অসুস্থ তাসলিমা নাসরিনের জন্যে দোয়া করা যাবে?
লিখেছেন লিখেছেন ডঃ আবুল কালাম আজাদ ১২ মে, ২০১৪, ০৭:২০:২০ সন্ধ্যা
আজ খবরে দেখলাম, তাসলিমা নাসরিন নাকি তার দেহে ক্যান্সারের আশঙ্কা করছেন।
Click this link
খবরটা দেখেই আমি- বললাম- আল্লাহ পাক তাকে সুস্থ করে দিন এবং মৃত্যুর আগে হেদায়েত দান করুন।
সাথে সাথে একজন বললেনঃ তার মত একজন সমস্যা সৃষ্টিকারী নাস্তিকের সুস্থতার জন্যে দোয়া করলেন?
আমি বললাম- আমাদের আল্লাহ, ইসলাম ও নবী (স) করুনার আধার। আমরা মুসলমানরা যে কারো সুস্থতার জন্যে ও হেদায়েতের জন্যে দোয়া করতে পারি। আমরা মুসলমান হয়েছি বলে মানবিকতা তো হারাই নি। রাসূলুল্লাহ (স) অসুস্থ অমুসলিমদেরকে দেখতে যেতেন, তাদেরকে হেদায়েতের পথে ডাকতেন। তিনি ও তাঁর প্রচারিত ইসলাম এতো মহান বলেই তো আজো আমরা সুখী ও গর্বিত মুসলমান। ইসলাম আমাদেরকে প্রকৃত ভদ্র ও অনুভূতিশীল মানুষ হতে শেখায়; নির্দয় হতে নয়।
আমি তাকে এ সম্পর্কে আরবিতে দেওয়া এই ভিডিও ক্লিপটা দেখালাম। আপনারা যারা আরবি জানেন দেখে নিন, দয়া করে।
আমি আবারো দোয়া করি- আল্লাহ পাক জনাবা তাসলিমা নাসরিনকে পরিপূর্ণ সুস্থতা দান করুন এবং মৃত্যুর আগে তাকে খাটি তওবা করে হেদায়েত পাবার সুযোগ দিন।
আমার আগে লেখা ছিলোঃ পশ্চিমা কুকুর ও সিরিয়ার মুসলিম শিশু
বিষয়: বিবিধ
৫৬৭৪ বার পঠিত, ৭৩ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
১ , হেদায়াতের জন্য দুয়াক্রা যাবে,
২ , অসুস্থতার জন্য দুয়া করা যাবে,
৩ , সব বিষয়ে দুয়া করা কুরআনের আয়াতে নিষেধ,
হা যদি আমরা তসলিমা নাসরিন কে না জানতাম তবে মুসলমান হিসাবে সব দুয়া করতে পারতাম,
যারা ঈমান আনার পর কুফরি করে তাদেরকে সব বিষয়ে দুয়া করা কুরআনে নিষেধ
এক বিংশ শতাব্দীতে এমন কয়েক জনের নাম বলুন যারা তাদের মেধা ও যোগ্যতা এবং লেখুনি ব্যবহার করে ইসলামবিরোধীতা প্রচার করেছে এবং পরে ইসলামের সেবকে পরিনত হয়েছেন ।
তবে এই উদাহরণে সুইজারল্যান্ডে মসজিদের মিনার বানানোর বিরোধীতাকারী এবং নেদারল্যা্ন্ডের ফিতনা ছবির পরিচালকের নাম বাদ যাবে । কারণ তাদের কাজ ও কর্মের মাধ্যমে ইসলামবিরোধীতার তেমন কিছু পাওয়া যায়নি । তারা বড়জোড় উগ্র জাতীয়তাবাদী এবং তাদের জাতীয়তাবাদের স্বার্থে ও দেশের সংস্কৃতির স্বার্থে ইসলামের কিছু প্রকাশ্য বিষয়কে তারা বিলীন করার চেষ্টা করেছিলো মাত্র । পরে তারা তাদের অবস্হান পরিবর্তন করে তাদের জাতীয়তাবাদী চিন্তা-চেতনা হতে তারা বিরত হন এবং মুসলিম হন ।
অপর দিকে তাসলিমা নাসরিন-সহ বাংলাদেশের সব নাস্তিক ইসলাম ও মুসলিমদের বিরোদ্ধে বরাবরই এমন কোন কাজ নেই তারা করেনি ।
যে ইসলাম সর্বাবস্থায় প্রগতিশীল তথা মোকাম্মিল, যে ইসলামের কেউ ক্ষতি করতে পারে না যাকে সংরক্ষণ করার ঘোষণা দেয়া হয়েছে লওহে মাহফুজে হেই ইসলামের অনুসরণ করেন। কোথাকার কোন বিপদগামী তেসলিমা নাচনী পুতুল কি কইলো হেইডা নিয়া খামোখা গ্যাঞ্জাম লাগানোর দরকার কি? পুতুল নাচের নওকরী করতে গিয়ে নিজের ক্ষতিই করেছে তেসলিমা নাচনী বেধম।
আমি যা বুঝিয়েছি তা ইসলামের ক্ষয় হিসেবে বুঝাই নাই। আপনার কথায় আমি সম্মতি জানাই ইসলামকে কেউ ক্ষয় করতে পারে না।
আমি বুঝাতে চাইছি, তার লিখনির মাধ্যমে অনেকে ইসলামকে ভুল বুজছে,ইসলাম সম্মন্ধ্যে খারাপ কথা বলছে ইত্যাদি.....এখন আল্লাহ জদি তাকে তওবা করার সুযোগ দেন আর তার লিখনি জাদি বলে যে আমি আগে যা করেছি তা ছিল ভুল তাহলে মাশাআল্লাহ অনেকের ভুল ভাঙবে এবং অনেকেই ইসলামের মধ্যে প্রবেশ করবে।
এই ধরনের উপকারের কথা আমি মিন করেছিলাম।
আমি যা বুঝিয়েছি তা ইসলামের ক্ষয় হিসেবে বুঝাই নাই। আপনার কথায় আমি সম্মতি জানাই ইসলামকে কেউ ক্ষয় করতে পারে না।
আমি বুঝাতে চাইছি, তার লিখনির মাধ্যমে অনেকে ইসলামকে ভুল বুজছে,ইসলাম সম্মন্ধ্যে খারাপ কথা বলছে ইত্যাদি.....এখন আল্লাহ জদি তাকে তওবা করার সুযোগ দেন আর তার লিখনি জদি বলে যে, আমি আগে যা করেছি তা ছিল ভুল তাহলে মাশাআল্লাহ অনেকের ভুল ভাঙবে এবং অনেকেই ইসলামের মধ্যে প্রবেশ করবে।
এই ধরনের উপকারের কথা আমি মিন করেছিলাম।
সবার জন্য দোয়া করাটা যদি ইসলামের নিয়ম হবে, তাহলে আল্লাহর রাসুল কুনুতে নাজেলাতে কিছু মানুষের জন্য বদ দোয়া করেছেন, সেটার কি ব্যখা হবে? তাহলে কি রাসুল (সাঃ) কাউকে বদদোয়া করে ভুল করেছন!
যারা জেনে বুঝে, স্বজ্ঞানে দ্বীনের বিরোধিতা করে,
যারা দ্বীন বুঝার পরেও আল্লাহকে গালাগালি করে করে,
যারা কফুরী করে আবার সেটা নিয়ে অহংকার করে,
যারা আল্লাহর রাসুলকে সজ্ঞানে অপমানিত করে,
তাদের জন্য দোয়া করা যায় না।
যারা সত্য অনুসন্ধান করে তবে না বুঝে দ্বীনের বিরোধিতা করে,
যারা কোনটা সত্য কোনটা মিথ্যা এটার দোলাচলে থেকে দ্বীনের বিরোধিতা করে,
যারা নিজের চিন্তাকে সত্য মনে করে রাসুলের চিন্তাকে ভ্রান্ত মনে করে দ্বীনের বিরোধিতা করে,
যারা আল্লাহ একজন আছে তবে নিজের অনুসৃত পন্থাই সঠিক মনে করে সেটার উপর গো ধরে পক্ষান্তরে সঠিক ইসলাম পন্থিদের বিরোধিতা করে,
এমন ব্যক্তিদের জন্য দোয়া করা যায়। দোয়া যদি সকলের জন্য করা যাবে, তাহলে শয়তানের জন্য দোয়া করাটা সবার আগে জরুরী। কেননা সে সঠিক পথে আসলে তো মানবজাতির সবাই সঠিক পথ প্রাপ্ত হবে।
তাসলীমা নাসরিনের জন্য দোয়া করা যাবেনা,
কেননা সে জেনে, বুঝে, পড়ে, দেখে;
আল্লাহকে গালি দেয়,
রাসুলকে সমালোচনা করে,
কোরআন কে তাচ্ছিল্য করে,
মুসলমানদের নারীদের হেয় করে।
কু-মতলবে ইসলামের বিরোধিতা করে,
আবু জেহেল, আবু লাহাব, ওতবা, শায়বা, মুগীরা
কোনদিন কখনও কোরআনকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে নাই।
ব্যক্তি স্বার্থে রাসুলকে হেয় করে নাই
এমন কি শর্ত সাপেক্ষে মুহাম্মাদ (সাঃ) কে রাসুল বলে মানতে রাজি ছিল!
তাদের সমস্যা ছিল,
তারা জাগতিক সুবিধা প্রাপ্তিতে হতাশ ছিল,
ক্ষমতা হারানোর ভয়ে থাকত,
বিষয় সম্পদ অর্জনে বাধা প্রাপ্ত হবার চিন্তায় ছিল,
নতুন দ্বীন প্রতিষ্ঠা পেলে পুরানো দ্বীন চলে যাবে,
ফলে তাদের গুরুত্বও চলে যাবে।
গরীব ও দাশ শ্রেণী সমাজে সমান মর্যাদা প্রাপ্ত হবে, ইত্যাদি.....
আবু জেহেল, আবু লাহাবেরা
কোরআনকে শ্রেষ্ঠ বলত,
আল্লাহকে আল্লাহ বলে ডাকত,
ইব্রাহীমকে (আঃ) পিতা মনে করত,
হজ্ব করাকে আল্লাহর কাজ মনে করত,
হাজিদের পানি খাওয়ানোকে সম্মানের কাজ মনে করত,
হাজিদের নিরাপত্তা দেওয়াটাকে দায়িত্ব মনে করত,
এসব নিয়ে এরা ভয়ে থাকত বলেই ইসলামের বিরোধিতা করেছিল।
তাসলিমা নাসরিন সহ মগজ পঁচা নাস্তিকদের ইসলাম বিরোধিতার ধরন ও আবু জেহেলদের বিরোধিতার প্রকার ও ধরন ভিন্ন ছিল। তারপরও আল্লাহর রাসুল এসব ব্যক্তিদের জন্য দোয়া করেন নি, তাহলে তাসলিমার জন্য কিভাবে দোয়া করা যাবে?
ভাই, এই দোয়ার বিষয়টা নিয়ে আরো একটু পড়াশুনা করে মন্তব্য করুন।
যা হোক, ইসলামের প্রাথমিক যুগে আল্লাহর রাসুল দোয়া এসব ব্যক্তিদের জন্য দোয়া করেছিলেন। খোদ রাসুলের চাচা আবু তালিবের জন্য দোয়া করতে চেয়ে রাসুল অনুমতি পান নাই। কেননা আবু তালেব ইসলামের নিদর্শন নিকটে থেকে দেখেও, অবহেলা করেছেন, হেয় করেছেন, সে জন্য।
না বুঝে ইসলামের বিরোধীতা করার মাধ্যমে যত পরিমান অপরাধ,
বুঝে চিন্তে ইসলামকে হেয়, কটাক্ষ, তামাসা করা তার চেয়েও শতগুন বেশী কঠিন অপরাধ।
আর তাসলিমা এই কাতারের একজন।
হ্যা । ভাই । আমি সোনার বাংলাদেশ ব্লগে দুয়া করার উপর একটা দীর্ঘ লেখা লিখেছিলাম । সেখানে কুরআনে উল্লেখ করা সব দুয়ার আয়াত উল্লেখ করেছি ।
কুরআনে বলা আছে, কাদের জন্য দুয়া করতে হবে, কাদের জন্য করা যাবে না, কাদের দুয়া কবুল হবে না এবং দুয়া কীভাবে করতে হয় ।
এসব জানার জন্য খুব বেশী পড়াশোনা করে মাওলানা হওয়ার প্রয়োজনও নেই । আর কুরআনটা খুব একটা বড় বই না । আর যদি কুরআনের তাফসীরের বইয়ের কথা বলেন, তারপরও বলবো : কেহ চেষ্টা ও সাধনা করে তাহলে ২ বছরেই কুরআনের কোন তাফসীর গ্রন্হ আয়ত্ব করতে পারে । যেমন : এই ক্ষেত্রে আমি নিজে চেষ্টা করেছি, করে যাচ্ছি এবং যাবো ।
আপনি যতার্থই বলেছেন..."কিয়ামতের আগে দাজ্জাল ও কাজ্জাব বের হবে । তারা কিন্তু অনেক জ্ঞানী হবেন" ঠিক আপনার মতো।
হাদীস অস্বিকার করার লিংক
@ইমরান ভাই : আপনাকে আমার বাসায় দাওয়াত । আপনাকে বোখারী শরীফের সহিহ হাদিস অনুযায়ী মাছি দিয়ে বানানো চা দিয়ে আপনাকে আপ্যায়ন করবো । আশা করি আমার দাওয়াত আপনি কবুল করবেন ।
আপনি হয়তো জানেন, রাসুল সা. ইন্তেকালের ১০০ বছরের পর হাদিস সংগ্রহ করা একটা উদাহরণ দিচ্ছি : আবু হুরায়রাহ (রা) বর্ণিত যে, রাসুল (সা) বলেছেন "যদি তোমাদের কারো পানীয়ের মধ্যে ঘরের কোন মাছি পড়ে, সে যেন পুরো মাছিটাকেই পানীয়ের মধ্যে চুবিয়ে নেয় । কারণ মাছির এক পাখায় আছে রোগ, আর অন্য পাখায় আছে সে রোগের ঔষধ । (বুখারী শরীফ, ইংরেজী অনুবাদ, ২য় খন্ড ৪২৩ নং হাদিস, ৪র্থ খন্ড , ৬১৯,,, বুখারী শরীফ, আধুনিক প্রকাশনীর বাংলা অনুবাদ, ১ম খন্ড, হাদিস ১২১৫ , ৩য় খন্ড, ৩১৫৬)"
এই হাদিস কি সত্য হতে পারে ? !!!
বুখারী শরীফে ৭৩৯৭ টি হাদিস রয়েছে । এসব হাদিসের মধ্যে অনেক হাদিসই একাধিক বার রয়েছে । ইমাম বুখারী (রহ.) তার মুখস্হ করা ৩ লাখ হাদিস এবং সংগ্রহ করা আরো ৩ লাখ হাদিস হতে এসব হাদিস বুখারী শরীফে স্হান দেন । একজন মুসলিম ভালভাবে বিশ্লেষণ করলে সহজেই অনুধাবন করতে পারবেন, এই বিপুল পরিমান হাদিস হতে ৬০০০০০-৭৩৯৭=৫৯২৬০৩ টি হাদিস সহিহ মনে করেননি । বুখারী শরীফের ভুমিকায় আরো উল্লেখ করা হয়েছে, রাসুল সা. -এর হাদিস ১ লক্ষের বেশী নয় । হাকিম আব্দুল্লাহ নিশাপুরীর মতে সহিহ হাদিস ১০ হাজারেরও কম । এতথ্য হতে সহজেই অনুমেয় যে, কি পরিমান মিথ্যা হাদিস তৈরী করা হয়েছে ।
শুরু হয় । এই সুযোগে গুরুত্বপূর্ণ হাদিস ভুলে যাওয়া এবং তথ্য বিকৃতির সুযোগ অনেক ছিল । বিশেষ করে উমাইয়া বংশের অনেক অত্যাচারী শাসকগণ মিথ্যা হাদিস বানিয়ে নিজেদের অপকর্ম ঢাকার জন্য ঐসকল মিথ্যা হাদিস ব্যবহার করেছে । অনেক ক্ষেত্রে ঐসকল মিথ্যা হাদিস দিয়ে কুরআনের আয়াত পর্যন্ত অকার্যকর করা হয়েছে । যেমন :
হুযায়ফা ইবনে ইয়ামন রা. বর্ণনা করেন যে, রাসুল সা. বলেছেন, "আমার পরে এমনও শাসক আসবে যারা আমার প্রদর্শিত পথে তোমাদের পরিচালিত করবে না ও আমার সুন্নাহও অনুসরণ করবে না । তাদের কেউ কেউ মানুষের দেহে শয়তানের হৃদয় ধারণ করবে । আমি বল্লাম "ঐ সময় আমরা কি করবো?" বাসুল সা. বল্লেন," ঐসব শাসকের কথা তোমরা শুনবে ও তাদের অনুগত্য করবে । তারা যদি তোমাদের আঘাত করে এবং তোমাদের ধন সম্পত্তিও নিয়ে যায়, তবুও তোমরা তাদের অনুসরণ ও আনুগত্য করবে ।" (বুখারী শরীফ, আধুনিক প্রকাশনী ৩য় খন্ড, ৩৩৩৬, ৩৩৩৭, মুসলিম শরীফ, ইংরেজী অনুবাদ ৫৫২৪)
এখন চিন্তা করে দেখুন, আল্লাহর প্রেরিত শেষ নবী, রাহমাতুল্লিল আলামিন হযরত মুহাম্মদ (সা.) অত্যাচারী শাসকদের অনুসরণ ও আনুগত্য করার আদেশ দিয়েছেন তা উম্মতকে ? এর চেয়ে বড় অপবাদ আর কি হতে পারে ? অত্যাচারী শাসককে অনুসরণ ও আনুগত্য করলে কার বিরোদ্ধে জিহাদ করা ফরজ করা হয়েছে ? কোন বিবেকবান মুসলিম এহাদিসকে সত্য হাদিস বলে মেনে নিতে পারে না ।
@ইমরান ভাই : আপনাকে আমার বাসায় দাওয়াত । আপনাকে বোখারী শরীফের সহিহ হাদিস অনুযায়ী মাছি দিয়ে বানানো চা দিয়ে আপনাকে আপ্যায়ন করবো । আশা করি আমার দাওয়াত আপনি কবুল করবেন ।
আপনি হয়তো জানেন, রাসুল সা. ইন্তেকালের ১০০ বছরের পর হাদিস সংগ্রহ করা একটা উদাহরণ দিচ্ছি : আবু হুরায়রাহ (রা) বর্ণিত যে, রাসুল (সা) বলেছেন "যদি তোমাদের কারো পানীয়ের মধ্যে ঘরের কোন মাছি পড়ে, সে যেন পুরো মাছিটাকেই পানীয়ের মধ্যে চুবিয়ে নেয় । কারণ মাছির এক পাখায় আছে রোগ, আর অন্য পাখায় আছে সে রোগের ঔষধ । (বুখারী শরীফ, ইংরেজী অনুবাদ, ২য় খন্ড ৪২৩ নং হাদিস, ৪র্থ খন্ড , ৬১৯,,, বুখারী শরীফ, আধুনিক প্রকাশনীর বাংলা অনুবাদ, ১ম খন্ড, হাদিস ১২১৫ , ৩য় খন্ড, ৩১৫৬)"
এই হাদিস কি সত্য হতে পারে ? !!!
বুখারী শরীফে ৭৩৯৭ টি হাদিস রয়েছে । এসব হাদিসের মধ্যে অনেক হাদিসই একাধিক বার রয়েছে । ইমাম বুখারী (রহ.) তার মুখস্হ করা ৩ লাখ হাদিস এবং সংগ্রহ করা আরো ৩ লাখ হাদিস হতে এসব হাদিস বুখারী শরীফে স্হান দেন । একজন মুসলিম ভালভাবে বিশ্লেষণ করলে সহজেই অনুধাবন করতে পারবেন, এই বিপুল পরিমান হাদিস হতে ৬০০০০০-৭৩৯৭=৫৯২৬০৩ টি হাদিস সহিহ মনে করেননি । বুখারী শরীফের ভুমিকায় আরো উল্লেখ করা হয়েছে, রাসুল সা. -এর হাদিস ১ লক্ষের বেশী নয় । হাকিম আব্দুল্লাহ নিশাপুরীর মতে সহিহ হাদিস ১০ হাজারেরও কম । এতথ্য হতে সহজেই অনুমেয় যে, কি পরিমান মিথ্যা হাদিস তৈরী করা হয়েছে ।
শুরু হয় । এই সুযোগে গুরুত্বপূর্ণ হাদিস ভুলে যাওয়া এবং তথ্য বিকৃতির সুযোগ অনেক ছিল । বিশেষ করে উমাইয়া বংশের অনেক অত্যাচারী শাসকগণ মিথ্যা হাদিস বানিয়ে নিজেদের অপকর্ম ঢাকার জন্য ঐসকল মিথ্যা হাদিস ব্যবহার করেছে । অনেক ক্ষেত্রে ঐসকল মিথ্যা হাদিস দিয়ে কুরআনের আয়াত পর্যন্ত অকার্যকর করা হয়েছে । যেমন :
হুযায়ফা ইবনে ইয়ামন রা. বর্ণনা করেন যে, রাসুল সা. বলেছেন, "আমার পরে এমনও শাসক আসবে যারা আমার প্রদর্শিত পথে তোমাদের পরিচালিত করবে না ও আমার সুন্নাহও অনুসরণ করবে না । তাদের কেউ কেউ মানুষের দেহে শয়তানের হৃদয় ধারণ করবে । আমি বল্লাম "ঐ সময় আমরা কি করবো?" বাসুল সা. বল্লেন," ঐসব শাসকের কথা তোমরা শুনবে ও তাদের অনুগত্য করবে । তারা যদি তোমাদের আঘাত করে এবং তোমাদের ধন সম্পত্তিও নিয়ে যায়, তবুও তোমরা তাদের অনুসরণ ও আনুগত্য করবে ।" (বুখারী শরীফ, আধুনিক প্রকাশনী ৩য় খন্ড, ৩৩৩৬, ৩৩৩৭, মুসলিম শরীফ, ইংরেজী অনুবাদ ৫৫২৪)
এখন চিন্তা করে দেখুন, আল্লাহর প্রেরিত শেষ নবী, রাহমাতুল্লিল আলামিন হযরত মুহাম্মদ (সা.) অত্যাচারী শাসকদের অনুসরণ ও আনুগত্য করার আদেশ দিয়েছেন তা উম্মতকে ? এর চেয়ে বড় অপবাদ আর কি হতে পারে ? অত্যাচারী শাসককে অনুসরণ ও আনুগত্য করলে কার বিরোদ্ধে জিহাদ করা ফরজ করা হয়েছে ? কোন বিবেকবান মুসলিম এহাদিসকে সত্য হাদিস বলে মেনে নিতে পারে না ।
আপনি লিখেছেন>
"আপনাকে আমার বাসায় দাওয়াত । আপনাকে বোখারী শরীফের সহিহ হাদিস অনুযায়ী মাছি দিয়ে বানানো চা দিয়ে আপনাকে আপ্যায়ন করবো । আশা করি আমার দাওয়াত আপনি কবুল করবেন"
আপনি যে একজন জ্ঞানী কাজজাব তার প্রমান এখানেই। আপনাকে সেই পোস্টে সঠিক ইসলাম যে নামটি দিয়েছিলেন তার যথার্থতা এখানে দিলেন "ব্লগীয় আবাল"
রসুল (সা) বলেছেন ""যদি তোমাদের কারো পানীয়ের মধ্যে ঘরের কোন মাছি পড়ে,"
এটা সাডেনলী হতে পারে এর মানে এই নয় আপনি মাছি দিয়ে চা রাধবেন।
তিনি বলেছেন "সে যেন পুরো মাছিটাকেই পানীয়ের মধ্যে চুবিয়ে নেয়"
যদি হঠাত পরে তাহলে কি করতে হবে তা তিনি শিখিয়েছেন। এর মানে এই নয় আপনি মাছি দিয়ে চা রাধবেন।
তিনি কারণ হিসেবে বলেছেন "কারণ মাছির এক পাখায় আছে রোগ, আর অন্য পাখায় আছে সে রোগের ঔষধ"
রসুল (সা) করণ ও বলেদিয়েছেন আর আমরা মুসলিম তা বিশ্বাস করি এবং সে মতে কাজ করি। হয়ত কিছুদিন পরে বিজ্ঞান এর সত্যতা খুজে পাবে।
বাকি গুলোর উত্তর দিব না। তবে আপনাকে বলবো নিজের মতো হাদীসের অর্থ না করে সাহবারা (রা) মুহাদ্দিসীনরা কি বলেছেন তা জানার ও বোঝার চেষ্টা করুন। নিজে নিজে অর্থ বুঝলে পথভ্রষ্ট তো হবেনই।
তবে এটা শিওর আপনি সহীহ হাদীস অস্বীকার কারী আর সহীহ হাদীস অস্বীকার কারী ইসলামে থাকে বলে আমার জানা নাই।
আপনি যতই জ্ঞানের কথা বলেন তা অগ্রহণযোগ্য কেননা আপনি সহীহ হাদীস অস্বীকার কারী।
কোন দিন জদি আমার কোন পানিয়তে হঠাৎ মাছি পড়ে তাহলে আমি অবশ্যই তা চুবিয়ে তুলে ফেলে তার পরে তা পান করবো। কেননা আমি মুসলিম আমি "সামিয়'না ওয়া আত'য়না" এতেই বিশ্বাসী। আমি রসুল (সা) এর উম্মত আপনার মতো সহীহ হাদীস অস্বীকার কারী নই।
আপনি সহীহ হাদীস অস্বিকার করার কারণে ইসলামের ভিতরে থাকতেই পারেন না।
আমাদের সমস্যা হলো, আমরা দাজ্জাল ও কাজ্জাব-র দলের লোকদের সনাক্ত করতে পারি না । কারণ আমরা সব সময় ভুলে যাই : বিবেক হলো মানুষের সবচেয়ে বড় আদালত । যেটা সুরা মুলকের ১০ নং আয়াতই বলা আছে :
وَقالوا لَو كُنّا نَسمَعُ أَو نَعقِلُ ما كُنّا فى أَصحٰبِ السَّعيرِ
[10] তারা আরও বলবেঃ যদি আমরা শুনতাম অথবা বুদ্ধি খাটাতাম, তবে আমরা জাহান্নামবাসীদের মধ্যে থাকতাম না।
দুয়া করার জন্য করা যাবে আর কার জন্য করা যাবে না - এসব তথ্য রাস্তার ফুটপাতে বিক্রি হওয়া চিকন বইগুলোর মধ্যেও থাকে । কিন্তু সমস্যা হলো যুগে যুগে স্বার্থানেষী মহল নিজেদের স্বার্থে নতুন তথ্য সমাজে সরবরাহ করে থাকেন ।
যেমন : মুতা বিয়ে জায়েজ । সৌদি আরবের রাজতান্ত্রিক শাসন ইসলামী ব্যবস্হা । রাজতন্ত্র জায়েজ ।
আমার আর কিছু বলার নেই ।
তবে এতটুকু বলছি : যদি ১৯৯৩ - ১৯৯৪ সালের দিকে আপনার লেখাটা প্রকাশ হতো, তাহলে আমার জন্য সুবিধা হতো । কারণ তখন কম জানতাম । তাই তখন তাসলিমা নাসরিনের ফাসির দাবিতে ঢাকার রাজপথ বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র শিইবের হয়ে কাপিয়েছিলাম । দিনের পর দিন অতন্দ্র প্রহরীর মতো অপেক্ষা ছিলাম : কবে বাংলাদেশ ইসলামী প্রজাতন্ত্র হবে । ইসলামবিরোধীদের বিচার হবে ।
কিন্তু এখন তো দেখছি, রাজতন্ত্র জায়েজ । নাস্তিকদের বিচার না চেয়ে তাদের জন্য দুয়া করতে হবে ।
মেয়েদের সম্মান মর্যাদা দিতে হবে । কিন্তু এখন জানলাম : মেয়েদের মুতা বিয়ের নামে তাদের যৌন জিহাদ করার জন্য উৎসাহিত করতে হবে ।
হায় রে আলেম সমাজ !!!!!
আমার মতে এই কথা আপনার জন্য বেশি প্রযোয্য বিস্তারিত যে কেউ এখানে দেখতে পারেন...
ব্লগীয় আবাল ফখরু পাগলা !
দাজ্জাল আর কাজ্জাব- এর চামচা কারা তাদের মুসলিমরা চিনতে পেরেছে । মিশরের মুরশীর ব্যাপারের সৌদি আরবের কাজ-কারবার আর সিরিযায় ওহাবীদের যৌন জিহাদ মানুষের চোখ খুলে দিয়েছে ।
আমাদেরকে আরো সহনশীল হওয়া দরকার। একে অপরের মতকেও শ্রদ্ধার সাথে খন্ডন করা দরকার।
আপনি লিখেছেন>
"আপনাকে আমার বাসায় দাওয়াত । আপনাকে বোখারী শরীফের সহিহ হাদিস অনুযায়ী মাছি দিয়ে বানানো চা দিয়ে আপনাকে আপ্যায়ন করবো । আশা করি আমার দাওয়াত আপনি কবুল করবেন"
আপনি যে একজন জ্ঞানী কাজজাব তার প্রমান এখানেই। আপনাকে সেই পোস্টে সঠিক ইসলাম যে নামটি দিয়েছিলেন তার যথার্থতা এখানে দিলেন "ব্লগীয় আবাল"
রসুল (সা) বলেছেন ""যদি তোমাদের কারো পানীয়ের মধ্যে ঘরের কোন মাছি পড়ে,"
এটা সাডেনলী হতে পারে এর মানে এই নয় আপনি মাছি দিয়ে চা রাধবেন।
তিনি বলেছেন "সে যেন পুরো মাছিটাকেই পানীয়ের মধ্যে চুবিয়ে নেয়"
যদি হঠাত পরে তাহলে কি করতে হবে তা তিনি শিখিয়েছেন। এর মানে এই নয় আপনি মাছি দিয়ে চা রাধবেন।
তিনি কারণ হিসেবে বলেছেন "কারণ মাছির এক পাখায় আছে রোগ, আর অন্য পাখায় আছে সে রোগের ঔষধ"
রসুল (সা) করণ ও বলেদিয়েছেন আর আমরা মুসলিম তা বিশ্বাস করি এবং সে মতে কাজ করি। হয়ত কিছুদিন পরে বিজ্ঞান এর সত্যতা খুজে পাবে।
বাকি গুলোর উত্তর দিব না। তবে আপনাকে বলবো নিজের মতো হাদীসের অর্থ না করে সাহবারা (রা) মুহাদ্দিসীনরা কি বলেছেন তা জানার ও বোঝার চেষ্টা করুন। নিজে নিজে অর্থ বুঝলে পথভ্রষ্ট তো হবেনই।
তবে এটা শিওর আপনি সহীহ হাদীস অস্বীকার কারী আর সহীহ হাদীস অস্বীকার কারী ইসলামে থাকে বলে আমার জানা নাই।
আপনি যতই জ্ঞানের কথা বলেন তা অগ্রহণযোগ্য কেননা আপনি সহীহ হাদীস অস্বীকার কারী।
কোন দিন জদি আমার কোন পানিয়তে হঠাৎ মাছি পড়ে তাহলে আমি অবশ্যই তা চুবিয়ে তুলে ফেলে তার পরে তা পান করবো। কেননা আমি মুসলিম আমি "সামিয়'না ওয়া আত'য়না" এতেই বিশ্বাসী। আমি রসুল (সা) এর উম্মত আপনার মতো সহীহ হাদীস অস্বীকার কারী নই।
আপনি সহীহ হাদীস অস্বিকার করার কারণে ইসলামের ভিতরে থাকতেই পারেন না।
আপনি আমার দাওয়াত কবুল করছেন না কেন ? এটা কি ইসলামের রীতি । কেহ দাওয়াত দিলে দাওয়াত ফিরিয়ে দেওয়া ।
আপনি বলছেন, আমি হাদিস অস্বীকারকারী , তাহলে আমি যদি হাদিস অস্বীকারকারী হই, তাহলে হাদিস ব্যবহার করে লেখা লিখি কি করে, নামাজ পড়ি কি করে । নামাজে কীভাবে পড়তে হবে - তা হাদিসেই বলা আছে ।
আমি বাংলাদেশের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী নামাজ পড়ি । ঈদের নামাজ পড়ি । বুখারী শরীফের হাদিস মতে ১২ তাকবীর ব্যবহার করে ঈদের নামাজ পড়তে হবে । অথচ বাংলাদেশের প্রচলিত নিয়ম অনুযায়ী ৬ তাকবীরের সাথে ঈদের নামাজ পড়া হয় । আপনার যদি সাহস থাকে তাহলে বলুন , বাংলাদেশের অধিকাংশ লোক হাদিস অস্বীকারকারী ।
হাদিস সবগুলোই যদি দ্বিধাহীন চিত্তে সবাই গ্রহণ করতো, তাহলে মুসলিমদের মধ্যে মাযহাব সৃষ্টি হতো না ।
আপনি এই দুই হাদিস সম্পর্কে কিছু বলুন :
১। কোন রোগই শোয়াচে নয় ।
২। পানি সবসময়ে বিশুদ্ধ এবং কোনোকিছুই তাকে দূষিত করে না ।
http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/45098
আমি এই লেখাটাতে কুরআন ও হাদিস ব্যবহার করে লিখেছি । সুতরাং হাদিস অস্বীকারকারী হলে তো আমি হাদিস ছাড়াই লিখতাম । সুতরাং আপনার উচিত আমার লেখাটা পড়া । কারণ আপনি সব হাদিস দ্বিধাহীন চিত্তে মানেন বলে দাবি করেন ।
আমি কেন বাংলাদেশের ৯৯% মুসলিম সব হাদিস মানেন না । যেমন : নামাজ পড়ার সময়ই কম করে হলেও ১২০ টা বোখারী হাদিস বাংলাদেশের মুসলিমরা অগ্রাজ্য করে থাকেন । এরও যথেষ্ঠ কারণ আছে । বোখারী শরীফে ১২ তাকবীরের সাথে ঈদের নামাজ পড়ার কথা আছে । এই ব্যাপারে ১৬৫ টার অধিক হাদিস আছে । কিন্তু বাংলাদেশে ৬ তাকবীরের সাথে ঈদের নামাজ হয় ।
এই বিষয়ে কিছু বলার থাকলে দল বল সহ আমাদের এলাকায় আসুন । তখন আমরা দেখবো, আপনি বা আপনারা কয়টা হাদিস জানেন ।
"এই হাদিস কি সত্য হতে পারে ? !!!"
অর্থাৎ এই হাদীস আপনার নিকট সহীহ নয়।
আমরা সহীহ আল বুখারী ও মুসলিমের সকল হাদীস কে সহীহ হিসেবে জানি ও মানি। আপনার কথার উত্তর দিব ভাবছিলাম তবে গ্যাজ্ঞাম খানের কমেন্টস দেখে আর কিছু লিখতে মনে চাচ্ছে না।
مَا كَانَ لِلنَّبِيِّ وَالَّذِينَ آَمَنُوا أَنْ يَسْتَغْفِرُوا لِلْمُشْرِكِينَ وَلَوْ كَانُوا أُولِي قُرْبَى مِنْ بَعْدِ مَا تَبَيَّنَ لَهُمْ أَنَّهُمْ أَصْحَابُ الْجَحِيمِ l وَمَا كَانَ اسْتِغْفَارُ إِبْرَاهِيمَ لِأَبِيهِ إِلَّا عَنْ مَوْعِدَةٍ وَعَدَهَا إِيَّاهُ فَلَمَّا تَبَيَّنَ لَهُ أَنَّهُ عَدُوٌّ لِلَّهِ تَبَرَّأَ مِنْهُ إِنَّ إِبْرَاهِيمَ لَأَوَّاهٌ حَلِيمٌ
* আত্মীয়-স্বজন হলেও মুশরিকদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা নবী ও মুমিনদের জন্য সংগত নয় যখন এটা সুস্পষ্ট হয়ে গেছে যে, নিশ্চিতই ওরা জাহান্নামী। * ইবরাহীম তার পিতার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেছিল, তাকে এর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বলে; অতঃপর যখন এটা তার নিকট স্পষ্ট হল যে, সে আল্লাহর শত্রু তখন ইবরাহীম তার সম্পর্ক ছিন্ন করল। ইবরাহীম তো কোমলহৃদয় ও সহনশীল।-আত তাওবা ৯ : ১১৩-১১৪
যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে এবং দুনিয়ায় ধ্বংসাত্মক কার্য করে বেড়ায় এটাই তাদের শাস্তি যে, তাদেরকে হত্যা করা হবে অথবা শুলে চড়ানো হবে অথবা বিপরীত দিক হতে তাদের হাত ও পা কেটে ফেলা হবে অথবা তাদের দেশ হতে নির্বাসিত করা হবে। দুনিয়াতে এটাই তাদের লাঞ্ছনা ও পরকালে তাদের জন্য মহাশাস্তি রয়েছে। * তবে, তোমাদের আয়ত্তাধীনে আসার পূর্বে যারা তাওবা করবে তাদের জন্য নয়। সুতরাং জেনে রাখ যে, আল্লাহ অবশ্যই ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।-আল মাইদা ৫ : ৩৩-৩৪
বিশেষত যে নাস্তিক বা মুরতাদ আল্লাহর রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম সম্পর্কে কটূক্তি করে কিংবা ইসলামের নিদর্শনের অবমাননা করে সে তো সরাসরি ‘মুফসিদ ফিল আরদ’’ (ভূপৃষ্ঠে দুষ্কৃতিকারী)। এ ব্যক্তি রাসূল অবমাননাকারী হিসেবেও ‘‘ওয়াজিবুল কতল’’ (অপরিহার্যভাবে হত্যাযোগ্য) এবং দুষ্কৃতিকারী হিসেবেও।
একারণে প্রত্যেক মুসলিম জনপদের দায়িত্বশীলদের উপর ফরয, উপরোক্ত দন্ড কার্যকর করে নিজেদের ঈমানের পরিচয় দেয়া। যেখানে এ আইন নেই তাদের কর্তব্য, অবিলম্বে এই আইন প্রণয়ন করে তা কার্যকর করা, যদি তারা আখিরাতের কল্যাণ চান।
আমাদেরকে আরো সহনশীল হওয়া দরকার। একে অপরের মতকেও শ্রদ্ধার সাথে খন্ডন করা দরকার।
হায় আল্লাহ । হাদিস উল্লেখ করলাম । আর আপনি বলছেন : " আমি খুবই দুঃখিত যে আমাদের আলোচনাগুলো খুব স্বাস্থ্যকর হচ্ছে না।
আমাদেরকে আরো সহনশীল হওয়া দরকার। একে অপরের মতকেও শ্রদ্ধার সাথে খন্ডন করা দরকার।"
আলোচনা কীভাবে স্বাস্হ্যকর হবে দয়া করে একটু বলুন ।
আলোচনা স্বার্থক হবে কুরআন হাদিস বিশুদ্ধভাবে চর্চা করার মাধ্যমে । আমাদের এখন কুরআনের এসব আয়াতের ব্যাখ্যা পড়ার খুব প্রয়োজন হয়ে পড়ছে । আল্লাহ বলেছেন :
مْ تَحْسَبُ أَنَّ أَكْثَرَهُمْ يَسْمَعُونَ أَوْ يَعْقِلُونَ إِنْ هُمْ إِلَّا كَالْأَنْعَامِ بَلْ هُمْ أَضَلُّ سَبِيلًا 44
আপনি কি মনে করেন যে, তাদের অধিকাংশ শোনে অথবা বোঝে ? তারা তো চতুস্পদ জন্তুর মত; বরং আরও পথভ্রান্ত । সুরা ফুরকান : ৪৪ ।
يُضَاعَفْ لَهُ الْعَذَابُ يَوْمَ الْقِيَامَةِ وَيَخْلُدْ فِيهِ مُهَانًا 69
কেয়ামতের দিন তাদের শাস্তি দ্বিগুন হবে এবং তথায় লাঞ্ছিত অবস্থায় চিরকাল বসবাস করবে।
إِلَّا مَن تَابَ وَآمَنَ وَعَمِلَ عَمَلًا صَالِحًا فَأُوْلَئِكَ يُبَدِّلُ اللَّهُ سَيِّئَاتِهِمْ حَسَنَاتٍ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًا رَّحِيمًا 70
কিন্তু যারা তওবা করে বিশ্বাস স্থাপন করে এবং সৎকর্ম করে, আল্লাহ তাদের গোনাহকে পুন্য দ্বারা পরিবর্তত করে এবং দেবেন। আল্লাহ ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু।
وَمَن تَابَ وَعَمِلَ صَالِحًا فَإِنَّهُ يَتُوبُ إِلَى اللَّهِ مَتَابًا 71
যে তওবা করে ও সৎকর্ম করে, সে ফিরে আসার স্থান আল্লাহর দিকে ফিরে আসে।
وَالَّذِينَ لَا يَشْهَدُونَ الزُّورَ وَإِذَا مَرُّوا بِاللَّغْوِ مَرُّوا كِرَامًا 72
এবং যারা মিথ্যা কাজে যোগদান করে না এবং যখন অসার ক্রিয়াকর্মের সম্মুখীন হয়, তখন মান রক্ষার্থে ভদ্রভাবে চলে যায়।
وَالَّذِينَ إِذَا ذُكِّرُوا بِآيَاتِ رَبِّهِمْ لَمْ يَخِرُّوا عَلَيْهَا صُمًّا وَعُمْيَانًا 73
এবং যাদেরকে তাদের পালনকর্তার আয়াতসমূহ বোঝানো হলে তাতে অন্ধ ও বধির সদৃশ আচরণ করে না। (সুরা ফূরকান : ৬৯ - ৭৩)
করলে আলোচিত আলেমটার পরিচয় সামনে প্রকাশ হয়ে পড়বে । কারণ এই আলেম যৌন জিহাদ নামক বেহায়াপনা আর অশ্লীলতার প্রচারক ।
যে মুরতাদ, মুনাফিক, কাফের , মুশরিকদের সাথে মুসলিমদের আচরনবিধি কি হবে তা সুস্পষ্টভাবে কুরআন-হাদিস-ইজমা-কিয়াসে বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে । এব্যাপারে কারো ব্যক্তিগত অভিমত কোন ক্রমেই গ্রহণযোগ্য নয় ।
আল্লাহ্ পাক আমাদের সবাইকে বুঝার তৌফিক দান করুন।
স্যার কে অনেক ধন্যবাদ এই ধরনের সময়োপযোগী পোস্টের জন্য।
ইসলাম অপরাধীদের সাথে বিন্দুমাত্র আপোষ করতে বলে না ।
তাছাড়া তিনি বাংলাদেশ সরকারের আইন অনুযায়ী সাজাপ্রাপ্ত আসামী । তিনি বাংলাদেশে আসলেই আমার জানা মতে, দুই বছরের জন্য জেল খাটতে হবে ।
আমি কেন তাসলিমা নাসরিনের জন্য দুয়া করা যাবে না তা আমার লেখায় তুলে ধরেছি, দয়া করে আমার এই লেখাটা দেখুন : "তাসলিমা নাসরিন-সহ সব নাস্তিক, ইসলামবিরোধী-ইসলামবিদ্বেষীদের জন্যে বদ দুয়া করা মুসলিমদের জন্য ওয়াজিব " http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/45098
১. বাংলাদেশের মেয়েদের বিয়ের আগে বখাটেদের সাথে কীভাবে যৌনতা করতে হয় তার তালিম দেওয়া । যেমন : তিনি বিয়ের আগে কীভাবে সিফিলিস নাম যৌন রোগগ্রস্হ মাতাল কবি রুদ্র মোহাম্মদ শহীদুল্লাহর সাথে কীভাবে যৌনতা করেছেন তার বিবরণ তিনি তার লেখা অন্তত ৫ টা বইয়ে দিয়েছেন ।
২. বাংলাদেশের মেয়েদের বাবা-মা-পাড়া-প্রতিবেশীর সাথে অভদ্র ও অনারী সুলভ আচরণ করতে হয় তা তার বইগুলোর মাধ্যমে উপস্হাপন করেছেন । ( আমি তার এসব বই হতে কোন উদৃতি দিবো না । কারণ নিষিদ্ধ জিনিসের প্রতি আকর্ষন মানুষের চিরন্তন )
এই বিষয়টা আমাদের দেশের নারী সমাজের জন্য সবচেয়ে বেশী ক্ষতি বয়ে এনেছে । এমনিতেই দিন দিন বাংলাদেশের মেয়েদের মধ্য হতে মা-সূলভ আচরন কমে যাচ্ছে ।
৩. ইসলামের এমন কোন বিষয় নেই যা নিয়ে তাসলিমা নাসরীন ঠাট্টা-মসকরা করেননি ।
এই ব্যাপারে আলেম সমাজে প্রথমে নিরব ছিল । প্রথম দিকে সিলেট ও নীলফামারী জেলার কিছু অক্ষ্যাত আলেম তার ব্যাপারে মুখ খুলেন । জনগণ যখন জেগে উঠে তখন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের পেটুয়া বাহিনী জনগণের উপর নির্যাতনের স্টীম রোলার চালায় এবং কম করে হলেও ৩৫ জন লোককে শহীদ করা হয় । এসব লোক শহীদ হওয়ার পেছনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ভুমিকা ছিল চোখে পড়ার মতো । আওয়ামী লীগ প্রকাশ্যে তাসলিমা নাসরীনের পক্ষ অবলম্বন করে ইসলামপ্রিয় জনতার উপর হামলে পড়ে ।
৪. তাসলিমা নাসরিনের কার্যক্রমের কারণে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি মুসলিম বিশ্বে ক্ষুন্ন হয়েছে । বাংলাদেশকে মুসলিমরা চিনে তাসলিমা নাসরিনের মতো নাস্তিকের দেশ হিসেবে । ( এখন চিনে ড. ইউনুসের দেশ হিসেবে )
আসুন, আমরা একটু মনযোগ দিয়ে ভাবি, এই মুহুর্তে যদি তাসলিম নাসরীন যদি তওবা করেন, তাহলে কি তিনি ৩৫ জন শহীদের জীবন ফিরিয়ে দিতে পারবেন । তিনি ইসলামবিরোধীতা করে যে ২৫ টি বই লিখেছেন সেগুলো পড়ে মানুষ বিভ্রান্ত হয়েছেন, তিনি কি সেসব লোকদের বিভ্রান্তি দুর করতে পারবেন ? আর তিনি নিজেই কি এই ২৫ টি বইয়ের অনুরুপ ২৫ ইসলামী বই লিখে তিনি তার পাপের পায়চিত্ত্ব করতে পারেন ।
যেসব ছেলে তার ফাসি চেয়ে আন্দোলন করলো, পড়াশোনার মূল্যবান সময় নষ্ট করলো, জেল জুলুম হুলিয়া মামলা মোকদ্দমার স্বীকার হলো , তিনি কি পারবেন তাদের ক্ষয়-ক্ষতি দুর করতে ?
তাহলে কেন তার জন্য হিদায়াত বা সত্যপথ পাওয়া বা তার মৃত্যুর আগে তওবা করার প্রশ্ন আসছে ? এমন তওবা করার কথা বা হিদায়াত দানের জন্য মুসলিমদের আকুল হতে কি কুরআন-হাদিস কোন নির্দেশনা দিয়েছে কি ? ......এব্যাপারে আরো জানার জন্য আমার এই লেখাটা পড়ুন : http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/45098
আপনার লেখাটা এবং বিভিন্ন লোকের মন্তব্য পড়ে আমার এই হাদিসটা মনে আসছে । আমি দু:ক্ষিত হাদিসটা উল্লেখ করতে বাধ্য হওয়ায় ।
আনাস(রাঃ) হতে বর্ণিত যে, রাসুল (সাঃ) বলেন, আমি মিরাজের রাতে কিছু লোকদের দেখলাম তাদের ঠোট আগুনের কেচি দিয়ে ফেরেশ্তারা কেটে ফেলছেন ।
আমি জিব্রাইল ( আ )-কে বললাম এরা কারা? তিনি বললেন এরা আপনার উম্মতের সেসব বক্তাগণ ,যারা মানুষদেরকে ভাল কাজের আদেশ দিত,আর তাদেরকে ভাল কাজ হতে ভূলিয়ে রাখত । "
ইমাম বাইহাকীর শুয়াবুল ঈমান কিতাবের অপর এক রেওয়াতে আছে, "তারা আপনার উম্মতের অন্ত্রভূক্ত বক্তাগণ যারা এমন কিছু বলত যা
তারা করত না, তারা আল্লাহর কিতাব পাঠ করত কিন্তু তদানুযায়ী আমল করত না। "
হে আল্লাহ ! আমি এবং আমাদের সবাইকে সৎ কাজের আদেশ করার এবং তার উপর কাজ করার তাওফিক দান কর । তোমার বিধান অনুযায়ী তাগুতি শক্তির বিরোধী আমাদের ঝাপিয়ে পড়ার তাওফিক দান কর । এই ক্ষেত্রে আমাদের মধ্যকার অনৈক্য ও বিভেদ দুর করে দাও । আমাদেরকে বিভ্রান্তি ভুল তাগুতি শক্তির বিরোদ্ধে কাদে কাদে মিলে লড়াই করার তৌফিক দান কর । আমাদেরকে বা আমাদের মধ্যকার কাউকে তাগুতের সাথে বিন্দুমাত্র আপোষ না করার জন্য মনোবল দান কর ।
আমীন ।
তবে আমাদের তার আগে দেখতে হবে, তাসলিমাকে দোয়া করার আগে আমরা তাদের ও তাদের পরিবারের জন্য দোয়া করছি কিনা যারা ইসলামের জন্য জান কুরবান দিয়েছেন যাদের পরিবার উপার্জনক্ষম একমাত্র ব্যক্তিকে হারিয়ে নিঃস্ব। দোয়া ও মঙ্গল কামনার ব্যাপারে তারাই কি অগ্রাধিকার প্রাপ্ত নন?
করুণা সেখানেই লাগে শাস্তি যেখানে অবধারিত। ইসলাম এ জন্যেই মহান। ইসলাম শাস্তির ধর্ম নয়, শান্তির ও ক্ষমার। - এটি একান্তই আপনার নিজস্ব চরম ভুল উপলব্ধি। এ উপলব্ধি পাপ কাজে মানুষকে উৎসাহিত করে। তাবলিগী ও পীরপন্থী ভাইয়েরা এমন ধারণা লালন করেন। অনেকে বড় বড় পাপ করে আবার কিছু দোয়া পড়েন যেগুলো পড়লে নাকি পাপ খন্ডন হয়ে যাবে। এত সহজ নয় বিষয়টা।
ইসলামে সবকিছুর সুন্দর সমন্বয় আছে। ইসলামে কঠিন শাস্তির বিধান অবশ্যই আছে, এজন্যই দোযখ; বিপরীতে নেক আমলের জন্য আছে পুরস্কার। এ সুন্দর সমন্বয়ের ফলেই ইসলাম পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান, স্রেফ ধর্ম নয়।
এ এখানে আমি ইচ্ছা করেই বিতর্কটা এনেছি, যাতে আমাদের কিছু ভুল ধারণার নিষ্পত্তি হয়। যারাই রাসূলুল্লাহ (স) কে মারতে এসেছেন তিনিই তাদের হেদায়েতের জন্যে দোয়া করেছেন। একটা অসুস্থ মানুষের হেদায়েতের জন্যে দোয়া করতে হলে তার মানবিক অধিকারটা কি দেখার বিষয় নয়? আপনি কেবল তার হেদায়তের জন্যেই দোয়া করবেন এবং তার স্বাস্থ্যের জন্যে একটুও দোয়া করবেন না?
রাসূলুল্লাহ (স) বা ইসলামের শত্রুদের হত্যা করে বেড়ানো বা বদ দোয়া করাই যদি ইসলামের একমাত্র কাজ হয় তাহলে এই ইসলাম অনেক আগেই মরে যেত।
বিষয়টা সবাইকে একটু বিবেক দিয়ে দূরদৃষ্টি দিয়ে গভীর ভাবে চিন্তার অনুরোধ রইলো।
যারা তার জন্য দুয়া করা জায়েজ বলছেন তারা কি তাসলিমার ফাসি চেয়ে আন্দোলন করতে যেয়ে শহীদ হয়েছে তাদের কি আবার পৃথিবীতে ফেরত আনতে পারবেন ? তারা কি মুর্খ ছিল । তারা কি বিনা কারণে জীবন দিয়ে শহিদ হয়েছিলো ।
এভাবে যদি খারাপ লোকদের সহানুভতি জানানো হয়, তাহলে সমাজে ভাল কাজ করার এবং ইসলামের পথে থাকার ও ইসলামের জন্য জীবন দেওয়ার আগ্রহ হারিয়ে ফেলবে ।
আল্লাহ আমাদের সবাইকে প্রজ্ঞাবান ও দুরদর্শী হওযার তৌফিক দান করুন ।
দয়া করে ড আবুল কালাম আজাদ বলুন : তাসলিমা নাসরীন মারা গেলে তার জন্য জানাজার নামাজ করা এবং মুসলিমদের কবরস্হানে তাকে কবর দেওয়া যাবে কি ?
ইসলাম পরিপূর্ণ জীবন ব্যবস্হা । তার জন্য দুয়া করা যাবে কি যাবে না তা কুরআনে বলা আছে । আমি আলিম । আপনার জানার কথা সুরা তওবার এই আয়াতগুলো এবং তার শানে নুযুল ।
সুরা তওবার ৮০ নং আয়াতে আমরা দেখছি মুনাফিক সর্দার আব্দুল্লাহ ইবনে উবাইয়ের অসুস্হতা হতে আরোগ্যের জন্য আল্লাহর কাছে রাসুল সা. দুয়া করতে গেলে আল্লাহ কঠোর সতর্কবানী উচ্চারণ করছেন :
الَّذينَ يَلمِزونَ المُطَّوِّعينَ مِنَ المُؤمِنينَ فِى الصَّدَقٰتِ وَالَّذينَ لا يَجِدونَ إِلّا جُهدَهُم فَيَسخَرونَ مِنهُم ۙ سَخِرَ اللَّهُ مِنهُم وَلَهُم عَذابٌ أَليمٌ
[79] সে সমস্ত লোক যারা ভৎর্সনা-বিদ্রূপ করে সেসব মুসলমানদের প্রতি যারা মন খুলে দান-খয়রাত করে এবং তাদের প্রতি যাদের কিছুই নেই শুধুমাত্র নিজের পরিশ্রমলব্দ বস্তু ছাড়া। অতঃপর তাদের প্রতি ঠাট্টা করে। আল্লাহ তাদের প্রতি ঠাট্টা করেছেন এবং তাদের জন্য রয়েছে বেদনাদায়ক আযাব।
[80] استَغفِر لَهُم أَو لا تَستَغفِر لَهُم إِن تَستَغفِر لَهُم سَبعينَ مَرَّةً فَلَن يَغفِرَ اللَّهُ لَهُم ۚ ذٰلِكَ بِأَنَّهُم كَفَروا بِاللَّهِ وَرَسولِهِ ۗ وَاللَّهُ لا يَهدِى القَومَ الفٰسِقينَ
[80] তুমি তাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা কর আর না কর। যদি তুমি তাদের জন্য সত্তর বারও ক্ষমাপ্রার্থনা কর, তথাপি কখনোই তাদেরকে আল্লাহ ক্ষমা করবেন না। তা এজন্য যে, তারা আল্লাহকে এবং তাঁর রসূলকে অস্বীকার করেছে। বস্তুতঃ আল্লাহ না-ফারমানদেরকে পথ দেখান না।
( সুরা তওবা : ৭৯ – ৮০ )
সুরা তওবার এই আয়াতগুলো নাজিল হওয়ার কারণ হলো : “মুনাফিক সর্দার আব্দুল্লাহ ইবনে উবাই অসুস্হ হন । তার ছেলে ভাল মুসলিম ছিলেন । তিনি রাসুল সা.- কে তার বাবার জন্য দুয়া করতে বলেন । তখন আল্লাহ রাসুল সা.-কে এই আয়াতগুলো নাজিল করে সতর্ক করেন ।”
কুরআন হাদিসে বদ দুয়া করার বিধান :
কুরআনেই বদ দুয়া করার বিধান আছে । যেমন :
নুহ (আ) চূড়ান্তভাবে বদ দো‘আ করে বললেন,وَقَالَ نُوْحٌ رَّبِّ لاَ تَذَرْ عَلَى الْأَرْضِ مِنَ الْكَافِرِيْنَ دَيَّارًا، إِنَّكَ إِنْ تَذَرْهُمْ يُضِلُّوا عِبَادَكَ وَلاَ يَلِدُوْا إِلاَّ فَاجِرًا كَفَّارًا- (نوح ২৬-২৭)- ‘হে প্রভু! পৃথিবীতে একজন কাফের গৃহবাসীকেও তুমি ছেড়ে দিয়ো না’। ‘যদি তুমি ওদের রেহাই দাও, তাহ’লে ওরা তোমার বান্দাদের পথভ্রষ্ট করবে এবং ওরা কোন সন্তান জন্ম দিবে না পাপাচারী ও কাফের ব্যতীত’ (নূহ ৭১/২৬-২৭)।
দয়া করে ইলম গোপন করবেন না । মানুষকে বিভ্রান্ত করবেন না ।
১. এই লিংকে যেয়ে আমার এই লেখাটা (তাসলিমা নাসরিন-সহ সব নাস্তিক, ইসলামবিরোধী-ইসলামবিদ্বেষীদের জন্যে বদ দুয়া করা মুসলিমদের জন্য ওয়াজিব
) পড়া : http://www.onbangladesh.org/blog/blogdetail/detail/1864/fakhrul/45098 ,
২. আমার লেখায় কোন ভুল থাকলে কুরআন ও হাদিসের আলোকে তুলে ধরা ,
৩. আপনার উচিত হবে যদি আমার লেখায় কোন ভুল না থাকে তাহলে আপনার এই লেখাটা প্রত্যাহার করা এবং
৪. আল্লাহর কাছে খাস দিলে তওবা করা ।
আপনার সম্পর্কে আমার আর বিশেষ কিছু বলার নেই ।
মানুষ ভুলের উর্ধে্ব নয়। ভুল স্বীকার করাও মহত্ত্বের লক্ষণ। আপনি সেটা না করে কৌশলে এড়িয়ে গেছেন আমার বক্তব্য। আপনি অগ্রজ, আপনার ভুল ধরে বিব্রত করা আমার উদ্দেশ্য নয়। কিন্তু যখন আপনি ইসলাম এর নামে কোনো ভুল বার্তা ছড়ান সেটি জানিয়ে দেয়া সকলের দায়িত্ব।
বোল্ড করা মন্তব্যটি আপনি করেছেন ১৪ নং মন্তব্যে যেটি চরম ভুল উপলব্ধি। কুরআনে আল্লাহপাক অনেক স্থানে জাহান্নামের ভয়ংকর শাস্তির কথা উল্লেখ করেছেন। সহীহ হাদীসও আছে প্রচুর এ বিষয়ে। কিন্তু উপরোক্ত বক্তব্যে আপনি প্রকারান্তরে জাহান্নামকেই অস্বীকার করছেন, কুরআনকেই অস্বীকার করছেন। ইসলাম হচ্ছে পূর্ণাঙ্গ জীবন বিধান। সব কিছুর সুন্দর সমন্বয় আছে এখানে। একটি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে অন্য বিষয়কে এড়িয়ে যাওয়ার নাম ইসলাম নয়।
আশা করি আপনার ভুল বুঝতে পারবেন।
এটাই হলো আমাদের অনেকের সমস্যা। আল্লাহ আমাদের ক্ষমা করুন।
মন্তব্য করতে লগইন করুন