ভারতের ইচ্ছায়ই সবকিছু ঘটছেঃ নিজের সরকার বসাতে জঙ্গি রাষ্ট্র বানানো হবে

লিখেছেন লিখেছেন কথার_খই ০৯ নভেম্বর, ২০১৩, ০৯:৫৬:৩০ সকাল

বিএনপি সুবোধ বালকের মত সরকারের ইচ্ছে অনুযায়ী পরাজিত হতে সর্বদলীয় সরকারে যোগ দিয়ে নির্বাচনে না গেলে, সরকার অচিরেই নিজেরাই সর্বদলীয় সরকার গঠন করবে আর পার্লামেন্টের অধিবেশন বহাল রেখেই নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাবে। সেটি সম্ভব না হলে পার্লামেন্টে বানিয়ে একটি খিচুড়ি আইনে নির্বাচন পিছিয়ে দেবে। সেক্ষেত্রে জরুরী অবস্থা জারির সম্ভাবনাও রয়েছে। তারই লক্ষ্যে বিরোধী দলের নেতাদের ধরপাকড় নিবর্তন শুরু জোরেশোরে শুরু হয়েছে।

চিহ্নিত ভারতীয় এজেন্ট স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহীউদ্দীন খান আলমগীর বলেছেন, হরতালে নিরীহ মানুষ খুন এবং খুনের পরিকল্পনায় জড়িত থাকায় বিএনপির মওদুদ আহমদ, রফিকুল ইসলাম মিঞা ও এম কে আনোয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মিডিয়াকে দেয়া বক্ত্যব্যে তিনি বলেন, ‘আমি সংসদেও বলেছিলাম, যাঁদের কারণে এই নিরীহ লোকজন হরতালে আহত বা নিহত হবে, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সে অনুযায়ী তাঁদের বিরুদ্ধে এ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’ শুক্রবার রাত সোয়া আটটার দিকে একটি দৈনিকের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে যান মওদুদ আহমদ, এম কে আনোয়ার ও রফিকুল ইসলাম মিঞা। অনুষ্ঠান শেষে হোটেল থেকে বেরিয়ে নিজ নিজ গাড়িতে করে যাওয়ার সময় গোয়েন্দা পুলিশ তাদের আলাদাভাবে গ্রেপ্তার করেছে।

বিএনপির তিন নেতা গ্রেপ্তার হওয়ার পর রাজধানীর রাজধানীর ফকিরাপুল, কারওয়ান বাজার ও নয়াপল্টন এলাকায় রাতে তিনটি বাসে গাড়িতে আগুন দেয়া হয়েছে। গ্রেপ্তারের প্রতিক্রিয়ায় বিএনপি বলেছে, তিন নেতাকে অবিলম্বে মুক্তি না দিলে রবি থেকে মঙ্গলবার ঘোষিত ৭২ ঘণ্টার হরতাল আরো দীর্ঘায়িত হবে।

বিরোধী দলের হরতালের ঘোষণার পরপরই রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয় এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। গুলশান-২ এলাকার ৮৬ নম্বর রোডে বিএনপি চেয়ারপার্সনের কার্যালয়ের কর্মচারীরা জানিয়েছেন, পুলিশ তাদের বের হতেও নিষেধ করেছে।

PLACE YOUR AD HERE PLACE YOUR AD HERE

এদিকে শুক্রবার দিবাগত রাত ১টায় এফবিসিসিআইয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা আবদুল আউয়াল মিন্টু এবং খালেদা জিয়ার বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাসকে গোয়েন্দা পুলিশ গ্রেফতার করেছে। এ দু’জন রাত ১২টায় খালেদা জিয়ার গুলশানের বাসায় ঢুকে ঘন্টাখানেক কথা বলে বেরিয়ে আসার পরপরই গোয়েন্দা পুলিশ তাদের দু’জনকে গ্রেফতার করে। উল্লেখ্য, যে সম্প্রতি শেখ হাসিনার বৈদেশিক উপদেষ্টা গওহর রিজভির সাথে আত্মিয়তার বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন আব্দুল আওয়াল মিন্টু।

পুরো রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে ভারতের সংশ্লিষ্টতা প্রমানিত। ভারতের প্রেস্ক্রিপশনে সরকার সব কিছু করছে। আদালতে নিজ দলের বশংবদ বসিয়ে সব জায়েজ করা হচ্ছে একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে। জামায়াতকে নিষিদ্ধ করা হয়েছে আদালতের দ্বারা। জিয়াউর রহমানকে অবৈধ করা হয়েছে আদালতের দ্বারা। স্বাধীনতার ইতিহাস পরিবর্তিত হয়েছে আদালতের দ্বারা। এমনকি জনগণের ইচ্ছানুযায়ী অবাধ নির্বাচনের প্রক্রিয়া বাতিল করা হয়েছে আদালতের দ্বারা। আর এ সবই করা হয়েছে ভারতের প্রেস্ক্রিপশনে রিমোট কন্ট্রোলের দ্বারা। ভারত তার অখণ্ডতা রক্ষায় বাংলাদেশের ভুমিকে যেকোন উপায়ে নিজেদের মনোনীত সরকারের হাতে রাখতে মরিয়া হয়ে গেছে। ভারতের আচরণও এখন উলঙ্গ হয়ে পড়েছে; কিন্তু তারা এজন্য সব কিছু করতে প্রস্তুত হয়ে গেছে বলে জানা গেছে।

সব কিছুই যে ভারতের ইঙ্গিতে হচ্ছে তার প্রমান পাওয়া যাচ্ছে সম্প্রতি বার্তা সংস্থা পিটিআইকে উদ্ধৃত করে প্রতিবেদন ছাপিয়েছে ইকোনমিক টাইমসের একটি প্রতিবেদনে। প্রতিবেদনের মূল প্রতিপাদ্য হলো, বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের আচরণে ক্ষুব্ধ ভারতের সঙ্গে দূরত্ব ঘোচাতে উদ্যোগী হয়েছেন বারাক ওবামা। তিনি এজন্য যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তাদের নয়া দিল্লির সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যেতে বলেছেন। এটি বাংলাদেশের জন্য একটি ইঙ্গিতবহ সতর্ক সংকেত। তবে কি বাংলাদেশকে আরেকটি পাকিস্তান বা আফগানিস্তান বানানোর প্রক্রিয়া চূড়ান্ত?

Click this link

বিষয়: বিবিধ

১১৬১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য