Applause Applause‘সুরঞ্জিতের হাত কাটতে হবে’Applause Applause

লিখেছেন লিখেছেন কথার_খই ২৫ জুলাই, ২০১৩, ০৩:৫১:২৫ রাত

মদিনা সনদ নয় প্রধানমন্ত্রী বাস্তবায়ন করছেন রাম আর বামের সনদ - মাওলানা বাবুনগরী : ‘মদিনা সনদ অনুযায়ী দেশ চললে সুরঞ্জিতের হাত কাটতে হবে’



প্রধানমন্ত্রী হতে চাওয়ার তথ্যকে মিথ্যা ও অপপ্রচার দাবি করে হেফাজতে ইসলামের মহাসচিব জুনায়েদ বাবুনগরী বলেছেন, রিমান্ডে তিনি নির্যাতনের পরও এ ধরনের কোনো স্বীকারোক্তি দেননি।

সংবিধানে আল্লাহর ওপর আস্থা ও বিশ্বাস পুনঃস্থাপনসহ ১৩ দফা দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত হেফাজতে ইসলাম আন্দোলন চালিয়ে যাবে মন্তব্য করে তিনি বলেন, যারা আল্লাহ ও রাসুলের আবমাননা করেছে, সেসব নাস্তিক মুরতাদের ঠাঁই বাংলার মাটিতে হবে না। তাদের বিচার না হওয়া পর্যন্ত লাখ লাখ তওহিদি জনতা বুকের রক্ত দিয়ে লড়াই করে যাবে।

তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ করে বলেন, অপনার কথামত মদিনা সনদ অনুযায়ী দেশ চললে চুরির জন্য প্রথমেই দফতরবিহীন মন্ত্রী সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের হাত কেটে নিতে হবে।

গতকাল বুধবার নগরীর লালখানবাজার মাদরাসায় হেফাজতে ইসলাম চট্টগ্রাম মহানগরী শাখা আয়োজিত ইফতার মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বাবুনগরী এসব কথা বলেন।

শারীরিকভাবে অসুস্থ বাবুনগরী হুইল চেয়ারে করে ইফতার মাহফিলে যোগ দেন। প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি বলেন, বিনা অপরাধে আমাকে সরকার ৩১ দিন রিমান্ডে নিয়েছে। আমরা কারো পক্ষে নই, বিপক্ষেও নই। ইসলামের পক্ষে কথা বললে কারো যদি গায়ে আগুন লাগে, তার জন্য আমরা দায়ী নই।

তিনি বলেন, রিমান্ডে আমাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল হেফাজতে ইসলাম নাকি গদি দখল করতে চেয়েছিল আর আমি নাকি প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছি। আমি তাদের বিনীতভাবে বলেছি, গদির জন্য নয়—ইসলাম রক্ষার জন্য আমাদের আন্দোলন। আলেম ওলামাদের সম্মান প্রধানমন্ত্রীর গদির চাইতে শতগুণ বেশি সম্মানের।

বাবুনগরী বলেন, দীর্ঘ ৩২ বছর সংবিধানের মূলনীতি ছিল আল্লাহর ওপর বিশ্বাস ও আস্থা। এরপর কী কারণে এটা সংবিধান থেকে বাদ দেয়া হলো। যতদিন সংবিধানে এই মূলনীতিটি পুনঃস্থাপন করা না হবে, ততদিন হেফাজতে ইসলাম বুকের তাজা রক্ত দিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাবে।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে তিনি বলেন, আপনি বলেছেন মদিনা সনদ অনুযায়ী দেশ চলবে, এজন্য আপনাকে ধন্যবাদ। মদিনা সনদের একটি শর্ত হলো চুরির জন্য হাত কেটে নিতে হবে। তাই প্রথমেই সুরঞ্জিত সেনগুপ্তের মতো চোরের হাত কেটে নিন। আরও যত চোর আছে, তাদেরও হাত কাটতে হবে।

তিনি বলেন, আমাদের ১৩ দফা দাবি মদিনা সনদের বাইরে নয়। মদিনা সনদে ১৩ দফার সবক’টিই আছে। তাহলে আমাদের দাবিগুলো মেনে নিতে বাধা কোথায়? আসলে প্রধানমন্ত্রীর কথা ও কাজে মিল নেই। তিনি মুখে মদিনা সনদের কথা বললেও বাস্তবায়ন করেন রাম আর বামের সনদ।

৫ মে ঢাকায় হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হামলার বিচার দাবি করে তিনি বলেন, আমরা যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের বিরোধী নই। আমরাও চাই তাদের বিচার হোক তবে সেই সঙ্গে সব অপরাধের বিচার হতে হবে। ৪০ বছর পরে যদি কারো অপরাধের বিচার হতে পারে তাহলে কয়েক মাস আগে হেফাজতে ইসলামের শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিতে চালানো হত্যাকাণ্ডের কেন বিচার হবে না?

বাবুনগরী বলেন, প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে কেউ কটূক্তি করলে তাকে কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়, জামিন পায় না। আর মহানবীর বিরুদ্ধে কটূক্তি করে আসিফ মহিউদ্দিন জামিন পেয়েছে। প্রধানমন্ত্রী পদের সম্মান কি তাহলে মহানবীর চাইতেও বেশি? যে দেশে এভাবে ইসলাম বিদ্বেষ চলে, সেদেশে আল্লাহর রহমত আসতে পারে না।

বাবুনগরী বলেন, রিমান্ডে নিয়ে আমাকে নির্যাতন করা হয়েছে, এতে আমি ভীত নই। হজরত ইব্রাহিম (আ.)-কে জালেম সরকার আগুনের রিমান্ডে নিয়েছিল। আমরাও বর্তমান সরকারের এ ধরনের কঠিন রিমান্ডের জন্য মানসিকভাবে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছি। ৫ মে যারা ঢাকায় শহীদ হয়েছেন, তাদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না। দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমরা বুকের আর রক্ত দিতে প্রস্তুত আছি।

Click this link

বিষয়: বিবিধ

১৫৮৬ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File