কত নিচে নেমে গেছে দেশের স্বার্থ !! কত উপরে উটে গেছে ক্ষমতার স্বার্থ ........
লিখেছেন লিখেছেন কথার_খই ১৮ জুলাই, ২০১৪, ০৪:১২:৫৭ রাত
জাতিসংঘের
সাবেক পানি ও পরিবেশ বিশেষজ্ঞ, জাপানের নাগোয়া এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিজিটিং অধ্যাপক ড. এস আই খান বলেছেন, ভারত তালপট্টি দ্বীপ কৌশলগতভাবে ড্রেজিং করে নিশ্চিহ্ন করে দিয়েছে। তা না হলে তালপট্টি দ্বীপের অস্তিত্ব থাকলে তালপট্টি দ্বীপটির ওপর আমাদের সার্বভৌমত্ব থাকত এবং দ্বীপটিকে আমরা রক্ষা করতে পারতাম তাহলে সমুদ্র থেকে আরো কিছুটা জায়গা আমরা পেতাম।
রেডিও তেহরানকে দেয়া এক সাক্ষাত্কারে তিনি বলেন, তালপট্টি থাকলে ওই দ্বীপের চারদিকে ১২ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত আমাদের টেরিটোরিয়াল ওয়াটার হিসেবে দাবি করতে পারতাম। কিন্তু যেহেতু তালপট্টি দ্বীপকে আমরা রক্ষা করতে পারি নি সেজন্য বর্তমান জাতিসংঘ কোর্ট অব আরবিট্রেশনের মাধ্যমে যে ফয়সালা হয়েছে সেটা আমার মনে হয় একটা ভারসাম্য রক্ষা করা হয়েছে। এতে ভালো-মন্দ, ভুল-শুদ্ধের চেয়ে বড় কথা হলো বহুদিন ধরে অমীমাংসিত সমুদ্রসীমার একটা সম্মানজনক ফয়সালা হয়েছে। এটাকে বাংলাদেশের বিজয় বলব না। তবে আমাদের ন্যায্য দাবি থেকে কিছুটা কম পেলেও এই বিচারের রায়কে আমাদের মেনে নিতে হবে।
ড. এস আই খানের মতে, অনেকে মনে করেন ভারতের একটা যুদ্ধজাহাজ দীর্ঘসময় ধরে তালপট্টিতে নোঙর করে ছিল। সে সময় হয়তো ভারত ড্রেজিং করে তালপট্টি দ্বীপের তলদেশটা কেটে দেয়। যে কারণে এই তালপট্টি দ্বীপটি ধীরে ধীরে সাগরগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে।
তিনি আরো বলেন, র্যাডক্লিপ রোয়েদার আঁকা ম্যাপ অনুযায়ী সমুদ্রসীমারেখা নির্ধারণ করেছে আন্তর্জাতিক আদালত। তবে র্যাডক্লিপ রোয়েদারের সেই সমীক্ষা রেখাটা ভুল ছিল। আর সেই ভুল ঠিক করার জন্য আমি বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও এক্সপার্টদের যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণ করার আহবান জানিয়েছি। কিন্তু সরকার কোনো উদ্যোগ নেয় নি। যার ফলে বাংলাদেশ যে ২৫ হাজার প্লাস বর্গকিলোমিটার জায়গা চেয়েছিল সেটা পায়নি। সেখান থেকে আমাদের ৬ হাজার বর্গকিলোমিটার জায়গা চলে গেছে। আর প্রায় ৬ হাজার বর্গকিলোমিটার পানিসীমা না পাওয়ার জন্য আমাদের ৬টি তেল ব্লকের কিছু পরিবর্তন করতে হতে পারে।
তিনি বলেন, ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমার বিরোধ নিয়ে বাংলাদেশের দাবির শতকরা ৮০ ভাগ পূরণ হয়েছে। বাংলাদেশের বর্তমান সরকার অবশ্যই সে সাফল্যের দাবি করতে পারে। কারণ অতীতের কোনো সরকার সমুদ্রসীমা নির্ধারণের জন্য উদ্যোগ নেয়নি। তবে একে বিজয় বলা যাবে না।
রেডিও তেহরান : বাংলাদেশ-ভারত সমুদ্রসীমা বিরোধ নিষ্পত্তি রায় হয়েছে। বিরোধপূর্ণ ২৫ হাজার ৬০২ বর্গকিলোমিটারের মধ্যে বাংলাদেশ পেয়েছে ১৯ হাজার ৪৬৭ বর্গকিলোমিটার। রায় প্রকাশিত হওয়ার পর বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী প্রেস ব্রিফিংয়ে বলেছেন-বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশই জয়লাভ করেছে। আসলে বাংলাদেশ কি তার সত্যিকার প্রাপ্তি পেয়েছে? এছাড়া, এক রায়ে দুই পক্ষ লাভবান হয় কিভাবে?
ড. এস আই খান : ভারতের সঙ্গে বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা নিয়ে বিরোধ দীর্ঘদিনের। এর আগে মিয়ানমারের সঙ্গে আমাদের বিরোধপূর্ণ সমুদ্রসীমার একটা সমাধান হয়েছে আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে। সেখানে আমাদের দাবিকৃত প্রায় সবটুকুই আমরা পেয়েছিলাম কিন্তু ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমা নিয়ে অমীমাংসিত যে জায়গাটা ছিল সেখানে আমরা ২৫ হাজার ৬০২ বর্গকিলোমিটার দাবি করেছিলাম। কিন্তু জাতিসংঘের পারমানেন্ট ‘কোর্ট অব আরবিট্রেশন’ বাংলাদেশকে দিয়েছে ১৯ হাজার ৪৬৭ বর্গকিলোমিটার এবং ভারতকে দিয়েছে ৬ হাজারের কিছু বেশি বর্গকিলোমিটার জায়গা।
তবে এখানে হিসাবের ব্যাপারটাতে একটা বিষয় রয়েছে। আপনারা জানেন, সুন্দরবনের দক্ষিণ পশ্চিম কোণে তালপট্টি নামক একটি দ্বীপ জেগে উঠেছিল অনেক বছর আগে। তবে বর্তমানে দেখা যাচ্ছে সে দ্বীপটির প্রায় অস্তিত্ব নেই। অনেকে মনে করেন ভারতের একটা যুদ্ধজাহাজ দীর্ঘসময় ধরে তালপট্টিতে নোঙর করেছিল। সে সময় হয়তো ভারত ড্রেজিং করে তালপট্টি দ্বীপের তলদেশটা কেটে দেন। যে কারণে এই তালপট্টি দ্বীপটি ধীরে ধীরে সাগরগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। যদি তালপট্টি দ্বীপটির ওপর আমাদের সার্বভৌমত্ব থাকত এবং দ্বীপটিকে আমরা রক্ষা করতে পারতাম তাহলে সমুদ্র থেকে আরো কিছুটা জায়গা আমরা পেতাম। তালপট্টির চারদিকে ১২ নটিক্যাল মাইল পর্যন্ত আমাদের টেরিটোরিয়াল ওয়াটার হিসেবে দাবি করতে পারতাম। কিন্তু যেহেতু তালপট্টি দ্বীপকে আমরা রক্ষা করতে পারি নি সেজন্য বর্তমান জাতিসংঘ কোট অব আরবিট্রেশনের মাধ্যমে যে ফয়সালা হয়েছে সেটা আমার মনে হয় একটা ভারসাম্য রক্ষা করা হয়েছে। এতে ভালো-মন্দ, ভুল-শুদ্ধের চেয়ে বড় কথা হলো বহুদিন ধরে অমীমাংসিত সমুদ্রসীমার একটা সম্মানজনক ফয়সালা হয়েছে। এটাকে বাংলাদেশের বিজয় বলব না। তবে আমাদের ন্যায্য দাবি থেকে কিছুটা কম পেলেও এই বিচারের রায়কে আমাদের মেনে নিতে হবে।
রেডিও তেহরান : সমুদ্রসীমা মামলার রায়ে ১৯ হাজার ৪৬৭ বর্গকিলোমিটার এলাকা বাংলাদেশ পেলেও হাড়িভাঙ্গা নদীর মোহনার কাছেই দক্ষিণ তালপট্টি দ্বীপ হারাতে হয়েছে। দ্বীপটি হারানোর বিষয়টিকে আপনি কিভাবে দেখবেন?
ড. এস আই খান : দেখুন সমুদ্রের যে এলাকাটিতে তালপট্টি দ্বীপটি জেগে উঠেছিল সেটি খুব দুর্গম এলাকা। দ্বীপটি যখন ওঠে তখন ভারত ও বাংলাদেশ কেউই আগে বুঝতে পারে নি। স্যাটেলাইটের মাধ্যমে আমেরিকা প্রথম এটি জানতে পারে। তারপর যুক্তরাষ্ট্র বিষয়টি বাংলাদেশকে জানায় এবং বাংলাদেশ তখন সজাগ হয়। তবে বাংলাদেশ দ্বীপটি দখলে নিতে পারে নি। কারণ বাংলাদেশ সেখানে পৌঁছানোর আগেই ভারতের যুদ্ধজাহাজ সেখানে পৌঁছে যায়। পরে সিদ্ধান্ত হয় আন্তর্জাতিক আদালতের মাধ্যমে এ বিষয়টির সমাধান হবে। তো দ্বীপটি যদি থাকতো তাহলে আমার মনে হয় বাংলাদেশ আরো কিছু টেরিটোরিয়াল ওয়াটার পেত। কিন্তু আমি আগেও যেকথা বললাম জনশ্রুতি যেটা আছে সেটা হচ্ছে ভারত ড্রেজিং করে দ্বীপটিকে ধসে দিয়েছে। যে কারণে দ্বীপটি সমুদ্রগর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বাংলাদেশ দ্বীপটিকে রক্ষা করতে পারেনি।
রেডিও তেহরান : দেখুন তারপরও কিন্তু একটা কথা থেকে যায়। আমাদের দাবিকৃত অংশের অনেকটাই আমরা পেলেও যেটুকু হারিয়েছি তার মধ্যেই কিন্তু তালপট্টি দ্বীপ পড়েছে। তো এরমধ্যে কি কোনো কারণ আছে বলে আপনি মনে করেন?
ড. এস আই খান : দেখুন এ ব্যাপারে একটু ব্যাখ্যা দেয়া প্রয়োজন। ১৯৪৭ সালে যখন ভারত ও পাকিস্তান ভাগ হয় তখন পূর্ব পাকিস্তান এবং ভারতের মধ্যেকার সীমানাটা ব্রিটিশ সার্ভেয়ার র্যাডক্লিফ রোয়েদার নির্ধারণ করেছিলেন। তার সেই ম্যাপে যে সীমারেখাটা ছিলা সেটা যখন বঙ্গোপসাগরে গিয়ে শেষ হয় তখন যে কোনো কারণে কিছুটা বাঁকা করে বঙ্গোপাগরের দিকে দেখানো হয়। ভারত সেই ম্যাপ অনুযায়ী নতুন সীমারেখা টানার জন্য জোর দিয়ে আসছিল এবং তালপট্টি দ্বীপটি না থাকায় শেষ পর্যন্ত র্যাডক্লিপ রোয়েদার যে ম্যাপটি এঁকেছিলেন সেই সীমারেখাটা ধরেই পরে এই বাউন্ডারি নির্ধারণ করা হয়েছে।
তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে বহুবার বাংলাদেশ সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ে গিয়ে বিভিন্ন এক্সপার্টদের বলেছি র্যাডক্লিপ রোয়েদার যে সীমারেখাটা এঁকেছিল এবং বঙ্গোপসাগরে গিয়ে মিশেছে সেটা ভুল। আর এ ভুলটা ঠিক করার জন্য যথাযথ কার্যক্রম ও উদ্যোগ গ্রহণ করার আহবান জানিয়েছি। আর এটা যদি ঠিক করা না হয় এবং রোয়েদারের দেয়া সীমানাটা যদি থেকে যায় তাহলে বাংলাদেশ ক্ষতিগ্রস্ত হবে। আর আমাদের বিরোধপূর্ণ পানিসীমার রায়ের ক্ষেত্রে আমার মনে হয় র্যাডক্লিপ রোয়েদারের দেয়া সেই সার্ভে রিপোর্টটাই আন্তর্জাতিক আদালত গ্রহণ করেছে। যারফলে বাংলাদেশ যে ২৫ হাজার প্লাস বর্গকিলোমিটার জায়গা ছেয়েছিল সেটা পায় নি। সেখান থেকে আমাদের ৬ হাজার বর্গকিলোমিটার জায়গা চলে গেছে।
রেডিও তেহরান : এ রায়ের পর সমুদ্রের এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনে বাংলাদেশের নিরঙ্কুশ অধিকার প্রতিষ্ঠা নিয়ে পক্ষে বিপক্ষে বিতর্ক দেখা দিয়েছে। আপনার মতে আসলে কি হয়েছে?
ড. এস আই খান : দেখুন সমুদ্রসীমা রেখার মধ্যে দুটো বিষয় রয়েছে। একটা হচ্ছে টেরিটোরিয়াল ওয়াটার। টেরিটোরিয়াল ওয়াটারের মধ্যে সেই দেশের সার্বভৌমত্ব সবদিক দিয়েই থাকবে। এটা তার নিজস্ব সীমানা হিসেবে চিহ্নিত হবে। দু’শ নটিক্যাল মাইল বলে আরেকটি বিষয় রয়েছে। এটাকে বলে এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোন। এই এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোনের মধ্যে খনিজসম্পদ যেমন তেল আহরণ এবং মত্স আহরণ এসব কেবল বাংলাদেশই করতে পারবে। অন্য কোনো দেশ এই এক্সক্লুসিভ জোনে এসব কোনো কাজ করতে পারবে না। তবে এই এক্সক্লুসিভ জোন দিয়ে সব দেশেরই অবাধ জাহাজ চলাচল থাকবে। কিন্তু টেরিটোরিয়াল ওয়াটার এলাকায় ঢুকতে গেলে সেই দেশের অনুমতি লাগবে।
তবে বর্তমানের সীমানাটা যেহেতু পানির ওপর পাওয়া গেছে। আর সেটা বৈজ্ঞানিক উপায়ে নির্ধারণ করতে হবে। আর সেই নির্ধারণের পর আমরা সঠিকভাবে বুঝতে পারবো কোন এলাকাটা বাংলাদেশের টেরিটোরিয়াল ওয়াটার আর কোন এলাকাটা আমাদের এক্সক্লুসিভ ইকোনমিক জোন। যেহেতু ব্যাপারটা পানির মধ্যে ফলে এটা নিয়ে গোলমাল থেকেই যাবে। তবে আপনারা জানেন যে পৃথিবীটা গোল আর এই গোল হওয়ার কারণে একটা কার্ভেচার আছে। আর কার্ভেচারের কারণে জলসীমা যখন নির্ধারণ করা হয় তখনও কিছুটা বিরোধ দেখা দিতে পারে।
রেডিও তেহরান: বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক পানিসম্পদমন্ত্রী মেজর হাফিজউদ্দিন আহমেদ বলেছেন সালিশ আদালতের রায়ে কিছু অসঙ্গতি রয়েছে। বাংলাদেশের দাবি ছিল ১৮০ ডিগ্রি সেখানে বাংলাদেশ পেয়েছে ১৭৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি। ফলে এটা ন্যায়বিচার হয়নি। আপনি কি বলবেন?
ড. এস আই খান : দেখুন বাংলাদেশ ২৫ হাজারের কিছু বর্গকিলোমিটার যে পানিসীমা দাবি করেছিল তার একটা যুক্তি তারা দেখিয়েছে। ভারতের পক্ষ থেকে তারা একটা যুক্তি তুলে ধরেছিল। বিষয়টা বিচারের। আমরা যেটা দাবি করেছি সেটা ঠিক মনে করেই দাবি করেছি। কিন্তু বিচারের বিষয়টি আন্তর্জাতিক আদালতের হাতে। সেখানে ৫ জন বিজ্ঞ বিচারক থাকেন। এ ব্যাপারে তারা যে রায় দিয়েছেন তা শতভাগ বাংলাদেশের পক্ষে না এলেও প্রায় ৮০ ভাগ বাংলাদেশের পক্ষে এসেছে। তাছাড়া সবচেয়ে বড় কথা আন্তর্জাতিক এই আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে কোনো আপিল করার সুযোগ নেই।
রায়ের ফলে বিদেশি কোম্পানিগুলোকে দেয়ার জন্য তেলের যে ব্লকগুলো আমরা করেছিলাম তাতে একেবারে পশ্চিমের যে ৬টি ব্লক ছিল সেগুলো আমরা করেছিলাম দাবিকৃত ২৫ হাজার প্লাস বর্গকিলোমিটারের পরিমাপ ধরে। কিন্তু প্রায় ৬ হাজার বর্গকিলোমিটার পানিসীমা না পাওয়ার জন্য ৬ টি তেল ব্লকের কিছু পরিবর্তন করতে হতে পারে।
রেডিও তেহরান : সামগ্রিক বিবেচনায় এ রায়কে আপনি কীভাবে মূল্যায়ন করবেন?
ড. এস আই খান : সামগ্রিক মূল্যায়নে আমি বলবো বাংলাদেশের দাবির শতকরা ৮০ ভাগ পূরণ হয়েছে। আর বাংলাদেশ সরকার অবশ্যই সে সাফল্যের দাবি করতে পারে। কারণ অতীতের কোনো সরকার সমুদ্রসীমা নির্ধারণের জন্য উদ্যোগ নেয় নি। বর্তমান সরকারের উদ্যোগেই শক্তিশালী একটা প্রতিবেশীর সঙ্গে একটা সম্মানজনক সমাধান হয়েছে। তবে আমি আবারও বলছি যদি আমরা দক্ষিণ তালিপট্টি দ্বীপটি রক্ষা করতে পারতাম তাহলে আমাদের সীমা আরো অনেকটা বেড়ে যেত।
মোটকথা হলো রাইট অর রং, গুড অর ব্যাড একটা সমাধান হয়েছে। আর একটা স্থায়ী সমাধান হওয়ার কারণে এর ওপর ভিত্তি করে ভবিষ্যতে আমরা সুশৃঙ্খলভাবে আমাদের সমুদ্রের খনিজ-তেল এবং মেস্যর উন্নয়নে কাজ করতে পারব। আগের মতো একটা অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে আর আমাদের যেতে হবে না। নিশ্চিত একটা সীমানা নির্ধারণ হওয়ার কারণে বঙ্গোপসাগরে আমাদের উন্নয়ন পরিকল্পনা গ্রহণ করতে পারবো। http://www.amardeshonline.com/pages/details/2014/07/19/250269#.U8hKfoOEbJt
বিষয়: বিবিধ
১২১৮ বার পঠিত, ২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন