ঈদের মাঠেও শাহবাগী ভূত : ইসলামী মূল্যবোধ ও ঐতিহ্য বিনাশের সর্বনাশা খেলা

লিখেছেন লিখেছেন কথার_খই ১২ আগস্ট, ২০১৩, ১২:২১:০৪ রাত



সরকার সমর্থিত ইমাম মাওলানা মাসউদের শাহবাগ চত্বরের ভূমিকা তাকে বেশ বিতর্কিত করে। দেশের ওলামা-মাশায়েখ ও তৌহিদী জনতার বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে এবং নাস্তিক-মুরতাদ-ধর্মবিদ্বেষী শক্তির সহায়ক হিসাবে নিজেকে উপস্থাপন করে মাওলানা ফরিদ উদ্দিন মাসউদ ইতোমতধ্যেই দেশের আলেম সমাজ ও তৌহিদী জনতার চোখে একজন ভ্রষ্টচারী, ক্ষমতাভজা ও দালাল ব্যক্তিরূপে নিজেকে প্রমাণিত করেছেন। ইসলামিক ফাউন্ডেশনে চাকুরি করার সময় দুর্নীতির অভিযোগে তিনি অকাল অবসরে যান, বিগত দিনে বাংলাদেশে জঙ্গিবাদ ও বোমাহামলার সাথে তার সম্পৃক্ততার জন্যে তাকে জেলে নেয়া হয়। দুর্নীতি, জঙ্গিবাদ ও মানিলন্ডারিংয়ের একাধিক মামলার জন্যে তিনি বর্তমান সরকারের উচ্চপর্যায়ে ধর্না দিয়ে ফিরছেন। বায়তুল মোকাররমের খতিব ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মহাপরিচালক হওয়ার কথা বলে সরকারের একটি মহল তাকে দেশের আলেম-ওলামা ও নবীপ্রেমিক তৌহিদী জনতার বিরুদ্ধে দাঁড় করায়। বড় কোন পদ না দিয়ে শেষ পর্যন্ত তাকে নিয়োগ দেয়া হয় শোলাকিয়ার ইমাম পদে। যা অন্যায়, অনিয়ম ও রীতিবিরোধী নিয়োগ। তিনি শুরু থেকে পুলিশ র‌্যাব ও দলীয় ক্যাডার নিয়ে ঈদের জামাত পড়াতে কিশোরগঞ্জে আসেন। তার নামাজ, খুতবা ও মুনাজাত কোন কিছুতেই মুসল্লিরা সন্তুষ্ট নন।

কথা হয় শোলাকিয়া মাঠে ১০৪ বার ঈদের নামাজ আদায়কারী মুসল্লি কিশোরগঞ্জের মাহতাব উদ্দিন মুন্সীর সাথে। ৬৫ বছরের এ বৃদ্ধ বলেন , ছোট বেলা বাবার সাথে মাঠে নামাজ পড়তে এসেছি, জীবনের প্রায় সকল ঈদের নামাজ এই মাঠেই পড়লাম, বছরে দুই ঈদের হিসাবে ৫০/৬০ বছরে ১০০’র বেশি ঈদের জামাত হওয়ার কথা। কোরবানীর ঈদ, ঝড়বৃষ্টি, অসুখ-বিসুখের কারণে কিছু বাদ যাওয়ায় আমার হিসাবে ১০৪টি ঈদের জামাত এই মাঠে পড়েছি। কিন্তু এবারের মত বিশৃঙ্খলা আর কোনদিন দেখিনি। মানুষও হয়েছে প্রায় অর্ধেক। এমনিতে ৩/৪ লাখ লোক হয়। এবার ২ লাখ লোক হয়েছে কিনা সন্দেহ। নামাজের আগে ইমাম সাহেবের বক্তৃতার শুরুতেই হৈ চৈ শুরু হয়। মুসল্লিরা শাহবাগী বলে চিৎকার করে। তখন কথা বন্ধ করে দ্রুত নামাজ পড়ে কয়েক মিনিটে মুনাজাত শেষ করে, ইমাম সাহেব র‌্যাব ও পুলিশ প্রহরায় চলে যান। অথচ এই মাঠে কত বড় বড় আলেম নামাজ পড়াতেন। ঘণ্টার পর ঘণ্টা তারা মুসল্লিদের সাথে হাত ও বুক মিলাতেন। কথা বলে স্মৃতিকাতর হয়ে পড়েন মাহতাব উদ্দীন মুন্সী। শহরের একজন প্রবীণ চিকিৎসকের সাথে কথা বলে জানা গেছে, এ বছর শহরের অভিজাত লোকজন, শিক্ষিত শ্রেণী ও আলেম-ওলামা মসজিদেই নামাজ পড়েছেন। জেলা শহর ও আশপাশের উপজেলাগুলো থেকে লোকজন মাঠে আসেনি বললেই চলে। দূর-দূরান্ত থেকে মাঠের টানে বা মিডিয়ার প্রচারণায় লোকজন যা এসেছিলেন তারাই কেবল নামাজে শরিক হয়েছেন। পরিস্থিতি অশান্ত ছিল বলে স্থানীয় সংসদ সদস্য এলজিআরডিমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামও এবার শোলাকিয়ায় নামাজ পড়তে আসেননি। স্পিকার থাকাবস্থায় বেশির ভাগ সময় এডভোকেট আবদুল হামিদ এই মাঠে নামাজ পড়লেও এবার রাষ্ট্রপতি হিসাবে তিনি রাজধানীর জাতীয় ঈদগাহে নামাজ পড়েন। অন্য কোন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিও প্রশাসনের ইতিবাচক সাড়া না থাকায় শোলাকিয়ায় যেতে উৎসাহ বোধ করেন নি।Click this link

বিষয়: বিবিধ

১১৭২ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File