আত্ম-সমালোচনাঃ আমার দর্শন আছে, নিদর্শন নেই
লিখেছেন লিখেছেন ডঃ আবুল কালাম আজাদ ২৫ ফেব্রুয়ারি, ২০১৫, ০৩:১৯:৪৪ রাত
আমার এক বন্ধু, যিনি আমার একজন খোলা তরবারীর মত সমালোচক, বরাবরের মতই আজ একটা বিষয়ে আমার চোখ খুলে দিয়েছেন।
কোন এক প্রসংগে তিনি আজ আমাকে বললেনঃ
আমার নাকি দর্শন আছে, কিন্ত দর্শনের নিদর্শন নেই।
তার মানে হলোঃ বিভিন্ন সময়ে আমি দর্শন দেই; কিন্তু আমার সেই দর্শনের বাস্তব নমুনা ও নিদর্শন নেই।
কথাটা হয়ত একেবারেই মিথ্যা নয়। একজন শিক্ষক হিসাবে আমার যা দেওয়ার সম্ভাবনা ছিলো, তার অনেক কিছুই দিতে পারি নি। এটার জন্যে কাউকে দোষ না দিয়ে নিজেই দায়-দায়িত্ব নিতে চাই।
বিজ্ঞানের দুইটি শাখা আছেঃ তাত্ত্বিক ও ফলিত। যারা তত্ত্ব দেন তাদের পক্ষে নিদর্শন রেখে যাওয়া সব সময় সম্ভব হয় না।
আর আমাদের মত ছাপোষা পেশালোভীদের দিয়ে বড় কিছু হয়ও না কোনদিন। যারা চাকুরীর দাস, তাদেরকে শুধু কিছু দর্শন দিয়েই ক্ষান্ত বা তৃপ্ত হতে হয়।
জীবনে বড় কিছু করতে হলে তার জন্যে নিবিড়মনে একাধারে কঠোর পরিশ্রম ও ত্যাগ করতে হয়। এরপর আল্লাহ তায়ালার কাছ থেকে বিশেষ অনুকম্পার আশা করা যায়। আমি তো বড় কোন ত্যাগ না করেই অনেক বড় কিছু পেতে চেয়েছি। যা একটা বিম্বিত বোকামী।
দর্শনের নিদর্শন তারাই রেখে যেতে পারেন যারা জন্মেছেন মহামানব হয়ে। আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি- আবুল কালাম আজাদ জন্মেছেন একজন অতি সাধারণ মানুষ হয়ে।
(হাসির জন্যে বলছি- তার মত একজন সাধারণ মানুষের কাছ থেকে কিছু দর্শন পাওয়াটাও তো সৃষ্টির এক অসাধারণ নিদর্শন। )
সকল অবস্থায় সকল প্রশংসা সেই মহামালিকের !!
বিষয়: সাহিত্য
১৫৭৮ বার পঠিত, ১৯ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আমাদের লেখা অন্যরা নিজেদের নামে ছাপিয়ে নাম ও পয়সা কামাচ্ছেন, জানেন?
ধন্যবাদ।
আপনাকে একটা সহিহ হাদীস শোনাচ্ছি। "আল্লাহ তার দয়ার এক ভাগ সকল প্রাণীকে দিয়েছেন।" আর সেই এক ভাগ দয়ার ক্ষুদ্র ভগ্নাংশের বহু নজির দেখে আমরা হতবাক হই। বিলিয়ন বিলিয়ন মানুষ আর অজস্র প্রানীকুলের দয়া কখনও কখনও বিভিন্ন ভিডিওতে দেখা যায়। অবাক হই্ এ সবই অতি ক্ষুদ্র ভগ্নাংশ...
এবার হাদীসটির শেষ অংশ শুনাচ্ছি। " আল্লাহ আখিরাতে তার দয়ার ৯৯% প্রকাশ করবেন।" সূত্র মনে করতে পারছিনা,তবে এটি বুখারী,মুসলিম অথবা প্রখ্যাত রেওয়ায়েতে এসেছে।
এবার মাথায় হাত দিয়ে আপনার ভাবার পালা। আপনি আল্লাহর দয়ার উপর নির্ভর করবেন কিনা সেটা আপনার বিষয়।
কাহিনী এই যে-আমি আল্লাহর উপর নির্ভর করে আপনার জান্নাতুল ফিরদাউসের বিষয়ে প্রার্থনা করেছি। এই পাপী বান্দাকে আল্লাহ তো কোনো এক সময়ে ভালবেসে তার দোয়া কবুল করে নিতে পারে। আল্লাহ সিদ্ধান্ত গ্রহনে একক। কোনো পাপীর দোয়াও আল্লাহ কবুল করেন,আবার অনেক আলিমের দোয়াও প্রত্যাখ্যাত হতে পারে।
তাইলে আমার জন্যেও দোয়া করেন,যাতে আল্লাহ আমাকে দুনিয়া,কবর,আখিরাত কোথাও শাস্তি না দিয়ে স্রেফ ক্ষমা করে দেন। আমি ক্ষমার যোগ্য না হলেও যেন বলেন-যা, তোকে মাফ করে দিলাম-আমি ৭ নং জান্নাতের দিকে অগ্রসর হলে,তিনি যেন আবার একটা ঝাড়ি দিয়ে বলেন-ওদিকে না, জান্নাতুল ফিরদাউসের দিকে যা.....আপনাকে সেখানে দেখে অখুশী হওয়ার কারন নেই।...
সকল ক্ষোভ মুছে ফেলুন। সোজা হয়ে দাড়ান। মাথা নত করুন আল্লাহর সামনে আর বলুন-আপনার পক্ষ থেকে যা কিছু পেয়েছি এবং পেলাম তা শুকরিয়ার সাথে গ্রহন করলাম। স্রষ্টার উপর সন্তুষ্ট থাকুন।
আমি বল্লাম, উনাকেই বলতে পারি বলেই তো দুনিয়ার মানুষ সেই কথা গুলো জানতে পারে........ভুল স্বীকার করতে কোন লজ্জা পাচ্ছিনে।
আপনার মন্তব্যের জন্যে অনেক শুকরিয়া।
আল্লামা ইকবালকে তৎকালিন গভর্নর শামসুল উলামা উপাধি দেওয়ার উপযুক্ত মানুষের কথা জানতে চাইলে তিনি তার শিক্ষক সৈয়দ মির হাসান এর নাম করেন। গভর্নর জানতে চান তার কোন গ্রন্থ আছে কিনা। আল্লামা ইকবাল জবাব দেন তার জিবন্ত গ্রন্থের নিদর্শন আমি।
এই ব্লগে আপনার লিখা পরে আমরা যারা উপকৃত হচ্ছি তারা আপনার নিদর্শন নয়কি!!!
জানি না, আমার কোন ইকবাল আবার এমন একটা উপাধি দিয়ে ফেলে !!
আসলে, প্রত্যেক মানুষই আল্লাহ পাকের একেকটা জীবন্ত নিদর্শন।
টেলিপ্যাথীর মাধ্যমে থিউরীটিক্যালী মানুষকে এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় পাঠানো যায় । প্র্যাকটিক্যালী কি তা দেখা যায় ?
মন্তব্য করতে লগইন করুন