আওয়ামী কুটচাল ও শয়তানী নিয়ে শফিক রেহমানের একটি দুর্দান্ত লেখা। পাঠকদের সাথে শেয়ার না করে পারলাম না।
লিখেছেন লিখেছেন জেড ইসলাম ০৬ মার্চ, ২০১৩, ১০:৪৮:২৯ সকাল
লেখাটি আজকের 'আমার দেশ' পত্রিকায় এসেছে। পাঠক, সম্পুর্ন লেখাটি পড়ুন, ভাল লাগবে অবশ্যই।
দাবি আদায়ের সহজ উপায় ...
স্থান : ধানমন্ডিতে বিশিষ্ট ব্যারিস্টার ড. এম আহসানের চেম্বার। চারদিকের দেয়ালে বুক শেলফে চামড়ায় বাঁধানো সব ল রিপোর্ট। ডেস্কে ফাইলের ছোট ছোট পাহাড়। ঘরের এক কোনায় একটা টেবিলে টেলিভিশন।
কাল : মার্চ ২০১৩-র প্রথম সপ্তাহ। সন্ধ্যাবেলা।
পাত্র : ব্যারিস্টার এম আহসান ও তার পাড়ার ভাইভাই স্টোর্স-এর মালিক কবির মিয়া। উভয়েই মধ্যবয়সী।
সতর্কীকরণ : সব ঘটনা, চরিত্র ও সংলাপ সম্পূর্ণ কাল্পনিক।
কবির মিয়া (দুশ্চিস্তাগ্রস্ত মুখে) : খুব বিপদে পড়ে আপনার কাছে এসেছি স্যার। অনেক উকিল-ব্যারিস্টারের কাছে গিয়েছি স্যার। সবাই বললেন, আপনি মুশকিল আহসান ব্যারিস্টার নামে বিখ্যাত। আপনিই স্যার পারবেন আমার মুশকিল আহসান করতে।
ব্যারিস্টার এম আহসান (শান্ত মুখে) : আমি চেষ্টা করব। কিন্তু সফল হব কী না হব, সেটা মহান আল্লাহর হাতে। বলুন, আপনার বিপদটা কী?
কবির : আমার উচ্চতা চার ফিট সাড়ে এগার ইঞ্চি। অর্থাত্, পাঁচ ফিটের মাত্র আধা ইঞ্চি কম।
ব্যারিস্টার : তাতে কী? আপনি তো জীবনে নিজেকে ভালোই প্রতিষ্ঠিত করেছেন। আপনার দোকান থেকে আমার বিবিসাহেব চাল-ডাল, তেল-নুন, পেঁয়াজ-রসুন, চা-দুধ-সাবান-শ্যাম্পু, মোম-ব্যাটারি সবই কেনেন। আপনার দোকান তো ভালোই চলে। আপনি চার ফিট সাড়ে এগার ইঞ্চি হওয়ায় ব্যবসায়ে তো তার কোনো মন্দ প্রভাব পড়েনি। সমস্যা কোথায়?
কবির : সমস্যা স্যার আমার উচ্চতা পাঁচ ফিট নয়— পাঁচ ফিটের আধা ইঞ্চি কম। আর এটা স্যার কোনো ব্যবসায়িক সমস্যা নয়— এটা স্যার এখন আমার জীবন-মরণ সমস্যা।
ব্যারিস্টার (কৌতূহলী স্বরে) : তার মানে?
কবির (নিচু স্বরে) : কিছুক্ষণ আগে সংসদে আওয়ামী লীগ সরকার উচ্চতা অপরাধী আইন পাস করেছে।
ব্যারিস্টার (বিস্মিত মুখে) : উচ্চতা অপরাধী আইন? (তিনি টিভির রিমোট কনট্রোল টিপলেন)।
কবির : হ্যাঁ স্যার। এই আইনে বিধান করা হয়েছে বাংলাদেশে বসবাসকারী যেসব বাংলাদেশী পুরুষ নাগরিকের দৈহিক উচ্চতা পাঁচ ফিটের কম তাদের অপরাধীরূপে গণ্য করা হবে এবং তাদের প্রত্যেকের প্রাণদণ্ড হবে। এই প্রাণদণ্ড অবিলম্বে কার্যকর করার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনিক কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। (হঠাত্ হাউ মাউ করে কেঁদে ওঠে) স্যার আমার উচ্চতা পাঁচ ফিটের কম। আমি বাংলাদেশী পুরুষ। আমাকে ফাঁসির দড়ি থেকে বাঁচান স্যার। আমাকে বাঁচান স্যার।
ব্যারিস্টার (টিভিতে স্ক্রল নিউজ দেখতে দেখতে) : অ্যাবসার্ড। অ্যাবসার্ড। অ্যাবসার্ড। (একটু চুপ থেকে) কিন্তু তারা এটা করতেই পারে। সংসদে তাদের দুই—তৃতীয়াংশের বেশি মেজরিটি আছে।
কবির : মেজরিটি থাকলেই কি তারা আইন করে সূর্যকে চাঁদ অথবা চাঁদকে সূর্য বলতে পারবে? সবাইকে ডান হাত নয় — বাম হাতে খেতে নির্দেশ দিতে পারবে? পুরুষদের শাড়ি-ব্লাউজ আর মেয়েদের শার্ট-প্যান্ট পরতে বলবে?
ব্যারিস্টার : আওয়ামী লীগ মনে করে তারা পারবে। ক্ষমতায় এসে তারা তো সময়ও বদলে দিয়েছিল।
কবির (উত্তেজিত হয়ে) : সংসদে মেজরিটি থাকলেই কি এমন আইন পাস করার অধিকার তাদের আছে? আমাদের মৌলিক অধিকার বিষয়ে সংবিধানে যা লেখা আছে, এই আইনটি কি তার বিরোধী নয়?
ব্যারিস্টার (বুক শেলফ থেকে বাংলাদেশের সংবিধান বের করে পড়া শুরু করলেন) : সকল নাগরিক আইনের দৃষ্টিতে সমান এবং আইনের সমান আশ্রয় লাভের অধিকারী ...
কেবল ধর্ম, গোষ্ঠী, বর্ণ, নারী-পুরুষভেদ বা জন্মস্থানের কারণে কোনো নাগরিকের প্রতি রাষ্ট্র বৈষম্য প্রদর্শন করিবেন না। (বই থেকে চোখ তুলে) দেখুন, এখানে উচ্চতা বিষয়ে কিছু লেখা নেই। সেই সুযোগটা আওয়ামী লীগ নিয়েছে। তবে নারী-পুরুষে ভেদাভেদ করা হয়েছে; এই আইনে পুরুষদের প্রতি বৈষম্য করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী সম্ভবত নারী ভোটারদের বিষয়টি বিবেচনায় রেখে তাদের এই আইনের আওতা থেকে বাদ দিয়েছেন। সে যাই হোক, আইন পাস হয়ে গেছে। এখন আপনাকে কীভাবে বাঁচানো যায় সেই পথ বের করতে হবে। আপনি কি আপনার উচ্চতার মাপ বিষয়ে একশ’ ভাগ নিশ্চিত?
কবির : হ্যাঁ। আমি নিজে কয়েকবার মেপেছি। বউকে দিয়েও মাপিয়েছি। বাইরে কাউকে বলিনি। তারা হয়তো আমাকে পাঁচ ফিট উচ্চতারই ভাবে। কিন্তু একবার যদি গোপালী পুলিশের কাছে কেউ রিপোর্ট করে দেয়, তাহলেই আমার জীবন শেষ।
ব্যারিস্টার : এ বিষয়ে আর কারও উপদেশ নিয়েছেন কি?
কবির : প্রথমে আমি আমাদের পারিবারিক ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম। তিনি বলেন, রিং ধরে ঝুলে ব্যায়াম করলে এবং নিয়মিত বাইসাইকেল চালালে হয়তো আধা ইঞ্চি লম্বা আমি হতে পারব। কিন্তু এতে সময় লাগবে। তারপর আমি গিয়েছিলাম একটি বইয়ের দোকানে। লম্বা হউন এই টাইটেলে বইয়ের বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছিল, কোনো ওষুধ ছাড়া নির্দিষ্ট কিছু পদ্ধতিতে বাড়িতে থেকেই তিন ইঞ্চি থেকে ছয় ইঞ্চি পর্যন্ত লম্বা হওয়া যায়। কিন্তু এই পদ্ধতিতেও সময় সমস্যা আছে। লম্বা হতে সময় লাগবে। তাছাড়া, তাদের এই দাবির প্রতি আমি ভরসা করতে পারি না।
ব্যারিস্টার : আপনি এলিফ্যান্ট রোডে কোনো জুতার দোকানে গিয়ে সবচেয়ে উঁচু হিলের জুতা ট্রাই করতে পারেন।
কবির : সেটা ভেবেছিলাম। কিন্তু যে কোনো সময়ে ধরা পড়ে যেতে পারি। বিশেষত নামাজ পড়ার সময়ে। তখন তো জুতা খুলে নামাজ পড়তে হবে। আওয়ামী সরকার তো সব মসজিদের কনট্রোল নিয়ে ফেলেছে। সব মসজিদ গোয়েন্দা নজরে রাখছে।
ব্যারিস্টার : বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার কথা ভেবেছেন?
কবির : হ্যাঁ। কিন্তু সেটা সম্ভব নয়। সব বর্ডারে বিএসএফ খুব কড়া পাহারা দিচ্ছে। স্যার একটা কথা বলতে পারেন? কেন এই আইনটা করা হলো?
ব্যারিস্টার : আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর থেকে একদিকে শেখ মুজিবের বিশাল ইমেজ প্রতিষ্ঠায় সর্বাত্মক কর্মসূচি নিয়েছে। অন্যদিকে জিয়ার ইমেজ ধ্বংস করার সব রকম ব্যবস্থা নিয়েছে। তারা দেখাতে চাইছে শেখ মুজিব ছিলেন উচ্চতায় বেশি। জিয়া কম। অর্থাত্, জিয়া ছিলেন ছোট মাপের মানুষ। সুতরাং বাংলাদেশ থেকে সব ছোট মাপের মানুষকে চিরবিদায় দিতে হবে। আমার ধারণা, এটাই এই আইনের একমাত্র উদ্দেশ্য। তবে এই আইন প্রণেতারা জানেন না, জিয়ার উচ্চতা প্রায় সাড়ে পাঁচ ফিট ছিল। তাছাড়া তারা এটাও জানেন না যে বিশ্বের বহু সফল রাষ্ট্রনায়কের উচ্চতা ছিল কম। যেমন ইসরাইলের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা ও প্রথম প্রধানমন্ত্রী ডেভিড বেনগুরিয়ান—এর উচ্চতা ছিল পাঁচ ফিট। ইনডিয়ার মোহনদাস করমচাঁদ গান্ধী এবং রাশিয়ার নিকিতা ক্রুশ্চেভ—এর উচ্চতা ছিল পাঁচ ফিট তিন ইঞ্চি।
কবির (উঁচু স্বরে) : দেখুন, দেখুন, টিভিতে কী দেখাচ্ছে।
টিভিতে ভিজুয়াল ও স্ক্রল : সোনারগাঁও হোটেলের সামনের গোল চত্বরে দ্বিতীয় গণজাগরণ মঞ্চ স্থায়ীভাবে বানানো রয়েছে। সমবেত ব্লগারদের স্লোগান উঠছে। একটা একটা বেঁটে ধর, সব বেঁটেকে জবাই কর। বেঁটেদের বিদায় চাই, বেঁটেদের ফাঁসি চাই। ফাঁসি চাই। ফাঁসি চাই।
টিভির ভিজুয়ালে একজন ব্লগার বাবার কোলে একটি বছর পাঁচেকের শিশু মেয়ের ইন্টারভিউ নিল টিভি রিপোর্টার।
রিপোর্টার : তুমি সব বেঁটেদের ফাঁসি চাও?
শিশু : হ্যাঁ চাই।
রিপোর্টার : কেন ফাঁসি চাও?
শিশু : আব্বু বলেছে, বেঁটেরা পচা।
রিপোর্টার : ঠিক। ঠিক। (শিশুর দিক থেকে মুখ ঘুরিয়ে দর্শকদের দিকে) এখন দ্বিতীয় গণজাগরণ মঞ্চে উপস্থিত হয়েছেন জনপ্রিয় ব্লগার চাদরবাবা কামরান হোসেন পোদ্দার। তিনি তার বক্তব্য রাখছেন।
কামরান (চিত্কার করে কাঁপা কাঁপা গলায় নাটকীয় ভঙ্গিতে) : ত্রিশ লাখ শহীদের বুকের তাজা রক্ত আর দুই লাখ নারীর ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত এই বাংলার মাটি আজ বেঁটেদের দ্বারা কলঙ্কিত। এই কলঙ্ক আমাদের মুছে ফেলতেই হবে। সব বেঁটেদের ফাঁসি দিতে হবে।
ব্লগার জনতা (সমস্বরে) : ফাঁসি চাই। ফাঁসি চাই।
কামরান : সব বেঁটেদের জবাই করতে হবে।
ব্লগার জনতা : জবাই করো। জবাই করো।
কামরান : আমি এই গোল চত্বরের নাম দিলাম লম্বা স্কয়ার। আপনারা সবাই এটা সমর্থন করেন? হাত তুলে জানান।
ব্লগার জনতা (হাত তুলে) : লম্বা স্কয়ার। লম্বা স্কয়ার।
এই সময়ে কিছু খাটো পুরুষ ব্লগারকে ঘটনাস্থল থেকে সটকে পড়তে দেখা গেল। টিভি ক্যামেরা অন্যদিকে ফোকাস করল।
কামরান (সিরাজউদদৌলা স্টাইলে) : আমি নির্দেশ দিচ্ছি ত্রিশ লাখ শহীদের বুকের তাজা রক্ত আর দুই লাখ নারীর ইজ্জতের বিনিময়ে অর্জিত এই বাংলার মাটির কলঙ্ক মোচনের দৃঢ় প্রত্যয়ে আপনারা সবাই এখন থেকে দিনরাত চব্বিশ ঘণ্টা এখানেই থাকবেন। বাংলার মাটি সব বেঁটে মুক্ত না হওয়া পর্যন্ত আপনারা এখানেই থাকবেন। আপনাদের জন্য বিভিন্ন মিডিয়া হাউজ থেকে ফুল প্লেট বিরিয়ানি এবং মিনারেল ওয়াটারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আরও অনেক টিভি চ্যানেলের ক্যামেরা বসছে। এই সার্ক ফোয়ারার নিচে মেশিনের যে বেইসমেন্ট আছে সেখানে পোর্টেবল টয়লেট বসানো হয়েছে। আপনারা এই স্থান পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখবেন। আমাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ যেন না ওঠে আমরা গাঁজা খাই, সিগারেটের শেষাংশ আর ব্যবহৃত কনডম ফেলে যাই। জয় লম্বা বাংলা।
ব্লগার জনতা (সমস্বরে) : জয় লম্বা বাংলা।
ব্যারিস্টার (এক হাতে কপাল চেপে ধরে) : দেশ আজ এক পাগলির খপ্পরে। তারই চ্যালা চামুণ্ডারা দেশকে আজ লম্বা আর বেঁটেদের মুখোমুখি দাঁড় করিয়েছে। দেশকে গৃহযুদ্ধে ঠেলে দিয়েছে। জানি না এই যুদ্ধের পরিণতি কী হবে। তবে নিজের প্রাণ বাঁচানোর জন্য আপনি একটা চেষ্টা করতে পারেন। (একটা কাগজে রূপসী বাংলা হোটেলে অবস্থিত একটি রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের ব্রাঞ্চ ম্যানেজারের নাম লিখলেন)। এই অফিসারটির সঙ্গে দেখা করুন।
কবির : তারপর?
ব্যারিস্টার : উত্তরটা পরে দিচ্ছি। আপনার স্ত্রীর নাম কী?
কবির : আকলিমা।
ব্যারিস্টার : ওই নামে চলবে না। ওর নাম পাল্টে ফেলতে হবে। আমি এখনই একটা ডিড পোল করে দিচ্ছি। আপনার স্ত্রীর নতুন স্টাইলিশ নাম হবে ইয়াসমিন কবির। আপনারা দুজনা একটা লিমিটেড কোম্পানি করবেন যার নাম হবে টলমার্ক (Tallmark) কোম্পানি লিমিটেড। এটাই হবে বাংলাদেশের প্রথম উচ্চতাভিত্তিক কোম্পানির নাম। পরে ডেসটিনির মতো কোনো আওয়ামী সমর্থক সাবেক সেক্টর কমান্ডারকে কোম্পানির চেয়ারম্যান করবেন। প্রধানমন্ত্রী খুশি হবেন এবং তার বর্তমান নির্দেশক চাদরবাবাও খুশি হবেন।
কবির (রুদ্ধশ্বাসে) : তারপর?
ব্যারিস্টার : টলমার্ক কোম্পানির তরফ থেকে আপনারা দুজন দশ হাজার কোটি টাকা লোন নেবেন রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের ওই শাখা থেকে। বাংলাদেশকে কলঙ্কমুক্ত করার একটি ধাপ হিসেবে এই লোন মঞ্জুর করবে ওই ব্যাংক, বাংলাদেশ ব্যাংক এবং অর্থ মন্ত্রণালয়। টাকাটা পেয়েই আপনি সাত হাজার কোটি টাকা দান করবেন আওয়ামী লীগের ইলেকশন ফান্ডে। দুই হাজার কোটি টাকা দান করবেন চাদরবাবার ফান্ডে বিরিয়ানি ও মিনারাল ওয়াটার সাপ্লাই যেন অব্যাহত থাকে সেই লক্ষ্যে। আর এক হাজার কোটি টাকা রাখবেন নিজের জন্য।
কবির (কিছুটা সন্দেহের স্বরে) : কিন্তু। কিন্তু আমার উচ্চতা তো পাঁচ ফিটের আধা ইঞ্চি কম থেকেই যাবে। তাহলে আমি বাঁচব কি করে?
ব্যারিস্টার (স্মিত মুখে কনফিডেন্ট স্বরে) : আপনি বাঁচবেন এবং আরও লোন পাবেন। ভেবে দেখুন আপনার চাইতে অনেক বেশি টাকা শেয়ারবাজার থেকে লুট করেছে দরবেশ। তার কি কিছু হয়েছে? আওয়ামী আমলে বহু অর্থনৈতিক ঘাপলা হয়েছে। কারও কি কিছু হয়েছে? হয়নি।
কবির : হলমার্কের তানভির আর তার স্ত্রী জেসমিন তো জেলে গিয়েছেন।
ব্যারিস্টার : তারা একটা ভুল করেছিলেন। তারা মাত্র চার হাজার কোটি টাকা মেরেছেন। অর্থমন্ত্রীর ভাষায় এটা তেমন কোনো বড় অ্যামাউন্ট নয়। তারা আওয়ামী ফান্ডে বেশি টাকা দিতে পারেননি। আপনি শুরু করুন দশ হাজার কোটি টাকা দিয়ে। তারপর এগোতে থাকেন। এরই মধ্যে একটি আওয়ামী কোট বানিয়ে ফেলুন এবং সর্বক্ষণ সেটা গায়ে ও চার ইঞ্চি উচ্চতার একটা সাদা কিস্তি টুপি মাথায় পরে থাকুন। আপনার দৃশ্যমান উচ্চতা হবে পাচ ফিট সাড়ে তিন ইঞ্চি।
কবির : আলহামদুলিল্লাহ! আলহামদুলিল্লাহ। ব্যারিস্টার সাহেব, আপনি আমাকে বাঁচিয়ে দিলেন। আপনাকে কত ফিস দেব?
ব্যারিস্টার (মৃদু হেসে) : আগে লোনের টাকাটা আপনার অ্যাকাউন্টে আসুক। তারপর বলব আমার ফিস %9
বিষয়:
১২৩৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন