“গেঁজ” সমস্যা দূর করার ৩টি ঘরোয়া উপায়

লিখেছেন লিখেছেন কথার_খই ৩১ মে, ২০১৫, ০১:৪২:৫২ রাত



“গেঁজ” সাধারণত হয়ে থাকে ভাইরাল ইনফেকশনের কারণে। প্রায় ১২০ রকমের “গেঁজ” সনাক্ত করা সম্ভব হয়েছে। অনেকেরই পায়ের তলায় খানিকটা জায়গা খুব শক্ত হয়ে যায়, সেখান থেকে শুকিয়ে যাওয়া মাংস উঠে যেতে থাকে, হাত দিলে ব্যথাও হয়। এই সমস্যাটিকেই আমরা বাংলায় গেঁজ বলে থাকি। এই গেঁজ সাধারণত পায়ে, আঙুলে, কনুইতে এবং ক্ষেত্র বিশেষে মুখেও হয়ে থাকে। কোন ক্রিম মেখে কোন ফল পাওয়া যায় না। চলুন জেনে নিই, এই “গেঁজ” সমস্যা হতে মুক্তি পাবার তিনটি ঘরোয়া উপায়।

রসুনের ব্যবহার

অ্যান্টি ভাইরাল গুণাবলীর কারণে রসুন হচ্ছে গেঁজ দূর করার সবচাইতে সহজ ও কার্যকরী উপায়। এটা ব্যবহার করাও সহজ। আক্রান্ত স্থানে রসুন ছেঁচা দিয়ে ব্যান্ডেজের মত বেঁধে রাখুন। ২৪ ঘণ্টা পর খুলে ফেলুন, পা ধুয়ে নিন। কয়েকবার ব্যবহারেই দেখবেন গেঁজ মিলিয়ে যেতে শুরু করেছে। সমস্যা অনেক বেশী হলে বেশ কয়েকবার ব্যবহার করতে হবে।

কলার খোসা

কলার খোসা আরেকটি উপাদান যা ভীষণ কাজে দেবে। দৈনিক ২/৩ বার আক্রান্ত স্থানে কলার খোসার ভেতরের অংশটি ঘষুন। ভালো ফল পাবেন।

আলু

আলু কেটে নিন, স্লাইস করা আলু আক্রান্ত স্থানে ঘষুন দৈনিক ২/৩ বার। কিছুদিনের নিয়মিত ব্যবহারে দেখবেন মিলিয়ে যেতে শুরু করে গেঁজ।

——————————————

লক্ষণ ও উপসর্গ

গেঁজ:

১. পায় এবং বুড়ো আঙ্গুলের মধ্যে যে অস্থিসংযোগ সেখানে মাংস পিণ্ডের বেড়ে ওঠা।

২. যদি বুড়ো আঙ্গুল ভেতরের দিকে কিংবা বাইরের দিকে বাঁকানো হয়।

৩. অস্থিসংযোগটিতে ব্যথা, অসাঢ়তা কিংবা ফুলে ওঠা। হ্যামার টো:

১. সাধারণত পায়ের বুড়ো আঙ্গুলের পাশের আঙ্গুলটির বেঁকে যাওয়া, অনেকটা থাবার মতো করে।

২. আঙ্গুলের উপরে কড়া পড়া।

৩. আঙ্গুলটিতে ব্যথা করা।

কী করা উচিত

যদিও নিজে নিজে চিকিৎসা করে এই সমস্যাগুলোর সমাধান করা সম্ভব নয়, কিন্তু অন্তত আপনি আপনার ব্যথা থেকে নিরাময় পাবেন:

১. ভালো ডিজাইনের আরামদায়ক জুতো পরিধান করুন, যাতে পায়ে বেশি চাপ না পড়ে।

২. ঘরে সাময়িক আরামের জন্যে আরামদায়ক স্যান্ডেল পড়ে থাকুন।

৩. পায়ের আঙ্গুলে পরিধেয় টো-ক্যাপ পরুন, এতে করে হ্যামার টো সংক্রান্ত ব্যথা বা পীড়া থেকে কিছুটা হলেও নিস্কৃতি পাবেন।

৪. আপনার পা উষä জলে ভিজিয়ে রাখুন।

৫. ব্যথা নিরাময়ের জন্যে জানা কোন ওষুধও সেবন করতে পারেন।

কখন ডাক্তার দেখাবেন

১. যদি আক্রান্ত স্থানে দীর্ঘস্থায়ীভাবে লালচে হয়ে ওঠা থাকে, কিংবা ব্যথা বা প্রদাহ থাকে।

