জঙ্গীবাদ-আওয়ামীলীগ-বাংলাদেশ!!!!! প্রোপাগান্ডা আর মিডিয়ার এই গোলক ধাধা সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া বড়ই দুরুহ বটে!!!!!

লিখেছেন লিখেছেন কথার_খই ২৬ আগস্ট, ২০১৩, ০৩:০৫:০৭ দুপুর

জঙ্গীবাদ!

বিশ্বজুড়ে এক আতংক!

রাজৈনৈতিক মারনাস্ত্র! বিশ্ব নিয়ন্ত্রনে এক জুজু! এক সাম্রাজ্যবাদী নতুন অস্ত্র!

যে কোন হিংসা দ্বেষ ক্ষতিকর। জঙ্গীবাদ -যার সর্বোচ্চ রুপ তাকে প্রাতিষ্ঠানিক রুপ দিয়ে শক্তি, ক্ষমতা, অস্ত্র কৌশল দিয়ে প্রতিপক্ষের উপর বিজয়ী হওয়া।

সেই হিসেবে বিশ্বের একনম্বর জঙ্গীবাদী রাষ্ট্র আমেরিকা বটে! সারা বিশ্বে সাম্রাজ্যবাদী বিস্তার আর বিকাশে তার সমকক্ষ কেউ নেই! সহযোগী আছে বটে!সসে আন্র্তজাতিক ইস্যু।

সে থাকুক। কিন্তু আমাদের দেশেও এটা এখন বার্নিং কুশ্চেন!

জঙ্গিবাদ নিয়ে আওয়ামীলীগ সর্বদাই গলা উচু করে! সোচ্চার বক্তৃতা বিবৃতিতে। তা চাই দেশের পক্ষে যাক বা বিপক্ষে!!! নাকি ইচ্ছাকৃত সে- জনতা রায় দেবে!

যার শুরু ১৭ই আগষ্ট ২০০৫ এ।

২০০৫ সালে জঙ্গিদের মদদদাতা তৎকালীন চারদলীয় জোট সরকারের সময় এ দিনে দেশের ৬৩ জেলায় (মুন্সীগঞ্জ বাদে) সিরিজ বোমা হামলা চালায় জামায়াতুল মুজাহিদীন বাংলাদেশ (জেএমবি)র জঙ্গিরা।

রাজধানীসহ সারাদেশে প্রায় সকাল ১১টায় একযোগে হামলা চালানো হয়। দেশের ৩শ’টি স্থানে মাত্র আধ ঘণ্টার ব্যবধানে একযোগে ৫শ’ বোমা বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে দু’জন নিহত ও দু’শতাধিক লোক আহত হয়।

সিরিজ বোমা হামলার স্থান হিসাবে জঙ্গিরা হাইকোর্ট, সুপ্রিমকোর্ট, জেলা আদালত, বিমানবন্দর, জেলা প্রসাশক, জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়, প্রেসক্লাব এবং বিভিন্ন সরকারি-আধা-সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা বেছে নেয়। হামলার স্থানসমূহে জেএমবির লিফলেট পাওয়া যায়।

সিরিজ বোমা হামলার ঘটনায় সারাদেশের বিভিন্ন থানায় শতাধিক মামলা দায়ের করে পুলিশ।

এসব মামলায় শায়খ আব্দুর রহমান, বাংলাভাই, আতাউর রহমান সানি, জাভেদ ইকবাল, আবু জহর, জাহেদুল ইসলাম সুমন, শাহাদাত হোসেন ও লাল্টুকে আসামি করা হয়।



মানুষ স্তম্ভিত হয়। ভীত হয়। এ নিয়ে চলতে থাকে রাজনীতি। কথার চালাচালি। র্যাবের বীর অফিসার গুলজার যখন সফল ভাবে মূলকে গ্রেফতার করে- জাতি আরও স্থিম্ভিত হয়ে জানে- শায়খ আব্দুর রহমান, কঠিন কট্টর আওয়ামী ঘরানার লোক। আওয়ামী নীতিনির্ধারক মহলের বড় নেতার দুলাভাই!

>>>>

আবার যখন আম্রিকার প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ সফরে আসলেন- আওয়ামীলীগ তখন সরকারে।

যে কোন সরকার তার উপর আরোপিত অভিযোগ খন্ডন এবং মোচনের জন্য অন্দতপ্রান থাকে। কারন বিষয়টির সাথে শুধু সরকারের ভাবমূর্তি নয়- দেশ এবং জনগণের ভঅগ্যও জড়িত।

কিন্তু বিস্ময়কর ভাবে দেখা গেল সরকারী উদ্যোগে এই দেশ ভয়াবহ জঙ্গীর আস্তানা জাতীয় আত্মঘাতি তথ্য ক্লিনটনের কাছে দেয়া হলো! তাঁর সফরকে সরকারী উদ্যোগে বাতিল করা হলো!!!

ক্লিনটনের হাতে বাংলাদেশে কথিত ‘ইসলামী জঙ্গিবাদের বিস্তার' নিয়ে বুকলেট তুলে দিয়েছিল আওয়ামী লীগ

এদিকে বাজারে একথাও চালু আছে বিডিআরে জনাব গুলজারকে ট্রান্সফার এবং হত্যার পিছনে দুলাভাইকে গ্রেফতার এবং ফাসির প্রতিশোধের প্রবৃত্তিও নাকি ক্রিয়াশীল ছিল..সে গবেষনা এবং প্রমাণের বিষয়।

কিন্তু এদিকে নিত্য বলা হচ্ছে...বিএনপি-জামায়াতের আমল মানেই জঙ্গিবাদ খুন সন্ত্রাস হামলা ও দুর্নীতি!!

আর মানুষ কি দেখছে?

বগুড়ায় জঙ্গি সম্পৃক্ততার অভিযোগে আ.লীগ নেতা আটক

বগুড়ায় জঙ্গিদের বাড়ি ভাড়া দেওয়া ও তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগে বগুড়া শহরের ১২ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক দুলাল হোসেনকে আটক করেছে পুলিশ।

শাস্ত্রে বলে চোরের মার বড় গলা। আওয়ামীলীগকি তবে তেমনই নিজেদের জঙ্গীবিরোধী সাজাতে চাইছে নাকি আত্মঘাতি হয়ে দেশকে ইরাক, সিরিয়া বা মিশরের পরিণতির দিকে ধাবিত করতে চাইছে?

যেখানে বিশ্ব মোড়লরা এই ইস্যতে একপায়ে খাড়া- সেখানে আমাদের মান্যবর জয়- প্রন্ধ লিখে একটা জাতি এবং তার গর্ব, তার রক্ষা কবচ সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে প্রবন্ধ লিখলেন তা নাকি ক্রমেই জঙ্গীতে ভরে যাচ্ছে!!!!

কোথায় যাবে বাঙালী?

সত্য আর মিথ্যার পৃথকীকরণই, প্রমাণই তাদের বাঁচার একমাত্র পথ।

নইলে প্রোপাগান্ডা আর মিডিয়ার এই গোলক ধাধা সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেয়া বড়ই দুরুহ বটে!!!!!

Click this link

বিষয়: বিবিধ

৪৯৯১ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File