আবেদন খারিজ, দেশে ফিরতে হবে বালীকে জামায়াত নেতা আল্লামা সাঈদীর পক্ষের ওই সাক্ষী সুখরঞ্জন বালী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে সাক্ষ্য দেওয়ার ঠিক আগেই নিখোঁজ হয়ে যান!!!

লিখেছেন লিখেছেন কথার_খই ০৬ আগস্ট, ২০১৩, ০৯:৫০:৫৭ রাত

আবেদন খারিজ, দেশে ফিরতে হবে বালীকে



একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নেতা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর মামলার গুরুত্বপূর্ণ সাক্ষী সুখরঞ্জন বালীকে যাতে বাংলাদেশে ফেরত না পাঠানো হয়– এই আবেদন জানিয়ে তার পরিবারের আবেদন ভারতের কলকাতা হাইকোর্ট খারিজ করে দিয়েছে।

মঙ্গলবার কলকাতার হাইকোর্ট বালীর আবেদন খারিজ করে দিয়েছে বলে বিবিসি বাংলার এক প্রতিবেদনে বলা হয়।

আদালতের বিচারপতি সঞ্জীব ব্যানার্জী রায়ে জানিয়েছেন, ‘সুখরঞ্জন বালী বাংলাদেশে ফেরত গেলে তার ওপরে হয়রানি বা নিপীড়ন হবে বলে যে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে তার সমর্থনে কোনো ধরনের তথ্য-প্রমাণ আদালতের সামনে হাজির করতে পারেননি, এটা তার একটা অ্যাজাম্পশন বা অনুমান মাত্র।’

এ কারণে আবেদনটি খারিজ করে দিয়ে আদালত বলেছে, সুপ্রিমকোর্ট তাকে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে দুই সপ্তাহের যে স্থগিতাদেশ দিয়েছিল, সেই প্রেক্ষিতে চলতি মাসের ২০ আগস্টের পরে যেকোনও দিন তাকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো যেতে পারে।

এর মধ্য দিয়ে সুখরঞ্জন বালীর পরিবারের করা মামলাটির চূড়ান্ত শুনানি শেষ হয়ে গেল। এর আগে ভারতের সর্বোচ্চ আদালত বালীকে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর ওপরে স্থগিতাদেশ জারি করে।

জামায়াত নেতা আল্লামা সাঈদীর পক্ষের ওই সাক্ষী সুখরঞ্জন বালী আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে সাক্ষ্য দেওয়ার ঠিক আগেই নিখোঁজ হয়ে যান। আর তার বেশ কিছুদিন পরে জানা যায়, তিনি কলকাতার একটি জেলে বন্দী রয়েছেন অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশের অপরাধে।

কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি সঞ্জীব ব্যানার্জীর এজলাসে বালীর ভাতিজা বাসুদেব বালা মামলাটি দায়ের করেন।

এর আগে এই আদালতই কোনো নির্দিষ্ট আদেশ না দিয়ে ভারত সরকারের কাছে বালীর ব্যাপারে গোয়েন্দা রিপোর্ট চেয়েছিল। আর সেই নির্দেশের পরে বালীর পরিবার সুপ্রিমকোর্টে যান স্থগিতাদেশ পেতে।

সুখরঞ্জন বালীর পক্ষের আইনজীবী দেবাশীষ ব্যানার্জী বিবিসি-কে জানিয়েছেন, বালী ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয় চান কিনা, সেটা ঠিক করতে কিছুটা সময় দেওয়া দরকার– যাতে তিনি ভাবনা চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

তিনি এর আগে বলেন, ঢাকা থেকে বালী চলে আসার গোটা ঘটনাটাই রহস্যজনক আর তার পেছনে বাংলাদেশের কয়েকটি সরকারি এজেন্সির হাত আছে।

তার মতে, এই অবস্থায় বাংলাদেশে ফেরত গেলে সেই সব সরকারি সংস্থার সামনে তিনি এক্সপোজড হয়ে যাবেন এবং হয়রানি বা নিপীড়ন করা হতে পারে তাকে। এই জন্যই বাংলাদেশে ফেরত না পাঠানোর আবেদন জানিয়েছিল সুখরঞ্জন বালীর পরিবার।

বালী অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশের দায়ে বর্তমানে কলকাতার দমদম কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন, যদিও তার সাজার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।

কয়েকমাস আগে জেল থেকে ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ-কে দেয়া এক বিবৃতিতে বালী অভিযোগ করেন, তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের সামনে থেকে অপহরণ করে নিপীড়ন করে বাংলাদেশের গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। আর তারপরে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর হাতে তুলে দেওয়া হয়।

Click this link

বিষয়: বিবিধ

১২৮৯ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File