লোকালাইজিং গ্লোবাল ইসলাম- বিশ্ব-ইসলামকে স্থানীয়করণ
লিখেছেন লিখেছেন ডঃ আবুল কালাম আজাদ ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০৫:৫১:৩৩ বিকাল
ইসলাম একটি বিশ্বজনীন ও আন্তর্জাতিক জীবন ব্যবস্থা। আপনি যে কোন দেশ ও এলাকার হোন না কেন আপনি এই ব্যবস্থা অনুযায়ী নিজের জীবনকে অত্যন্ত স্বাচ্ছন্দভাবে গড়ে তুলতে পারবেন।
এটা করতে গেলে জীবনের কিছু কিছু অভ্যাসগত দিক আছে যা হতে পারে আপনার একান্ত স্থানীয়। যেমন পোশাক, খাবার-দাবার-ভাষা-সাহিত্য ইত্যাদি। যে কারণে ইউরোপিয়ান মুসলমানদেরকে খাওয়া-দাওয়া ও পোশাক-আশাকে আরবীও হওয়া দরকার নেই।
আল্লাহ পাক একেক দেশ ও জাতি সৃষ্টি করেছেন এবং তাদের আছে নিজস্ব, খাওয়া-দাওয়া, বেশ-ভূষা-ভাষা ও ঐতিহ্য। ইসলামের ইমান-আক্বীদা ও অনুশাসন এক হলেও তাদের মধ্যে আছে অনেক বৈচিত্র। বৈচিত্রকে কোনদিন বৈপরিত্য ভেবে দুনিয়ার সকল মুসলমানকে পেপসিকোলার কৌটার মত এক হতে বলা হয়নি।
ইতিহাস সাক্ষ্য দেয় যে, যারা নিজেদের স্থানীয় ঐতিহ্য জলাঞ্জলী দিয়ে নিজের দেশেই অন্যদের মত হতে চেয়েছেন ইসলাম সেখানে স্থায়ী হয়নি। মুসলমানরা যেখানে স্থানীয় মাটি ও মানুষের ভাষা, শিল্প-সাহিত্য, খাওয়া-দাওয়া ও বেশ-ভুষায় বা সরাসরি সেখানকার কোন ধর্মের অংশ নয় এমন অনুষংগে মিশে গিয়েছেন সেখানেই তারা স্থায়ী হয়েছেন।
এর অর্থ এই নয় যে আপনি স্থানীয় হওয়ার জন্যে নিজের আক্বীদা-বিশ্বাস ও মৌলিক কর্মকে বাদ দিয়ে নয়, বরং সাথে নিয়েই তা করতে হবে। আমরা বাংগালী বলে মংগল প্রদীপ জ্বালিয়ে কিছু উদ্বোধন করা বা অনুষ্ঠান শুরু করাটা কিন্তু ইসলামের স্থানীয় করণের আওতায় পড়ে না। কারণ, এটা নিজ ধর্মকে বাদ দিয়ে অন্য ধর্মের কর্মকে প্রচলন হয়ে যায়।
বুঝতেই পারছেন- এটা একটা গভীর গবেষনার বিষয়। আশাকরি, কোন মেধাবী উৎসাহী গবেষক এ বিষয়ে গবেষনা করতে এগিয়ে আসবেন।
আগের লেখা ছিলোঃ আগামী ২০১৫ সালের মধ্যে বাংলাদেশের ৫ কোটি মানুষ খৃষ্টান হয়ে যাবেন?
বিষয়: আন্তর্জাতিক
১৪৪৯ বার পঠিত, ২০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনি সঠিক বলেছেন। এখন কেউ যদি সাইবেরিয়াতে গিয়ে আমাদের মত পাতলা পাজামা পাঞ্জাবী পরিধান করার জেদ ধরে থাকে, সেটাও যেমন ঠিক হবে না, তেমনি আমাদের নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে এসে মরুভূমির জন্য উপযোগী পোশাক পড়ার জন্য বাধ্য করলে, সেটিও ভুল হবে।
অনেক ভালো লাগলো আপনার লিখাটি।
শুভেচ্ছা রইলো নিরন্তর।
জাজাকাল্লাহু খাইর।
ইসলামী চিন্তাবিদেরাও গোলাম-টাইপ ছেলেদের কাছে মেয়ে বিয়ে দিতে আগ্রহী, কেননা তাদের ধারণা – ‘গোলামগুলো তাদের মেয়েদের পাখায় লইয়া উইড়া বেড়াবে’, আর এটাই নাকি জীবনের মানে!
তাই আমার মনে হয়, এগুলো আমাদের দ্বারা সম্ভব না! লীডস-অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটিরাই করবো ঐগুলা!
A PHP Error was encountered
Severity: Notice
Message: Undefined offset: 8870
Filename: views/blogdetailpage.php
Line Number: 764
ইসলাম আন্তর্জাতিক জীবন ব্যবস্থা হয় কি করে?? ইউরোপ, এমেরিকায় ইসলামের বহুবিয়ে, ক্রীতদাসপ্রথা, দাসী'দের সাথে সেক্স, যুদ্ধবন্ধি নারী ধর্ষন....... ইত্যাদি নিষিদ্ধ এবং শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
আপনি সেদিন উদাহরন দিয়েছিলেন বেশ কয়েকটি দেশের।
ইসলাম সম্পর্কে আমাদের মনোজগতের সমস্যাটা বুঝতে হবে।
ইসলাম,মুসলমান,সাহিত্য সাংস্কৃতি ইত্যাদিতে আমাদের তৈরী করা চিন্তাধারার স্বরুপটা বুঝতে হবে। আমার কাছে মনে হয় - এই কাজটা করতে হলে আলেম সমাজকে এগিয়ে আসতে হবে।নতুবা আবার নতুন করে ফিতনা,ফতওয়ার সয়লাব হবে।
আপনাকে অসংখ্য মোবারকবাদ।
এ ধরনের সমস্যার সমাধান কল্পে আমি মাঝে মাঝে 'ইসলামী মনোবিজ্ঞানী'(বা Islamic psychiatrist) খুঁজি। যারা ভিজিট নিবেন এবং আমাদের আত্মার, মনের, চরিত্রের, অভ্যাসের ত্রুটিগুলোর একান্ত চিকিৎসা করবেন।
আমি হয়ত সঠিক ধারণা রাখি না, তবুও বলি যে, মুসলমানদের মানসিক সমস্যার সমাধানে আলেম সমাজ যে ভূমিকা রাখেন, তা যথেষ্ঠ নয়। প্রশ্নের জবাবেই সব সমাধান লুকিয়ে থাকে না। থাকলেও সাধারণ মানুষ তা 'ছুঁতে' পারে না।
মন্তব্য করতে লগইন করুন