মুসলমানদের নতুন ফ্যাশনঃ ইসলামকে নিয়ে হাসি-তামাশা করা আস্তিকেরা কি করছি?
লিখেছেন লিখেছেন ডঃ আবুল কালাম আজাদ ১৩ মার্চ, ২০১৩, ০৪:০৮:৪৬ রাত
পশ্চিমাতে যখন আল্লাহ, রাসূল ও ইসলামকে নিয়ে প্রকাশ্যে হাসি তামাশা করা হয় তখন মুসলিম বিশ্বে ইসলামের প্রতি দরদের বন্যা বয়ে যায়। পশ্চিমাদের কুশপুত্তলিকা পোড়ানো, দূতাবাস জ্বালিয়ে দেওয়ার মতও ঘটনা তারা ঘটিয়ে ফেলেন।
কিন্তু বাংলাদেশের মত ইসলাম প্রিয় দেশেই আজ দিন-দুপুরে প্রকাশ্যে ইসলামকে নিয়ে মারাত্মকভাবে হাসি-তামাশা করা হচ্ছে। অথচ লাখো লাখো মুসলমান তা বিনা প্রতিবাদে সয়ে যাচ্ছেন। আমি কোন প্রকার জ্বালাও-পোড়াও জাতীয় প্রতিবাদের পক্ষে নই।
আমাদের প্রতিবাদের ভাষা হবে রাসূলুল্লাহ (স) ও তাঁর সাহাবায়ে কেরামের দেখানো পথ অনুযায়ী। আমাদেরকে বুঝতে হবে কেন মুসলমানের ছেলে-মেয়েরাই আজ নাস্তিক হয়ে যাচ্ছেন।
যারা করছেন তারা এক শ্রেনীর নামধারী মুসলমান অথবা নব্য নাস্তিক। মুসলমান ঘরে জন্ম নিয়েও তারা আল্লাহতে বিশ্বাস করেন না। কারণ, তারা ইসলামের মহান শিক্ষার আলো পাবার আগেই নাস্তিকতার দিক্ষা পেয়ে গিয়েছেন জ্ঞান পাপী গুরুদের কাছ থেকে। তাই, নিজেদেরকে ভালো নাস্তিক হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করার জন্যে তারা প্রকাশ্যে ইসলামকে নানা রকমের উপহাস করেন।
আর এটা এখন এক শ্রেনীর যুবকদের কাছে একটা ফ্যাশন হয়ে গিয়েছে।
এটা তাদের চরম বুদ্ধিবৃত্তিক দৈন্যতার কারণে হয়। আর হয় আমাদের মত ঘরকুনো আস্তিকদের নাকে তেল দিয়ে ঘুমানোর কারণে। কিছু লোক এমন আছেন কার ইসলাম কত ভালো তা তুলনা করার মত 'মহান' কাজে নিয়োজিত আছি। ইসলামকে সবার কাছে সুন্দর করে উপস্থাপনা করার কাজ না করে একে অন্যের চৌদ্দগোষ্ঠী উদ্ধারের কাজে ব্যস্ত আছি। এর ফাকে হাজার হাজার যুবক-যুবতীরা ইসলামের আলো থেকে একেবারেই দূরে সরে গিয়েছেন। আসলে, ইসলাম সম্পর্কে তাদের তেমন ধারণা নেই। যাও ধারণা আছে, তা বিকৃত আকারে।
অন্য মুসলমানদেরকে ডুবানোর আগে আসুন আমরা সবাই মিলে ডুবন্ত ইসলামকে রক্ষা করি।
যারা ইসলামকে নিয়ে অজ্ঞতার কারণে উপহাস ও হাসি তামাশা করছেন তাদের কাছে ইসলামের আসল শিক্ষা ও রূপকে তুলে ধরি। ইসলাম সম্পর্কে তাদের যত কঠিন প্রশ্নই থাকুক না কেন তার সন্তোষজনক উত্তর দেওয়ার মত বিজ্ঞ অনেক লোকই আমাদের মাঝে আছেন। আমরা মিলে মিশে সে কাজগুলোই করি। এটাই হবে আমাদের দীর্ঘ মেয়াদী আসল প্রতিবাদ।
কাফিরকে মেরে ফেলা আমাদের প্রতিবাদ নয়, বরং কাফেরদেরকে খাটি মুসলমান বানানোই আমাদের বড় 'প্রতিবাদ' ও সফলতা। কাফির অবস্থায় ওমর (রা) কে মেরে ফেললে মানব ইতিহাসে এমন মহান শাসক আমরা তো আর পেতাম না।
===========্ আগের লেখা ছিলঃ [b]টংগী-মগবাজার-শাহবাগ ও গুলিস্তানের আল্লাহ কি আলাদা আলাদা? Click this link
বিষয়: বিবিধ
১৮২০ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন