যে মহিলারা তাদের স্বামীকে শাসন করতে চান
লিখেছেন লিখেছেন ডঃ আবুল কালাম আজাদ ২৮ মার্চ, ২০১৪, ০৫:৫৩:৪৪ বিকাল
জীবনে অনেক সত্য আছে যা আমরা না জানার ভান করি বা ভদ্রতার জন্যে এড়িয়ে চলি। এমনই একটা সত্য হলোঃ অনেক মহিলারা আছেন যারা তাদের স্বামীকে জব্দ করতে চান বা শাসন করতে চান। (অনেক পুরুষরাও এমন আছেন। তাদের ব্যাপারে পরে লিখবো ইনশাআল্লাহ)।
স্বামী-স্ত্রীর আসল সম্পর্ক কখনই শাসন বা জব্দ করার নীতিমালায় পড়ে না। তবুও বাস্তবে দেখা যায় অনেক স্ত্রী সকল কাজে স্বামীকে নিজের শাসনে রাখতে চান। বিশেষকরে, সাংসারিক কোন বিষয়ই স্ত্রীদের আদেশের বাইরে যাবার উপায় নেই। স্ত্রীদের মত ও চাহিদার একটু বাইরে গেলেই স্বামী বেচারার চৌদ্দটা বেজে যায়। তাই, তিনি স্বামী বেচারা যত বড় মন্ত্রী-জেনারেল-দারোগা হোন না কেন ঘরে এসে তিনি একেবারে ভিজে ইন্দুর হয়ে যান। এতে করে অনেক স্ত্রী নিজকে খুব সাহসী ও বিজয়ী মনে করেন। কিন্তু তারা জানেন না যে এতে স্বামীদের প্রতিক্রিয়া কি হয়।
আমি এটা নিয়ে কোন পদ্ধতিগত গবেষনা করি নি। কিন্তু কয়েকজন পিল্লাই স্বামীর সাথে এ নিয়ে কথা বলে যা বুঝেছি তার সারাংশ হলোঃ
১- যে স্ত্রীরা তাদের স্বামীকে শাসন করেন তারা কখনই স্বীকার করেন না বা বুঝেন না যে তারা কি ধরণের 'দাজ্জালী' করেন।
২- সে সব স্বামীরা খুব অসহায় থাকেন এবং অকালে মারা যেতে পারেন।
৩- এ সব স্বামীরা দেরীতে ঘরে আসতে পছন্দ করেন।
৪- তাদের স্বামীরা সহজেই অন্য মেয়েদের পাল্লায় পড়ে যেতে পারেন।
৫- স্ত্রী শাসিত স্বামীরা তাদের সাহিত্য সৃজনশীলতায় অবদান রাখতে পারেন।
৬- এ সব স্বামীরা বাজে অভ্যাস- যেমন ধূমপান, পান, মদ-জুয়া ইত্যাদিতে বেশী আকৃষ্ট হন।
৭- এরা ঘরের বাইরের ইবাদত-বন্দেগী করা যায় এমন তরিকতে আকৃষ্ট হয়ে পড়েন।
৮- দজ্জাল স্ত্রীদের সন্তানেরা তাদের মায়ের অবাধ্য হয় এবং বাবার বেশী কাছাকাছি আসে।
৯- দজ্জাল স্ত্রীদের স্বামীরা দুই ধরণের চরিত্র লালন করতে শেখেন। এক পর্যায়ে তারা কপট ও মুনাফেকী বৈশিষ্ট্য অর্জন করতে থাকেন।
১০- অবশেষে সেই নারীরা নিজেরাই একাকীত্বে ভোগেন।
(আমার এই উদঘাটনী ভূল হতে পারে। এখানে পরিবর্তন, পরিবর্ধণ ও পরিমার্জনের সুযোগ আছে। বোনেরা আমার এই আলোচনায় আহত হলে, ক্ষমা করবেন আমাকে।)
আগের লেখা ছিলোঃ ছদ্মনামে লেখালেখির ফজিলত
বিষয়: বিবিধ
৭৪০৭ বার পঠিত, ৯১ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
তিনি ভাল স্বামীর সাথে খারাপ বা দজ্জাল স্ত্রী মিশে দেন
ভাল স্ত্রীর সাথে খারাপ স্বামীর সাথে মিশে দেন
লম্বার সাথে বেটে মিশে দেন
কালোর সাথে পর্শা মিশে দেন
রাগীর সাথে মিশে দেন শান্তভাবের
নামাজীর সাথে মিশে দেন বেনামাজির
কেননা, দুইজনই অর্থ্যাত স্বামী স্ত্রী যদি দুইজনই খারাপ হয় , দুইজনই ঝগড়াটে হয়, দুইজনই যদি অসুন্দর হয়, দুইজনই যদি পরকিয়াশীল হয়, দুইজনই যদি জ্ঞানী হয়, দুইজনই যদি মূর্খ হয়, দুইজনই যদি রাগী হয়, তাহলে সংসার বেশি দিন ঠিকবেনা,
তো সেই হিসেবে আপনি যদি ভাল হন তাহলে আপনার স্ত্রী কি রকম হবে তা আস্তাজ করা যাবে
ভালো লাগলো || ধন্যবাদ || পিলাচ || মাইনাস || অনেক ধন্যবাদ || স্বাগতম ||
কুইক কমেন্ট তৈরি করুন
যে অর্থে শাসন বোঝানো হয় সেরকম শাসনের উল্টো ফল হতে বাধ্য। তবে পারস্পরিক সতর্ক দৃষ্টি এবং পরামর্শ অবশ্যই খুবই জরুরী। ধন্যবাদ।
আমরা যারা লেখা লেখি করে একটু আগে বেড়ে যাবো তখন হয়ত মন্তব্য আসতে পারে- ঘরে মনেহয়...
অনেক চৌকষ স্বোয়ামী দিনের বেলায় প্রফেশনাল কর্মক্ষেত্রে কর্মবীর
ধর্ম ক্ষেত্রে পীর
অধীনস্তদের প্রতি ভয়ানক তীর
যোগ্যতার কারণে ইর্ষার পাত্র হন সহকর্মীর
প্রভাবশালী হওয়ার কারণে প্রতিপক্ষের পায়ে পড়িয়ে দেন জিঞ্জির
বাহুর বলে কাউকে পাত্তা দেয়া না হাতে থাকে শমশীর
যারা বলে নো গড! খায় সব খিঞ্জির
মাগার.........
রাইত্রের মাস্টারের কাছে একদম ধরাশায়ী। এই মাস্টারের পিডানী শুরু হইলে তখন উদ্ধারের জন্য তৃতীয় কেউ বেডরুমে থাকে না। রাইতের মাস্টারের মাইর কারে কয় যে স্বোয়ামী খাইছে হেতিই বুইঝবার পারবো শুধু।
ভবিষ্যতে কাজে লাগবে ইনশাআল্লাহ।
হু দেখেন শাশুরিটা গায়েব করে দিলেন আর পুরুষবিদ্বেষি কখন বললাম??
আমার কমেন্ট আপনার সম্ভবত মনে নাই আরেকবার দেখবেন। @আপু
আর এখন উচচ শিক্কিতছেলেরা বসুন্ধরার রেডিমেট শার্টপেন্ট এর মত বড় লোক বাবার উচ্চ শিক্ষিত মেয়ে সথে যৌতুক হলে ভাল । তার মানে সেই ছেলেটা নিজেকে নিজেই বৌ এর কাছে + বৌএর পরিবারের বিক্রি করে দেয়। তারপর কি আর তার বিবেক সেই স্তীর সামনে ন্যায় এর কথা বলার সাহস রাখে ? কারন তার দুনিয়াবী আর আখিরাতের সুখ নামের সোনার হরিন্টা সে অতিলোভের কারনে বিক্রি করে দেন।
(তবে, ভালোবাসা দিয়েও বেটাদেরকে মোমের মত গলিয়ে বোকা বানানো যায় তা অনেকেই জানেন না।)
মূলতঃ 'শাসন' সম্পর্কে 'অস্বাভাবিকত্ব' সৃষ্টি করে।
এখান কার কাছে শালিশ নিয়ে যাই বলুন তো?
তবে মনে রাখবেন- আই কিন্তু সব সময় মা-বোনদের সপক্ষের লোক।
এখানে কিছু আলোচনার নির্যাস তুলে ধরেছি মাত্র।
৩- এ সব স্বামীরা দেরীতে ঘরে আসতে পছন্দ করেন।
৪- তাদের স্বামীরা সহজেই অন্য মেয়েদের পাল্লায় পড়ে যেতে পারেন।
৮- দজ্জাল স্ত্রীদের সন্তানেরা তাদের মায়ের অবাধ্য হয় এবং বাবার বেশী কাছাকাছি আসে।
১০- অবশেষে সেই নারীরা নিজেরাই একাকীত্বে ভোগেন।
=========্ @@@@ উম্মু রাইশা
আপনার লিখা ও কিন্তু ষ্টিকি হয়েছে।
তার মানে কি এই যে,এই ব্লগ সম্পুর্ন নারীতান্ত্রিক।????
ভিন্ন লিংগের হলেই ভিন্নমত পোষন করা জরুরী নয়।
আপনার লিখা ও কিন্তু ষ্টিকি হয়েছে।
তার মানে কি এই যে,এই ব্লগ সম্পুর্ন নারীতান্ত্রিক।????
ভিন্ন লিংগের হলেই ভিন্নমত পোষন করা জরুরী নয়।
তবে মনে রাখবেন- আই কিন্তু সব সময় মা-বোনদের সপক্ষের লোক।
এখানে কিছু আলোচনার নির্যাস তুলে ধরেছি মাত্র।
ধন্যবাদ
পিলাচ
এটা একটা মহামূল্যবান কথা হয়েছে। যদি আমরা তা মানতে পারি!!
আপনার উপরোল্লিখিত বিশ্লেষন খুবই আশ্চার্য্য এবং তাত্পর্যপূন্য,
একটা বিশ্লেষনো বানোয়াট কিংবা অযুক্তিপূন্য নয়, সব ঠিক আছে খুটি নাটি আরো বেশ কিছু যুক্ত করলে সিরিয়াল নং ১০০ টা পেরিয়ে যাবে,
আপনি অনেক জ্ঞানী মানুষ, যিনি খুব একটা গুরুত্বপূর্ন বিশ্লেষনে হাত দিয়েছেন,
মেয়েরা সাধারনত ঝগড়াটে আর ফ্যাসাল এমনকি স্বামীর কথা সবাইকে বলে বেড়ানোর ওস্তাত, সাধারনত স্ত্রীরা নির্যাতিত হলে বিচারক করে সমাজপতিরা, কিন্তু পুরুষরা নির্যাতিত হচ্ছে সেটা সে কোন মুখে বলবে, কাকে বলবে সাধারনত পুরুষরা নিজের মান সম্মান টিকিয়ে রাখতে সব সময় বধ্যপরিকর, কারন তাদের টাকা আর সম্মানের শক্তি দিয়ে বেচে থাকে,
পুরুষরা স্ত্রীদের থাপ্পড় বা কোন কিছুর আঘাত পাওয়াকে নির্যাতন বলেনা, এরা মোবাইল কিংবা পরকিয়ার মাধ্যমে স্বামীকে তীলে তীলে মৃত্যুর দিকে টেলে দিয়ে নির্যাতন করে,
কোন স্ত্রীর এই ব্যপারে হুশ থাকেনা যে এই কারনে তারই ক্ষতি হচ্ছে,
এক হাজার টাকার মোবাইলের কারনে এক হাজার কোটি টাকার চেয়ে ও মুল্যবান স্বামীকে ছেড়ে দিতে তাদের পিছপা হয়না,
স্ত্রীরা রাক্ষুসী আচরনে তার স্বামীর কত ক্ষতি কিংবা নিজেরই বা কত ক্ষতি হচ্ছে তা বুঝে এমন এক মূহুর্তে তখন তার কিছুই করার থাকেনা,
নারীরা সাধারনত সৌন্দর্যের অহংকারী হয়ে থাকে কিন্তু অহংকারের আগুনে পুড়ে ছাই হতে বেশিক্ষন লাগেনা কারন মহান প্রভু বলেন কিসে এত তোমার অহংকার যার সৃষ্টি এক ফোটা নাপাক (বীর্য ) দিয়ে!
সরকার নারী নির্যাতনের বিচার রাখছে পুরুষের নির্যাতনের বিচার রাখেনি, তার মানে পুরুষরা নির্যাতিত হয়না?
স্বামীরাই তাদের এত শক্তি দিয়েছে, তাদের শক্তি খরচ করছে আবার স্বামীর পিছনে । দোষ ৭০% স্বামীরই আছে বাসর রাতে বিড়াল না মেরে সংসার করলে নিজেই মরবে তীলে তীলে
আবার আমি যখন বিকালে কাজ থেকে আসি উনি ঘরে থাকেন যেদিন তখন গ্লাসে পানি ঢেলে দেন জিগ্যস করেন চা খাবে এখন, আমি হাসি বলি না পরে খাবো। এই যে সামান্য খেয়াল স্নেহ মমতা ভালোবাসা সেটাতো ক্ষতির কিছু দেখছিনা বরং সম্পর্কটা আরো মধুর হয় ,
েএই গুলির জন্য টাকা খরচ করতে হয়না । শান্তি এমনি এমনি আসেনা সৃষ্টি করে নিতে হয় ।
খুবই সুন্দর বলেছেন।
গতকাল আবুধাবীতে একটি প্রোগ্রামে অংশগ্রহন করেছিলাম। একটি পার্কে এই অনুষ্টানে হয়েছিল। দুপুরে ভাত খাবার পর একটু বিশ্রাম নিতে একটি বেঞ্চ চোখ বন্ধ করে শুয়েছিলাম। আমার পাশের বেঞ্চে দুই বন্ধুর কিছু কথা শুনছিলাম...একবন্ধু আরেক বন্ধুকে বলল.........দোস্ত এনগেইজমেন্ট এর পরে প্রতিদিন কয়েকঘন্টা ফোনে কথা বলতাম। আর এখন বিয়ের পরে মাত্র ১০ মিনিটেরও কম কথা বলি.........
বিয়ের পরে স্বামী কেন আগের মত তার স্ত্রীর সাথে কথা বলছেনা গভেষনা করলে বিরাট ইতিহাস বেরিয়ে আসবে..
তিনি ভাল স্বামীর সাথে খারাপ বা দজ্জাল স্ত্রী মিশে দেন
ভাল স্ত্রীর সাথে খারাপ স্বামীর সাথে মিশে দেন
লম্বার সাথে বেটে মিশে দেন
কালোর সাথে পর্শা মিশে দেন
রাগীর সাথে মিশে দেন শান্তভাবের
নামাজীর সাথে মিশে দেন বেনামাজির
কেননা, দুইজনই অর্থ্যাত স্বামী স্ত্রী যদি দুইজনই খারাপ হয় , দুইজনই ঝগড়াটে হয়, দুইজনই যদি অসুন্দর হয়, দুইজনই যদি পরকিয়াশীল হয়, দুইজনই যদি জ্ঞানী হয়, দুইজনই যদি মূর্খ হয়, দুইজনই যদি রাগী হয়, তাহলে সংসার বেশি দিন ঠিকবেনা,
ধন্যবাদ।
আপনার বিশ্লেষনের ১ ও ২ নং নিয়ে কিছু বলব না মানে এ ব্যাপারে আমি কিছু জানি না ।তবে ২ থেকে ১০ এ যে দোষ গুলোর কথা বলেছেন এ দোষ গুলো যে ছেলেদের ভিতর আছে তারা আসলেই খারাপ ।আপনি বলেছেন এ দুষগুলো বউয়ের শাসনের কারনে হয়েছে আমি বলব কখনো না ।এ দোষগুলো তার ভিতর আগেই ছিল সে আসলেই খারাপ ।বিয়ের আগে সিগারেট খায় নাই এমন ছেলে এখনো দেখিনি বিয়ের পর সিগারেট ধরেছে তবে অনেক ছেলেকে দেখেছি সিগারেট ছারতে । আমাদের সমাজে যখন একটা খারাপ পর-যায়ে চলে বাবা মা তারাতারি বিয়ে দেয় ছেলে ভাল হবে এই আশায় তাহলে কেন!!
যে খারাপ সে সবসময়ই খারাপ বিয়ের পর সব ব্উ এর দোষ ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন