মাহর নিয়ে বিভ্রান্তি (ইসলাম ধর্মে বিয়ে: বিবাহ করব ভাবছি তাই বিবাহ বিষয়ে ইসলাম ধর্মের নিয়ম জানার চেষ্টা... থেকে.....
লিখেছেন লিখেছেন কথার_খই ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০৪:৪৩:৩৩ বিকাল
তিনি তোমাদের জন্যে তোমাদের মধ্য থেকে তোমাদের সঙ্গিনীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে শান্তিতে থাক এবং তিনি তোমাদের মধ্যে পারস্পরিক সম্প্রীতি ও দয়া সৃষ্টি করেছেন।
পবিত্র আল-কুরআনের ৩০ নম্বর সূরা রূমের ২১ নম্বর আয়াতে এভাবেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেকার সম্পর্কের ভালোবাসা ও সৌহার্দ্য ব্যাখ্যা করা হয়েছে। এ সম্পর্ক মহান আল্লাহ তায়ালার সৃষ্টি। তিনিই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে প্রেম সৃষ্টি করেন, যা এই সম্পর্ককে দেয় পবিত্রতার বন্ধন।
এই ধারাবাহিক সিরিজে আমি ইসলাম ধর্মের বিয়ে ও স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক নিয়ে কিছু কৌতুহল, কনফিউশন ও প্রশ্নের জবাব দেবো ইনশাল্লাহ। আমার অন্য সব পোস্টের মতো এ পোস্টেও বলে রাখি, যারা কমেন্ট করবেন, শালীনতা বজায় রাখবেন। যৌক্তিক ও প্রাসঙ্গিক আলোচনা করবেন। কোনো অপ্রাসঙ্গিক কমেন্টের উত্তর দিতে লেখক বাধ্য থাকবেন না।
দ্বীন-ই-ইসলাম অনুযায়ী যখন কোনো লোক বিয়ে করতে চায়, তখন সে তার পছন্দের পাত্রীকে বা পাত্রীর অভিভাবককে তার প্রস্তাব পাঠায় এবং পাত্রীকে সম্মানী হিসাবে সামর্থ্যানুযায়ী কিছু সম্পদ (যেকোনো এসেট, যা টিকে থাকে, যেমন সহায়-সম্পত্তি, গয়না, নগদ টাকা ইত্যাদি) দেয়ার ইচ্ছা ব্যক্ত করে, যাকে মাহর বলা হয়। পাত্রী যদি এই প্রস্তাবে রাজি হয়, তখন সে তা কবুল করে (ইজাব)। অতঃপর পাত্রও তাকে স্ত্রী হিসাবে কবুল করে (কবুল)। শুরুতে বিয়ের প্রস্তাব পাত্রী বা পাত্রীপক্ষের কাছ থেকেও আসতে পারে। এই হলো সংক্ষেপে নিকাহ (ইসলামী আইন অনুযায়ী বিয়ে), যা দুজন বিপরীত লিঙ্গের মানুষের মাঝে এক দৈহিক ও আত্মিক ভালোবাসার নিবিড় সম্পর্ক গড়ে তোলে।
ইসলাম ধর্মমতে স্বামী তার স্ত্রীকে বিয়ে করার সময় যে সম্মানী প্রদান করে, সেটাই মাহর। এর বিনিময়ে স্ত্রীকে 'কেনা' হয় না বা তাকে কোনো 'পারিশ্রমিক'ও দেয়া হয় না। তাহলে কেন এই মাহর? কারণ এটা একটা সম্মানী। আপনি কাকে কখন সম্মান করবেন, এটা কিন্তু একান্তই আপনার ব্যক্তিগত ও মানসিক ব্যাপার। এটা এমনকি আপনার আচরণ দিয়েও প্রকাশ পাবে না। আপনার অফিসের বস যদি খুব জাঁদরেল টাইপের হয়, তাহলে আপনি হয়তো তাকে সম্মান করবেন না, কিন্তু তার সাথে খারাপ ব্যবহারও করবেন না এবং সময় সুযোগ মতো তাকে তেলও দেবেন। যদি কেউ আপনার এহেন গদগদ আচরণ দেখে ভাবে আপনি তাকে খুব সম্মান করছেন, তাহলে তিনি ভুল করবেন। তাহলে কীভাবে বোঝা যাবে যে আপনি তাকে সম্মান না অসম্মান করেন? এটা কেউই বুঝবে না, একমাত্র অন্তর্যামী ছাড়া।
কাজেই, কেউ আপনাকে জোর করে কারো প্রতি সম্মান (একইভাবে ভালোবাসা, স্নেহ, দয়া ইত্যাদি মানবিক গুনাবলী) আদায় করে নিতে পারবে না, যতক্ষণ না পর্যন্ত আপনি তাকে মন থেকে, নিজ থেকে সম্মান করবেন। তাহলে পারস্পরিক সম্পর্কের বাহ্যিক মাপকাঠি কী হবে? তা হবে আপনার আচরণ, আপনার ভদ্রতা।
ঠিক তেমনিভাবেই, স্বামী-স্ত্রী একে অপরকে ভালবাসবে কিনা, তা একমাত্র আল্লাহ আর ঐ দুই মানুষ ছাড়া আর কেই বা বলতে পারে? তাদের অন্তরের ভালোবাসা পরিমাপের মাপকাঠিও তাই তিনিই ঠিক করবেন। আর বাহ্যিক আচরণে যেনো একের প্রতি অন্যের ভালোবাসা, দায়িত্ববোধ ও সম্মান প্রকাশ পায়, তার জন্যই ইসলামের বিধান এই মাহর। ইসলাম যে পারস্পরিক সম্মানবোধে বিশ্বাসী, তারই একটা বহিপ্রকাশ এই মাহর। এখানে টাকার চেয়েও বড় ব্যাপার হচ্ছে স্ত্রীর সম্মান নিশ্চিত করা। যখন কাউকে কোনো পুরস্কার দেয়া হয়, তখন তাকে কিছু টাকাও দেয়া হয়, যা তার সম্মানকেই আরো বাড়ায়। আর যত বড় মাপের পুরস্কার, টাকার পরিমাণও তত বেশিই হয়ে থাকে। এখানে উল্লেখ্য যে, কোনো সঙ্গত কারণ ছাড়া মাহর আদায় না করলে ঐ বিয়ে ভ্যালিড হয় না। কারণ, ইসলাম নিশ্চিত করতে চায়, যেনো স্বামী তার স্ত্রীকে যথাযথ সম্মান ও ভালোবাসা দেয়। যেহেতু তার মনের উপর নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব না, কাজেই একটা লোকাচার হিসাবে তাকে মাহর দিতে বাধ্য করা হয়। এটা স্ত্রীর প্রতি স্বামীর কমিটমেন্টের একটা নিদর্শন। ব্যাপারটা অনেকটা এরকম, আপনি যে আপনার স্ত্রীকে সম্মান করবেন, তার প্রমাণ হিসাবে মাহর দিচ্ছেন। যদি তাকে মাহর দিতেই অস্বীকৃতি জানান, তাহলে ভবিষ্যতে তাকে সম্মান করবেন, ভালোবাসবেন, তার খরচ বহন করবেন, এমনটা আপনার কাছ থেকে আশা করা যায় না।
এখানে একটা উদাহরণ দেয়া প্রাসঙ্গিক মনে করছি। আমরা যেমন টাকা দিয়ে বিভিন্ন জিনিস বা সেবা কিনি, সেরকম টাকা দিয়ে পড়াশোনাও করি। আমরা স্কুল-কলেজে যে বেতন দেই তা থেকেই আমাদের স্যারদের বেতন দেয়া হয়। আমরা অনেকেই ছোটবেলায় অনেক স্যারের কাছে কোচিংএ বা বাসায় প্রাইভেটও পড়েছি। যাদের ছেলে-মেয়ে আছে, তারা হয়তো তাদেরকেও বাসায় টিচার রেখে পড়ান, যাতে আপনার সন্তান এক্সট্রা কেয়ার পায়। তাহলে কি এবার আপনি বলবেন যে আমাদের সেই পিতৃতুল্য শিক্ষকগণ আর বাজারের শাক-সবজি বিক্রেতা একই, কারণ তাদের একজন সবজি বেচে, আরেকজন শিক্ষা বেচে? অবশ্যই না। কারণ স্যাররা আমাদের পড়ান আর আমরা স্যারদের সম্মানী হিসাবে টাকা দেই। ঠিক সেরকম, একজন স্ত্রী কখনোই মাহরের বিনিময়ে নিজের দেহ কারো কাছে বিক্রি করে না। বরং এটা স্বামী তাকে খুশি হয়ে দেয়, কারণ স্ত্রী তাকে আরো অনেক বড় সম্পদ তার দেহ-মন-ভালোবাসা তার কাছে পরম বিশ্বাসের সাথে সমর্পন করে। কাজেই মাহর কখনোই কোনো মূল্য না, এটা একটা সম্মান প্রদর্শনের উপায়।
মাহর যে শুধুই স্বামী-স্ত্রীর পারস্পরিক সহমর্মিতা ও সম্পূর্ণরূপে স্ত্রীর ইচ্ছার উপর নির্ভরশীল একটি লোকাচার, তা প্রমাণ হয় এর উপর ইসলাম কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত স্ত্রীর নিয়ন্ত্রণ থেকে। এ প্রসঙ্গে পবিত্র কুরআনে আছে,
তোমরা স্ত্রীদেরকে তাদের মাহর দিয়ে দাও খুশিমনে। তারা যদি খুশি হয়ে তা থেকে কিছু অংশ ছেড়ে দেয়, তবে তা তোমরা স্বাচ্ছন্দ্যে ভোগ কর।
আল-কুরআন (৪, সূরা আন-নিসা: ৪)
অর্থাৎ, স্ত্রী চাইলে মাহর বা তার কিয়দংশ মাফ করে দিতে পারে। খেয়াল করেন, এখানে কিন্তু কোনো ইসলামী আইন প্রণেতা এমনকি স্ত্রীর পরিবারের কাউকেই মাহর মাফের অধিকার দেয়া হয়নি। এই মাহর শুধুই স্ত্রী স্বামীর পক্ষ থেকে তার সম্মানের অধিকারে উপহার হিসাবে পায়, আর তাই তা মাফ করার অধিকারও একমাত্র স্ত্রীরই আছে। স্ত্রী যদি তার মাহর (বা তার কিয়দংশ) মাফ করতে চায়, তা তার ইচ্ছাধীন। আর তার কাছ থেকেই পাওনা সম্পদ মাফ করা যায়, যাকে হৃদয় দিয়ে সম্মান, শ্রদ্ধা করা যায়, ভালোবাসা যায়। এই নিয়মই মাহরের উপর মমতা, ভালোবাসা ইত্যাদি মানবিক গুনাবলীর শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করে।
এছাড়াও, মাহরের আরো দুটি দিক আছে। প্রথমত, কারো বিয়ের সঙ্গতি আছে কিনা, তার একটা মাপকাঠি হলো মাহর। যদি কেউ মাহর দিতে পারে, তাহলে বুঝতে হবে, সহধর্মিনীর খরচ চালানোর সামর্থ্যও তার আছে (ইসলামের নিয়ম অনুযায়ী স্ত্রীর খরচ বহন করা স্বামীর দায়িত্ব; এর উপর অন্য কোনো পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা হবে)। দ্বিতীয়ত, মাহরের মাধ্যমে যত্রতত্র বিয়ে করার প্রবণতা বন্ধ করা যায়, যেহেতু এটা স্বামীর জন্য একটা দায়বদ্ধতা। যদি মাহরের এই ব্যবস্থা না থাকতো, তাহলে হয়তো পুরুষরা যখন খুশি বিয়ে করতো আর যখন খুশি স্ত্রীকে ত্যাগ করতো, যা নারীকে শুধুই পুরুষের হাতের খেলনা পুতুলে পরিণত করতো। কাজেই মাহরের মাধ্যমে ইসলাম পারিবারিক বন্ধনকেই আরো সুদৃঢ় করেছে।
মাহর সম্পর্কিত কিছু হাদিস নিয়ে ইদানিং কিছু প্রশ্ন উত্থাপিত হতে দেখা যাচ্ছে। যেমন আবু দাউদের এক হাদিসে দেখা যায়, বাসরাহ (রা) নামক জনৈক আনসারী এক পর্দাবৃত কুমারীকে বিয়ে করেন। পরে যখন তার কাছে গমন করলেন তাকে অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় পেলেন। বিষয়টি রাসূলুল্লাহ (স) কে অবহিত করা হলে তিনি বললেন, "সে মাহর পাবে, যেহেতু তুমি তার যৌনাঙ্গকে তোমার জন্য বৈধ করে নিয়েছ।"
এ ছাড়াও আরেক হাদীসে আছে, উকবা (রা) বর্ণনা করেন, নবী (স) বলেছেন, "যেসব চুক্তি মেনে চলা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, সেগুলো হলো ঐসব চুক্তি, যেসবের মাধ্যমে (নারীর) গোপনাঙ্গ উপভোগ করার অধিকার পাওয়া যায় (অর্থাৎ বিবাহের চুক্তি)।" (সহীহ বুখারী)
প্রথম দেখাতেই মনে হতে পারে, রাসূল (স) বুঝি এখানে মহিলার গোপনাঙ্গের পারিশ্রমিক হিসাবে মাহরকে ধার্য্য করেছেন বা বিয়ে বলতে শুধু গোপনাঙ্গ ভোগ করাকেই বুঝিয়েছেন। এর ব্যাখ্যায় যাবার আগে কিছু প্রাসঙ্গিক ভূমিকা দেয়ার প্রয়োজন বোধ করছি।
বিয়ের প্রয়োজনীয়তা কী? যদিও বিয়ের আসল উপকারিতা একটি ভালোবাসা ও শান্তিময় পরিবার গঠনের মধ্যে নিহিত, এটা স্বীকার করতেই হবে যে নর-নারীর জৈবিক ও দৈহিক চাহিদা মেটানোও বিয়ের অন্যতম প্রধাণ কাজ। এটা শুধু আমার কথা না, যারা ম্যাট্রিকের সিলেবাসে সামাজিক বিজ্ঞান সাবজেক্ট পড়েছিলেন, তাদের সবারই মনে থাকার কথা, পরিবারের কাজগুলোর মধ্যে প্রথম পয়েন্টটাই ছিলো জৈবিক চাহিদা। এবং পরিবার বা বিয়ের আরেকটা প্রধাণ কাজ হচ্ছে বংশ রক্ষা করা। এই উভয় কাজের জন্যই গোপনাঙ্গের প্রয়োজন হয়। আর প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী স্বামী-স্ত্রীর শারীরিক সম্পর্কের ফলে যে শুধু স্বামীই আনন্দ পায়, তাও না, বরং সঠিক নিয়মানুযায়ী কাজটা করলে তা উভয়ের জন্যই অত্যন্ত সুখকর হতে পারে। যে কেউ এটা স্বীকার করতে বাধ্য যে, বিবাহিত জীবনের একটা বড় অংশ জুড়ে থাকে সেক্স লাইফ। এটা যদি সুখকর না হয়, তাহলে যতই ভালোবাসা, কেয়ার, দায়িত্ববোধ বা সম্মান দেখানো হোক না কেনো, দাম্পত্য জীবন কখনোই সুখের হয় না। যাই হোক, যা বলতে চাইছি, তা হলো আইনানুগ শারীরিক সম্পর্ক বিয়ের অন্যতম প্রধাণ কারণ।
এবার হাদীসের প্রসঙ্গে ফিরে যাই। এতক্ষণ মাহর নিয়ে যে আলোচনা করলাম, তাতে সচেতন পাঠক মাত্রই বুঝতে পারবে, রাসূল (স) উল্লিখিত প্রথম হাদীসে ঐ কথার দ্বারা কী বুঝাতে চেয়েছেন। তিনি কোনো অবস্থাতেই "টাকার বিনিময়ে যৌনাঙ্গ" টাইপ কিছু বুঝাননি। তিনি বুঝিয়েছেন, যেহেতু বিয়ে ভ্যালিড হয়েছে এবং আইনানুগভাবেই বাসরাহ (রা) এর সাথে তাঁর স্ত্রীর শারীরিক সম্পর্ক হবে, কাজেই তিনি অবশ্যই তার মাহর আদায় করতে বাধ্য থাকবেন। এক্ষেত্রে তাঁর স্ত্রীর সাথে আগে কারো শারীরিক সম্পর্ক হয়েছিলো কিনা, তা মুখ্য না। স্ত্রী অবশ্যই তাঁর স্বামীর কাছ থেকে প্রাপ্য সম্মানের দাবিদার। মাহর দেবার কারণে যৌনসম্পর্ক স্থাপন আইনগত বৈধতা পেয়েছে এটা ভুল কথা। বরং সঠিক কথাটা হলো, বিয়ের ফলে যৌনসম্পর্ক স্থাপন আইনগত বৈধতা পেয়েছে, আর এজন্য এবং কেবল এজন্যই, মাহর দিতে বলা হয়েছে। দ্বিতীয় হাদিসে চুক্তি রক্ষার গুরুত্ব বোঝানোর পাশাপাশি স্বামী-স্ত্রীর শারীরিক চাহিদা মেটানো তথা বিয়ের কথাই বলা হয়েছে। বিয়ে নামক চুক্তি ইসলামের দৃষ্টিতে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তাই এই হাসিদের মূল প্রতিপাদ্য বিষয়।
যদি এই হাদিসগুলোর দ্বারা রাসূলে করীম (স) লোলুপ যৌনচাহিদা মেটানোকেই সাব্যস্ত করতেন, তাহলে তাঁর নিজের স্ত্রীদের প্রতি আচরণ থেকেও আমরা তার প্রমাণ পেতাম। অথচ সকল উম্মাহাতুল মুমিনীন সাব্যস্ত করেছেন, রাসূল (স) তাঁদের সাথে সর্বদাই অসাধারণ ব্যবহার করতেন। তিনি কখনোই তাঁদের সাথে ধমকের সুরেও কথা বলেননি। তিনি তাঁদের ঘরের কাজেও সাহায্য করতেন। বুখারী শরীফে রাসূলের (স) সাথে আয়িশার (রা) খোশগল্পেরও প্রমাণ পাওয়া যায়। হযরত আয়িশার (রা) বয়স কম হওয়ায় তিনি এমনকি তাঁর সাথে খেলাধুলাও করতেন। একবার হযরত উমার (রা) খবর পান যে তাঁর মেয়ে রাসূলের (স) স্ত্রী হযরত হাফসা (রা) রাসূলের (স) সাথে মাঝে মাঝে তর্ক করেন। এতে উমার (রা) ক্ষিপ্ত হয়ে মেয়েকে শাসন করতে গেলে নবী (স) তা করতে দেননি। উমার (রা) তৎক্ষনাত লজ্জিত হয়ে ফিরে যান। স্বামী-স্ত্রীর সৌহার্দ্যপূর্ণ এরকম অসংখ্য ঘটনায় পরিপূর্ণ আমাদের নবীর (স) জীবন।
সচেতন পাঠক, আপনাদের কাছে প্রশ্ন, এমন মানুষের কাছ থেকে যদি এরূপ কিছু শুনি, যা আপাত দৃষ্টিতে খারাপ মনে হতে পারে, তা কি তাঁর দোষ, না আমাদের বোঝার ভুল?
কপি Click this link
বিষয়: বিবিধ
৪৩৫০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন