যেখানেই মুসলিম সেখানেই ময়লা ?!!
লিখেছেন লিখেছেন ডঃ আবুল কালাম আজাদ ০৭ মার্চ, ২০১৪, ০৪:০৭:৫৭ বিকাল
আমি বার্মিঙ্গহামের একটা অভিজাত আবাসিক এলাকায় গাড়ি নিয়ে ঢুকতেই আমার স্ত্রী বললঃ আহ, এলাকাটা তো খুব সুন্দর আর পরিস্কার পরিচ্ছন্ন !!
শোয়াইব ভাইয়ের বাসায় গিয়ে এই এলাকা সম্পর্কে একটু জানার চেষ্টা করলাম। তিনি বললেনঃ এই এলাকায় এশিয়ান মুসলমানরা কম থাকেন এবং এলাকাটা খুব দামী।
আমার মনে একটু খটকা লাগলো। কারণ, ভাবখানা এমন যে, মুসলমান কম থাকলে সে এলাকাটা পরিস্কার থাকে।
তবে, কথাটা কিন্তু অনেকটা তেমনই।
আমি যখন লন্ডনের রাস্তায় হাটি তখন বাড়ির বারান্দা, ব্যালকনি ও আংগিনা দেখেই বলে দিতে পারি কোন বাড়ি মুসলমানদের আর কোনটা সাদাদের। দেখা যায়, অধিকাংশ মুসলমানদেরগুলো অপরিস্কার ও অগোছালো।
আমি লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্সটিটিউট অব এডুকেশান লাইব্রেরীতে আমার পিএইডির অধিকাংশ পড়াশুনা করেছি। সেখানকার টয়লেটে গেলে সব সময় তাজা লেবুর গন্ধ পেতাম। অথচ আমাদের মসজিদ গুলোতে গেলেও নাক বন্ধ হয়ে আসে। অথচ মসজিদেই পরিচ্ছন্নতার শিক্ষা দেওয়া হয়।
আরবদের পরিচালিত লন্ডনের এক বিশাল ও বিখ্যাত মসজিদের টয়লেটে ঢুকে একবার তো আমার বমি আসার মত হয়েছিলো। ভেতরে ছিলো না কোন টয়লেট পেপার, বাইরে ছিলো না কোন সাবান/লিকুইড!!
আমি বলছি না, সকল মসজিদের অবস্থা এমন !!
এই বৃটেনেও মাঝে মাঝে কিছু শিক্ষিত ভদ্র মুসলমানকেও দেখি ময়লা টুপি মাথায় পরে মসজিদে আসতে। কিন্তু চার্চে যাতায়াতকারী কোন খৃস্টানকে আমি ময়লা কাপড় পরা অবস্থায় দেখিনি এখনো।
ইসলামে যেখানে পরিস্কার-পরিচ্ছন্নতাকে ইমানের অংশ বলা হয়েছে, সেখানে আজ মুসলিম ও ময়লা যেন একটা যুক্ত পরিভাষা হয়ে গিয়েছে। কারণ, নামে আমরা মুসলমান হলে ইমানে ও আমলে আমরা ইসলাম পালন করি না। এটা ইসলামের দোষ নয়, দোষ হলো আমাদের জ্ঞান ও কর্মের।
আসলে কথা হলোঃ
ইসলাম হলো পরিচ্ছনতা। তাই,
সকল মুসলমানকে সকল জায়গায় হতে হবে পরিচ্ছন্ন !!
আগের লেখা ছিলোঃ ...টয়লেটে চাপ থাকা অবস্থায় ব্লগে মন্তব্য করবেন না
বিষয়: বিবিধ
১৮৮৭ বার পঠিত, ৩৫ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
ধন্যবাদ, তাজুল!
আমার ইমেইলের উত্তরের অপেক্ষায় আছি কিন্তু।
ধন্যবাদ অনেক সুন্দর পোস্ট। ভালো লাগলো
ইসলাম হলো পরিচ্ছনতা। তাই,
সকল মুসলমানকে সকল জায়গায় হতে হবে পরিচ্ছন্ন !!
একদম খাটি কথা।
আজ আমরা যখন পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতাকে ‘মুসিলম’ সমাজের সাথে আলাদা তুলনায় দেখতে যাব, তখন ‘ইসলামের’ প্রচারকদের ভূমিকাও সেই পরিপ্রক্ষিতে দেখতে হবে।
"অধিকন্তু তারা যেসব মসজিদ-মাদ্রাসায় ইমামতি করেন সেখানে অনেক ধরণের খরচের টাকা আদায়ের জন্য ওয়াজ করেন কিন্তু একজন ক্লিনারের খরচ বাবত কোনো টাকা আদায়ের ওয়াজ করা হয় না, কারণ এই চিন্তা এবং এর প্রয়োজন তাদের ধ্যানে নেই।"
খুবই মূল্যবান কথা।
মন্তব্য করতে লগইন করুন