গ্যাসট্রিক থেকে দূরে থাকার কিছু টিপস

লিখেছেন লিখেছেন কথার_খই ১৯ এপ্রিল, ২০১৫, ০২:১৮:১৯ রাত



তিন বেলার খাবার ছয় বেলায় খান

আপনি তিন বেলার খাবারকে ভাগ করে ছয়বার খান ৷ তেলে ভাজা খাবার, অতিরিক্ত ঝাল, চর্বি, মসলা, মিষ্টি, অর্থাৎ যেসব খাবার হজম করতে সমস্যা হয়, সেগুলো খাবার তালিকা থেকে আস্তে আস্তে কমিয়ে দিয়ে হালকা খাবার খান ৷ যেমন আপনার খাবারের তালিকায় থাকতে পারে মাছ, অল্প মাংস, সবজি, আলু ইত্যাদি ৷ এছাড়া খালি পেটে ফলের রস বা টক জাতীয় খাবার একেবারেই নয় ৷

খাবার উপভোগ করুন

পরিমাণে অল্প খাবার একটু ধীরে ধীরে ভালো করে চিবিয়ে খান ৷ দুপুরে খাওয়ার পর পরই ঘুমানো উচিত নয়, কারণ এতে খাবার আবার পাকস্থলীতে ফিরে আসতে পারে ৷ বরং হাতে সময় থাকলে খাবার পর একটু হাঁটা যেতে পারে, যা খাবার হজম এবং মলত্যাগে সহায়তা করে থাকে ৷

বুঝে পান করুন

পিপাসা মেটাতে পানি এবং হালকা চা পান করতে পারেন ৷ তবে দিনে কম পক্ষে দুই লিটার পানি পান করা উচিত, যাতে খাবার পাকস্থলীতে ভালো করে মিশে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে পারে ৷ তবে শুধু খাবার নয়, পানি পান করার দিকেও কিছুটা গুরুত্ব দিতে হবে৷

ঢিলেঢালা পোশাক

খুব টাইট জিন্স বা কোমরের বেল্ট বেশি টাইট করে বাঁধবেন না ৷ কারণ টাইট বেল্ট পেটে চাপ দেয়, যার ফলে টক ঢেকুর উঠতে পারে ৷ কাজেই একটু আরামদায়ক বা একটু ঢিলে কাপড়-চোপড় পরাই শ্রেয় ৷

নিয়মিত হাঁটাচলা করুন

‘হাঁটা-চলার কোনো বিকল্প নেই’ – এ কথা কম-বেশি আমরা সকলেই জানি ৷ অতিরিক্ত ওজনের কারণে পেটে চাপ পড়ে এবং হাঁটাচলা না করায় মলত্যাগ করার পথে বাঁধা সৃষ্টি হয় ৷ তাছাড়া পেটে খাবার জমে থাকা মানেই অস্বস্তি বোধ এবং সে কারণে ওজন কমানো বা ওজন ঠিক রাখাও সম্ভব হয় না ৷ ব্যায়াম এবং হাঁটাচলা করলে শরীর থাকে হালকা, অন্ত্রও থাকে সক্রিয় আর গ্যাসও হয় কম ৷

বালিশটা একটু উঁচু করে ঘুমাবেন

গ্যাসট্রিক বা অম্বলের সমস্যা সাধারণত রাতে বেলায় হয় ৷ তাই বালিশটা একটু উঁচু করে এবং শরীরের ওপরের দিকটাও একটু উঁচুতে তুলে ঘুমাবেন ৷ এতে গ্যাসট্রিক অ্যাসিড ওপরে উঠতে পারে না ৷ বাঁদিকে কাত হয়ে ঘুমালেও পেটে চাপ কম পড়ে ৷ তাছাড়া রাতের খাবার ঘুমাতে যাওয়ার তিন ঘণ্টা আগে খেলে খাবার হজম করতে আর কোনো সমস্যা হয় না ৷

আঁশযুক্ত খাবার

ডাক্তারি ভাষায় টক খাবার বলতে বোঝায় মুরগির মাংস, মাছ, ভাত, মসুরের ডাল ইত্যাদি ৷ এ ধরনের খাবার খাওয়ার পর অ্যাসিড হতে পারে ৷ তাই আলু, রুটি, সিম, মটরশুটি, মুগের ডাল, কলাইয়ের ডাল ইত্যাদি খাবার ‘টক’ খাবারের সাথে মিশিয়ে খেলে অম্বলের সম্ভাবনা অনেক কমে যায় ৷ এছাড়া প্রতিদিন খাবারের তালিকায় সামান্য আলু সেদ্ধ বা আলুর তরকারি থাকতে পারে ৷ আঁশযুক্ত খাবারের কথা অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে ৷

স্ট্রেসকে দূরে রাখুন

‘‘স্ট্রেস বা মানসিক চাপের সাথে রয়েছে পেটের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ৷ তাই যে কোনো সংঘাত এড়িয়ে যতটা সম্ভব ‘স্ট্রেস’ থেকে নিজেকে মুক্ত রাখার চেষ্টা করুন ৷ হালকা খাবার, যথেষ্ট হাঁটাচলা, কিছুটা বিশ্রাম – এভাবেই পেট বা অন্ত্রকে রক্ষা করতে, গ্যাসট্রিককে প্রতিরোধ করতে পারেন ৷’’ এ পরামর্শ জার্মানীর কোলনের ইন্টারনাল মেডিসিনের বিশেষজ্ঞ ডা. ইয়োর্গেন স্ল্যুইটারের ৷

ধূমপান নয়!

স্ট্রেস বা মানসিক চাপের ফলে পেটে অ্যাসিড প্রতিক্রিয়া দেখা দেয় – সেকথা আমরা অনেকেই জানি ৷ স্ট্রেসের কারণে অনেকে ধূমপান করেন ৷ কিন্তু নিকোটিন অন্ত্রের খাবার মলদ্বারের রাস্তায় যে পথ দিয়ে যায়, সেটিকে দুর্বল করার ক্ষেত্রে প্রভাব ফেলে ৷ এছাড়া স্ট্রেস হরমোন হজম শক্তিকে নিয়ন্ত্রণ করে ৷ শরীরের ভারসাম্য রক্ষায় অসুবিধার কারণে পেটে অ্যাসিড উৎপাদন হয়, কাজেই আর ধূমপান নয়!

গ্যাসট্রিককে জয় করুন

হাঁপানি, হৃদরোগ, জন্ম নিরোধ ট্যাবলেট বা ব্যথার ওষুধ সেবন থেকেও অম্বল বা গ্যাসট্রিক হতে পারে ৷ তাই যাঁরা এরকম ওষুধ সেবন করেন তাদের গ্যাসট্রিকের সমস্যা দেখা দিলে সেকথা সরাসরি ডাক্তারকে বলুন ৷ কখনো অম্বল হয়নি এমন মানষ খুঁজে পাওয়া কঠিন ৷ কারুর হঠাৎ করে এ সমস্যা দেখা গেলে, বুঝতে হবে যে হয় অতিরিক্ত খাওয়া বা দেরিতে খাওয়া বা ভুল খাওয়ার কারণে এমনটা হয়েছে।

সুত্র নয়া দিগন্ত

বিষয়: বিবিধ

১৪২৯ বার পঠিত, ১৫ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

315697
১৯ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০২:৪৯
সুশীল লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ
২০ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১১:৩১
257117
কথার_খই লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ।
315702
১৯ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ০৫:০৭
কাহাফ লিখেছেন :
বাংলাদেশীদের স্বভাবজাত অসুখ এই গ্যাসট্রিক'
এ থেকে মুক্ত থাকতে উপকারী কিছু বিষয় শেয়ার করায় ধন্যবাদ ও জাযাকাল্লাহ জানাই!!
২০ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১১:৩২
257118
কথার_খই লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ।
315712
১৯ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ০৬:৩৬
স্বপন২ লিখেছেন : এগুলো ছাড়া অন্য ব্যাপার রয়েছে যাকে
TMS বলা হয়। স্ট্রেসের কারনেই গ্যাসট্রিক
হয়। এই TMS ফলে ব্যাক,নেক,মাথা ব্যাথা, এলার্জী,অন্যান্য রোগ গুলো আমাদের শরীরে ছড়ায়। কারন ব্রেন যেহেতু স্ট্রেস প্রডিউচ করে, ঘাড়ের নিচের দিকে স্ট্রেস সিগন্যাল পাঠায় যার ফলে আমরা শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যাথা অনুভব করি। এখানে সিগন্যালকে
ব্লক করলে,ব্যাথা অনুভব করবো না। এক্ষেএে
মনকে দাড়িয়ে থাকতে হবে ষ্টেম এরিয়ায়, এন্টি ভাইরাসের মতন। যাতে ব্রেন, স্ট্রেসকে
প্রতিহত করতে পারে। মাইন্ড সেটিং করা,একটু
কঠিন ব্যাপার। এক্ষেএে মাইন্ড ফোর্স>স্ট্রেস ফোর্স। কেঊ যদি এটা মেনে চলে, বাকি গুলো এমনিতে সেড়ে যাবে। কেউ যদি ডিটেল জানতে চান, তাহলে ইউটিউবে সার্স দেন:DR.SARNO. লিংক:,https://www.youtube.com/watch?v=vsR4wydiIBI
২০ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১১:৩৩
257119
কথার_খই লিখেছেন : ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান অভিমতের জন্য।
315727
১৯ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ১০:৫৮
ঘুম ভাঙাতে চাই লিখেছেন : শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
২০ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১১:৩৩
257120
কথার_খই লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ!
315762
১৯ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০১:২৫
মাহবুবা সুলতানা লায়লা লিখেছেন : ভালো লাগলো! শেয়ার করার জন্য অনেক শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ!
২০ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১১:৩৩
257121
কথার_খই লিখেছেন : আপনাকেও ধন্যবাদ
315767
১৯ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০১:৩৭
আবু জান্নাত লিখেছেন :
৷ বাঁদিকে কাত হয়ে ঘুমালেও পেটে চাপ কম পড়ে ৷
হাদিসে আছেঃ ডান দিকে কাত হয়ে ঘুমানো সুন্নাত। আমার জানামতে এটিই বিজ্ঞান সম্মত, আমি এটি আমল করার চেষ্টা করি। গ্যাষ্টিক কি জিনিস আমার জানা নাই, কথনো হয় নাই। কিন্তু বাঁদিকের উপদেশটি আরেকটু ভেবে দেখবেন।
২০ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১১:৩৪
257122
কথার_খই লিখেছেন : ধন্যবাদ ইসলামীক জ্ঞানের আলো দিয়ে মন্তব্য করার জন্য।
315985
২০ এপ্রিল ২০১৫ বিকাল ০৪:৪০
সত্য নির্বাক কেন লিখেছেন : ধন্যবাদ
২০ এপ্রিল ২০১৫ রাত ১১:৩৫
257123
কথার_খই লিখেছেন : আপনাকে ধন্যবাদ।
319140
১০ মে ২০১৫ রাত ০৩:০৪
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : ভালো লাগলো ধন্যবাদ

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File