২. যদি হাঁটতে কিংবা জুতো পরতে বা সাধারণ অন্যান্য চলাফেরা সংক্রান্ত কাজ করতে সমস্যা হয়।

৩. যদি আপনার ডায়াবেটিস থাকে কিংবা রক্ত চলাচলের দুর্বলতা থাকে এবং যদি গেঁজ কিংবা হ্যামারটোর উপর ত্বকের ক্ষত খুঁজে পান; সেক্ষেত্রে এটা সংক্রামিত হতে পারে এবং এর পরিণতি হতে পারে মারাত্মক, যেমন টিস্যু বা কোষের মৃত্যু।

কীভাবে প্রতিরোধ করবেন

১. সেসব জুতো পরুন যেগুলো আপনার পায়ের আঙ্গুলের উপর চাপ ফেলে না। তীক্ষî সমুখ সমৃদ্ধ হাইহিলের জুতো পরিহার করুন।

২. আপনার যে পা বড় সেই পায়ের মাপে জুতো কিনুন। কেননা অধিকাংশ মানুষেরই দুই পা সমান আকৃতির নয়।

৩. যেহেতু দিবাকালীন সময়ে পা বড় হতে থাকে, অতএব এরকম রোগ থাকলে দিনের শেষে জুতো কিনলে ভালো হয়।

৪. যদি আপনি গেঁজ এবং হ্যামারটো-এর লক্ষণগুলো দেখে থাকেন সে ক্ষেত্রে ডাক্তারের সাথে বা কোন পা-বিশেষজ্ঞ-এর সাথে যোগাযোগ করুন। সূত্র - সময়ের কন্ঠস্বর?

বিষয়: বিবিধ

২২৭০ বার পঠিত, ১৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

323533
৩১ মে ২০১৫ রাত ০১:৫৭
শেখের পোলা লিখেছেন : দারুন উপকারী কথা৷ ধন্যবাদ৷
০১ জুন ২০১৫ দুপুর ০২:৫০
265258
কথার_খই লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ।
323534
৩১ মে ২০১৫ রাত ০১:৫৯
এ,এস,ওসমান লিখেছেন : ব্লগে দেখছই একজন ডাক্তার ব্লগারও আছে। Day Dreaming Day Dreaming Day Dreaming

আলহামদুল্লিলাহ। ভাই আপনার পোষ্ট পড়ে এ বিষয়ে কিছুটা সচেতন হলাম।
০১ জুন ২০১৫ দুপুর ০৩:০৫
265260
কথার_খই লিখেছেন : আমি ডাক্তার নহে...! সচেতনতার জন্য শেয়ার মাত্র।
323554
৩১ মে ২০১৫ সকাল ০৫:১২
কাহাফ লিখেছেন :
বিশেষ করে গ্রামে বসবাসকারী সমাজের এই রোগটা বেশী হয়!
এতো স হজ চিকিৎসা রয়েছে তা জানা ছিল না ! অনেক ধন্যবাদ ও জাযাকাল্লাহ উপকারী বিষয়টা তুলে ধরায়!!
০১ জুন ২০১৫ দুপুর ০৩:০৬
265263
কথার_খই লিখেছেন : আপনাকেওও ধন্যবাদ।
323567
৩১ মে ২০১৫ সকাল ০৮:৫২
ছালসাবিল লিখেছেন : Love Struck Applause
০১ জুন ২০১৫ দুপুর ০৩:০৬
265262
কথার_খই লিখেছেন : Good Luck :Thinking
323600
৩১ মে ২০১৫ দুপুর ০২:১২
বাকপ্রবাস লিখেছেন : গ্যাজ মুক্ত থাকুন
ভালো থাকুন
০১ জুন ২০১৫ দুপুর ০৩:০৬
265261
কথার_খই লিখেছেন : ইনশাআল্লাহ।
323621
৩১ মে ২০১৫ দুপুর ০৩:৫৪
আবু জান্নাত লিখেছেন : গ্রামের চাষীদের এ রোগ বেশী হয়। সুন্দর ফর্মুলার জন্য জাযাকাল্লাহ খাইর
০১ জুন ২০১৫ দুপুর ০৩:০৭
265264
কথার_খই লিখেছেন : ধন্যবাদ।
323630
৩১ মে ২০১৫ বিকাল ০৫:১৯
মোহাম্মদ লোকমান লিখেছেন : ধন্যবাদ উপকারী বিষয়টি শেয়ার করার জন্য।
০১ জুন ২০১৫ দুপুর ০৩:০৭
265265
কথার_খই লিখেছেন : আপনাকেওও ধন্যবাদ।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File