ডঃ সালাম আজাদীকে লেখা আমার ১৬ হাত লম্বা চিঠি এবং কিছু বঞ্চনা ও প্রেমের কথা
লিখেছেন লিখেছেন ডঃ আবুল কালাম আজাদ ০৯ সেপ্টেম্বর, ২০১৪, ০১:১০:১৪ দুপুর
আমি ছিলাম তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম বর্ষের ছাত্র, ১৯৯০ সালে। এস এম হলে দোতলায় মসজিদের ঠিক পাশের রূমে (৯০ নং?) থাকতাম। এক রূমে চারটি ছোট বেড ছিলো। কিন্তু আমরা থাকতাম মাত্র ১৪ জন। সব দলের ছেলেরাই সে রূমে থাকত।
আমাকে সেই রূমে অফিসিয়ালী দ্বৈতাবাসের অনুমতি দেওয়া হয়। এবং হল কর্তৃপক্ষ আমার হলের পরিচয় পত্রে একটা সীল দেয় যাতে লেখা ছিলোঃ "সহবাসের অনুমতি দেওয়া হইলো"।
এই পরিবেশে আমি মনে মনে চাইতাম- শুধু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ই নয়, এই দেশটা ছেড়ে চলে যাই।
১৯৮৫ সাল থেকে সালাম আজাদী আমার ক্লাসমেট। সে সেই সালে বৃত্তি নিয়ে চলে যায় রিয়াদে। আমাদের জন্যে তখন যোগাযোগের একমাত্র মাধ্যম ছিলো 'চিঠি'। সে রিয়াদ থেকে সৌদি আরবের চাকচিক্য নিয়ে চিঠি লিখতো আর আমি ঢাকার, বাংলাদেশের ও আমার কথা নিয়ে লিখতাম। একবার আমি এক সপ্তাহ সময় নিয়ে লম্বা কাগজের দিস্তা কিনে চিঠি লিখলাম এবং তা আঠা দিয়ে লাগিয়ে লম্বা করে দেখলাম মাত্র ১৬ হাত লম্বা হয়েছে। ওটা খামে করে তাকে রিয়াদে পাঠিয়ে দিলাম। ঔ চিঠি নাকি তার পড়তে লেগেছিলো ৪ দিন।
সেই চিঠিতে কি লিখেছিলাম আজ ২৪ বছর পর তা আমার মনে নেই। তবে, ডঃ সালাম আজাদী এবার বাংলাদেশে গিয়ে সেই চিঠিটি উদ্ধার করে এনেছেন। তার ছোটভাইয়ের বউ এতোদিন যত্নকরে চিঠিটা রেখেছিলেন।
আমার মনে হয়- এখানে আছে অনেক বঞ্চনার কথা, আছে অনেক প্রেমের কথা। আমিও চেয়ে আছি কবে সেই চিঠিটা আবার পড়ব।
আপনারাও কি তা পড়তে চান?
আগের লেখা ছিলোঃ কিভাবে মানুষের প্রকৃত ভালোবাসা পাবেন
বিষয়: সাহিত্য
৩৩৮৪ বার পঠিত, ৪৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
দুই আপন বন্ধু ড। ডিগ্রী অজর্ন করেছেন এটা একটা খুশী ও আনন্দের কথা। ব্লগ জগতে কদাচিত আপনাদের দেখতে পাই। আশা করি আপনাদের দুজন থেকেই মূল্যবান তথ্য উপাত্ত সমেত প্রতিবেদন পাব।
তো এখন দুজন এক জায়গায় হতে পেরেছেন তো! নাকি সেই আলাদা আজ অবধি অব্যাহত আছে? অনেক ধন্যবাদ
একদিন প্রকাশ করার ইচ্ছা আছে, তবে একটা অংশ পাবলিশ করা যাবেনা। ওখানে তার মত সুদর্শনকে পাওয়ার জন্য কিছু ললনার বাবাদের কাংক্ষার কথা কিন্তু আছে। ঐ সব বাবারা কিছুটা বিব্রত হবেন। কারন তারা এখন দেশের অনেক বড় কিছু........
খান ভাই, ড: সাহেবের বই আরেক খান উদধার করেছি, উনি জানতেন না ওটা কোথায় ছিলো। ইসলামের দৃষটি কোণে পাশচত্য সাহিত্য সনদরশন
বইটা ছাপনো দরকার।
আমি দুই লাইনের ফেইসবুক স্টাটাস দিতে মাঝে মাঝে সারাদিন ভাবি। তারপরও কত ভুল করি।
কম কথা সহজ করে লেখা কিন্তু আমার কাছেও অনেক কঠিন লাগে।
অনেক ধন্যবাদ।
কিভাবে সম্ভব? হ্যাঁ, ভালবাসা থাকলে সবই সম্ভব।
ব্লগবাসীকে জানানোর জন্য ধন্যবাদ।
এখনতো আমরা সবাই সাইবারবাসী হয়ে গেছি।
একটা লাইকেই ভালবাসা প্রকাশ করি!
ওস্তাদ! ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের সিল মোহরেও তাহলে গ্যাঞ্জাম!!!
কিন্তু ব্লগে এত কম লিখেন কেন? পত্রপত্রিকাতেওতো বেশি লিখেন না।
আশা করি সেই ঐতিহাসিক চিঠি টি প্রয়োজনে সম্পাদিত অবস্থায় পড়ার সেীভাগ্য হবে। ত্রিশ বছর আগে মানুষ এতবড় চিঠি লিখত সেটা এযুগের অনেকের ধারনার অতিত।আমাদের পরিবার ও আত্মিয় স্বজন দের মধ্যে আমিই শেষ প্রজন্ম যে চিঠি লিখেছে ও চিঠি পেয়েছে। আমার চাচাত ভাইবোন রা এই সেীভাগ্যের অধিকারি হয়নি। প্রসঙ্গত কয়েকদিন আগে পুরান বই ঘাটাঘাটি করতে গিয়ে ১৯৫০ সালের এক পয়সার ষ্ট্যাম্প লাগান একটি পোষ্টকার্ড আবিস্কার করি। আমার চেয়ে ছোট কেউই এর আগে পোষ্ট কার্ড দেখেনি!!!
মন্তব্য করার জন্যে অনেক ধন্যবাদ।
সারা জিবন ছাত্রছাত্রিদের বিনাপ্রশ্নে সব কথা মেনে নিতে দেখে কারও সামান্য যেীক্তিক সমালোচনা সহ্য হয়না।
ভালো লাগল পড়ে কারণ আমার এস এস সি পরীক্ষার সময় ও আমার বুক পকেটে আমার বন্ধুর চিঠি থাকত , বিভিন্ন কালারের চিঠির প্যাডে লিখা হত সেই চিঠি । তবে তা ৮ -১০ পাতার বেশী হত না । কিন্তু দুর্ভাগ্য পরবর্তীতে ভার্সিটি পড়ার সময় বাড়ীতে রাখা সেই চিঠি গুলো উই পোকায় খেয়ে ফেলেছে। আজ ও দুঃখ হয় সেই চিঠির জন্য।
পড়ার আগ্রহ থাকলো। যাইতুনে পড়বো ইনশাআল্লাহ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন