনা হয়েছে যেগুলোর প্রস্তুতকারী কোম্পানিই মার্কেট থেকে উধাও হয়ে গেছে।
জানা গেছে, বিমানের অধিকাংশ নিম্নমানের যন্ত্রপাতি সরবরাহের সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠানটির নাম এনজিজিএল। ২০০৬ সাল থেকে এই প্রতিষ্ঠানটি বিমানের জিইসি ও বিএফসিসিতে (ফাইট ক্যাটারিং সেন্টার) যন্ত্রপাতি সরবরাহ করে একচেটিয়া ব্যবসা করে আসছিল। শুরুতে প্রতিটি ৯৫ লাখ টাকা দামের দুটি এসিভ্যান সরবরাহের ২ মাস পর ভ্যান দুটি অচল হয়ে যায়। পরবর্তীকালে দুটি এসিভ্যান মেরামতে আরও ৫০-৬০ লাখ টাকার যন্ত্রপাতি এনেও মেশিন দুটি চালু করা যায়নি। একটি এসিভ্যান চালু থাকলে বিমানের প্রতি ঘণ্টায় আয় হয় ১৬০ ডলার। বাজারমূল্য ২০ থেকে ২৫ লাখ টাকা হলেও এসিভ্যান দুটি কেনা হয় দ্বিগুণ মূল্যে। দুটি এসিভ্যান নষ্ট হওয়ার পরও ওই কোম্পানির কাছ থেকে ২টি মিনি ফর্ক লিফট কেনা হয়। প্রতিটি লিফট কেনায় খরচ হয় ৫০ লাখ টাকার ওপরে। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেছে, এসব ফর্ক লিফটের বাজারদর আরও অনেক কম। এত বেশি টাকা দিয়ে কেনার পরও ব্যাটারিচালিত ফর্ক লিফট দুটি ২ মাস পর বসে যায়। এরপর প্রস্তুতকারক চাইনিজ কোম্পানিকে মেশিন দুটি মেরামত করে দেওয়ার জন্য চিঠি দেওয়া হলেও মেরামত করেনি। প্রতিটি কোটি টাকা ব্যয়ে ৬টি গ্রাউন্ড পাওয়ার ইউনিট (জিপিইউ) কেনার দেড় মাসের মধ্যে দুটি জিপিইউ নষ্ট হয়ে যায়। ৬ মাস নষ্ট থাকার পর চায়না থেকে ওই কোম্পানির ইঞ্জিনিয়ার এসে মেরামত করে দেন। ওই খাতেও বিমানকে লাখ লাখ টাকা খরচ করতে হয়। কিন্তু মেরামত করে দেওয়ার ২-৩ মাস পর আবারও নষ্ট হয়ে যায় পাওয়ার ইউনিট দুটি। প্রতিটি আড়াই কোটি টাকা দামের উড়োজাহাজ ধাক্কা দেওয়ার ৪টি পুশকার্ড কেনা হলেও মাত্র ৩ মাস পর মেশিনগুলো নষ্ট হয়ে যায়। এছাড়া স্টার্ট কার্ড কেনা হয়েছিল ৩টি।
জানা গেছে, প্রথম দফায় একটি স্টার্ট কার্ড কেনা হয়েছিল ১ লাখ ৯০ হাজার মার্কিন ডলার দিয়ে। কিন্তু ১৫-২০ দিনের ব্যবধানে আরও দুটি স্টার্ট কার্ড কেনা হয় ৩ লাখ ১৫ হাজার মার্কিন ডলারে। অভিযোগ রয়েছে, কেনার পর থেকে ওই ৩টি স্টার্ট কার্ডে নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। ১০ ফুট বাই ১০ ফুট মাপের ৬০টি ট্রলি আনার ৬ মাসের মধ্যে সেগুলো নষ্ট হয়ে যায়। যদিও ১০ বছর আগের ট্রলি এখনও বিমানে ব্যবহৃত হচ্ছে। ২০ ফুট বাই ২০ ফুট মাপের ১০টি ট্রলি কেনা হলেও ৪-৫টি ২ দিন পর নষ্ট হয়ে যায়। প্রতিটি ৭ লাখ টাকা দিয়ে কেনা। প্রতিটি ৯ কোটি টাকা দিয়ে ৪টি সিপিএল মেশিন কেনা হলেও বেশিরভাগ সময়ই নষ্ট থাকে।
উৎসঃ আমাদের সময়
বিষয়: বিবিধ
৮৩৭ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন