ধন্য তুমি হে বঙ্গ ললনা!
লিখেছেন লিখেছেন ান্নি চৌধুরী ২৯ আগস্ট, ২০১৩, ০৭:৩৯:৪৮ সন্ধ্যা
যেদিন নারীদের পূর্ণ স্বাধীনতা এবং অধিকার আদায়ের আন্দোলনের সমবেত কন্ঠের ধ্বনি কানে এসে বিঁধলো, সেদিন প্রশান্তির এক পশলা হিমেল বাতাস মনটাকে ভরিয়ে দিয়েছিল নিবিড়ভাবে। মনে হলো এবার বুঝি বঙ্গ ললনাদের পরাধীনতার গ্লানী ঘুচল। পুরুষ সম অধিকার এবং স্বাধীনতার শক্তি বক্ষে ধারণ করে মাথা উঁচু করে এবার দাঁড়াবার সময় এলো আমাদের। আজ বড় গর্বিত আমরা এই নারী সমাজ। ক্রমাগত উন্নয়নের দিকে এগুচ্ছে আমাদের দেশ, এগুচ্ছি আমরাও। বঙ্গ ললনাদের অধিকার, অতিমাত্রার আধুনিকতা আর পূর্ণ স্বাধীনতার কুসুমাস্তীর্ন পথে এগিয়ে নিতে যারা প্রাণপণ লড়াই করে এসেছেন এবং করে যাচ্ছেন অবিরত সেই সকল শ্রদ্ধাভাজনদের কাছে কৃতজ্ঞ আমরা। আমাদের সেই প্রাণপ্রিয় নেত্রীবৃন্দ শ্রদ্ধেয়া মিতা মাসী, (মিতা হক) রোকেয়া পিসী (রোকেয়া প্রাচী) এবং বাচ্চু জেঠু (নাসির উদ্দিন ইউসুফ) সহ অন্যান্য সুশীল সমাজের প্রগতিশীল ব্যাক্তিবর্গদের নিরলস প্রচেষ্টায় আজ আমরা পূর্ণ স্বাধীনতার পথে হাঁটছি। সমান অধিকারের চেয়ে অগ্রাধিকারের স্বপ্ন দেখছি। রাত করে বাড়ি ফিরলে অপবাদের বোঝা মাথায় নেয়ার ভয় নেই আজ নারীদের। চাইলেই অভিজাত হোটেলের আরামদায়ক কক্ষে বয়ফ্রেন্ড নিয়ে কাটানো যায় একেকটি রাত। যে কারো সাথে প্রকাশ্যে গড়া যায় সেক্সুয়াল রিলেশান। তাদের অবজ্ঞা করার সাহস কারো নেই। বরং প্রভাবশালী প্রগতিশীলদের কাছে এরাই সুশীল সমাজের সনদধারী সদস্যা, অত্যাধুনিক বাঙ্গালী ললনা। কিন্তু এখনো কী নারীরা তাদের সমান অধিকার ফিরে পেয়েছে আদৌ?
তাসের আড্ডায়, মদ জুয়ার আসরে পুরুষের মতো নারীদের প্রকাশ্যে উপস্থিতি নেই কেন এখনো? ইভটিজিংয়ের নামে ছেলেদের হাতে উত্যক্তের শিকার মেয়েরা, কিন্তু মেয়েদের উত্যক্তের শিকার ছেলেরা নয় কেন আজো? এখনো অবাধে পুরুষের হাতে ধর্ষন হচ্ছে নারীরা, তবে নারীদের হাতে পুরুষ কেন ধর্ষন হচ্ছেনা? সমান অধিকারের ক্ষেত্রে নারী কেন তবে পিছিয়ে থাকবে পুরুষের চেয়ে? ঘরে- বাইরে নারীদের আধিপত্য এখনো ততটা চোখে পড়ার মতো নয়। তবে আর বেশি দুরে নয়, এসকল স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথ ধরেই এগুচ্ছেন আমাদের সুশীল সমাজের প্রগতিশীল মেম্বারগন। আর এ জন্য সর্বাত্মক সহযোগিতায় সদা উদগ্রীব এবং আন্তরিক আমাদের মহামান্য সরকার। অচিরেই চিরচেনা সহজ সরল বাঙ্গালী ললনা প্রবেশ করবে অধিকার, অত্যাধুনিকতা এবং পূর্ণ স্বাধীনতার স্বর্গরাজ্যে। যেখানে ড্রিমগার্ল, কলগার্লদের কদর সবচেয়ে চড়া সবখানে। যেখানে ঘোমটা মাথায় দিলে 'বাঙ্গালী' লাইসেন্স বাতিল করে তাকে সমাজচ্যুত করা হবে। যেখানে বিয়ে ব্যাতিত নারী- পুরুষের লিভটুগেদার হবে সম্পূর্ণ বৈধ এবং সম্মানজনক। ক্রমাগত নারীরা মডার্ন হবে, চাইলেই পছন্দের যে কারো কাছে নিজেকে হট, ইয়ামী, আর ভোগের পণ্য করে জীবনটাকে সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে উপভোগ করতে পারবে তারা। সহস্র অভিনন্দন সেই সকল প্রগতিশীলদের যারা এমন একটি সমাজ বঙ্গ ললনাদের উপহার দিতে চলেছেন। সেই সাথে সাধুবাদ জানাই আমার মহামান্য সরকারকে যিনি তাদের মস্তিষ্কের উর্বরতার জন্য সর্বদা সার ঢেলে চলেছেন। এখন শুধু দু চোখ ভরা স্বপ্ন নিয়ে অপেক্ষার পালা। ডিজিটাল হবে দেশ। অধিকার, আধুনিকতা আর স্বাধীনতার বলে বলীয়ান হবে আমাদের নারীসমাজ। তবে কেন জানি ভয় জাগে মনে, এসব স্বপ্নের পূর্ণতা চোখে দেখার আগেই ঘরে ঘরে তৈরী হওয়া নতুন কোনো ঐশীর হাতে নির্মম ভাবে প্রাণ দিতে হবেনাতো আজকের স্বপ্ন উদ্যোক্তাদের! যাই হোক, একটাই শুভকামনা, এ ধারার উন্নয়ন যেনো অভিসম্পাত না হয়ে আশির্বাদ হয়ে উঠুক অন্যকোনো ভাবে আমাদের জন্য।
বিষয়: বিবিধ
১৭০৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন