খালেদার ওপর হামলার ঘটনায় মিডিয়ার ভয়াবহ দলবাজি!!!?
লিখেছেন লিখেছেন কথার_খই ২১ এপ্রিল, ২০১৫, ০৬:৫৭:৩৫ সন্ধ্যা
জিয়ার উপর হামলা করেছে সরকারদলীয় নেতাকর্মীরা। ঘটনা ঘটে সরকারি প্রতিষ্ঠান পেট্রাবাংলার নতুন ভবনের সামনেই। খালেদার গাড়িতে গুলি করা হয়।
ডান পাশের গ্লাসে গুলির চিহৃ সাংবাদিকদের দেখিয়েছেন তার নিরাপত্তা প্রধান মেজর জেনারেল (অব) ফজলে আলী আকবর। খালেদা জিয়া কোনোভাবে রক্ষা পেয়ে গেছেন। আক্রমনকারীরা ছিল বেপরোয়া। বহরের সবক’টি গাড়ি ভাংচুর করা হয়েছে। আহত হয়েছেন অর্ধশত বিএনপি নেতাকর্মী। খালেদার তিনজন নিরাপত্তারক্ষী আহত হন। একজনের নাক-মাথা ফেটে যায়। রক্তে লাল হয়েছে খালেদার নিজের গাড়ি। হামলায় রড, স্টীলের পাইপ, লাটিসোটা ও ইটপাটকেল ব্যবহার করা হয়। ভিডিও এবং ছবিতে দেখা যাচ্ছে, হামলাকারীরা সরকারি পেট্রোবাংলা ভবন থেকে এক যোগে বের হয়। অন্য একটি দিক থেকেও হামলাকারীদের একটি দল আসে। সব মিলিয়ে শতাধিক লোক হামলায় অংশ নেয়। পুলিশ ছিল ঘটনাস্থলে হাতেগোনা কয়েকজন। তারাও ছিল দর্শক। বিরোধীদলের সাধারণ একটা মিছিলেও গুলি করতে তারা সিদ্ধহস্ত। তবে দেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রীর ওপর হামলাকারীদের তাড়াতে বন্দুক তাক করা দূরের কথা, একটা লাঠিও ব্যবহার করতে দেখা যায়নি কোনো ভিডিও বা ছবিতে। প্রত্যক্ষদর্শীদের কেউ কেউ বলেছেন, হামলাকারী কারো হাতে চাইনিজ কুড়ালও ছিল। আস্তো ও ভাঙা ইট-পাটকেল ছোঁড়া হয়েছে খালেদা জিয়ার সাথে নেতাকর্মীদের ওপর। কয়েক মিনিটের মধ্যে খালেদা তার বহর নিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন। এসব তথ্য নেয়া হয়েছে নিচের লিংকগুলো থেকে— http://www.samakal.net/2015/04/20/132326 http://www.sheershanewsbd.com/2015/04/20/77599 http://www.sheershanewsbd.com/2015/04/20/77551 http://amardeshonline.com/pages/details/2015/04/20/281045 https://www.facebook.com/tomsombegom/videos/644677782335097/ তবে সরকার ও আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এসব অস্বীকার করে দাবি করা হয়েছে, হামলার কোনো ঘটনা ঘটেনি। আবার প্রধানমন্ত্রী নিজে বলেছেন খালেদার নিরপত্তারক্ষীরাই কালো পতাকাধারী বিক্ষোভকারীদের ওপর গুলি করেছেন। এখন দেখা যাক, জাতীয় পত্রিকা এবং অনলাইন নিউজ পোর্টালগুলো এ ঘটনাটিকে পাঠকের সামনে কীভাবে উপস্থাপন করেছে? ২০ এপ্রিলের বিভিন্ন পত্রিকার ওয়েবসাইট এবং ২১ এপ্রিলের উল্লেখযোগ্য পত্রিকাগুলো ঘেঁটে এই ঘটনায় মিডিয়ার আচরণকে এক কথায় ‘ভয়াবহ’ হিসেবে আখ্যা দেয়া যায়। কেন ভয়াবহ, বিভিন্ন পত্রিকার বর্ণনা তুলে ধরলেই তা পরিস্কার হবে। # যেহেতু পত্রিকাগুলোই বলছে, খালেদা জিয়াকে যে গাড়িটি বহন করছিল সেটিতে হামলা হয়েছে, বুলেটপ্রুফ কাঁচ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং নিরাপত্তারক্ষীরা সাংবাদিকদেরকে গাড়ির কাঁচে গুলির দাগ দেখিয়েছেন, অতএব খালেদা জিয়াই হামলার শিকার হয়েছেন। মানে, ‘খালেদা জিয়ার ওপর হামলা’ হয়েছে। কিন্তু এসব তথ্য দেয়ার পরও সব পত্রিকা ‘খালেদা জিয়ার ওপর হামলা’র ব্যাপারটিকে ভাষাগত কৌশলে পরিবর্তন করে ‘খালেদার গাড়িবহরে হামলা’ বলে শিরোনাম করেছে। বহরে অনেকগুলো গাড়ি ছিল। যে কোনো একটিতে হামলা হলেই ‘গাড়িবহরে হামলা’র ব্যাপারটি জাস্টিফাইড হয়ে যায়। স্বয়ং খালেদার গাড়িতে হামলা আর বহরের অন্য কোন গাড়িতে হামলা কখনো সমান না হলেও মিডিয়া সেটাকে এক করে ফেলেছে! # কিছু পত্রিকা শিরোনামের সাথেই হামলার জন্য খালেদার নিরাপত্তা রক্ষীদের (সিএসএফ) দায়ীও করেছে। # কয়েকটি পত্রিকার শিরোনাম দেখা যাক— প্রথম আলো: “খালেদার পথসভা ও গাড়িবহরে হামলা” কালের কণ্ঠ: “খালেদার গাড়িবহরে হামলা: পুলিশের দাবি ঘটনার সূত্রপাত ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীদের উসকানিতে”। (পত্রিকাটির খবরের ভেতরে একটি সাবহেডও আছে- “হামলা শুরু বহর থেকেই”) বাংলাদেশ প্রতিদিন: “খালেদার গাড়িবহরে হামলা: সিএসএফের গুলি, কাল হরতাল” সমকাল: “খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরে হামলা” ইত্তেফাক: “কারওয়ানবাজারে খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা” যুগান্তর: “খালেদার গাড়িবহরে হামলা” নয়া দিগন্ত: “খালেদা জিয়ার গাড়িবহরে হামলা” অনলাইন পত্রিকা বিডিনিউজ এবং বাংলানিউজের ২০ এপ্রিলের শিরোনামগুলো ছিল ভিন্নরকম। বিডিনিউজ শিরোনাম করেছে, “কারওয়ান বাজারে হামলার মুখে খালেদা”। বাংলানিউজ- “ভোট চাইতে গিয়ে হামলার কবলে খালেদা” (“হামলার মুখে” এবং “হামলার কবলে” শব্দগুলো নিয়ে পরে বিস্তারিত বলা হয়েছে।) # ব্যতিক্রম ছিল শুধু দৈনিক মানবজমিন। তাদের ২১ এপ্রিলে প্রধান শিরোনাম- “খালেদার ওপর হামলা” # আর যুগান্তর একমাত্র পত্রিকা যেটি শিরোনামের সাথেই খালেদার গাড়িতে গুলির কথাটা জুড়ে দিয়েছে। তাদের প্রধান শিরোনামের নীচে ইনসার্টে তিনটি পয়েন্টের দুটি ছিল— :: চেয়ারপারসনের গাড়ি লক্ষ্য করে গুলি- বিএনপি :: ক্ষমতাসীনদের তাণ্ডব, আহত অর্ধশত # একেক পত্রিকার খবরের ট্রিটমেন্ট ছিল একেক রকম। ২১ এপ্রিল প্রধান শিরোনাম হিসেবে ছাপিয়েছে- মানবজমিন, যুগান্তর, ইনকিলাব, নয়া দিগন্ত ও যায়যায়দিন। সমকাল, বাংলাদেশ প্রতিদিন, কালের কণ্ঠ, ডেইলি স্টার খবরটিকে দ্বিতীয় প্রধান শিরোনামে প্রথম পাতায় ছাপিয়েছে। প্রথম আলো, জনকণ্ঠে ডাবল কলাম। # ইত্তেফাক শুধু প্রথম পাতায় সিঙ্গেল কলামে ছাপিয়েছে! # ছবির প্রকাশের ক্ষেত্রে ডেইলি স্টার, যুগান্তর এবং নয়া দিগন্ত ছিল বেশ উদার। স্টার তাদের প্রথম পাতায় চার কলামে একটা ছবিসহ চারটি ছবির কোলাজ ছাপিয়েছে। নয়া দিগন্ত প্রথম পাতায় একটি ছবি এবং শেষের পাতায় চারটি ছবির কোলাজ ছাপিয়েছে। যুগান্তর প্রথম পাতায় ৫কলামে একটি ছবি ও ভেতরে ২টি ছবি, প্রথম আলো প্রথম পাতায় একটি ও ভেতরের পাতায় আরো দুটি ছাপায়। # বাকিরা কেউ কেউ প্রথম পাতায় ছবি ছাপেইনি। তবে সবচেয়ে বড় ব্যাপারটি ছিল, ছবি নির্বাচনের ক্ষেত্রে। যেসব ছবিতে স্টীলের রড, পাইপ, লাঠি দিয়ে মারমুখী ভঙ্গিতে গাড়ি ভাঙার দৃশ্যে ঘটনার ভয়াবহতা ফুটে উঠেছে সে ছবিগুলো বেশিরভাগ পত্রিকা এড়িয়ে গেছে। বরং তারা ছাপিয়েছে খালেদা জিয়া বক্তব্য দিচ্ছে এমন ছবি। # মানবজমিন এবং কিছু ক্ষেত্রে যগান্তর ছাড়া সব পত্রিকার সংবাদের ভাষা ছিল চরম মাত্রায় কৌশলী এবং পক্ষপাতদুষ্ট। প্রথম আলো ২০ তারিখের অনলাইনে দেয়া সংবাদে ভাষার ব্যবহারে এরকম কৌশলী ভুমিকা নিলেও ২১ তারিখের প্রিন্ট ভার্সনে সেটা থেকে কিছুটা সরে এসেছে। # ভাষাগত পক্ষপাতের উদাহরণ ১: শুধু যুগান্তর খবরের শুরুতে ঘটনা বর্ণনায় ‘নজিরবিহীন হামলার শিকার’ বাক্য ব্যবহার করেছে। এর বাইরে মানবজমিন, ইনকিলাব ও নয়া দিগন্ত ছাড়া সব পত্রিকাই তাদের খবরের শুরুতেই একটা বাক্য ব্যবহার করেছে- ‘হামলার মুখে পড়েন খালেদা’। যেমন, বিডিনিউজ থেকে— “সিটি নির্বাচনের প্রচারে নেমে বাধা পাওয়ার একদিন বাদে হামলার মুখে পড়েছেন খালেদা জিয়া। সোমবার বিকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলার পাশাপাশি ব্যাপক ইট ছোড়া হয় বিএনপি চেয়ারপারসনের গাড়িবহরে।” প্রথম আলো ২০ তারিখ অনলাইন এই ‘হামলার মুখে’ ব্যবহার করলেও আজকের পত্রিকায় সেটা আর ব্যবহার করেনি। সাধারণত কারো উপর হামলা হলে পত্রিকায় লেখা হয়, ‘সন্ত্রাসীরা অভিজিতের উপর হামলা করেছে’। ‘সন্ত্রাসী বা দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার অভিজিত’ ইত্যাদি। কারো উপর হামলা সংঘটিত হয়ে গেলে তখন আর ‘হামলার মুখে’ লেখা হয় না। হামলা হতে পারে এমন আশংকার কথা বুঝাতে চাইলে ভিন্ন কথা। ‘মুখে’ শব্দটি সাধারণত ব্যবহার হয় এভাবে- ‘প্রতিরোধের মুখে’, ‘প্রতিবাদের মুখে’, ‘চাপের মুখে’, ‘বিক্ষোভের মুখে’ ইত্যাদি। খালেদা ‘হামলার মুখে’ এই শব্দগুচ্ছ দ্বারা পত্রিকাগুলো মূলত হামলার ঘটনার একটি ‘গণ’ বা সাধারণ চরিত্র দাঁড় করাতে চেয়েছে। অর্থাৎ, খালেদা ভোট চাইতে গিয়ে ‘প্রতিরোধের মুখে’পড়েন। এটা কোনো মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ! কেন তিনি ‘প্রতিরোধের মুখে’ পড়তে বা ‘ক্ষোভের শিকার’ পারেন, তার একটা ব্যাখ্যা গত তিন মাসে সরকারের মন্ত্রীদের সাথে তাল মিলিয়ে মিডিয়া তৈরি করে রেখেছিল। দৈনিক জনকণ্ঠে হামলার খবরটির সাথে একটি ইনসার্টে দেয়া কথাগুলো থেকেই মিডিয়ার এই উদ্দেশ্য (‘হামলার মুখে’ শব্দ ব্যবহার করে ‘গণমানুষের ক্ষোভের মুখে’ বুঝানো) পরিস্কার হয়। কিন্তু অন্য পত্রিকাগুলো জনকণ্ঠের মতো স্পষ্ট করে সব কথা বলতে না পারায় সম্ভবত তাদেরকে কৌশলী হতে হয়েছে। জনকেণ্ঠের ইনসার্টের কথাটি হচ্ছে- “তিন মাসে নিহত ও ক্ষতিগ্রস্থদের পক্ষ থেকে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া কিনা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।” # ভাষাগত পক্ষপাতের উদাহরণ ২: ভাষার ব্যবহারের মাধ্যমে হামলাকারীদের পরিচয় নিয়ে পাঠকদের বিভ্রান্ত্রিকর তথ্য দেয়ার চেষ্টা ছিল লক্ষ্য করার মতো। প্রথম আলো (প্রিন্ট ভার্সন), ইনকিলাব, নয়া দিগন্ত, মানবজমিন ও ডেইল স্টার ছাড়া কোন পত্রিকাই সরাসরি বলেনি যে, হামলা করেছে সরকার দলীয় ক্যাডার বা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা। প্রথম আলোর প্রিন্ট ভার্সন থেকে— “রাজধানীর কারওয়ান বাজারে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পথসভা ও গাড়িবহরে হামলা হয়েছে। গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকায় সরকারি দলের কর্মী-সমর্থকেরা এ হামলা চালান বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন।” প্রত্যক্ষদর্শীরা সরাসরি আওয়ামী লীগের কথা বললেও ইত্তেফাক, সমকাল, কালের কণ্ঠ, বিডিনিউজ, বাংলানিউজ, বাংলাদেশ প্রতিদিন, জনকণ্ঠ- সবাই হামলাকারীদের পরিচয় দিতে খবরের শুরুতে ব্যবহার করেছে- ‘এক দল যুবক’, ‘কিছু লোকজন’ ইত্যাদি। তবে কেউ কেউ খবরের ভেতরে গিয়ে ‘বিএনপির নেতাদের দাবি’ হিসেবে আওয়ামী লীগের হামলার কথা উল্লেখ করেছে। হামলায় কী অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে তা ছবিতে স্পষ্ট দেখা গেলেও বাংলানিউজ এবং ইত্তেফাক জানিয়েছে, গাড়িতে ডাবের খোল এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করা হয়। বাংলানিউজ থেকে— “পেট্রোবাংলা ভবনের সামনে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা ডাবের খোল ও ইট-পাটকেল ছুঁড়ে খালেদা জিয়ার গাড়ি বহরের কয়েকটি গাড়ি ভেঙ্গে ফেলে। এ সময় কয়েকজন আহতও হন।” ডাবের খোল দিয়ে গাড়ি ভাঙা! # ব্যতিক্রম ছাড়া প্রায় পত্রিকাই হামলার খবরের পাশে প্রধানমন্ত্রী এটিকে ‘নাটক’ বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা গুরুত্ব দিয়েই প্রকাশ করেছে। কেউ শিরোনাম করেছে খালেদার বহর থেকে গুলি করার প্রধানমন্ত্রীর অভিযোগ থেকে। # যগান্তর লিখেছে, “পুলিশের উপস্থিতিতে তাণ্ডব চলে”। পুলিশের নীরবতা নিয়ে আরো দুয়েকটি পত্রিকা তথ্য দিলেও বেশিরভাগ পত্রিকায় ‘পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে’ ছাড়া তাদের নিস্ক্রিয়তার কোনো তথ্য নেই! অথচ, একাধিক ভিডিওতে তাদের খালি হাতে দাঁড়িয়ে থাকতে বা এক দুইজনকে ধরে রাখার চেষ্টা করতে দেখা গেছে। হামলার শিকার সাবেক একজন প্রধানমন্ত্রীকে রক্ষায় পুলিশের কোন ভূমিকা না থাকার ব্যাপারে মিডিয়ার কোন মাথা ব্যাথাই নেই! # হামলায় সাংবাদিক আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। কিন্তু সার্বিকভাবে ঘটনার ভয়াবহতা কমাতে সাংবাদিকদের ওপর হামলাটাকেও হজম করে ফেলেছে পত্রিকাগুলো! কেউ খবর দিলেও এক/দুই লাইনের বেশি এগোয়নি। কোনো আলাদা সংবাদ পরিবেশিত হয়নি এ নিয়ে।— “এ সময় দায়িত্বরত সাংবাদিকরা ছবি তুলতে গেলে তাদের ওপরও চড়াও হয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। তারা বেশ কয়েকটি ক্যামেরা ভাঙচুর করে। হামলায় অন্তত চারজন সাংবাদিক আহত হয়েছেন।” (ইত্তেফাক) “হামলায় খালেদা জিয়া অক্ষত থাকলেও তার গাড়ির কাচ ভেঙেছে। আহত হয়েছেন তার ব্যক্তিগত নিরাপত্তা রক্ষীরাসহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিক।” (বিডিনিউজ)। তবে পত্রিকা পাঠের নিকট অতীতের অভিজ্ঞতা বলে, হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে এরকম বেশ কয়েকজন সাংবাদিক হামলার শিকার হলে সে খবর প্রথম পাতায় আলাদা বক্স আইটেম হতে পারতো। # প্রতিটি সংবাদ মাধ্যমের এক বা একাধিক প্রতিনিধি খালেদার সাথে থাকার পরও প্রত্যক্ষদর্শীদের চেয়ে কিছু পত্রিকায় পুলিশের বক্তব্যকে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। যেমন-- “এই হামলাকারীদের শনাক্ত করা যায়নি বলে পুলিশ জানিয়েছে। ডিএমপির তেজগাঁও বিভাগের অতিরিক্ত উপকমিশনার ওয়াহিদুল ইসলাম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “অবরোধ-হরতালের জন্য ব্যবসায়ীদের ক্ষোভ ছিল।”
শিশির আব্দুল্লাহ
সুত্র আমার বাংলাদেশ
বিষয়: বিবিধ
১০২৮ বার পঠিত, ৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন