অসমাপ্ত একটি জীবনের অংশ বিশেষ!!!!!! এ বেদনাময় জীবনের চেয়ে মিত্যু হয়তো অনেক ভালো হতো...!
লিখেছেন লিখেছেন কথার_খই ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৪, ০৩:২৫:১২ রাত
নিজের উপর যখন নিজেই অত্যাচার করেছি কর্মজীবনের প্রথম লগ্ন থেকে, তখন অন্য কেউ আমার কারণে হয়তো অত্যাচারিত হয়নি!
পূর্ণ বয়সে এসে নিজের অত্যাচারিত অঙ্গে যখন নিজে নিজে একটু মলম লাগাতে চেষ্টা করলাম ঠিক তখনই আপন মানুষ গুলো আমাকে ক্ষতবিক্ষত করেছে এবং করেই চলছে!! যাদের সুখ শান্তির জন্য কর্ম জীবনের সমস্ত অর্জন উৎসর্গ করেছি এবং করেই চলছি! তারাই আমাকে অবহেলা ঘৃণায় দূরে সরিয়ে দিয়েছে...!!! এটাই আমার অর্জন নিয়তির চিরচারিত দ্বারাই....!!
অদ্ভুদ এই আচরণ এতদিনের বিশ্বাসের দেয়ালে বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে।।
যদিও আমি আমার এই আপন মানুষ গুলোকে ভালোবাসি ভালোবাসি এবং ভালোবাসি...! আসলে ভালোবাসা এক তরফা হয়না, সার্থের চিন্তাশিল ভক্তিময় মন কখনো ত্যাগ যেমন সয্য করতে পারেনা ঠিক তেমনি শুদ্ধ চিন্তাও করতে পারেনা।
অশুদ্ধ চিন্তা মনে লালন পালন করে নিজদের ভিতরে এক একটি ঘৃণার সমুদ্র বানিয়ে নিয়েছে নির্দ্বিধায়......!
নিজেদের বানানো সমুদ্রে নিজেরাই সাতার কাটছে অবলিলায়, তারপরও আমার কিছুই বলার নেই, কারণ বললে বিশ্বাস করবে না!!
বিশ্বাস করাবার চেষ্টা থেকে আমি নিজেকে সরিয়ে আনার চেষ্টা করছি, কারণ আমি নিজেকে নিজে বহন করতে পারছি না! নিজের অসুস্থ, শরীর কর্মস্থানের চাপ, শূন্যতার হাহাকার, আমাকে অত্যন্ত দূর্বল করে দিয়েছে।
আমার হাসিমাখা মুখ হয়তো আর দেখবে না আমার ভালোবাসার মানুষ গুলো। বেদনার হাহাকার ঘিরে ধরেছে আমাকে যা ভাষায় অলংকরণ করা সম্ভব নয়। এটুকুই বলতে চাই এ বেদনাময় জীবনের চেয়ে মিত্যু হয়তো অনেক ভালো হতো...! কিন্তু মরন আমার ইচ্ছা মতো হবার নয়।
বিঃদ্রঃ- লেখাটি পড়ে যদি করো মনে কোন পরামর্শ বা নির্দেশনা দেয়া প্রয়োজন মনে হয় অনুগ্রহ করে মন্তব্য করবেন!
আপনার মন্তব্যটি.......
বিষয়: বিবিধ
২২৯৫ বার পঠিত, ১৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমার উপর যখনই কোন সমস্যা আপতিত হয় আমি ভেবে নেই যে, বহন করার যোগ্যতা আমার আছে বলেই এই সমস্যাটা এসেছে। কারণ আল্লাহ বলেছেন, কাউকেই তার সাধ্যের অতিরিক্ত বোঝা চাপান না! জীবনের সব সমস্যা দুঃখ-বেদনা সবই আসলে পরীক্ষা স্বরূপ আসে আমাদের কাছে। কারণ বিশ্বাসীরা মাত্রই জানি ও মানি এই দুনিয়াটা পরীক্ষা বৈ কিছুই নয়।
আর জীবনে সুখী হবার, মনের শান্তিকে অক্ষুণ্ণ রাখার সবচেয়ে শর্টকার্ট ও ফলপ্রসূ টিপস হচ্ছে,সর্বাবস্থায় আল্লাহর উপর ভরসা করা। কেননা তাহলেই কেবল মানুষ সবকিছুকে স্বাভাবিক ভাবে মেনে নিতে পারে। সহজভাবে গ্রহণ করতে পারে জীবনের প্রতিটা চড়াই-উৎরাইকে। নিজের সমস্যা ও কষ্টকে তখন বড় করে দেখে না। কারণ তারচেয়েও অনেক দুঃখী মানুষ রয়েছে দুনিয়া জুড়ে। তাই আমাদের সবসময় মনে রাখা উচিত, যা ঘটার কথা ছিল তাই ঘটেছে,আর যা ঘটেছে তার মধ্যেই নিহিত আছে কল্যাণ। যদিও সবসময় আমরা তা দেখতে বা উপলব্ধি করতে পারি না।
যখনই মন খুব বেশি অশান্ত হয় কুরআনের শরণাপন্ন হবার চেষ্টা করে দেখতে পারেন। ইনশাআল্লাহ হয়তো খুঁজে পাবেন মনের ক্ষতের উপশম এবং সবরের শক্তি, সাহস ও প্রেরণা...
মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন আপনার সর্বাঙ্গীন সহায় হোন, আমীন।
আপনার জন্য প্রাণভরে অন্তর্যামীর কাছে দোয়া করি উনি যেন আপনার সমস্ত কষ্ট দূর করে জীবনকে অনন্ত অনাবিল শান্তির ছায়াতলে সর্বদা সুন্দর ও সুখময় করে তোলেন। আমীন।
আপনার এ কথাটি একটি শ্রেষ্ঠ কথা। আজকের সমাজের সব সমস্যার এক কথায় প্রকাশ। ভাল লাগল যে, আপনি নিজের কষ্টের কথাগুলো বলতে পেরেছেন। তবে যে কষ্ট যত বেশী গিলতে অভ্যস্ত সে তত সুখী। কেউ যখন আপনাকে কষ্ট দেয়, আপনি তার প্রতিবাদ করুন বা অভিব্যক্তির মাধ্যমে যদি সে বুঝতে পারে আপনি কষ্ট পাচ্ছেন্ এটি তার কৃতিত্ব। কারন অধমেরা অন্যকে নিজের লেভেলে নামিয়ে নেয়ার জন্যই ্ওতপেতে উত্তর বা অভিব্যক্তি আশা করে।
এ ব্লগে এমন ব্লগার আছে যাদের সুখময় হাসির পেছেনে মহাকাব্য পরিমান কষ্ট লুকিয়ে আছে। সে সব শূনলে হয়ত মনে হবে, আপনারটা এর ছেয়ে অনেক ছোট। কষ্টের কথা বলে ফেললে আর নিেজের নিয়ন্ত্রনে থাকেনা। তাই গিলে ফেলতে পারার মাঝে এক ধররনের শান্তি আছে।
সাদা মনের মানুষ মানেই হাজারো কষ্টকে উপেক্ষা করে মুখভরা হাসি নিয়ে বেচে থাকা একজন মানুষ। আমার পরামর্শ হল, শরীরের বেড়ে উঠা পোঁড়াটি যদি ্ওষধে ভাল না হয়, মিছেমিছি যন্ত্রণা বয়ে বেড়ানোর চেয়ে এটিকে কেটে ফেলাই উত্তম। ধন্যবাদ।
আর জীবনে সুখী হবার, মনের শান্তিকে অক্ষুণ্ণ রাখার সবচেয়ে শর্টকার্ট ও ফলপ্রসূ টিপস হচ্ছে,সর্বাবস্থায় আল্লাহর উপর ভরসা করা। কেননা তাহলেই কেবল মানুষ সবকিছুকে স্বাভাবিক ভাবে মেনে নিতে পারে। সহজভাবে গ্রহণ করতে পারে জীবনের প্রতিটা চড়াই-উৎরাইকে। নিজের সমস্যা ও কষ্টকে তখন বড় করে দেখে না। কারণ তারচেয়েও অনেক দুঃখী মানুষ রয়েছে দুনিয়া জুড়ে। তাই আমাদের সবসময় মনে রাখা উচিত, যা ঘটার কথা ছিল তাই ঘটেছে,আর যা ঘটেছে তার মধ্যেই নিহিত আছে কল্যাণ। যদিও সবসময় আমরা তা দেখতে বা উপলব্ধি করতে পারি না।.....
আপনি সকল সময়ে সকল অবস্থায় বলুন আলহামদুলিল্লাহ। এর অর্থ হল-আমি আল্লাহর সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট। এরপর আল্লাহই আপনার বিষয়টি দেখবেন। মানুষ আপনাকে কোলে তুলে নাচলেও কিছু এসে যায় না,যদি আল্লাহ আপনার পক্ষে না থাকে। আর সারা বিশ্ব আপনাকে অভিশপ্ত ভাবুক, ক্ষতি নেই, আল্লাহর উপর অটল থাকুন। পৃথিবীতে বিজয় আপনার,মানুষিক শান্তি আপনার,আখিরাতও আপনার। হারানোর কিছুই নেই। আমরা আসার সময় কাপুড়টাও সাথে আনিনি। আর কিছুদিন এখানে থাকার পর আমরা দাবী করি-এটা আমার,সেটা আমার। চিন্তা করুন এবং সঠিক আচরণ করুন। হাসি মুখে সকল সমস্যা ফেস করুন এবং আল্লাহর উপর নির্ভর করুন। আল্লাহ বলেন কুরআনে(আয়াতনং মনে নেই)- নিশ্চই কষ্টের পরে স্বস্তি,অবশ্যই কস্টের পরে আছে স্বস্তি....
মন্তব্য করতে লগইন করুন