ইসলামের দৃষ্টিতে আল্লাহ ও তাঁর রাসুল (সা.)-এর প্রতি কটূক্তিকারী এবং তাদের সমর্থনকারীরা মুরতাদ-নাস্তিক

লিখেছেন লিখেছেন কথার_খই ২৬ জুন, ২০১৩, ০১:১২:৩১ রাত



অন্য হাদিসে হজরত আনাস (রা.) থেকে বর্ণিত : নিশ্চয় রাসুল (সা.) মক্কা বিজয়ের বছর মক্কায় প্রবেশ করলেন, সে সময় তাঁর মাথায় একটি শিরস্ত্রাণ ছিল, যখন তিনি এটি খুললেন তখন এক ব্যক্তি তার কাছে এলো এবং বলল : ইবনে খাতাল (মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত এক আসামি) কাবার গিলাফের সঙ্গে আবদ্ধ আছে। নবী করিম (সা.) বললেন : তাকে হত্যা কর। (মুসলিম হাদিস নং-৩৩০৮)

ঘটনাটি হলো ইবনে খাতালের দুটি গায়িকা ছিল। তারা তার নির্দেশে রাসুল (সা.)-কে ব্যঙ্গ-বিদ্রূপ করে গান গাইত এবং কটূক্তি করত। তাই তাকে উল্লিখিত অপরাধে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়। যেহেতু হেরেম শরিফ আমান ও শান্তির জায়গা। এখানে যুদ্ধ-বিগ্রহ নিষেধ। যে ব্যক্তি এখানে প্রবেশ করে সে নিরাপত্তা লাভ করে। এ অবস্থায়ও রাসুল (সা.) তাকে আল্লাহর নির্দেশে হত্যা করার নির্দেশ দেন।

আলোচ্য হাদিস দ্বারা স্পষ্ট প্রমাণিত হলো : আল্লাহর রাসুলের সঙ্গে কটূক্তিকারীকে এমনকি হেরেম শরীফের ভিতরেও হত্যা করা জায়েজ।

হজরত ওমর ইবনে আবদুল আজিজ (রা.) আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে গালিদাতাকে হত্যা করতে হবে। তিনি বলেন : কোনো প্রকৃত মুসলমান রাসুল (সা.)-কে গালি দিতে পারে না। যে তাকে গালি দেয় সে মুরতাদ।

আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) বলেন : আমি আমার আব্বা (উমর রা.)-কে জিজ্ঞাসা করলাম, যে আল্লাহর রাসুল (সা.)-কে গালি দেয় তার তওবা কি কবুল হবে? তিনি বললেন, তাকে হত্যা করা ওয়াজেব, তার তওবা কবুল হবে না।

খালেদ ইবনে ওলিদ এক ব্যক্তিকে রাসুল (সা.)-কে গালি দেয়ার জন্য হত্যা করেছেন, তার তওবা কবুল করেননি। (আল-সারেস আল মাসলুল আলা শাতেমির রাসুল : ১/১৮)

উপরোক্ত আলোচনাগুলো দ্বারা প্রমাণিত হলো যে রাসুল (সা.)-এর সঙ্গে কটূক্তিকারী এবং তাকে গালিদাতা মুরতাদ-নাস্তিক, যাকে হত্যা করতে হবে।

এছাড়া চার মাজহাবের ইমাম ও অন্যান্য ওলামাও বলেছেন যে, যদি আল্লাহর রাসুলকে গালিদাতা মুসলমান হয় তাহলে সে কাফের (নাস্তিক) হয়ে যাবে এবং কোনো ধরনের মতানৈক্য ছাড়াই তাকে হত্যা করতে হবে। (দেখুন পূর্বোল্লিখিত তথ্য সূত্র : পৃষ্ঠা নং ১৬)

সাহাবা (রা.)-দের গালিদাতার বিষয়ে হুকুম :

সাহাবা (রা.) হলেন রাসুল (সা.)-এর সঙ্গী সাথী, তার ইসলামী দাওয়াতি কাজের সহযোগী, ইসলাম গ্রহণ করার পর চরম অত্যাচার ও নির্যাতনের সম্মুখীন হওয়ার পরও ইসলামের আলো থেকে দূরে সরে যাননি। তাদের এই ধর্মানুরাগ এবং এর জন্য তাদের আত্মত্যাগকে আল্লাহ সানন্দে কবুল করে নিয়েছেন এবং এর বিনিময়স্বরূপ তাদের জান্নাত দেয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। যেমন তিনি বলেন, আর যারা সর্বপ্রথম হিজরতকারী ও আনসারদের মধ্যে পুরনো এবং যারা তাদের অনুসরণ করেছে, আল্লাহ সেসব লোকের প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছেন এবং তারাও তাঁর প্রতি সন্তুষ্ট হয়েছে। আর তাদের জন্য প্রস্তুত রেখেছেন কাননকুঞ্জ, যার তলদেশ দিয়ে প্রবাহিত প্রস্রবণসমূহ। সেখানে তারা থাকবে চিরকাল। এটাই হলো মহান কৃতকার্যতা। (সূরা আত্-তাওবাহ, আয়াত : ১০০)

ইসলামের অতন্দ্র প্রহরী এই সাহাবা (রা.)-দের ভালোবাসা যেরূপ অবশ্যম্ভাবী, সেরূপ তাদের মর্যাদা রক্ষা করাও অপরিহার্য। তাদের ব্যাপারে প্রিয়নবী (সা.) বলেছেন, ‘যে আমার সাহাবাদের গালি দেয়, তার ওপর আল্লাহ তায়ালা, ফেরেশতা এবং সব মানুষের লানত অবতীর্ণ হয়।’ (সিলসিলাতু ছহিহাহ, হাদিস নং ২৩৪০)

শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল ওয়াহাব বলেন : যে সাহাবাদের গালি দেয় সে আল্লাহ কর্তৃক তাদের (রা.)-কে সম্মান করার যে নির্দেশ দেয়া হয়েছে তার বিরোধিতা করল। যে তাদের সবার বা কারও কারও ব্যাপারে খারাপ ধারণা রাখল সে আল্লাহ তায়ালার প্রতি মিথ্যারোপ করল, যে আল্লাহ তাদের সম্পূর্ণ দ্বীনদারী ও মর্যাদার ঘোষণা দিয়েছেন। আর আল্লাহ তায়ালাকে মিথ্যারোপকারী হলো কাফের (নাস্তিক)।

হজরত আহমদ বিন হাম্বল (র.)-কে জিজ্ঞাসা করা হলো : যারা হজরত আবু বকর, ওমর ও আয়েশা (রা.)-কে গালি দেয় তাদের হুকুম কী? তিনি বললেন : তারা মুসলমান নয়। ইমাম মালেক (র.) বলেন, যে রাসুল (সা.)-এর কোনো সাহাবিকে যেমন আবু বকর অথবা ওমর অথবা উসমান অথবা মোয়াবিয়া অথবা আমর বিন আস (রা.)-এর সঙ্গে কটূক্তি করে এবং বলে তারা পথভ্রষ্ট ছিল, সে কুফরি করল, তাকে হত্যা করতে হবে। আর যে হজরত আয়েশা (রা.)-কে অপবাদ দেয় সে কোরআনকে অস্বীকার করল যে কোরআন তাকে নির্দোষী হিসেবে ঘোষণা দিয়েছে, ফলে কোরআনকে মিথ্যা বলা কুফরি। হজরত হাসান বিন যায়েদ (রা.) বলেন : এক ব্যক্তি তার উপস্থিতিতে হজরত আয়েশা (রা.) সম্পর্কে খারাপ মন্তব্য করলে তিনি তাকে হত্যা করার নির্দেশ দিলেন। তখন আলাবিয়া তাকে বলল : তিনি তো আমাদের দলের লোক। তখন তিনি বললেন : আল্লাহর কাছে ফানা চাই এ জাতীয় লোক থেকে যারা আল্লাহর নবীকে অপবাদ দেয়।

অন্য হাদিসে রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন, আমার সাহাবিদের ব্যাপারে তোমরা আল্লাহকে ভয় করো। আমার পরে তাদের সমালোচনার লক্ষ্যস্থলে পরিণত করো না। কেননা, যে ব্যক্তি তাদের ভালোবাসে, সে আমার ভালোবাসার কারণে তাদের ভালোবাসে আর যে তাদের সঙ্গে শত্রুতা রাখে, সে আমার সঙ্গে শত্রুতা রাখার কারণে শত্রুতা রাখে। যে তাদের কষ্ট দেয়, সে আমাকে কষ্ট দেয়, যে আমাকে কষ্ট দেয়, সে আল্লাহকে কষ্ট দেয়, যে আল্লাহকে কষ্ট দেয়, আল্লাহ সত্বরই তাকে পাকড়াও করবেন। (তিরমিজি শরিফ, হাদিস নং : ৩৮৬২)

এ হাদিস থেকে জানা গেল যে, রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কষ্টের কারণে আল্লাহ তায়ালার কষ্ট হয়। অনুরূপভাবে আরও জানা গেল, কোনো সাহাবিকে কষ্ট দিলে অথবা তার প্রতি ধৃষ্টতা প্রদর্শন করলে রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর কষ্ট হয়।

সম্মানিত দ্বীনদার ভাই ও বোনেরা, আপনারা পত্র-পত্রিকায় দেখতে পেরেছেন ব্লগাররা তাদের ব্লগে এসব সম্মানিত সাহাবাকে নিয়েও অনেক কটূক্তি করেছে, যা একজন সত্যিকার মুসলমান মুখে উচ্চারণ করতে পারে না।

মোমেন-মুসলমানদের সঙ্গে কটূক্তি করার হুকুম :

মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, যারা বিনা অপরাধে মুমিন পুরুষ ও মুমিন নারীদের কষ্ট দেয়, তারা মিথ্যা অপবাদ ও প্রকাশ্য পাপের বোঝা বহন করে। (সূরা আল আহযাব, আয়াত : ৫৮)

আলোচ্য আয়াত দ্বারা কোনো মুসলমানকে শরিয়তসম্মত কারণ ছাড়া কষ্টদানের অবৈধতা প্রমাণিত হয়েছে।

আলোচ্য আয়াতটি যখন অবতীর্ণ হয় তখন হজরত ওমর (রা.) কাঁদতে লাগলেন। তখন এক ব্যক্তি তাকে জিজ্ঞাসা করল, আপনি কাঁদছেন কেন? উত্তরে ওমর (রা.) বললেন : আমি অনেক নারী ও পুরুষ মোমেনকে কষ্ট দিয়েছি। তখন সে লোক বলল : আপনি তো বিনা কারণে কাউকে কষ্ট দেননি, আপনি মানুষকে দ্বীন শিক্ষা ও সঠিক পথে আনার জন্য কষ্ট দিয়েছেন। যেমন আল্লাহ তায়ালা নির্দেশ দিয়েছেন ব্যভিচারকারী পুরুষ ও মহিলাকে পাথর নিক্ষেপ করে হত্যা করতে, চোরের হাত কেটে দিতে—আপনি তার আলোকে তাদের শাস্তি দিয়েছেন, এতে তো আপনি দোষের কিছু করেননি। তখন উমর (রা.) হেসে উঠলেন। (তাফসিরে খাওয়াতের, মোহাম্মদ মোতায়াল্লি আশশারাবি)

সত্যিকার মুসলমানের সংজ্ঞা বর্ণনা করতে গিয়ে রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন : কেবল সে-ই মুসলমান, যার হাত ও মুখ থেকে অন্য মুসলমানরা নিরাপদ থাকে, কেউ কষ্ট না পায় আর কেবল সে-ই মুমিন, যার কাছ থেকে মানুষ তাদের রক্ত ও ধন-সম্পদের ব্যাপারে নিরুদ্বেগ থাকে। (নাসায়ি শরীফ : হাদিস নং- ৪৯৯৮)

এক মুসলমান অপর মুসলমানকে গালি দেয়ার ব্যাপারে রাসুল (সা.) ইরশাদ করেন : এক মুসলমান অপর মুসলমানকে গালি দেয়া হলো ফাসেকি এবং একে অপরের সঙ্গে যুদ্ধ করা হলো কুফরি (বোখারি : হাদিস নং ৭০৭৬) তিরমিজি শরিফের ব্যাখ্যাকার আল্লামা খলিলুর রহমান আল মোবারকপুরী বলেন, এক মুসলমান অপর মুসলমানকে অন্যায়ভাবে গালি দেয়া হারাম।

মুফতি মোহাম্মদ শফী (র.) নিম্নোক্ত আয়াত ‘হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহ ও রাসুলের সামনে অগ্রবর্তী হয়ো না’ (সূরা আল-হুজরাত, আয়াত : ১)-এর ব্যাখ্যায় বলেছেন—যেরূপ কোনো কথা ও কাজে রাসুল (সা.)-এর অগ্রণী হওয়া যাবে না, সর্বাবস্থায় তার আদেশ-নিষেধের অপেক্ষা করতে হবে—সেরূপ কারও কারও মতে আলেম ও ধর্মীয় নেতাদের সঙ্গেও এইরূপ আদবের প্রতি লক্ষ্য রাখা উচিত। কেননা তারা পয়ম্বরদের উত্তরাধিকারী। যেমন : একদিন রাসুলুল্লাহ (সা.) হজরত আবুদ্দারদা (রা.)-কে আবু বকর (রা.)-এর অগ্রে অগ্রে চলতে দেখে সতর্ক করলেন এবং বললেন : তুমি কি এমন ব্যক্তির অগ্রে চল, যিনি ইহকাল ও পরকালে তোমার অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ? কোনো কোনো আলেম আরও বলেন : উস্তাদ ও পীরের সঙ্গে একই ধরনের আদবের প্রতি লক্ষ্য রাখা উচিত। (মারেফুল কোরআন, সুরা হুজরাত, আয়াত : ১)

উপরোক্ত আলোচনাগুলো থেকে প্রমাণিত হলো যে, আল্লাহ ও তদীয় রাসুলকে কটাক্ষকারী এবং কোরআনের আয়াত ও হুকুমকে অস্বীকার করা বা তার সঙ্গে ঠাট্টা বিদ্রূপকারী মুরতাদ-নাস্তিক।

মুরতাদ ও নাস্তিকদের সঙ্গে সম্পর্ককারীর হুকুম :

অনেকে বলে থাকেন যারা ইসলাম, আল্লাহ ও তদীয় রাসুলকে কটাক্ষ করেছে তারা হয়তো মুরতাদ বা নাস্তিক হতে পারে, কিন্তু আমরা তো এসব গর্হিত কাজ করছি না, শুধু তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখছি বা সমর্থন দিচ্ছি, তাহলে আমরা মুরতাদ বা নাস্তিক হতে যাব কেন? আমরা পুরোপুরি মুসলমানই আছি। সরাসরি ইসলামকে কটূক্তিকারী যেভাবে মুরতাদ ও নাস্তিক হয়ে যায়, সেরূপ নাস্তিকদের এসব অপকর্মকে সমর্থনকারী ও তাদের সঙ্গে ওঠাবসাকারীরাও ইসলামের দৃষ্টিতে সমান অপরাধী অর্থাত্ মুরতাদ ও নাস্তিক। যেমন পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, আর কোরআনের মাধ্যমে তোমাদের প্রতি এই হুকুম জারি করে দিয়েছেন যে, যখন আল্লাহ তায়ালার আয়াতগুলোর প্রতি অস্বীকৃতি জ্ঞাপন ও বিদ্রূপ হতে শুনবে, তখন তোমরা তাদের সঙ্গে বসবে না যতক্ষণ না তারা প্রসঙ্গান্তরে চলে যায়। তা না হলে তোমরাও তাদেরই মতো হয়ে যাবে। আল্লাহ দোজখের মধ্যে মোনাফিক ও কাফেরদের একই জায়গায় সমবেত করবেন। (সূরা আন-নিসা, আয়াত : ১৪০)

আলোচ্য আয়াতের ব্যাখ্যায় মুফতি মোঃ শফী (র.) বলেছেন, যদি কোনো প্রভাবে কতিপয় লোক একত্রিত হয়ে আল্লাহ তায়ালার কোনো আয়াত বা হুকুমকে অস্বীকার বা ঠাট্টা-বিদ্রূপ করতে থাকে, তবে যতক্ষণ তারা এহেন গর্হিত ও অবাঞ্ছিত কার্যে লিপ্ত থাকবে, ততক্ষণ তাদের মজলিশে বসা বা যোগদান করা মুসলমানদের জন্য হারাম। মোটকথা, বাতেলপন্থীদের মজলিশে উপস্থিতি তাদের কুফরি চিন্তাধারার প্রতি সম্মতি ও সন্তুষ্টি সহকারে এতে যোগদান করা মারাত্মক অপরাধ ও কুফরি।

একবার হজরত উমর বিন আবদুল আজিজ একদল লোককে মদ্যপান করার জন্য গ্রেফতার করে শাস্তি দিলেন। তাদের মধ্যে এমন একজন ছিল যে মদ্যপান করেনি, কারণ সে রোজাদার ছিল। তারপরও তিনি তাকেও মদ্যপায়ীদের মজলিশে যোগ দেয়ার জন্য সমান অপরাধী মনে করে শাস্তি দেন। (তাফসিরে বাহরে মুহিত ৩/৩৭৫)

এর দ্বারা প্রমাণ হলো, মদ পান করা যেমন অপরাধ, এর মজলিশে বসাও সমান অপরাধ। ফলে যারা সরাসরি আল্লাহ তায়ালা, তদীয় রাসুল ও ইসলামের কোনো বিষয়কে অস্বীকার বা হেয়প্রতিপন্ন করে, তারা যেরূপ মুরতাদ-নাস্তিক হবে, তাদের সমর্থনকারী, সহযোগিতাকারীও সমান অপরাধী হবে। অতএব আমাদের প্রকৃত ঈমানদার ও খাঁটি মুসলমান হিসেবে বেঁচে থাকতে এবং মৃত্যুবরণ করতে চাইলে এসব মুরতাদ-নাস্তিক থেকে সম্পূর্ণরূপে দূরে থাকতে হবে। নতুবা কিয়ামতের দিন তাদের কাতারে দাঁড়িয়ে চির দুঃখের জাহান্নামে যেতে হবে। আল্লাহ আমাদের এসব মুরতাদ-নাস্তিক থেকে হেফাজতে রাখুন। আমিন।

(পূর্ব প্রকাশের পর)

দারুল উলুম ইসলামিক হাই স্কুল অ্যান্ড কলেজ

বার্মিংহাম, যুক্তরাজ্য

ড. মাওলানা আবদুল মতিন আল-আজহারী

Click this link

বিষয়: বিবিধ

১৮১০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File