শাপলা চত্বরে হতাহতের সংখ্য নিয়ে বিভ্রান্তি
লিখেছেন লিখেছেন নাকিব ০৮ মে, ২০১৩, ০২:২৪:৩৫ দুপুর
।আমার অফিস দিলকুশায় এবং বাসা শাপলা চত্বরের অতি নিকটে। ৫ই মে অফিস শেষে সন্ধায় বাসায় ফিরি। বাসায় ফেরার সময় হেফাজতের সমাবেশের মধ্য দিয়ে ফিরতে হয়েছে অত্যন্ত আস্তে ধীরে। এশার নামাজ শেষে আবারও শাপলা চত্বরের দিকে এসেছিলাম দুটো কারনে প্রথমত নিয়মিত হাটার অংশ হিসেবে দ্বিতীয়ত শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশ দেখতে। বাসায় ফিরি ১০ টার কিছু ক্ষন পূর্বে। রাতের খাওয়া শেষে টিভি টকশো দেখি রাত ১২ পর্যন্ত। এর পর শুয়ে পড়ি। হঠাত্ ঘূম ভাংগে রাত আড়াইটার পরে বিকট শব্দে। ঘূম ভাংগার পরে ফজরের আযান পর্যন্ত যে ভয়ানক শব্দ এবং মানুষের আর্তনাদ শুনেছি শাপলা চত্বরে তা জীবনে ভুলতে পারব কিনা তা জানিনা। হয়তোবা আজীবন বয়ে বেড়াতে হবে এই ভয়ংকর স্মৃতি।
৫ই মে দিবাগত মধ্য রাতে (কালো রাতে) শাপলা চত্বরে কি ঘটে ছিল, কি পরিমান ধর্মপ্রাণ মানুষ নিহত হয়েছে বা আহত হয়েছে তা জানেতে সারা জাতি উদগ্রীব হয়ে আছে। এমতাবস্থায় সরকারের উচিত্ প্রকৃত তথ্য জাতি কে জানানো। যাতে করে বিভ্রান্তির অবসান হয়। সরকার যদি তা না করে তাহলে নিহতের সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি আরো বাড়বে। শেষ পর্যন্ত নিহতের আনুমানিক সংখ্যা কোথায় গিয়ে দাড়াবে তা মহান আল্লাহ তায়ালাই ভাল জানেন।
বিরোধী দল গুলো হেফাজতের পাশে দাড়ানোর কথা বলে তাদের কে বিপদে ফেলেছেন কিন্তু পাশে দাড়ান নি। তারা পাশে দাড়ানোর কথা না বল্লে হয়তবা হেফাজতে ইসলাম এত বড় বিপদে নাও পড়তে পারত। কাউকে সাহায্য করতে চাইলে ঘোষনা দেয়ার প্রয়োজন হয় না। আন্তরিকতার সাথে নেমে গেলেই হয়। আমাদের রাজনীতিবিদদের অভ্যাস হলো উপকারের চেয়ে প্রচার বেশী করা এবং রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের চেস্টা করা।
হেফাজতে ইসলামের উপর ৫ই মে দিবাগত মধ্য রাতে (কালো রাতে) শাপলা চত্বরে (শহীদ চত্বরে) সরকার কর্তৃক যে বর্বরোচিত, মানবতা বিবোর্জিত হত্যা কান্ড ঘটেছে তার নিন্দা জানানোর ভাষা আমাদের জানা নেই। দুনিয়ায় এর বিচার পাব কিনা জানি না। তবে আল্লাহ এর উপযুক্ত বিচার দুনিয়ায়ও করবেন এবং আখেরাতেও করবেন এ বিশ্বাস আমরা দৃঢ়ভাবে পোষন করি। হেফাজতে ইসলাম পূনরায় ঘূরে দাড়াবে এবং তাদের নিহতের সঠিক সংখ্যার বিস্তারি তালিকা তারা প্রকাশ করবে এটা আমরা আশা করি।
বিষয়: বিবিধ
১৬৩৪ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন