প্রথম ছবির সাথে লেখার মিল নেই!যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে ২২টি সংগঠনের একটি মানববন্ধনে উপস্থিত হয়েছেন সর্বসাকল্যে মাত্র ৪১ জন
লিখেছেন লিখেছেন কথার_খই ০৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৫:৪৭:৪৪ বিকাল
ছবিটা কোন সময়ের একটু অতীতে ফিরে দেখুন! আর বর্তমানের কথায় ভেবে দেখুন
অবিশ্বাস্য এই ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে।
আওয়ামী লীগ সমর্থিত ২২টি সংগঠন এই মানবন্ধনের আয়োজন করে বলে আয়োজকরা জানান। তবে গড় হিসেবে প্রতিটি সংগঠনের পক্ষ থেকে ২জন করেও লোক আসেনি মানববন্ধনে।
সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার দ্রুত সমাপ্ত করার দাবীতে মানববন্ধনের আয়োজন করে ‘বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন’।
মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন আয়োজক সংগঠনের সভাপতি অ্যাডভোকেট মশিউর মালেক। আরো উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পদক আব্দুল হক সবুজ, সংগঠনের সমন্বয়ক ফেরদৌস আলম, সদস্য সচিব মাসুদ রানা প্রমুখ।
এতে অংশ নিয়ে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ও মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হক সবুজ অনুষ্ঠান পরিচালনার এক পর্যায়ে ঘোষণা দেন, যু্দ্ধাপরাধীদের ফাঁসির দাবিতে এই মানববন্ধনে ২২টি সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত আছেন।
সকাল সাড়ে ১১টার কিছুক্ষণ আগে তিনি এই ঘোষণা দেন।
তবে অনুষ্ঠান শেষ হওয়া পর্যন্ত দেখা যায় মানববন্ধনে ২২টি সংগঠনের মোট ৪১ জন নেতাকর্মী উপস্থিত হয়েছেন।
এই মানববন্ধনের বিষয়ে সাংবাদিকদের একদিন আগেই জানানো হয়।
আব্দুল হক সবুজের ঘোষণা প্রসঙ্গে অনুষ্ঠান শেষে আয়োজক সংগঠন ‘বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন’-এর সভাপতি অ্যাডভোকেট মাশিউর রহমান মালেকের কাছে জানতে চাইলে তিনি আরটিএনএন-কে বলেন, ‘আমি দীর্ঘদিন বিদেশে থাকায় এখানে কোন কোন সংগঠন এসেছে তাদের নাম জানি না। তবে সবই আওয়ামী সমর্থক সংগঠন।’
এক প্রশ্নের জবাবে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আব্দুল হক সবুজ আরটিএনএন-কে বলেন, এখানে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু মঞ্চ, আওয়ামী ওলামা লীগ, সড়ক পরিবহণ শ্রমিক লীগ, বঙ্গবন্ধু গ্রাম ডাক্তার পরিষদ, আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা প্রজন্ম লীগ, আওয়ামী মুক্তিযোদ্ধা লীগের নেতাকর্মীরা।
এছাড়া আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা উপকমিটির সদস্য মো. মোজাম্মেলও এতে উপস্থিত ছিলেন। সব মিলিয়ে এখানে উপস্থিথত ছিল ২২টি সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
মানবন্ধনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক অ্যাডভোকেট আফজাল হোসেন বলেন, যুদ্ধাপরাধীদের দেশ থেকে নিশ্চিহ্ন করার পাশাপাশি তার সমর্থকদেরও নিষিদ্ধ করতে হবে।
এছাড়া অবিলম্বে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বাকি খুনিদের দেশে ফিরিয়ে এনে দ্রুত ফাঁসির রায় কার্যকর করার দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে কোনো ঘাতক রাজারকারদের ঠাঁই হবে না। দেশবিরোধী আর কোনো ষড়যন্ত্র করতে দেয়া হবে না।
একই সঙ্গে দেশের সকল যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করারও দাবি জানান তিনি।
আফজাল বলেন, এদেশে গত বছরের ৫ মের মতো আর কোনো হেফাজতি তাণ্ডব করার সুযোগ দেয়া হবে না। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদ ধ্বংস করে ২০২১ সালের মধ্যে একটি মধ্যম আয়ের দেশ গড়ে তুলতে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ারও আহ্বান জানান তিনি।
উৎসঃ আরটিএনএন
বিষয়: বিবিধ
১১২০ বার পঠিত, ৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন