ইমামের দামঃ এক ঘন্টা বক্তৃতা ফি সাড়ে ৩ লাখ টাকা

লিখেছেন লিখেছেন ডঃ আবুল কালাম আজাদ ২৩ জুলাই, ২০১৫, ০৩:৩৫:৩৫ দুপুর

আমাদের সমাজের কিছু ফালতু লোকের মুখে শুনিঃ যার নেই কোন গতি, সে করে ইমামতি। অথচ, হাদীস অনুযায়ী- একজন ইমাম হলেন রাষ্ট্রপ্রধান অথবা রাষ্ট্রপ্রধানের প্রতিনিধি। একজন ইমামের নেতৃত্বে যত লোক নামায আদায় করবেন, তাদের সকলের নামাযের সমান সাওয়াব সেই ইমাম পাবেন।

তাই, একজন ইমাম হওয়া গতিচ্যুতি নয়, বরং পরম ভাগ্যমতি।

ইউরোপে কোন কোন ইমামের একঘন্টা বক্তৃতা শুনতে লোকেরা ২০ পাউন্ডের টিকেট কিনে থাকেন।

আয়োজকেরা প্রতি ঘন্টা বক্তৃতার জন্যে দিয়ে থাকেন সাড়ে তিন লাখ টাকা থেকে পাঁচ লাখ টাকা। তারপরও ইমামের বুকিং নিতে হলে কমপক্ষে ছয় মাস অপেক্ষা করা লাগে।

ইমামদের দাম আছে তাদের কাছে, যাদের কাছে আল্লাহ-রাসূল (স) এর দাম আছে। ইমাম (আলেম)রা হলেন নবী-রাসূলের প্রতিনিধি।

যারা ইমামদেরকে অবমূল্যায়ন করেন তারা আসলে তাদের নিজেদের জ্ঞান ও ইমানেরই অবমূল্যায়ন করেন।

আমার আগের লেখা ছিলোঃ মহান মা ও বৌদের ঈদঃ ভেবে দেখেছেন?

বিষয়: সাহিত্য

২৪৯৯ বার পঠিত, ২২ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

331284
২৩ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০৩:৪০
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : কিন্তু স্যার এটা কি জায়েজ??
তবে আয়োজক রা মনে হয় নিতে পারবে আয়োজন এর খরচ এর জন্য। যদিও আমাদের দেশের ওয়ায়েজ রা বেশ পরিমানেই নিয়ে থাকেন।
২৩ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০৩:৪২
273520
ডঃ আবুল কালাম আজাদ লিখেছেন : সম্মানী নেওয়া না জায়েজ নয়, যদিও না নেওয়া ভালো। দাবী করে নেওয়াটা ঠিক নয়।
331286
২৩ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০৩:৪১
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : সব ইমাম কিন্তু সমান নয়। কিছু কিছুর কারণে বাকিদের ইজ্জতহানী হয় মাত্র।

তবে মানির মান আল্লহা রাখেন। আর আল্লাহইতো যাকে ইচ্ছা সম্মানদেন যার কাছেথেকে ইচ্ছা সম্মান কেড়ে নেন।

আল্লাহ সকল ইমামদের সঠিক পথে পরিচালিত করুন আর তাদের মাধ্যমে আমাদেরও উপকার করুন আমীন।
২৩ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০৩:৪৬
273525
ডঃ আবুল কালাম আজাদ লিখেছেন : এক ইমামের কারণে হাজার ইমামের সম্মান নষ্ট করা যাবে না। ভন্ড ডাক্তার তো কত দেখলাম, তাই বলে ডাক্তার সমাজকে আমরা ঢালাওভাবে ভন্ড বলব?
২৩ জুলাই ২০১৫ বিকাল ০৪:৩৫
273530
জ্ঞানের কথা লিখেছেন : রুগী মরে গেলে তার পরে ভন্ড ডাক্তার প্রমানিত হয়ে লাভনেই। তেমনি ইমান হারা হয়ে মরে গেলে তার পরে ভন্ড প্রমানিত হলে মৃতের লাভ নেই।

সঠিক ইমাম চেনার আগে ভন্ডইমাম চেনা উচিত বলে আমি মনেকরি।
331290
২৩ জুলাই ২০১৫ বিকাল ০৪:১৮
চাটিগাঁ থেকে বাহার লিখেছেন : অনেক ইমাম হক্ক কথা বলেননা। অর্ধশিক্ষিত বেনামাজি মসজিদ কমিটির লোকদের তোষামোদ করেন নিজের চাকরি ঠিক রাখার জন্য। এটি বাংলাদেশকে ইসলামি আখলাখের দিক দিয়ে দিন দিন পিছিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।
২৩ জুলাই ২০১৫ বিকাল ০৪:২৬
273529
ডঃ আবুল কালাম আজাদ লিখেছেন : যে কেউ ইচ্ছা করলেই ইমাম হতে পারেন। যারা সত্য কথা বলেন, তারা কেন ইমাম না হয়ে শিল্পী হয়ে বসে থাকবেন? মিথ্যাবাদী ইমামকেই বা আমরা কেন বাদ দিই না?

বাহার ভাই, অনেক দিন পর!! মন্তব্যের জন্যে অনেক অনেক শুকরিয়া।
331294
২৩ জুলাই ২০১৫ বিকাল ০৫:৩৭
আব্দুল গাফফার লিখেছেন : খুব ভালো লাগলো পড়ে । অনেক ধন্যবাদ
২৩ জুলাই ২০১৫ বিকাল ০৫:৩৮
273537
ডঃ আবুল কালাম আজাদ লিখেছেন : Happy
331297
২৩ জুলাই ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:১৪
দুষ্টু পোলা লিখেছেন : ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ
২৩ জুলাই ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:২৬
273540
ডঃ আবুল কালাম আজাদ লিখেছেন : সুযোগ থাকলে ইমামতিটা নিয়মিত করবেন। দুষ্টুমি কমে যাবে।
331313
২৩ জুলাই ২০১৫ রাত ০৮:২১
শেখের পোলা লিখেছেন : সব ইমামরাই প্রকৃত ইমামের যোগ্য নন৷ প্রকৃত ইমামই রসুল সঃ এর প্রতিনিধি হতে পারেন, হতে পারেন সমাজের মাথা৷ তেমন করেই তাদের প্রশিক্ষন ওয়া ও তাদের যোগ্য হওয়া দরকার৷ধন্যবাদ৷
২৪ জুলাই ২০১৫ রাত ০৪:৩৫
273594
ডঃ আবুল কালাম আজাদ লিখেছেন : Happy
331338
২৪ জুলাই ২০১৫ রাত ০২:১৯
মিনহাজুল ইসলাম মোহাম্মদ মাছুম লিখেছেন : ভাল লাগলো স্যার..ধন্যবাদ...
২৪ জুলাই ২০১৫ রাত ০৪:৩৫
273595
ডঃ আবুল কালাম আজাদ লিখেছেন : Happy
331365
২৪ জুলাই ২০১৫ দুপুর ১২:৩৫
দ্য স্লেভ লিখেছেন : কারো উদ্দেশ্য যদি হয় ইসলাম প্রচার করা এবং আল্লাহর দ্বীনকে প্রতিষ্ঠা করা,তাহলে এটা তো তিনি আখিরাতের জন্যে করবেন। এটার বিনিময় হিসেবে টাকা গ্রহন তার ক্ষেত্রে কেমন হল !! তবে কি ইসলামের বক্তৃতা বা কুরআন সুন্নাহ ভিত্তিক বক্তৃতাই তাদের প্রফেশন ??

সূরা বাকারায় একটি আয়াত পড়েছিলাম...যারা আমার আয়াতের বিনিময়ে তুচ্ছ মূল্য গ্রহন করে,তারা তাদের পেটে আগুন ছাড়া আর কিছু ঢুকায় না। ---এটা কাদের উদ্দেশ্য নাজিল তা আমার জানা নেই..আল্লাহই ভালো জানেন।
২৪ জুলাই ২০১৫ দুপুর ০৩:৩১
273624
ডঃ আবুল কালাম আজাদ লিখেছেন : তবে কি ইসলামের বক্তৃতা বা কুরআন সুন্নাহ ভিত্তিক বক্তৃতাই তাদের প্রফেশন ??
হা
২৪ জুলাই ২০১৫ রাত ১০:০৬
273716
দ্য স্লেভ লিখেছেন : হাদীয়া নিতে অবশ্য দোষ নেই,সেটা যত টাকা হোক না কেন। বাইরের দেশের স্কলারদের আচরনে অবশ্য সন্দেহ করার কিছু দেখীনা। তবে দেশের অনেক হুজুরদের কারবার ভিন্ন।
331539
২৫ জুলাই ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৩৫
আহমদ মুসা লিখেছেন : ভারতীয় উপমহাদেশে বিশেষ করে বাংলাদেশের জাতীয় পর্যায়ের হাতে গোনা কয়েকটি মসজিদের ইমাম (অবশ্য খতীব বললে সামাজিকভাবে কিছুটা বেশী মান-মর্যদা পাওয়া যায়) ছাড়া বেশীর ভাগ মসজিদের ইমাম নিয়োগ দেয়া হয় ব্যক্তিত্বহীন, ক্ষেত্র বিশেষে দ্বীনি ইলম হাসিলে যেমন দরিদ্র তেমনি তা বিতরণের ক্ষেত্রে চরম কৃপন স্বভাবের মানুষকেই। আমাদের মসজিদগুলোই হয়ে গেছে শুধু মাত্র দৈনিক পাচঁ নামাজ এবং সাপ্তাহিক জুমআহ'র নামাজ আদায়ের কিছু ব্যবহারিক এবাদত বন্দেগী উৎযাপনের পবিত্র স্থান হিসেবে। অথচ মসজিদ শুধুমাত্র নামাজ আদায়ের জায়গা নয় বরং নামাজ প্রতিষ্ঠার প্রেক্টিক্যাল ফিল্ড! সমাজের নিয়ন্ত্রক ও প্রভাবশালী ব্যক্তিরা সমাজের উপর থেকে মসজিদের নিয়ন্ত্রণ ও প্রভাব নিজেদের হাতে নিয়ে নিয়েছে। ফলে ইমামরা প্রভাবশালীদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়াতে নিজেরা স্বকীয়তা হারিয়ে প্রভাবশালীদের খায়েশ ও ইচ্ছা পূরণের একেকটা হাতিয়ারে পরিনত হয়ে যায়। ইসলাম সম্পর্কে বেসিক ধারণা রাখে না এমন সাধারণ মুসলমানকের কাছে আজ পরিচিত হয়ে উঠেছে ইমাম বলতেই শুধু মাত্র মসজিদে যিনি নামাজ পড়ান তিনিই। অথচ ইসলামী সমাজ ব্যবস্থায় ইমামের সংজ্ঞা ও ক্যারেক্টার এমন হওয়ার কথা ছিল না। ইমাম যিনি হবেন তিনি পুরো একটা সমাজের নেতৃত্ব দেয়ার যোগ্যতা যেমন থাকতে হবে তেমনি তার মধ্যে দ্বীনি ইলমের মাহারতের পাশাপাশি তা বিতরণের ক্ষেত্রেও ডাইনামিক কোয়ালিটি অর্জন করতে হবে। ইসলামের সোনালী যুগে ইসলাম প্রচারের মিশন ও ভিশন নিয়ে পড়াশুনা করলে তো আমরা সে রকম ইতিহাসের ইংগিতই পাই। এমন যোগ্যতাসম্পন্ন ব্যক্তি মাত্রই খুবই ব্যস্ত এবং তার প্রতিটি মুুহুর্ত, সময় কাজকর্ম খুবই মূল্যবান। এমন ব্যস্ত ও মূল্যবান ব্যক্তিকে তো যথাযত মূল্যায়ন করতেই হবে। যদি মানুষের তৈরী আদালতে দাড়িয়ে নিজের মক্কেলের পক্ষে যুক্তি দাড় করাতে গিয়ে দু'চারটি বাক্য আউড়ানোর জন্য দু'লক্ষ টাকার চেয়েও বেশী ফি দিতে হয় তবে যিনি আল্লাহর আদালতের ফায়সালা তার বান্দাদের কাছে পৌছানোর মহান দায়িত্ব নিয়ে ইমামত্ব করার যোগ্যতা অর্জন করেছে তার জন্য এক ঘন্টা বক্তৃতা ফি তিন লাখ টাকা তেমন বেশী বড় এমাউন্ট বলে মনে হয় না।
২৬ জুলাই ২০১৫ রাত ০৪:৪৬
273884
ডঃ আবুল কালাম আজাদ লিখেছেন : আপনার কথার সাথে দ্বিমত করার উপায় নেই। অনেক শুকরিয়া।
১০
331541
২৫ জুলাই ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৪১
গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি লিখেছেন : আমাগো দ্যাশে ইমামের চেয়েও আমামের কথার ক্বীমত বেশী!!
২৬ জুলাই ২০১৫ রাত ০৪:৪৭
273885
ডঃ আবুল কালাম আজাদ লিখেছেন : হুম, রমজানে কি গ্যাঞ্জাম বন্ধ ছিলো? কেমন আছেন?

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File