তাকে প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে নারীদের তেঁতুলের সঙ্গে তুলনা শব্দ বেশি অশ্লীল এবং অমর্যাদাকর না ‘ভাতের জন্য রংপুরের নারীরা সরকারি খাতায় রেজিষ্ট্রেশন করে পতিতা হয়েছিল’ শব্দ বেশি কুৎসিত অমর্যাদাকর?

লিখেছেন লিখেছেন কথার_খই ১৭ জুলাই, ২০১৩, ০৬:৪০:৩৩ সকাল

হমদ শফী বনাম মতিয়া চৌধুরী তেঁতুলে গেল নারীর সম্মান!



নারীদের নিয়ে অপ্রীতিকর মন্তব্য করায় ক’দিন থেকে সমালোচনা ও বিতর্ক হচ্ছে দুইজন বিশিষ্ট ব্যক্তিকে নিয়ে। একজন হেফাজতের আমীর প্রবীণ আলেম আল্লামা আহমদ শফী। আর অপরজন হলেন আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী। সংসদ, টেলিভিশনের টক-শো, সভা-সেমিনার, ইফতার মাহফিল থেকে শুরু করে সবখানে বিতর্ক এই দুই ব্যক্তির বক্তব্য নিয়ে। বিতর্ক যত না দেশের ‘নারীদের মান-মর্যাদা এবং মা-বোনদের ইজ্জত-আব্রু রক্ষা’ তার চেয়ে বেশি হচ্ছে রাজনীতির কারণে। আল্লামা শফী সউদী আরব থেকে বলেছেন, ভিডিওতে তার ছবি সম্বলিত যে বক্তব্য প্রচার করা হচ্ছে সেটা তার নয়। তার অনুসারীদের দাবি তথ্য প্রযুত্তির যুগে আধুনিক সফটওয়্যার ব্যবহার করে বক্তব্য পরিবর্তন করা হয়েছে। অন্যদিকে কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী সংসদে দেয়া বক্তব্য প্রত্যাহার করেননি। অথচ বুদ্ধিজীবী ও নারী নেত্রীরা ‘নারী সমাজের মান-সম্মান’ রক্ষার জন্য আহমদ শফীর কথিত বক্তব্যকে ইস্যু করে সমালোচনার ঝড় তুলেছেন। হেফাজত নেতার তথাকথিত তেঁতুল তত্ত্ব (অস্বীকার করেছেন) নিয়ে হৈচৈ এবং মাঠ গরম করলেও মতিয়া চৌধুরীর সংসদে দেয়া ‘ভাতের জন্য রংপুরের মেয়েরা পতিতা হয়েছেন’ তথ্য নিয়ে কোনো টু শব্দ করছেন না।

‘নারীদের তেঁতুলের সঙ্গে তুলনা’ প্রসঙ্গে সর্বজন শ্রদ্ধেয় কলাম লেখক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেছেন, এ ধরনের কুৎসিত উপমা নারী সম্পর্কে আর কখনো ব্যবহৃত হয়নি। তাকে প্রশ্ন করতে ইচ্ছে করে নারীদের তেঁতুলের সঙ্গে তুলনা শব্দ বেশি অশ্লীল এবং অমর্যাদাকর না ‘ভাতের জন্য রংপুরের নারীরা সরকারি খাতায় রেজিষ্ট্রেশন করে পতিতা হয়েছিল’ শব্দ বেশি কুৎসিত অমর্যাদাকর?

হেফাজতের আমীর আল্লামা আহমদ শফী এবং আওয়ামী লীগনেত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী নাম এখন টক অব দ্য কান্ট্রি। চট্টগ্রামের হাটহাজারী মাদ্রাসা মাঠে না ওই এলাকার কোনো অখ্যাত ময়দানে এক ইসলামী জলসায় বক্তৃতা করেছেন আল্লামা শফী। সে বক্তৃতায় তিনি নাকি নারীদের তেঁতুলের সঙ্গে তুলনা করেছেন। তিনি নারীদের প্রাইমারি পর্যন্ত পড়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন; যাতে মেয়েরা স্বামীর টাকা পয়সার হিসেব রাখতে পারেন। গার্মেন্টসে নারীদের কাজকর্ম নিয়েও নাকি তিনি মন্তব্য করেছেন। তার আরো কিছু বক্তব্য সংবলিত ভিডিও বাজারে ছাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। কিন্তু হেফাজতের নেতারা বলেছেন, বাজারে ছেড়ে দেয়া ভিডিওর ওই সব বক্তব্য আহমদ শফীর নয়। ভিডিওতে যে বক্তৃবা দেখা হচ্ছে তার সঙ্গে আহমদ শফীর মুখের মিল নেই। বয়সে প্রবীণ হওয়ায় তিনি অতো দ্রুত কথা বলতে পারেন না। অপ্রীতিকর বক্তব্য যার বিরুদ্ধে দেয়ার অভিযোগ তোলা হচ্ছে তিনি (আহমদ শফী) তা অস্বীকার করেছেন। তারপরও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রবীণ ইসলামী চিন্তাবিদ আল্লামা শফীকে তুলোধূনো করেছেন। তার কা-জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘ওনার (আহমদ শফী) বক্তব্য নোংরা এবং জঘন্য। ওনার মা বোন নেই। স্ত্রী নেই। ওনি মায়ের পেটে জন্ম গ্রহণ করেননি? উনি স্ত্রীর মর্যাদা রক্ষা করেন না?’ নারী সমাজকে অপমান করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর আবেগপূর্ণ এ বক্তৃতা দেশের মানুষ শুনেছে। মিডিয়াগুলো ফলাও করে প্রচার করেছে। কিন্তু জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রীর চেয়ারের চার হাত দূরে দাঁড়িয়ে কৃষিমন্ত্রী বেগম মতিয়া চৌধুরী বলেছেন, ’৭৯ সালে জিয়াউর রহমানের শাসনামলে রংপুরের মেয়েরা ভাতের জন্য সরকারি খাতায় রেজিষ্ট্রেশন করে পতিতা হয়েছে’। জাতীয় সংসদে দেয়া মতিয়া চৌধুরীর বক্তব্য দেশ-বিদেশের মানুষ সরাসরি শুনেছে। বক্তৃতার সময় তার অঙ্গভঙ্গি দেখেছে। প্রধানমন্ত্রীর কাছে কেউ যদি প্রশ্ন করেন মতিয়া চৌধুরীর এ বক্তব্যে নারীসমাজকে অপমান করা হয় না? কি জবাব দেবেন প্রধানমন্ত্রী? মতিয়া চৌধুরীর এ বক্তব্য মিডিয়ার ‘লাকানো’র ঘটনায় প্রমাণ দেয় আধুনিক তথ্যপ্রযুক্তির বিশ্বে দেশের অধিকাংশ মিডিয়া কতটা সরকারের তল্পীবাহকের ভূমিকায় নেমেছে।

কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী রংপুরের মেয়েদের পতিতা হওয়ার তথ্য দিয়েছেন। সংসদে দেয়া মতিয়া চৌধুরীর এ বক্তব্য এক্সপাঞ্জ করা হয়েছে বলে শোনা যায়নি। কৃষিমন্ত্রী যার সামনে এই কুৎসিত বক্তৃতা দিয়েছেন সেই হাউজ অব লিডার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেও রংপুরের ‘বউমা’। তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল রংপুরের মেয়ে। পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয় রংপুর থেকে নির্বাচন করবেন এমন প্রচার রয়েছে। জয়-পুতুলের পিতা মরহুম বিজ্ঞানী ড. ওয়াজেদ মিয়া’র গ্রামের বাড়ির আসন পীরগঞ্জ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদ সদস্য নির্বাচিতও হয়েছিলেন। রংপুর এরশাদের ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত হলেও ‘রংপুরের বধূ হিসেবে শেখ হাসিনাকে’ রংপুরের মানুষ ভোট দিয়ে সম্মানিত করেছেন। সেই রংপুরের মেয়েদের সম্পর্কে মতিয়া চৌধুরী কুৎসিত মন্তব্য প্রধানমন্ত্রীর গায়ে লাগার কথা। কিন্তু সুবিধাবাদের রাজনীতির বালাই সবচেয়ে সবচেয়ে বড় বালাই। সংসদে রংপুরের মেয়েদের ‘পতিতা’ বলে অপমানিত করলেও রংপুরের বধূ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অপমানবোধ করেন না। এ নিয়ে তিনি কোনো ‘রা’ করছেন না। কিন্তু তিনি অপমানবোধ করছেন হেফাজতের আমীরের অখ্যাত কোন গ্রামে করা ওয়াজের সিডি নিয়ে।

‘রংপুরে মতিয়া চৌধুরী অবাঞ্ছিত’ খবরটি গতকাল দৈনিক ইনকিলাবের সবচেয়ে বেশি পাঠক পড়েছেন। জাতীয় সংসদে দেয়া মতিয়া চৌধুরীর বক্তৃতার প্রতিবাদে রংপুরে দু’দিন বিক্ষোভ হয়েছে, তার কুশপুত্তুলিকা পোড়ানো হয়েছে। নারী হয়ে নারীকে অপমান করায় মতিয়া চৌধুরীকে ক্ষমা চাওয়ার আহবান জানানো হয়েছে। কিন্তু মিডিয়াগুলো কারণে অকারণে সরকারের তল্পীবাহকের ভূমিকায় নামায় সে খবর তেমন প্রচার পায়নি। নারী হয়ে নারীকে অপমান করার পরও নারী নেত্রী এবং বুদ্ধিজীবীরা মতিয়া চৌধুরীর সংসদে দেয়া বক্তব্য নিয়ে কোনো শব্দ উচ্চারণ করছেন না। তারা না শোনার ভান করে রয়েছেন। অথচ আহমদ শফীর ভিডিও নিয়ে শোরগোল করছেন সমানতালে। সভা-সমাবেশে, টিভির টকশোতে ইনিয়ে বিনিয়ে আহমদ শফীকে বিতর্কিত করার চেষ্টা করছেন। নারী নেত্রীদের এ আচরণের নেপথ্যেও কারণ? মূলত ৫ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে হেফাজতের কারণে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীদের লজ্জাজনক পরাজয়ের কারণে সরকার দিশেহারা। সরকার এখন আহমদ শফীকে দেশের মানুষের কাছে বিতর্কিত করে আসন্ন নির্বাচনের আগে নারী সমাজকে হেফাজতের বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তুলতে চায়। যাতে আগামী জাতীয় নির্বাচনে হেফাজত ইস্যু এবং গভীর রাতের শাপলা চত্বরের বর্বরোচিত আলেম-ওলামা হত্যার ঘটনা ভোটারদের মধ্যে কোনো প্রভাব ফেলতে না পারে। সরকারের এ চতুরতা এবং কৌশল বাস্তবায়নের জন্যই কিছু মুখচেনা বুদ্ধিজীবী ও নারী নেত্রীরা মাঠে নেমেছেন। এ কারণে তারা নারীকে নিয়ে হেফাজতের আমীরের বিরুদ্ধে বিষোদগার করলে আওয়ামী লীগ নেত্রীর বিরুদ্ধে কোনো কথা বলছেন না।

টেলিভিশনের টকশোগুলোতে ক’দিন থেকে যারা অংশগ্রহণ করেন তাদের অধিকাংশ আলোচক আহমদ শফীর ভিডিও বক্তব্য নিয়ে নিন্দাবাজ করছেন। নারীসমাজের প্রতি মমতা দেখাচ্ছেন। যারা যৌতুকে জন্য স্ত্রীকে পিটিয়েছেন, নিজের গৃহে কর্মরত গৃহপরিচারিকাকে জুলুম-নির্যাতন করেন তারাও নারীর সম্মান রক্ষায় হেফাজত নেতার নামে খিস্তিখেউর করছেন। কিছু আলোচক ‘ভিডিওর বক্তব্য ইস্যু নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ’ করছেন। তবে বামঘরানা ও আওয়ামী লীগের সমর্থিত আলোচক, তথাকথিত প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবী, নারী নেত্রীরা ‘নারীকে তেঁতুলের সঙ্গে তুলনা করায়’ আহমদ শফীকে তুলোধূনো করছেন। মুখচেনা নারী নেত্রী, মানবাধিকার নেত্রী, এনজিও কর্মী, বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের শিক্ষক-শিক্ষিকা, আইনজীবী, মহিলা সংগঠনের নেত্রীরা ‘নারীকে তেঁতুলের’ সঙ্গে তুলনা করায় আহমদ শফীকে ‘মুখে যা আসে তাই’ বলছেন। এমনকি জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের মহিলা এমপিরা (নারীর সম্মান রক্ষার্থে!) অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন। তারা মানুষকে বোঝাতে চাইছেন ‘নারীর সম্মান রক্ষা’ করা তাদের নৈতিক দায়িত্ব। কেউ নারীদের অপমান করলে তারা তা বরদাস্ত করবেন না। তাই তারা আহমদ শফীকে গালিগালাজ করছেন। এই মহিলা এমপিদের উপস্থিতিতেই জাতীয় সংসদে মতিয়া চৌধুরী ‘রংপুরের মেয়েদের ভাতের জন্য পতিতার খাতায় নাম লেখানোর’ কথা বলেছেন। মতিয়া চৌধুরীর এ বক্তব্য দেশের নারীদের সম্ভ্রমহানি হয়েছে বলে মনে করেন না সংসদের মহিলা এমপিরা? যদি তারা নারীর পতিতার খাতায় নাম লেখানো বক্তব্যকে নারীসমাজের জন্য সম্ভ্রমহানি ও অবমাননাকর মনে করতেন তাহলে সংসদেই তার প্রতিবাদ করতেন। আওয়ামী লীগের কোনো মহিলা এমপিকে মতিয়া চৌধুরীর কুৎসিত বক্তৃতার প্রতিবাদ করতে দেখা যায়নি।

তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু গতকাল এক অনুষ্ঠানে বলেছেন, আহমদ শফীর ‘তেঁতুল তত্ত্ব’ নিয়ে সংসদে সরকার ও বিরোধী দলের নারী সংসদ সদস্যদের বাদানুবাদের সংবাদ কতিপয় মিডিয়ায় প্রকাশ করা হয়েছে, এটা সঠিক হয়নি। যদি সংবাদের হেডলাইন হতো মাওলানা শফীর ‘তেঁতুল তত্ত্ব’ খারাপ জিনিস, ‘তেঁতুল তত্ত্বে’ বিএনপির নারী সংসদ সদস্যরা সমর্থন করেছে- তাহলে সংবাদটি নিরপেক্ষ হতো। বাদানুবাদের মাধ্যমে ‘তেঁতুল তত্ত্ব’কে আড়াল করে মাওলানা শফীর ‘তেঁতুল তত্ত্বে’র পক্ষেই সাফাই গাওয়া হল। আমি মনে করি শফীর ‘তেঁতুল তত্ত্বের’ সমর্থনকারীদেরকে গণতন্ত্র, নারী অধিকার ও সংবিধানবিরোধী হিসেবে চিহ্নিত করা দরকার। অথচ তথ্যমন্ত্রীর সামনেই বেগম মতিয়া চৌধুরী জাতীয় সংসদে ‘রংপুরের নারীরা পতিতা হয়েছেন’ বক্ততৃা দিয়েছেন। মতিয়া চৌধুরী যখন নেচে নেচে লাফিয়ে লাফিয়ে মুখে ফেনা তুলে এ বক্তব্য দেন তখন তথ্যমন্ত্রীও সংসদে উপস্থিত ছিলেন। সংসদ অধিবেশন টেলিভিশনে সরাসরি প্রচারের কারণে মানুষ সেটা দেখেছে। ‘তেঁতুল তত্ত’¡ নিয়ে হাসানুল হক ইনু নারীর অবমাননা মনে করলে ‘নারীকে পতিতা’ বলাকে তিনি ‘নারীর অবমাননা’ মনে করেন না? নাকি নৌকায় চড়ে ক্ষমতায় আসার কারণে নৌকা মার্কা নেত্রীর মতিয়া চৌধুরীর নারী নিয়ে কুৎসিত বক্তব্যের প্রতিবাদ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছেন? এদেশের বাম নেতা, মুখচেনা বুদ্ধিজীবী, সাংস্কৃতিক কর্মী, সুশীল সমাজ এবং মহিলা নেত্রীদের গতি-প্রকৃতি, কথাবার্তা নিয়ে যত কম কথা বলা যায় ততই ভালো। এদের মধ্যে ক্ষমতার হালুয়া-রুটি খেয়ে সরকারের সাফাই গাওয়া, কারো যেদিকে বৃষ্টি সেদিকে ছাতা ধরার অভ্যাস আবার ভাগ না পেলে ‘আঙ্গুর ফল টক’ বলারও অভ্যাস রয়েছে। নারীনেত্রী ও এনজিও কর্মীদের অবস্থা আরো ভয়াবহ। তারা আয় রোজগারের জন্যই মূলত নারীর স্বাধীনতা, নারীর অধিকারের কথা বলতে অভ্যস্ত। তারা নারী স্বাধীনতার কথা বলেন, নারীর ক্ষমতায়নের কথা বলেন কিন্তু যৌতুক প্রথার বিরুদ্ধে কথা বলেন না। দেশের লাখ লাখ বিবাহযোগ্যা মেয়ে বাবা-মারে ঘরে বসে বসে বিয়ের জন্য প্রহর গুনছেন অথচ পিতা-মাতা যৌতুকের টাকা জোগাড় করতে না পারায় বিয়ে হচ্ছে না। সেই মেয়েদের ভবিষ্যৎ নিয়ে নারীনেত্রী, এনজিও নেত্রীদের মাথাব্যথা নেই।

প্রবীণ কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ সহযোগী একটি পত্রিকায় লিখেছেন, ‘আমরা বিভিন্ন তত্ত্বে’র কথা শুনেছি। ম্যালথাসের জনসংখ্যা তত্ত্ব, জিন্নাহর দ্বিজাতি তত্ত্ব, আইনস্টাইনের আপেক্ষিক তত্ত্ব। তার সঙ্গে এবার যোগ হলো আল্লামার তেঁতুল তত্ত্ব। এই তত্ত্বের উপজীব্য নারী। নারী নিয়ে লেখা হচ্ছে হাজার বছর ধরে। কিন্তু মানবজাতির ইতিহাসে নারী জাতি সম্পর্কে এতোট অশ্লীল ও অশ্রদ্ধেয় কথা আর কোনো দিন উচ্চারিত হয়নি।’ সৈয়দ আবুল মকসুদ আল্লামা শফীর ‘তেঁতুল তত্ত্ব’কে (যদিও আহমদ শফী এ বক্তব্য তাঁর নয় বলে প্রতিবাদ করেছেন) সবচেয়ে অশ্লীল ও অশ্রদ্ধেয় বলেছেন। এ তত্ত্ব দিয়ে নারী সমাজকে চরমভাবে অপমান করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন। কিন্তু সংসদে দেয়া মতিয়া চৌধুরী ‘ভাতের জন্য রংপুরের মেয়েরা পতিতা হয়েছিল’ বক্তব্য নিয়ে কোনো কথা বলেননি। তিনি কি মতিয়া চৌধুরীর বক্তব্যকে কুৎসিত মনে করছেন না? তার কাছে প্রশ্ন একটি জেলার মেয়েদের পতিতা বললে নারী সমাজের অপমান হয় না? নাকি মহাজোট সরকারের হালুয়া-রুটি খাওয়া প্রবাসী কলামিস্ট আবদুল গাফ্ফার চৌধুরীর মতো তিনিও ‘যেদিনে ক্ষমতা সেদিকে ছাতা ধরার’ কৌশল গ্রহণের পথে হাটছেন?Click this link

বিষয়: বিবিধ

১২৭৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File