বিপথগামী লোকেদের সঠিক রাস্তা দেখানোর এক নিস্বার্থ পথপ্রদর্শক, বাতিলের কুন্ডলীতে থেকে বাতিল শক্তির বিরুদ্ধে কথা বলা এক অকুতোভয় বীর, মানবতার মুক্তির দূত, শান্তির বার্তাবাহক এই মহান ব্যাক্তির নাম “ডঃ যাকির নায়েক”

লিখেছেন লিখেছেন কথার_খই ১৩ আগস্ট, ২০১৩, ০২:৫০:০৯ রাত

“বর্তমান বিশ্বের এক হিরন্ময় ব্যক্তিত্ব”



বিপথগামী লোকেদের সঠিক রাস্তা দেখানোর এক নিস্বার্থ পথপ্রদর্শক, বাতিলের কুন্ডলীতে থেকে বাতিল শক্তির বিরুদ্ধে কথা বলা এক অকুতোভয় বীর, মানবতার মুক্তির দূত, শান্তির বার্তাবাহক এই মহান ব্যাক্তির নাম “ডঃ যাকির নায়েক”।

ডঃ যাকির নায়েক ১৮ অক্টোবর ১৯৬৫ সালে ভারতের মুম্বাই শহরে জন্মগ্রহন করেন। স্কুল কলেজের লেখাপড়া উনি এই শহরেই করেন। মুম্বাই বিশ্ববিদ্যালয়ে মাষ্টার্স কমপ্লিট করেন। মুম্বাইর একটি প্রখ্যাত মেডিক্যাল কলেজ থেকে মেডিসিন এর উপর এম বি বি এস ডিগ্রি অর্জন করেন। অতঃপর ১৯৯১ এর শুরুর দিকে বিখ্যাত ইসলামিক লেকচারার “আহমাদ দিদাত” এর অনুপ্রেরনায় যাকির নায়েক বিশ্বব্যাপী ইসলামী দাও’য়া এর কাজ শুরু করেন।

প্রকৃত পক্ষে পৃ্থিবীর বর্তমান ধর্মীয় অন্ধকারাচ্ছান্নতা এবং নাস্তিকবাদের সাম্রাজ্যের ছড়াছড়িতে যাকির নায়েকের আবির্ভাবটা সময়োপযোগী। ভারতসহ বিশ্বের বহুদেশে ইসলামের আলো তথা সঠিক আল্লাহ প্রেরিত ধর্মকে বিশ্বের কোনায় কোনায় পৌছিয়ে দেয়ার এক ঐতিহাসিক বিপ্লব চালিয়ে যাচ্ছেন মহান এই ব্যাক্তি।

মাঝে মাঝে ভাবি, ড. জাকির নায়েক কেন যে ডাক্তারি পেশা ছেড়ে দিয়ে ইসলাম প্রচার করছেন আর কিছু অন্ধ মুসলিমের ওহাবী, কাফের, ইহুদীদের দালাল এসব গালি শুনছেন? আগে দেখতাম নাস্তিকরা ব্যঙ্গ করত ‘জোকার নালায়েক’ বলে, এখন আমার মুসলমান ভাইয়েরাও বলে। ডাক্তারি পেশায় থাকলেতো কেউ চিনত না আর গালিও দিতনা।

কেন শুধু শুধু একটা মানুষ দলীয় কারনে গালি শুনবে অপবাদ শুনবে। জাকির নায়েকের একটাই দোষ, তিনি কোন দল করেন না। তিনি কোন দল, মাযহাব, ফেরকা, Sect, Group এর সাথে জড়িত নন। এটাই তার সমস্যা। মানুষ হিসেবে সামান্য ভুল থাকতেই পারে কিন্তু যেভাবে তার নামে চারদিকে মিথ্যাচার, অপবাদ রটানো হচ্ছে এতে মনে হয় তিনি ইসলামের দাঈ হয়ে ভুলই করেছেন।

দল (মাযহাব) মেনে কেউ লেংটা বাবা সেজে ব্যবসা করলেও এতে সমস্যা নেই কিন্তু ডা. জাকির কেন কোট টাই পরেন এটা বড় প্রবলেম। যদিও উনি বলেছেন ‘টাই খৃষ্টানদের ক্রুশ থেকে এসেছে’ কেউ প্রমান করতে পারলে পরবেন না। সবকিছুর মূলে হচ্চে এই দলীয় গোড়ামী। আর এজন্যই ভারতের ওলামায়ে দেওবন্দ, মাসিক আদর্শ নারী ও মাওলানা ওলীপুরী তার বিরুদ্ধে বই লিখেছেন, যেখানে হাজারো মিথ্যাকথা এবং অপব্যাখ্যা করা হয়েছে।

যেমনঃ ড. জাকির নাকি স্বীকার করেছেন কুরআনে ভুল আছে, বিজ্ঞান দিয়ে কুরআনের সত্যতা যাচাই করতে হবে ইত্যাদি, অথচ এটা চরম মিথ্যাকথা ও অপবাদ। জাকির কেন মাযহাবের বাইরে প্রশ্নের উত্তর দেন এটাই উনাদের ভয়ের কারন।

দেখা গেছে, উপমহাদেশের অধিকাংশ আলেম মাজার,কবরপূজা শিরক বিদআতের সাথে জড়িত কিন্তু ডা. জাকির এসবের বিরুদ্ধে কথা বলেন এবং বর্তমান শিক্ষিত সমাজ তা মেনেও নিচ্ছে। তাই পীরপন্থীরা চোখে সর্ষে ফুল দেখছে আর ভাবছে, সবাই যদি এভাবে কুরআন-হাদীছ পড়ে ও আমল করে জান্নাতে যেতে চায় তাহলে পীর সাহেবের বহুদিনের ফাকিবাজি ও ব্যবসা তো বন্ধ হয়ে যাবে।

পীরসাহেব তার মুরিদদের ছাড়া জান্নাতে যাবেন না, হাশরের মাঠে সুপারিশ করবেন, জান্নাতের ওসিলা হবেন, মানুষ যদি এসব ভ্রান্ত আক্বীদা থেকে সহীহ বিশ্বাসের দিকে ফিরে আসে তখন তো উনাদের কবরকেন্দ্রিক আমল এবং ওরস, নজর-নেওয়াজ ব্যবসায় লাল বাতি জ্বলবে। উনারা তো আর এসব আক্বীদা পরিবর্তন বা সংশোধন করবে না, তাই বাঁচার উপায় হিসেবে জাকির নায়েক কেই বরং তারা পরিবর্তন করে ইহুদী-খৃষ্টানদের দালাল বানিয়ে দিয়েছে। সুন্দর মিমাংশা।

অতীতে ইবনে তাইমিয়া (রহঃ) কে তার যুগের ভন্ড পীর বুজুর্গরা ৮বার জেল খাটিয়েছে অবশেষে জেলখানাতেই এই মহান ব্যক্তিত্বের মৃত্যু হয়েছে। যুগে যুগে এমনই হয়ে আসছে। ভবিষ্যতেও হবে।

আল্লাহ রাব্বুল আলামীন যেন তাকে সু্স্থ রাখেন এবং তার সীমিত সময়ের মধ্যে তাকে দ্বীনের প্রচুর খেদমত করার তাওফীক দেন। আমীনClick this link

বিষয়: বিবিধ

১৬৭৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File