বিশ্বের কেউই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে আন্তর্জাতিক মানের বলছে না। বিশ্বের কোনো সংস্থা বা সংগঠন এটিকে স্বীকৃতি দেয়নি। শুধুমাত্র সরকার বলছে ট্রাইব্যুনাল আন্তর্জাতিক মানের। তাই আমরা এ ট্রাইব্যুনালকে আন্তর্জাতিক মানের বলেতে পারি না। সুতরাং শুধু গোলাম আজম নয়, এই ট্রাব্যুনালের কোনো রায়ই গ্রহণযোগ্য নয়।
লিখেছেন লিখেছেন কথার_খই ২০ জুলাই, ২০১৩, ০৭:৪০:৫৬ সন্ধ্যা
রাজনীতি বিশ্লেষক ও কলামিস্ট শাহ আবদুল হান্নান বলেছেন বিশ্বের কেউই আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে আন্তর্জাতিক মানের বলছে না। বিশ্বের কোনো সংস্থা বা সংগঠন এটিকে স্বীকৃতি দেয়নি। শুধুমাত্র সরকার বলছে ট্রাইব্যুনাল আন্তর্জাতিক মানের। তাই আমরা এ ট্রাইব্যুনালকে আন্তর্জাতিক মানের বলেতে পারি না। সুতরাং শুধু গোলাম আজম নয়, এই ট্রাব্যুনালের কোনো রায়ই গ্রহণযোগ্য নয়।”
শনিবার বিকেলে রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে বিবিসি বাংলাদেশ সংলাপে প্যানেল সদস্য হিসেবে তিনি এসব কথা বলেন। সংলাপের এ পর্বে প্যানেল সদস্য হিসেবে আরো উপস্থিত ছিলেন, আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. গীতি আরা নাসরিন।
শাহ আবদুল হান্নান বলেন, “যখন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইন করা হয় তখন এটা করা হয়েছিল পাকিস্তানি আর্মিদের বিচার করার জন্যে। কিন্তু বাংলাদেশ তাদের ক্ষমা করে দিয়েছিল। তারপর আর এই আইনটি থাকার যৌক্তিকতা নেই।”
শাহ আবদুল হান্নানের কথার বিরোধীতা করে অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, “এই ট্রাইব্যুনালটি ডোমেস্টিক ট্রাইব্যুনাল। এখানে বাংলাদেশের আইনে বিচার হচ্ছে। আর আমরা কিন্তু ব্রিটিশ ল ফলো করি। তাই কেউই এটা বলতে পারবে না এটা আন্তর্জাতিক মানের নয়। আর এ অপরাধও আন্তর্জাতিক অপরাধ।”
তিনি বলেন, “আমেরিকাসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ এই বিচারকে সঠিক বলে এটাকে স্বাগত জানিয়েছে।কিন্তু জামায়াতের নিয়োগ করা কিছু লবিস্ট এটাকে বিশ্বের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করছে।”
মীর নাসিরউদ্দিন বলেন, “বিএনপি ক্ষমতায় আসা মানে এই নয় যে, এ বিচারকে নিয়ন্ত্রণ করা। বিচার বিভাগ স্বাধীনভাবেই কাজ করবে।আমরা এখনো সব সময়ই বলেছি মানবতাবিরোধী অপরাধের যে বিচার হচ্ছে তা যদি সচ্ছ, নিরপেক্ষ ও আন্তর্জাতিক মানের হয় তা হলে বিএনপির এতে কোনো আপত্তি নেই।”
এসময় মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার আন্তর্জাতিক মানের হচ্ছে না বলেও দাবি করেন তিনি।
গীতি আরা নাসরিন বলেন, “যারা ৭১ এর যুদ্ধের মধ্যে দিয়ে গেছে বা এ যুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের কথা শুনেছে তারা অবশ্যই এ অপরাধের শিরোমনি গোলাম আযমের সর্বোচ্চ শাস্তি আশা করেছিল।”
তবে যুদ্ধাপরাধের সাজা প্রাপ্তদের শেষ পর্যন্ত সাজা কার্যকর করা সম্ভব হবে কিনা তা নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ের এই শিক্ষিকা।
বিবিসি বাংলা এবং বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশন যৌথভাবে অনুষ্ঠানটির আয়োজন করে।অনুষ্ঠানটি উপস্থাপনা করেন আকবর হোসেন এবং প্রযোজনা করেন ওয়ালিউর রহমান মিরাজ।
Click this link
বিষয়: বিবিধ
১১১০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন