বিএনপির কাছে তিন ক্যাটাগরিতে আসন চাইবে জামায়াত

লিখেছেন লিখেছেন কথার_খই ০৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০১:৪৩:৩৩ রাত



হাইকোর্টে জামায়াতের নিবন্ধন অবৈধ ঘোষণার পরও দাঁড়িপাল্লা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করার আগাম প্রস্তুতি নিয়েছে জামায়াতের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম। এজন্য বেশ কয়েকটি স্থানে প্রার্থীও চূড়ান্ত করেছে তারা। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৮ দলীয় জোটের প্রধান শরিক বিএনপির কাছে জামায়াতে ইসলামী তিন ক্যাটাগরিতে আসন চাইবে বলে জানা যায়।

দলের একটি সূত্র জানায়, ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ৫০টি আসন চাইবে জামায়াত। এই ক্যাটাগরিতে একটি আসনও ছাড় দেবে না বলে সিদ্ধান্ত হয়েছে দলীয় ফোরামে। ‘বি’ ক্যাটাগরিতে ৩০টি আসন চাইবে, যেখান থেকে আলোচনা সাপেক্ষে ছাড় দেয়া হবে। তবে কম হলেও ‘বি’ ক্যাটাগরি থেকে ১৫টি আসন নিশ্চিত করবে তারা। ‘সি’ ক্যাটাগরিতে ২০টি আসন চাওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। এই ২০টি নিয়ে তেমন কোনো চাওয়া-পাওয়া থাকবে না জামায়াতে ইসলামীর।

ক্যাটাগরি বিন্যাসের বেলায় দলের প্রভাবকে বিবেচনায় নিয়েছে জামায়াত। যেসব অঞ্চলে জামায়াতের প্রভাব বেশি, সেসব অঞ্চলকে ‘এ’ ক্যাটাগরিতে রাখা হয়েছে। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী এলাকা। সিলেট জেলার এক নেতা জানান, ইতিমধ্যে প্রচার-প্রচারণায় মাঠে নামতে নির্বাচন পরিচালনা কমিটিও গঠন করা হয়েছে।

শিবিরের একটি সূত্র জানায়, যদি বিএনপি সন্তোষজনক আসন না দেয়, তাহলে জোটের বাইরে স্বতন্ত্র প্রার্থী দিয়ে নির্বাচনে অংশ নেবে তারা। ২০০৮ সালের নির্বাচনে জোটবদ্ধ হয়ে অংশ নিলেও তিনটি আসনে বিএনপি-জামায়াত এককভাবে অংশ নিয়েছিল। সেখানে দুটি আসনে জামায়াত শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিল। বিশেষ করে ভারপ্রাপ্ত সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান উল্লাপাড়া থেকে বিএনপির প্রার্থীর চেয়ে তিন গুণ বেশি ভোট পেয়েছিলেন।

এদিক বিএনপির একটি সূত্র জানায়, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যুদ্ধাপরাধের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত ও বিচারাধীন নেতাদের আসনে প্রার্থী দেবে বিএনপি। কারণ, এ আসনগুলো তাদের হাতছাড়া হয়ে গেছে। এখন তাদের লক্ষ্য আসনগুলো উদ্ধার করা।

তবে জামায়াত দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করতে পারবে কি না, তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। বরগুনা-২ আসনের উপনির্বাচনে জামায়াত দলীয় প্রতীকে প্রার্থী দিতে পারবে না বলে নির্বাচন কমিশন জানায়। কিন্তু এ বিষয়ে জামায়াতের বক্তব্য, নিবন্ধনের বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা নির্বাচন কমিশনের। হাইকোর্টের রায়ের পরও তারা এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি। তাই জামায়াতের দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করতে বাধা নেই।

জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদের সদস্য ও সাবেক সংসদ সদস্য ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের নতুন বার্তা ডটকমকে বলেন, “আমরা এ সরকারের বিরুদ্ধে জানমাল দিয়ে লড়াই করেছি। আবার আমাদের জানমালের যেমন ক্ষতি হয়েছে, তেমনি আমাদের অবস্থানও শক্ত হয়েছে। জনসমর্থনও বেড়েছে। তাই আমরা ২০০৮ সালের চেয়ে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আসন বেশি পাওয়ার অধিকার রাখি।”

তবে আসন নিয়ে এখনো জোটে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানান আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের। তিনি বলেন, “আমরা দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাব না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল হলেই নির্বাচনে অংশ নেব। তখন বিষয়টি সুরাহা হবে।”

দলীয় প্রতীকে নির্বাচনের বিষয়ে আব্দুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের নতুন বার্তাকে বলেন, “নির্বাচন কমিশন যেহেতু জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করেনি, সে ক্ষেত্রে দলীয় প্রতীকে (দাঁড়িপাল্লা) নির্বাচন করতে আইনগত কোনো বাধা নেই। প্রধান নির্বাচন কমিশনার যা বলেছেন, তা আইনবহির্ভূত।”Click this link

বিষয়: বিবিধ

১২৬৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File