ইমানদারদের বেইমানীঃ যায়োনিস্টদের চেয়েও ভয়াবহ
লিখেছেন লিখেছেন ডঃ আবুল কালাম আজাদ ০৯ আগস্ট, ২০১৪, ০২:৫৫:০৮ দুপুর
আমাদের সমস্যা শুধু গাযা, বা ইরাক বা সিরিয়া নয়।
আমাদের সমস্যা অনেক। যেমনঃ
এই দুনিয়ার সবচেয়ে অসুস্থ, দূর্নীতিগ্রস্থ ও অব্যবস্থাপনাপূর্ণ দেশগুলোর তালিকায় মুসলমানদেশগুলো।
মানুষের ওপর নির্যাতন, বিনা বিচারে হত্যা-গুম মুসলিম দেশগুলোতেই।
অশিক্ষা-কুশিক্ষার পরিমাণ মুসলিম দেশগুলোতেই বেশী।
নোংরামী-নষ্টামীর পরিমাণ মুসলিম দেশগুলোতেই বেশী।
অন্যায়-অবিচার-জুলুম মুসলিম দেশগুলোতেই বেশী।
এগুলোর জন্যেও কি আমরা ইহুদী নাসারাদেরকে দোষ দিব?
এগুলোর জন্যে দায়ী আমাদের মুসলমান নেতা-শাসক ও সাধারণ জনগণের 'বেইমানী', পারস্পারিক বিভক্তি ও দায়িত্বহীনতা। এগুলোই আমাদেরকে সবচেয়ে বেশী ক্ষতি করছে ও ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
মুসলমানরা একসময় ছিলেন এই দুনিয়ার গর্ব- শ্রেষ্ঠ জাতি, সেটা হয়েছিলো বিশুদ্ধ ইমান ও আমলের কারণে, কোরআন-হাদীস অনুযায়ী জীবন চালানোর জন্যে।
আমরা আজ নিপতিত ইমানের আলো ও কোরআনের মৌলিক শিক্ষা ও চরিত্র থেকে দূরে সরে যাওয়ার জন্যেই।
তাই বলি-
ইহুদী-নাসারা-মুশরিক-নাস্তিকরাই নন, আমাদের নিজেদের 'বেইমানী' ও কোরআন বিমুখতাই আমাদের সবচেয়ে বড় শত্রু।
মুক্তি পেতে হলে ভেতরের শত্রুকেও জয় করতে হবে। খাটিভাবে কোর আন-সুন্নাহ'র পথে আসতে হবে ও লোকদেরকে ডাকতে হবে।
== শব্দার্থঃ 'বেইমানী' মানে বিশ্বাসঘাতকতা বুঝানো হয়েছে।
বিষয়: আন্তর্জাতিক
১৮০৩ বার পঠিত, ২৭ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আপনাকেও।
তার সাথে যোগ হয়েছে মুসলিম সমাজ চিন্তাবিদদের অদুরদর্শিতার যোগফল। আমরা যদি চিন্তা করি ভারতীয় উপমহাদেশে বৃটিশরা আসার আগে মুসলমানরাই জ্ঞান বিজ্ঞানে এগিয়ে ছিল। পরবর্তীতে বৃটিশকে তাড়ানোর পন্থা হিসেবে ইংরেজী চর্চার প্রতি নিষেধাজ্ঞা আরোপ অমুসলিরাই করেনি। আমেদেরই আকাবেরদের ফতোয়াই এক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছে। এর ফলে মুসলমানদের পরিনতি কি হয়েছে সবার জানা।
শুকরিয়া।
এক্ষেত্রে বাদ সেধে গ্যাঞ্জাম সৃষ্টি হয়েছিল মুসলিম অধ্যুষিত জনপদগুলোতে। মুসলমানদের কাছে যেহেতু একটি শক্তিশালী প্রতিরক্ষামূলক ঈমান নামক অস্ত্র আছিল সেহেতু শয়তানের কোন প্রতিনিধি এক্ষেত্রে সফল হওয়ার সম্ভবনা না থাকার কারণে স্বয়ং মহামতি শয়তান মশাই নিজেই দায়িত্ব নিয়েছেন মুসলিম দেশ ও জনপদে তার কার্যক্রম সফলভাবে পরিচালনার জন্য। যেহেতু শয়তান মশাইয়ের সরাসরি তত্বাবধানে মুসলিম দেশ ও জনপদ পরিচালিত হচ্ছে বর্তমানে সেহেতু প্রায় দেড়শকোটি মুসলিমের বর্তমানে কি অবস্থা তার সঠিক ধারণা পাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়েছে। এমন গ্যাঞ্জাম লেগেছে যে, সঠিক ডাটা পাওয়াও কারো পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না।
অন্যের ওপর দোষ চাপানোর আগে নিজেদের ওপর দোষ চাপাই।
কিন্তু আমার তো মনে হয় মুসলিমদের অতি কোরান ভক্তিই তাদের অধঃপতনের কারন। এই আপনারাই তো বলেন fasted growing religion. জুম্মার নামাজে মসজিদে মুসুল্লির ভিড় উপচেপরা। আল কায়দা, তালেবান, আইএসআই, হামাস, বোকোহারাম.....এরা কি ইসলামের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। যদি নিয়েই থাকে তো এই তালেবানদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে আমাদের টুডেব্লগে আপনি/আপনারা কয়টি পোষ্ট দিয়েছেন?? ফেসবুক, ব্লগ............ সবই তো ইসলাম আর ইসলাম। আপনি নিজেও খাঁটি কোরাণ ভক্ত। এরপরও বলবেন মুসলিমদের অঃধপতনের কার কোরাণ বিমুখতা?
মুসলমানরা আজ কোরান বিমুখ হয়ে গিয়েছে।
তালেবানদের বিরুদ্ধে সোচ্চার হবার আগে যারা তালেবান সৃষ্টি করেছিলেন তাদের কথা কেন বলেন না?
আর, পশ্চিমারা তো তাদের স্বার্থে দেখবেই। যেমন আপনি মুমিনের স্বার্থ ছাড়া অন্য কিছু বুঝেন্না। কিন্তু তার চেয়ে বড় কথা- পশ্চিমারা কিন্তু আপনার মত কোরান-হাদীস চর্চা করা মানুষ গুলোকেই তালেবান বানিয়েছে। ভিয়েৎনাম, উত্তর কোরিয়া থেকে লোক ধরে এনে তালেবান বানায় নি।
উত্তর দিন।
আমরা এমন হয়ে গেছি কোন একটা সংবাদ পেতেই সাথে সাথে গালাগালি শুরু করি যাচাই ছাড়াই। অথচ গালি দেয়া মুনাফেকের লক্ষণ। (বুখারী)
এমনও পোস্ট দেখলাম যেখানে সাউদি মুফতি সাহেবের কথা না বুঝেই তাকে "শায়তান" "মুনাফেক" "দালাল" আরোও বিভিন্ন খারাপ ভাষায় গালাগালি করেই চললো অনেক ব্লগার।
আফসোস হয় এরখম স্বল্পজ্ঞানী মানুষদের জন্য যারা ইসলামরে ই ও যানে না তবে গালাগালিতে ওস্তাদ। আর আমি নিশ্চিত এরাই মুনাফেক। কেননা হাদিস তার স্বাক্ষ্য দেয়।
জাজাকাল্লাহু খায়রানা শায়খ।
পুরাই হাস্যকর
এটা ভুল এবং সংশোধিত হওয়া দরকার।
মন্তব্য করতে লগইন করুন