রোজা রাখা অবস্থায় যে কাজ গুলো করলে রোজার ক্ষতি হয়না.........

লিখেছেন লিখেছেন কথার_খই ০৭ জুলাই, ২০১৪, ০৩:৫১:১৩ রাত



[১] শুধুমাত্র রোগ আরোগ্যের জন্য যে ইনজেকশান দেয়া হয়।

[২] কুলি করা, নাকে পানি দেয়া। তবে গড়গড়া করবে না। নাকের খুব ভিতরে পানি টান দিয়ে নেবে না।

[৩] মিসওয়াক করা, মাজন ও টুপেস্ট ব্যবহার করতে পারবে। তবে গলার ভিতর যাতে না ঢুকে সে জন্য সতর্ক থাকতে হবে।

[৪] গরম থেকে বাঁচার জন্য মাথায় শীতল পানি দেয়া, গোসল করা, ভিজা কাপড় গায়ে জড়িয়ে রাখা।

[৫] জিহবা দিয়ে খাদ্য বা তরী-তরকারীর স্বাদ দেখা।

[৬] সুরমা ব্যবহার, চোখে বা কানে ঔষধ ব্যবহার।

[৭] স্ত্রীকে স্পর্শ করা।

[৮] রাত্রি বেলায় স্ত্রী সহবাস করা।

[৯] কোন কিছুর ঘ্রাণ নেয়া। তবে ধুমপান, আগরবাতি ও চন্দন কাঠের ধোঁয়া বা ধুপ গ্রহণ করবে না।

[১০] সিংগা লাগানো।

উপরোক্ত কয়েকটি বিষয়ে দলীল নিম্নে দেয়া হল :

بَالِغْ فِي الِاسْتِنْشَاقِ إِلاَّ أَنْ تَكُونَ صَائِمًا

(ক) সিয়াম অবস্থায় না থাকলে অযুর সময় নাকের ভিতর উত্তমরূপে পানি টেনে নেবে। (তিরমিযী ৩য় ১৪৬)

لَوْلاَ أَنْ أَشُقَّ عَلَى أُمَّتِي لَأَمَرْتُهُمْ بِالسِّوَاكِ عِنْدَ كُلِّ وُضُوءٍ

(খ) আমার উম্মতের কষ্টবোধ হবে এ আশঙ্কা না থাকলে প্রত্যেক অযুর সময় মিসওয়াক করার নির্দেশ দিতাম। (বুখারী)

كان رَسُولُ اللهِ −صلى الله عليه وسلم− يَصُبُّ المَْاءَ عَلَى

رَأْسِهِ وَهُوَ صَائِمٌ مِنْ الْعَطَشِ أَوْ مِنْ الحَْرِّ

(গ) সিয়াম অবস্থায় তাপ বা পিপাসার কারণে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তার মাথায় পানি ঢালতেন। (আবূ দাঊদ-২৩৬৫)

لاَ بَأْسَ أَن يَّذُوْقَ الْخَلَّ أَوِ الشَّيْءَ مَالَمْ يَدْخُلْ حَلْقِهِ وَهُوَ

صَائِمٌ

(ঘ) গলার ভিতর প্রবেশ না করলে সিয়াম অবস্থায় তরকারী বা খাদ্যের স্বাদ দেখতে কোন অসুবিধা নেই। (বুখারী)

لَمْ يَرَ أَنَسٌ وَالحَْسَنُ وَإِبْرَاهِيْمُ بِالْكُحْلِ لِلصَّائِمِ بَأْسًا

আনাস রাদিআল্লাহু আনহু, হাসান ও ইবরাহীম (রহ.) সিয়াম পালনকারীদের জন্য সুরমা ব্যবহার কোনরূপ অসুবিধা মনে করতেন না। (বুখারী)

كَانَ النَّبِيُّ −صلى الله عليه وسلم− يُقَبِّلُ وَيُبَاشِرُ وَهُوَ صَائِمٌ

وَلكِنْ كَانَ أَمْلَكَكُمْ لِإِرْبِهِ

(ঙ) রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সিয়াম অবস্থায় (স্ত্রী) চুম্বন করতেন, শরীরে শরীর স্পর্শ করতেন। কেননা, তিনি তার প্রবৃত্তির (যৌন চাহিদা) উপর তোমাদের চেয়ে অধিক নিয়ন্ত্রক ছিলেন। (বুখারী-১৯২৭)

أَنَّ النَّبِيَّ −صلى الله عليه وسلم− احْتَجَمَ وَهُوَ صَائِمٌ

(চ) নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সিয়াম অবস্থায় নিজের শরীরে শিঙ্গা লাগিয়েছেন। (বুখারী-১৯৩৮)

أَنَّ النَّبِيَّ −صلى الله عليه وسلم− كَانَ يُدْرِكُهُ الْفَجْرُ وَهُوَ

جُنُبٌ مِنْ أَهْلِهِ ثُمَّ يَغْتَسِلُ وَيَصُومُ

(ছ) বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম রাতে সহবাস করে ফজর পর্যন্ত কাটিয়েছেন। অতঃপর গোসল করে ফজরের সলাত আদায় করছেন। (বুখারী ও মুসলিম)(copy) সংগ্রহ

বিষয়: বিবিধ

১৩৯৪ বার পঠিত, ৮ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

242436
০৭ জুলাই ২০১৪ রাত ০৪:২৭
মোঃমাছুম বিল্লাহ লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ ভাই প্রিয়তে নেয়ার মত তাই.....
০৭ জুলাই ২০১৪ রাত ০৪:৪৫
188275
কথার_খই লিখেছেন : আপনাকেওও ধন্যবাদ
242454
০৭ জুলাই ২০১৪ সকাল ০৬:১০
ইবনে হাসেম লিখেছেন : টুথপেস্ট ব্যবহারের বিষয়টি সন্দেহপূর্ণ। এ ব্যাপারে হাদিসের দলিল জানালে ভালো হতো।
০৭ জুলাই ২০১৪ সকাল ০৬:২৭
188290
কথার_খই লিখেছেন : বিস্তারিত. জানতে এখানে ক্লিক করুন http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/4081/kala/48506#.U7no_suoVAg
242455
০৭ জুলাই ২০১৪ সকাল ০৬:১১
ইবনে হাসেম লিখেছেন : প্রথম পয়েন্টটি ও সন্দেহপূর্ণ...। অনেকেই দ্বিমত করবেন এ ব্যাপারে।
০৭ জুলাই ২০১৪ সকাল ০৬:২৭
188291
কথার_খই লিখেছেন : বিস্তারিত. জানতে এখানে ক্লিক করুন http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/4081/kala/48506#.U7no_suoVAg
242480
০৭ জুলাই ২০১৪ সকাল ০৯:০০
সন্ধাতারা লিখেছেন : অনেক ধন্যবাদ খুব ভালো লাগলো লিখাটি।
242494
০৭ জুলাই ২০১৪ সকাল ০৯:৪২
হতভাগা লিখেছেন : ১নং পয়েন্টটি আমার কাছেও সন্দেহপূর্ণ :

যদি অসুস্থ হয় এবং রোজা রাখতে কষ্ট হয় তাহলে সে পরে রাখবে , একটার পরিবর্তে একটা ।

আর যদি ইচ্ছে করে না রাখে তাহলে একটানা ৬০ টি রাখতে হবে একটার পরিবর্তে ।

শরীর যদি একেবারেই রোজা রাখার উপযুক্ত না থাকে তাহলে একজনকে তিন বেলার খাবার দিবে , এরকম ৩০ দিনের ।

এরকমই তো জানি ।

(আল্লাহই ভাল জানেন , তিনিই সর্বজ্ঞানী)

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File