মুখের উপর রাইফেল তাক করে নিয়ে যাওয়া হয় মাহ্মুদুর রহমানকে; পাজামা ও জুতা পরারও সুযোগ দেয়া হয়নি।
লিখেছেন লিখেছেন জেড ইসলাম ১১ এপ্রিল, ২০১৩, ১২:২৮:৫৩ দুপুর
১৩ মিনিটেই দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক মাহমুদুর রহমানকে পুলিশ-র্যাব ও সাদা পোশাকের পুলিশ সদস্যরা গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। এছাড়াও মাহমুদুর রহমানের অফিস তল্লাশি করে গুরুত্বপূর্ণ ডকুমেন্ট কম্পিটারের সিপিইউ ও মনিটর এবং ৮টি সিডি নিয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার সকাল ৮টা ৫৫মিনিটে তাকে আমার দেশ পত্রিকা অফিস থেকে গ্রেফতার করা হয়। এর পর তাকে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে নেয়া হয়।
আমার দেশ পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মাহবুবুর রহমান নতুন বার্তা ডটকমকে বলেন, সকাল পৌনে আটটার দিকে কয়েকশ পুলিশ-র্যা ব ও সাদা পোশাকধারী ৩০ থেকে ৪০ জন সদস্য দুই লিফ্টে আমার দেশ কার্যালয়ে নামে্নি। দারোয়ানকে মারধর উপস্থিত সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত করে ভিতরে প্রবেশ করে। ক্যামেরা পারসনের ক্যামেরা কেড়ে নেয়া হয়। সিসি ক্যামেরা খুলে নিয়ে যায়।
পুলিশ সদস্যরা সরাসরি মাহমুদুর রহমানের রুমে ঢুকেন। তখন তিনি নাস্তা করছিলেন। পুলিশ তাকে বলে আপনাকে নিয়ে যেতে এসেছি। তখন মাহমুদুর রহমান তাদের বলেন আমাকে একটু সময় দেন দুই রাকয়াত নামাজ পড়ব। এই কথা বলার সংঙ্গে সংঙ্গে একজন পুলিশ তাকে যা ইচ্ছা তাই ব্যবহার করেন। একপর্যায় বন্দুক তাক করেন। তখন মাহমুদুর রহমান বলেন আমি আপনাদের সংঙ্গে যাব। কেন এ ধরনের ব্যবহার করেন। কি করবেন? গুলি করবেন, করেন। শেষ পর্যন্ত তাকে নামাজ পড়ার সময় দেয়া হয়নি।
মাহবুব বলেন, মাহমুদুর রহমান আবার পুলিশকে অনুরোধ করে বলেন, আমাকে দুটো বই এবং কোরআন শরীফটা নিতে দেন। এ সময় পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন আপনি পাক পবিত্র আছেন? মাহমুদুর রহমান বলেন, আমি পাক পবিত্র আছি্ তখন তাকে একখানা ছোট কোরআন শরীফ সাথে নেয়ার অনুমতি দেয়া হয়। তখন তিনি কোরআন শরীফ ও দুইটি বই সাথে নিয়ে নেন।
এর আগে সম্পাদক মাহমুদুর রহমান পাজামা পড়তে চাইলে পড়তে দেয়া হয় নাই। জুতা পড়তে চাইলেও পারেনি, স্যান্ডেল পড়েই তাকে পুলিশের সংঙ্গে গাড়িতে উঠতে হয়েছে।
মাহবুব সাংবাদিকদের বলেন, মাহমুদুর রহমান একান্ত আলাপে আমাদের বলেছেন, আমার কাছে সংবাদ এসেছে, আমাকে গুম ও হত্যার চেষ্টা চলছে। গাড়িতে তোলার সময় আমাদের উদ্দেশে বলেন, “তোমরা সত্যের পথে এগিয়ে যাও।”
মাহবুব বলেন, “আমি পুলিশ কর্মকর্তার কাছে জানতে চেয়েছি কেন তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সে পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, উপরের নির্দেশেই। আমার দেশে’র সাংবাদিকদের লাঞ্ছিত করার বিষয়ে জানতে জাইলে ওই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ক্ষমতা থাকলে সবই করা যায়।”
সিকিউরিটি সুপারভাইজার আব্দুর রহমান নতুন বার্তা ডটকমকে বলেন, “পুলিশ আসলে আমি তাদের বসতে বলি। কিন্তু তারা তা না শুনে আমার মুখে কয়েকটি থাপ্পর ও ঘুষি মেরে বসিয়ে দেয়।”
নতুন বার্তা ডটকম-
click here
বিষয়: বিবিধ
১৭২৮ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন