মওকারে মওকা ! ‘ভারত বাংলাদেশকে সৃষ্টি করেছে’ এখানে অস্বীকার করার কিছু নাই

লিখেছেন লিখেছেন কথার_খই ১৮ মার্চ, ২০১৫, ০২:১৭:৪০ রাত



মওকারে মওকা ! ‘ভারত বাংলাদেশকে সৃষ্টি করেছে’ এখানে অস্বীকার করার কিছু নাই

মওকা মওকা বিজ্ঞাপনটা দেখলাম। আমি সেখানে অস্বাভাবিক কিছু দেখলাম না। ‘ভারত বাংলাদেশকে সৃষ্টি করেছে’ এটা ১০০ ভাগ তো সত্য কথা। কিন্তু ‘কিভাবে সৃষ্টি করেছে’ সেটা নিয়ে গবেষণার দরকার আছে। এজন্য আপনাদেরকে কষ্ট করে একটা গল্প শুনতে হবে। আসুন গল্পটা আগে শুনি.........

এক দেশে ছিলো এক রাজা , নাম তার ‘সূচরাজা’। ‘সূচরাজা’র সারা শরীর সূচ বিদ্ধ , সেই সূচরাজা বনের মধ্যে একটি ঘরে ঘুমন্ত অবস্থায় থাকে। যে নারী সেই সুচ রাজার শরীরের সমস্ত সূচ তুলতে পারবে সেই হবে সূচ রাজার রানী।

যাই হোক, ঘটনাক্রমে কাজলরেখা নামক এক রাণী সেই রাজার খরব পান। এরপর ঐ রাণী বনের মধ্যে ঘুমন্ত রাজার সারা শরীরের সূচ তুলতে থাকেন। এক পর্যায়ের রাণী একটি দাসী তথা চাকরানী ক্রয় করেন।

যাই হোক রাণী বহু দিন ধরে, বহু কষ্ট করে রাজার দেহের সমস্তু সূচ তুলতে সমর্থ হন। এখন শুধু বাকি রাজার দু’চোখের দুটি সূচ। ঐ সূচ দু’টো তুলে চোখের মধ্যে গাছের পাতার রস দিলেই ঘুমন্ত রাজার ঘুম ভাঙবে।

কিন্তু রাণী চোখের দুটো সূচ তোলার আগে গোসল করতে বাইরে যায়। এ সুযোগে ঐ চাকরাণী রাজার চোখের দুটো সূচ তুলে ফেলে এবং পাতার রস রাজার চোখে দিয়ে দেয়। এতে সূচ রাজার ঘুম ভেঙ্গে যায় এবং ঐ চাকরাণীকেই সব কৃতিত্বের অধিকারী মনে করে । এরমধ্যে রাণী ঘরে এসে অবাক, ঐ চাকরাণী নিজেই রাজার ঘুম ভাঙ্গিয়ে দিয়ে রাণী সেজে বসেছে। এরপর ঐ চাকরাণী হয়ে গেলো সূচ রাজার রাণী আর প্রকৃত রাণী হয়ে গেলো চাকরাণী। ..........(এরপর আরো ঘটনা আছে, তবে এখানে আর বলবো না)

উপরের গল্পাংশ পড়ে সহজেই বুঝতে পারবেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতা প্রপ্তিতে (সূচরাজার ঘুম ভাঙ্গায়) কে রাণী আর কে চাকরানী। মানে পুরো বাংলাদেশের মানুষ ২৫শে মার্চ থেকে ধকল সহ্য করলো, মুক্তিবাহিনী যুদ্ধ করে সব শেষ করে ফেললো। এরপর স্বাধীনতার মাত্র ১৩ দিন আগে ৩রা ডিসেম্বর (যখন যুদ্ধ প্রায় শেষ) বাংলাদেশে প্রবেশ করলো ভারতীয় মিত্রবাহিনী। বলাবাহুল্য এ ১৩ দিনে যুদ্ধ করা তো দূরের কথা, ভারতীয় বাহিনী ঠিক মত বাংলাদেশে ছড়াতে পেরেছিলো কিনা তা নিয়ে সন্দেহ আছে। তবে যাই হোক, পাকিস্তানী জেনারেল নিয়াজি ভেবেছিলো, মুুুক্তিবাহিনী যেহেতু প্রশিক্ষিত কোন সেনাবাহিনী নয়, তাই তাদের কাছে আত্মসমর্পণ করলে সেনাবাহিনীর নিয়ম না মেনে তারা ক্ষোভের বসে পাকিস্তানী বাহিনীকে হত্যা করতে পারে। এজন্য নিয়াজি ভারতীয় সেনাবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করার সিদ্ধান্ত নেয়। আর এ সুযোগে সূচরাজার চোখের সূচ তোলার কাজটি সেরে ফেলে ভারতীয় বাহিনীর শিখ জেনারেল অরোরা। ঐতিহাসিক এ ছবি সাক্ষ্য দেয় এবং ভবিষ্যতেও দিবে, ভারত সেনবাহিনীর হাতেই আত্মসমর্পণ করেছিলো পাকিস্তানী বাহিনী। আর এভাবেই বাংলাদেশেকে সৃষ্টি করে দিয়েছিলো ভারত। তবে গল্পের রানীর ভূমিকায় নয়, চাকরাণীর ভূমিকায়।

সূত্র এখান https://m.facebook.com/616661671798344/photos/a.616711375126707.1073741828.616661671798344/624915220972989/?type=1&source=48

বিষয়: বিবিধ

১০৮০ বার পঠিত, ৪ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

309603
১৮ মার্চ ২০১৫ সকাল ০৬:৫০
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : অসম্ভব ভাল লেগেছে লিখাটি! প্রকৃত সত্য এটাই। আপনার গল্পটি দারুণ হয়েছে, একেবারে খাপে খাপ!

ছিল সে চাকরাণী, বর্তমান পজিশন এখন ধর্তব্য। শেষ ভাল যার সব ভাল তার, রাণী চোখ থেকে কাতা তুলেই যেতে পারতেন, আখেরে ভুল, তেমনি বাংলাদেশের বলদামী এইখানেই। সুতরাং বলদামীর খেশারততো দিতেই হবে।
১৯ মার্চ ২০১৫ রাত ০৩:২৯
250763
কথার_খই লিখেছেন : ধন্যবাদ
309632
১৮ মার্চ ২০১৫ দুপুর ১২:৪৭
আবু জান্নাত লিখেছেন :
দারুন গল্প ও দারুন মিল। অনকে ধন্যবাদ ভাইয়া। তো এখন তেমন দেখা যায় না কেন? খুব ব্যস্তা বুঝি!
১৯ মার্চ ২০১৫ রাত ০৩:২৯
250762
কথার_খই লিখেছেন : ব্যস্ততা!

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File