শায়তান কর্তৃক 'হেদায়েত' প্রাপ্ত এক মিষ্টি চোর

লিখেছেন লিখেছেন ডঃ আবুল কালাম আজাদ ১১ এপ্রিল, ২০১৫, ০৪:১৮:১০ রাত

আজকের শিরোণামটা একটু বিদ্ঘুটে। তবে এর ঘটনাটা খুবই মজার। শুনুনঃ

বেচারার হার্টের বাইপাস সার্জারী হয়েছে। তাই, মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া তার একেবারেই নিষেধ। অথচ, তিনি এখনো মিষ্টির একজন খাটি 'পোকা'। আর ভাবীও এ ব্যাপারে খুবই কঠোর। কোন ক্রমেই তাকে মিষ্টি খেতে দিবেন না। নিষেধ তো অনেক কিছুই থাকে। তাই বলে তা মানে কয়জন? আমাদের এই মিষ্টি পোকা ভাইও নিষেধ যথারীতিই অমান্য করেন।

বাসায় এক মেহমান মিষ্টি এনেছেন। তা দেখে ভাইয়ের জিহবায় পানি এসে যায়। খুবই আশা নিয়ে আছেন- আজ এক ফাঁকে মনের মাধুরী মিশিয়ে মিষ্টি 'চুরাবেন'।

ভাবী আবার কি এক কাজে বাইরে চলে যাবেন। মিষ্টির দিকে তাকিয়ে ভাই ভাবীকে তাড়াতাড়ি গুছিয়ে নিয়ে যেতে বললেন।

আর তাকিয়ে দেখেন এক নিমিষেই মিষ্টির বক্সটা হাওয়া হয়ে গিয়েছে। ভাই সন্দেহ করলেন- ওটা কি তাহলে ডাস্টবিনে ফেলে দিলো। তিনি সংগোপনে ঘরের, বাথরূমের ও কিচেনের ময়লার ঝুড়িগুলো চেক করে এলেন। নাহ, কোথাও তা পাত্তা নেই।

ভাবী চলে গেলেন। ভাই তার মুখ ও মন ভারী করে নামাযে দাড়ালেন। নামাযে দাঁড়িয়েও মনটা পাগলের মত হয়ে উঠলো, মনোনিবেশ করতে পারছেন না। শায়তান মনটা মিষ্টির দিকে টেনে ধরেছে। শায়তান এসে ঠিকই বলে দিলো মিষ্টি 'অমুক' জায়গায় আছে।

ভাই, তড়িঘড়ি করে নামায শেষ করেই শিকার ধরার মত ছো করে ছুটে গেলেন- ছোট বাচ্চার একটা খেলনার নিচে লুকিয়ে রাখা মিষ্টির বক্সটা পেয়ে গেলেন।

শায়তানের দিক নির্দেশনায় (হেদায়েতে) তিনি এই যাদুর ধনের সন্ধানটা পেয়ে গেলেন। আর মুখের রস মিশিয়ে মনের মাধুরী গলিয়ে যা পারলেন মিষ্টি খেয়ে নিলেন।

ভাবী ফিরে এসে মিষ্টি বক্স হাল্কা দেখে তো হতবাক!! কোন শয়তানের কাজ? চিল্লিয়ে উঠলেন।

আগের লেখা ছিলো আরেক শয়তানকে নিয়ে...

বিষয়: সাহিত্য

১৬৪৮ বার পঠিত, ১৯ টি মন্তব্য


 

পাঠকের মন্তব্য:

314204
১১ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ০৫:২৬
সালাম আজাদী লিখেছেন : আপনার বাসায় আমাকে মিস্টি খাওয়ায়ে আবার দিলেন নালিশ করে। সারা রাত আমাকে না খাইয়ে রাখা হবে। কি মজা যে উনার হবে!!!!
১১ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০১:১০
255224
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : চট্টগ্রামে চলে আসেন স্যার!!
মেজাবানি গোস্ত!!
১১ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০২:০২
255229
ডঃ আবুল কালাম আজাদ লিখেছেন : বিশিষ্ট গুণীজন ডঃ সালাম আজাদী আমার এই গল্পের নায়ক নন, তাহা আল্লাহর নামে সাক্ষ্য দিয়া বলিতেছি।
314210
১১ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ০৭:৪৬
গাজী সালাউদ্দিন লিখেছেন : আমি ছোট মানুষ, তবুও বলব, 'হেদায়েত' শব্দের পরিবর্তে 'প্ররোচনায়' লিখলে ভালো হতো, কেননা শব্দটির কোরআনের, আমাদের মাতৃভাষা নয় যে, অনুবাদ করতে গিয়ে ইচ্ছেমত ব্যবহার করলাম।

হুম , এটা চরম বাস্তবতাও, নামাজে দাঁড়ালেই কেবল অসম্পন্ন কাজগুলোর কথা বারবার মনে পড়ে, যা তাড়াতাড়ি নামাজ শেষ করতে তাগাদা দেয়, যা খুবি খারাপ, অনুশীলনের মাধ্যমেই কেবল মন কে নামাজে বিনয়ী হতে সহায়তা করবে।

ধন্যবাদ মজাদার পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
১১ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০২:০১
255228
ডঃ আবুল কালাম আজাদ লিখেছেন : গাজী ভাই, ঘটনার নায়কই বললেন যে শেষ পর্যন্ত শায়তান আমাকে নামাযের মধ্যেই পথ বাতলে দিলো- তাই কমা দিয়ে রূপক অর্থে উনার কথাটা অনুপ্রকাশ করেছি।
সাহিত্যে এ জাতীয় রূপকের ব্যাপারে কিছুটা শিথিলতা দিতে মনে আপনি আপত্তি করবেন না।
314220
১১ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ১০:৩০
গ্যাঞ্জাম খানের খোলা চিঠি লিখেছেন : কোথায় মু'মিন আর কোথায় শয়তান??? শয়তান লক্ষ লক্ষ বছর আল্লাহর এবাদত করলো, কোনদিন আল্লাহর সাথে শিরক করলো না। এমনকি শিরক হবে মনে করে আদমকে পর্যন্ত সিজদা করলো না। তার পরেও হেতে শয়তান!!!
আদম গুন্দম খাইয়া, হাওয়াই খাইলো, ভূলও করিল, আদমের সন্তানরা হর হামেশা শিরকী কাজকামে মশগুল থাকে। তার পরেও হেতারা মু'মিন!!!
ওস্তাদ! এসব চিন্তা কইরা তো মাথায় এক্কেবারে গ্যাঞ্জাম লাইগ্যা যায়!!
১১ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০২:০৫
255230
ডঃ আবুল কালাম আজাদ লিখেছেন : আদম সন্তানরা ঘুরে ফিরে আল্লাহর কাছে ফিরে আসে, কিন্তু শায়তান তো ঘাড় বাকা করে বসেই রইলো। আল্লাহকে কোন পাত্তা দিলো না। সমস্যা তো এখানেই।
হে যদি কইতো- আল্লাহ আমারে মাফ করে দিয়েন তাইলে তো একটা কথা ছিলো।
314226
১১ এপ্রিল ২০১৫ সকাল ১১:০৭
আশাবাদী যুবক লিখেছেন : বাস্তব এক সত্যকে তুলে ধরেছে, মুবারকবাদ৷
১১ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০২:০৭
255231
ডঃ আবুল কালাম আজাদ লিখেছেন : ধন্যবাদ, জনাব।
314234
১১ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ১২:০৭
দ্য স্লেভ লিখেছেন : আপনার ভেতর মিস্টির চাইতেও রস প্রবল। বিষয়টি জানা ছিলনা......আর নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি আদম সন্তানের যেন আগ্রহ বেশী HappyHappy
১১ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০২:০৮
255232
ডঃ আবুল কালাম আজাদ লিখেছেন : জানেন, উনি যখন এই গল্পটা বলছিলেন তখন আমরা খুব হেসেছিলাম, এখনো হাসছি.
314250
১১ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০১:০৮
রিদওয়ান কবির সবুজ লিখেছেন : রিযক দাতা আল্লাহ!!!
তাইলে মিষ্টির সন্ধান শয়তান দেয় কেমনে????
১১ এপ্রিল ২০১৫ দুপুর ০২:০৯
255233
ডঃ আবুল কালাম আজাদ লিখেছেন : এ কারণেই তো কেইসটা আপনাদের দরবারে নিয়ে আসা। ফয়সালা একটা দিন না।
314275
১১ এপ্রিল ২০১৫ বিকাল ০৫:৩৪
আহমেদ ফিরোজ লিখেছেন : অন্য রকাম হেদায়েত..... গল্পটা সুন্দর।
১৪ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৩:৪৮
255693
ডঃ আবুল কালাম আজাদ লিখেছেন : হা, খুব হেসেছিলাম।
314290
১১ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৬:৫২
আফরা লিখেছেন : ঠিক এরকম একটা ঘটনা আমার হয়েছিল ।একদিন বাহির থেকে বাসায় আসার পর আমার ব্যাংক কার্ড খুজে পাচ্ছি না । সারা বাসা খুজে খুজে হয়রান না পেয়ে কি আর করব ব্যাংকে ফোন করে কার্ড অফ করে দিতে বলি ও নতুন কার্ডের আবেদন জানাই ।

মাগরিবের নামাজে দাড়িয়েছি এক রাকাত শেষ এমন সময় মাথায় আসল আমি দোকান থেকে বিস্কিট কিনেছি বিস্কিটের ব্যাকেট রেখেছি রান্না ঘরের অনেক উপরের স্কুপে । তাহলে বিস্কুটের প্যাকেটের সাথে কি কার্ড ও । মাথা থেকে এটা কিছুতেই সরাতে পারছি না তাড়াহুড়া করে সালামটা ফিরিয়েই দৌড়ে নীচ তলায় রান্না ঘরে । স্কুপ খুলে দেখি ঠিকই বিস্কিটের প্যাকেটের সাথে কার্ড ।

আল্লাহ আমাদের শয়তানের অসওয়াসা থেকে হেফাজত করুন । আমীন ।
১১ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৮:০০
255291
দ্য স্লেভ লিখেছেন : একটা হাদীসে পড়েছিলাম নামাজে দাড়ালে শয়তান মনকে বিভ্রান্ত করে,আর এমন জিনিস মনে করিয়ে দেয় যা ভুলে গিয়েছিলাম....কষে কিক করা দরকার
314546
১২ এপ্রিল ২০১৫ রাত ০৯:০২
সন্ধাতারা লিখেছেন : আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহি ওয়া বারাকাতুহু শ্রদ্ধেয় ভাইয়া। দুই বড় ভাইয়ের খুনসুটি সবসময়ই ভীষণ উপভোগ্য এবং রসালো। ছোট কিন্তু মজাদার গল্পটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। দুই বন্ধুর মধ্যে এতো প্রগাঢ় ভালোলাগা, ভালোবাসা, মহব্বত এবং মজাদার উপভোগ্য খুনসুটি আমার জীবনের প্রথম অভিজ্ঞতা বলতেই হয়!
চমৎকার কাহিনীটি ফাঁস করে দেয়ার জন্য জাজাকাল্লাহু খাইর।
কেননা আপনার গল্পের রস মিষ্টির চেয়েও বেশী সুস্বাদু, মিষ্টি আর রসালো!!

১৩ এপ্রিল ২০১৫ সন্ধ্যা ০৭:৪১
255537
সালাম আজাদী লিখেছেন : আমি না। অন্য আরেকজন।

মন্তব্য করতে লগইন করুন




Upload Image

Upload File