গ্রামীণ পার্টি বাংলাদেশ নামের কোন দল গঠন করি নি, অপপ্রচারে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, আমার সম্পর্কে কিছুদিন যাবত একটি শক্তিশালী মহল প্রকাশ্যে অপপ্রচার চালাচ্ছে , ড. মুহাম্মদ ইউনুস
লিখেছেন লিখেছেন কথার_খই ৩০ আগস্ট, ২০১৩, ০৮:২২:১৭ রাত
‘আমি গ্রামীণ পার্টির নামই শুনিনি’: ড. ইউনুস
নোবেল জয়ী গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনুস সরাসরি রাজনীতিতে আসছেন। দলের নাম দিয়েছেন ‘গ্রামীণ পার্টি বাংলাদেশ’ (জিপিবি)।
আগামী সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহ নাগাদ রাজনৈতিক দলের ঘোষণা দিতে পারেন কয়েকটি ব্লগ ও সোশ্যাল মিডিয়া ফেইসবুকে এমন তথ্য ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করলেও এ সম্পর্কে কোন কিছুই জানেন না বলে সিটিজি টাইম্স ডটকমকে জানিয়েছে ড. মুহাম্মদ ইউনুস।
তিনি এসব অপপ্রচারে উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, আমার সম্পর্কে কিছুদিন যাবত একটি শক্তিশালী মহল প্রকাশ্যে অপপ্রচার চালাচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় আমি নতুন রাজনীতিতে আসছি, নতুন দল করেছি এরকম বিভ্রান্তি মূলক প্রচার চালানো হচ্ছে।
ড. ইউনুস আরও বলেন, আমি গ্রামীণ পার্টি বাংলাদেশ (জিপিবি) নামের কোন দল গঠন করিনি। আমি এ দলের সম্পর্কে কিছুই জানি না।
আপনি তৃতীয় শক্তি হিসেবে আসছের কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ইউনুস বলেন, আমি প্রথম বা তৃতীয় শক্তি হয়ে আসতে চাই না। কিন্তু আমি চাই বাংলাদেশে সুষ্ঠ নির্বাচন ও রাজনীতি সংঘাত বন্ধ হোক।
ভবিষ্যতে আপনি সরাসরি রাজনীতিতে আসবেন কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সিটিজি টাইম্স ডটকমকে ড. ইউনুস বলেন, এখন তেমন কিছু বলেত পারছি না। তবে সময় উপযোগী সিদ্ধান্ত দেশ বাসিকে জানিয়ে দিব। গোপনে তৃতীয় শক্তি হওয়ার ইচ্ছে আমার নেই।
সোশ্যাল মিডিয়া গুলোতে আলোচিত সেই লেখাটি হুবহু প্রকাশ করা হলো-
অবশেষে নোবেল জয়ী গ্রামীন ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহম্মসদ ইউনুস সরাসরি রাজনীতিতে আসছেন। দলের নাম দিয়েছেন ‘গ্রামীন পার্টি বাংলাদেশ’(জিপিবি)।
আগামী সেপ্টেম্বর মাসের তৃতীয় সপ্তাহ নাগাদ রাজনৈতিক দলের ঘোষনা দিতে পারেন বলে তার একটি ঘনিষ্ট সুত্রে জানা গেছে।
বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী এই রাজনৈতিক দলের কার্যালয় হবে রাজধানীর মিরপুরে অবস্থিত ‘ইউনুস সেন্টার’।
দলের আত্মপ্রকাশের পরই নিবন্ধনের জন্য আবেদন করা হবে নির্বাচন কমিশনে।
ড. ইউনুসকে নিয়ে যখন পক্ষে বিপক্ষে নানা আলোচনা সমালোচনা হচ্ছে তখন তিনি তার অনুসারীদের নিয়ে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন প্রক্রিয়া প্রায় চুড়ান্ত করে ফেলেছেন। দলে তিনি চেয়ারম্যান হিসেবে থাকবেন। মহাসচিব ও প্রেসিডিয়ামসহ ১৫১ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটি থাকবে। দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারনী ফোরাম হবে ২১ সদস্যের প্রেসিডিয়াম।
এদিকে দল গঠনের পরই আগামী দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সমমনা ১০টি দল নিয়ে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করবেন ড. মুহাম্মদ ইউনুছ। এ লক্ষে তিনি অনেকদুর এগিয়ে গেছেন। আলোচনাও করেছেন কয়েকটি রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে।
সূত্র জানায়, ড. ইউনুসের নতুন রাজনৈতিক দল ‘গ্রামীন পার্টি বাংলাদেশ’(জিপিবি)’র সাথে যোগ দিয়ে জোট গঠনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন, সংবিধান প্রনেতা ড. কামাল হোসেনের গণফেরাম, বি চৌধুরীর বিকল্পধারা, বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ, মাহমুদুর রহমানের নাগরিক ঐক্য পরিষদ ও আ স ম আব্দুর রবের জাসদসহ সমমনা ১০টি দল।
ইতিমধ্যে উল্লেখিত রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে জোট গঠনের ব্যাপারে আলাপ আলোচনা শুরু হয়েছে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে নতুন এ জোটের আনুষ্ঠানিক ঘোষনা আসবে বলে সূত্র জানায়।
আপনারা কি মনে করেন? ইউনুস সাহেব যদি রাজনীতিতে আসে তাহলে মানুষের সাপোর্ট কেমন পাবে? উনার মত বড় মাপের মানুষ বাংলাদেশের রাজনীতিতে কেমন ভুমিকা রাখবেন?Click this link
বিষয়: বিবিধ
১৩৮৫ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন