..... মুসলমানদের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়াটা বরং আরো শংকার বিষয়।
লিখেছেন লিখেছেন ডঃ আবুল কালাম আজাদ ০৪ এপ্রিল, ২০১৫, ০৫:৪৮:৪৩ সকাল
খবর বেরিয়েছে যে ২০৭০ সালের দিকে ভারতে মুসলমানরা নাকি সংখ্যা গরিষ্ঠ হবেন এবং ধর্মতাত্ত্বিক সংখ্যার দিক দিয়ে দুনিয়ায় মুসলমানরাই হবেন বেশী।
এতে আমাদের মনে হয় খুশী হবার কিছু নেই। কারণ, ইসলামটা তো সংখ্যার বিষয় নয়; এটা হলো তাদের ইমান, আমলের বিষয় ও ইনসাফের বিষয়।
আজ আমাদের মধ্যে অনেক মুসলমান আছেন যারা হাসতে হাসতে আরেক মুসলমানের গলা কাটেন। যাদের হাত ও জিহবা থেকে আরেক মুসলমান একটূও নিরাপদ নন। এই ধরণের মুসলমানের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়াটা বরং আরো শংকার বিষয়।
মুসলমানদের সংখ্যা কম থাকুক; কিন্তু এমন মুসলমান হোক যারা আরেক মুসলমানকে নিজের ভাইয়ের মত বা তার চেয়ে বেশী আপন ভাববেন।
অমুসলমানরা তাদেরকে মনে করবেন শান্তি, আস্থা, ভালোবাসা ও নিরাপত্তার আধার।
আমরা চাই এমন মুসলমান যারা হবেন এই দুনিয়ার জন্যে রহমত ও করুণার ফল্গুধারা।
বিষয়: রাজনীতি
১৪০৪ বার পঠিত, ২৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
গুনতিতে মোরা বাড়িয়া চলেছি গরু-ছাগল এর মত!
আল্লাহ আমাদেরকে হেফাজত করুন।
ভাইয়া আপনার সাথে সহমত প্রকাশ করছি! মহান আল্লাহ যেন খাঁটি মুসলমানের সংখ্যাই বাড়িয়ে দেন, তারা যেন দুনিয়ার জন্য নিরাপত্তার চাদর!
আমিন ছুম্মা আমিন!
কালিমা বললেইতো মুসলমান হয়ে যাবে না, প্রকৃত মুসলমান হতে আল্লাহর নিকট পরিপূর্ণরূপে নিজেদে সপে দিতে হবে। সে দিক বিবেচনায়, সংখ্যা যতই হোক, কোয়ালিটি বাড়লেই কেবল বলা যাবে, মুসলমানরা সংখ্যাগরিষ্ঠ।
পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। আমাদের প্রত্যাশা তাই মুসলমান ভাই বোনদেরকে সংখ্যা গরিষ্ঠতার পাশাপাশি ইসলামী চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে সব ধরণের অন্যায় ও জুলুম নিষ্পেষণের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলে ন্যায়ের ঝাণ্ডা উড়িয়ে সর্বস্তরে ন্যায় ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করা।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
তবে মুুসলিম বাড়ার খবরে আমি অত্যন্ত খুশী।
সুন্দর বলেছেন।
কেউ ধারে কাটে, কেঊ ভারে কাটে। সংখ্যাধিক্য অভিশাপ নয়, আশীর্বাদ; - বিশেষ করে ‘ভোটের তন্ত্রে ! ‘ক্যানন-ফডার’ দেরও একটা প্রায়োগিক মূল্য রয়েছে! আর এই তথাকথিত ‘গলাকাটা মুসলিম’রা নিজেদের ভুল বুঝে তওবা করে নিলে - সমস্যার তো সমাধান হয়ে যাবে, নয় কি?
আপনার মতামতের জন্যে অনেক ধন্যবাদ।
আপনার মতামতের জন্যে অনেক ধন্যবাদ।
আমি চাই মুসলমানদের সংখ্যা ও বাতৃত্ব দুটোই বৃদ্ধি পাক ৷
ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন