তারাবীর নামাজে বাধা, রথযাত্রি এবং মুসল্লিদের মধ্যে সংঘর্ষ : মসজিদে তালা ঝুলানোর হুমকি পুলিশের
লিখেছেন লিখেছেন কথার_খই ০১ জুলাই, ২০১৪, ০৫:৫১:২১ সকাল
তারাবীর নামাজে বাধা, মন্দিরের রথযাত্রি এবং মুসল্লিদের মধ্যে সংঘর্ষ :
মসজিদে তালা ঝুলানোর হুমকি পুলিশেরবিডি হেরাল্ডঃ তারাবীর নামাযে বাধা দেওয়াকে কেন্দ্র করে স্বামীবাগ মন্দিরের রথযাত্রি এবং মসজিদের মুসল্লিদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। মন্দিরের হিন্দু ধর্মাাবলম্বিদের ইটের আঘাতে ৮ থেকে ১০ জন মুসল্লি আশঙ্কাজনক ভাবে আহত হন।
উল্লেখ্য ৮২ নং স্বামীবাগে অবস্থিত ‘ঐতিহ্যবাহী স্বামীবাগ জামে মসজিদ’ ঢাকার প্রাচীনতম মসজিদগুলোর মধ্যে অন্যতম। অপরদিকে ‘স্বামীবাগ মন্দির’ রাজধানী ঢাকায় অবস্থিত একটি প্রধান হিন্দু মন্দির।
অনুসন্ধানে জানা যায় মসজিদ এবং মন্দির দুটি পাশাপাশি অবস্থিত হওয়ার কারনে ইবাদতে বিঘ্ন হওয়ার অভিযোগে বেশ কিছুদিন ধরেই স্থানিয় হিন্দু সম্প্রদায় এবং মসজিদের মুসল্লিরা একপক্ষ অন্য পক্ষকে দোষারোপ করছিল।
সম্প্রতি মন্দিরের পক্ষ থেকে ৭ দিনব্যাপী রথযাত্রার আয়োজন করা হয়। স্থানিয় মুসল্লিরা দবি করেন এই রথযাত্রার বাদ্য বাজনার কারনে তাদের ইবাদতে সমস্যা হচ্ছিল। কিন্তু সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য মসজিদের পক্ষ থেকে প্রতিবাদ করা হয়নি।
অপর দিকে আজ রথযাত্রায় অসুবিধার কারনে তারাবির নামাজ চলাকালে মন্দিরের পক্ষ থেকে নামাজ রাত ১০টার মধ্যে শেষ করবার জন্য চাপ দেওয়া হয় মসজিদ কতৃপক্ষকে। কিন্তু তারাবির নামাজ দাবি মোতাবেক যথাসময়ে শেষ না করার কারনে মসজিদের মুসল্লিদের ঢিল ছোড়া শুরু করে মন্দিরের একদল উশৃঙ্খল গোষ্ঠীর পক্ষথেকে।
এ সময়ে ঘটনাস্থলে গেণ্ডারিয়া থানার এসআই অমল কৃষ্ণ উপস্থিত হয়। এবং মসজিদের ইমাম হাফেজ মৌলানা আবুল বাশারকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চালান। এসময় উপস্থিত মসজিদের মুসল্লিগন এবং মসজিদ কমিটির লোকজনের হস্তক্ষেপে ইমাম কে ছেড়ে দেন এসআই অমল কৃষ্ণ। মসজিদ কমিটির সভাপতি মহাম্মাদ সিরাজ বিডিহেরাল্ড কে জানান ‘আগামীকাল (মঙ্গলবার) থেকে তারাবির নামাজ রাত ১০টার মধ্যেই শেষ করতে করতে হবে। অন্যথায় মন্দিরের কার্যক্রমে বাধা দেওয়ার কারনে মসজিদে তালা ঝুলিয়ে দেওয়া হবে। ” বলে হুমকি দেন গেন্ডারিয়া থানার এসআই অমল কৃষ্ণ।
এসময় মসজিদ কমিটির সভাপতি এসআই অমল কৃষ্ণের কাছে তারাবির নামাজ কিভাবে দ্রুত শেষ করব জানতে চাইলে এসআই অমল কৃষ্ণ দ্রুত পড়ে তারাবির নামাজ শেষ করবেন বলে জানান।
মসজিদে তালা ঝুলানো কথা শুনে মসজিদের মুসল্লিরা উত্তেজিত হয়ে পড়েন। পরে ঘটনা সামাল দেওয়ার জন্য গেন্ডারিয়া থানার ওসি মেহেদী নিজেই ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তার উপস্থিতিতেই মন্দির থেকে একদল লোক দা, লাঠি নিয়ে বের হয়ে মুসল্লিদের ধাওয়া করে বলে অভিযোগ করেন মুসল্লিরা। হিন্দুদের ইটের আঘাতে ৮ থেকে ১০ জন মুসল্লি আশঙ্কাজনক ভাবে আহত হন।
এ সময় স্থানীয় মুরব্বী এবং মসজিদ কমিটির লোকজন মুসল্লিদের শান্ত রাখার চেস্টা করেন বিধায় বড় ধরনের মুখোমুখি সংঘর্ষ থেকে সাময়িক ভাবে রক্ষা হয় বলে জানান মসজিদ কর্তৃপক্ষ।
শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৯ গাড়ি দাঙ্গা পুলিশ এসে পুরো ঘটনাস্থল ঘিরে রেখেছে। এলাকায় থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। স্থানিয় অনেক মুসল্লিরা তাদের বাসায় ফিরতে না পেরে আশেপাশের মসজিদে অবস্থান করছে বলে রাত ১টা ৪০ মিনিটে পর্যন্ত জানা যায়। বিশ্বস্ত সুত্র থেকে জানা যায় ঢাকা ৬ আসন এর সংসদ কাজী ফিরোজ রশিদ বর্তমানে সেখানে উপস্থিত হয়েছেন। এবং মঙ্গলবার সকাল ১০টার মধ্যে সমাধান দিবেন বলে আশ্বাস দেন।
কাজী ফিরোজ রশিদ ঘটনা স্থাল ত্যাগ করলে মন্দিরের ভিতর থেকে আবারও উস্কানিমূলক শ্লোগান দিতে থাকে “মন্দিরে হামলা কেন,বিচার চাই। মসজিদে হামলা দেও! ওপারের হিন্দু এপারের হিন্দু এক হও”
সম্প্রদায়িক সম্প্রীতির কথা বিবেচনা করে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি মুসল্লিদের ধৈর্য ধারন করতে বলেন। হিন্দু ধর্মাাবলম্বিদের মন্দিরের মত পবিত্র জায়গায় কেন দা, কাচি সহ লাঠি-সোটা থাকবে বলে উপস্থিত অনেকেই প্রশ্ন ছুড়েদেন।
উৎস....Click this link
বিষয়: বিবিধ
১৬৬১ বার পঠিত, ৬ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তবে ঘিঞ্জি ঢাকা শহরে রাস্তার মোড়ে মোড়ে গজিয়ে উঠা মসজিদের ভিতরে গাড়ীর ইংঞ্জিন আর হর্ণের যে বিছড়ি শব্দ তার চেয়ে কর্কশ আজান অথবা মন্দিরের ঢোল বাদ্য অনেক ভাল।
এই পোস্টটা কি সামুতেও দিছেন ?
সব ওসি এবং কর্মকর্তারা এখন কৃষ্ষপক্ষ
মন্তব্য করতে লগইন করুন