ময়দানে আসছে 'হেফাজতে বাংলাদেশ' ??
লিখেছেন লিখেছেন ডঃ আবুল কালাম আজাদ ২৭ জানুয়ারি, ২০১৪, ০২:৪৭:২২ দুপুর
যারা মুসলমান, তাদের কাছে ইসলাম হলো নিজেদের সন্তান, এমনকি নিজেদের জীবনের চেয়েও মূল্যবান। তাই, তাদের জন্যে হেফাজতে ইসলাম কথাটা খুব যৌক্তিক। যে সমস্ত ইমানদার মুসল্লী মুসলমানরা বিএনপি করেন বা আওয়ামীলীগ করেন বা অন্য কোন অনৈসলামিক দল করেন তাদের মনেও কিন্তু ইসলামের প্রতি দরদ আছে। কিন্তু তারা সেটা হয়ত প্রকাশ করতে পারেন না রাজনৈতিক বা অন্য কোন কারণে। ইসলাম ধ্বংস হয়ে যাক তা তারাও চান না।
ঠিক একই ধারায়, যারাই বাংলাদেশের নাগরিক তারা সবাই চান বাংলাদেশটা যেন ধ্বংস না হয়ে যায়। যারা যে দেশে জন্ম গ্রহন করেছেন তারা প্রাকৃতিকভাবেই সেই দেশের প্রতি দূর্বল থাকেন। আমরা বাংলাদেশের অনেকেই দেশের বাইরে থাকি, আমরা এখন অন্য দেশের নাগরিকও। তারপরও বাংলাদেশের প্রতি আমাদের সম্পর্ক এতো নিবিড় ও গভীর যা কেউই কোন দিন ছিন্ন করতে পারবে না, ইনশাআল্লাহ। বন্দুকের নল দিয়েও তা ঠেকানো যায় না।
অনেকেই এখন বুঝতে পেরেছেন যে বাংলাদেশের অস্তিত্ব এখন মারাত্মক হুমকির সম্মুখীন। বাংলাদেশ এখন মরণ বিছানায়। যদি এর আশু চিকিৎসা না হয় তাহলে সে দিন হয়ত বেশী দূরে নয় যে এই দেশের নামটা বাংলাদেশ থেকে পালটিয়ে অন্য কিছু হয়ে যাবে- হয়ত 'বাংলা রাজ্য' বা অন্য কিছু।
এজন্যে, এখন লোকদের মুখে শুনছি- এখন দরকার হলো 'হেফাজতে বাংলাদেশ' - যার সাথে একাত্ম হবেন প্রতিটা মানুষ যারা 'বাংলাদেশ'কে মনের গভীরে ভালোবাসেন। লেঃ জেঃ (অব) মুহাম্মাদ ইব্রাহীমের গতকালকের ঘোষনায় তার লক্ষন পরিস্কার।
======= আগের লেখা ছিলোঃ ১২ মাসেই পালটে যাবে অসুস্থ বাংলাদেশ
বিষয়: রাজনীতি
১৭৩১ বার পঠিত, ১২ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
আফোসস কোন অর্জন নয়।
০ বন্দুকের নল দিয়েও তা ঠেকানো যায় না।''
- হাসালেন স্যার । বন্ধুকের নল না , আপনারা স্বেচ্ছায় বাংলাদেশের নাগরিকত্বকে লাথি মেরে দিয়ে বাইরের দেশের নাগরিকত্বকেই শপথ নিয়ে গ্রহন করেছেন ।
বাংলাদেশের জন্য আপনাদের এই টান/কান্না আসলেই কোন কাজে আসে না ।
দেশের জন্য যদি সত্যিই টান থাকতো তাহলে যা করতেন দেশেই করতেন ।
সেই টানকে ছেড়ে আপনারা বাইরে চলে গেছেন পাকাপাকিভাবে ।
আপনাদের মত অন্য সবাই যদি একই রকম আচরণ করতো তাহলে এই দেশ স্বাধীন হত না সেই সময় ।
যারা এখনও দেশে পড়ে আছে তাদের জন্যই দেশ টিকে আছে আর এজন্যই দেশের বাইরে গিয়েও এখন দেশের জন্য মেকি কান্না দেখানো সুযোগ পাচ্ছেন ।
মাকে যারা ভালবাসে ,দেশকে যারা ভালবাসে - দেশের কঠিন সময়ে তারা বাইরে না গিয়ে / না থেকে দেশে চলে আসে । চেষ্টা করে দেশের জন্য কিছু করার ।
পারবে এসব প্রবাসীরা যারা এখন খুব মায়া কান্না দেখাচ্ছে দেশের জন্য সেই প্রবাসের আরাম আয়েশের জীবন ছেড়ে দেশের এই বন্ধুর পরিবেশে , বাংলাদেশকে হেফাজত করতে ?
পারবে ?
যে সব প্রবাসী দেশের বাইরে চাকরির উদ্দেশ্যেই যায় মূলত এবং সেখানে থেকে টাকা পাঠায় দেশে - তাদের ব্যাপারে আমার কোন আপত্তি নেই ।
@ স্যার :
আর যারা থাকার উদ্দেশ্যে বিদেশে যায় তারা মূলত পালায় দেশ থেকে ।
তারা সেখানে থাকতেই হিমশিম খায় , তারা তাদের সাবেক দেশে টাকা/ রেমিটেন্স পাঠাবে কি মরতে ?
এসব প্রবাসীরা বেশ কয়েক বছর অন্তর অন্তর দেশে যায় ভাব মারতে ।
আত্মীয় স্বজনরা তাদের দেখতে আসবে , তাদের সাথে কথা বলার জন্য জন্য হুমড়ি খেয়ে পড়বে , তাদের কাছে বিদেশের কিচ্ছা কাহিনী তন্ময় হয়ে শুনবে , সবখানেই তাদেরকে একটু আপ্যায়ন করতে পারলে আত্মীয়রা বর্তে যায় এরকম একটা ফিলিংস্, মাঝে মাঝে তাদের কাছে নিজেদের সন্তানদের কিভাবে পাঠানো যায় তার টিপস্ চাইবে - এরকম একটা পজিশন কার না এনজয় করতে ইচ্ছে হয় !
প্রবাসী ২ ধরনের :
১. বসবাসের নিমিত্তে - আমেরিকা , কানাডা , অস্ট্রেলিয়া এদের পছন্দের তালিকায় শীর্ষে । দেশের এদের অবস্থা কিন্তু বেশ ভাল । তবুও এরা বিদেশে চলে যায় পড়াশুনার নাম করে , আরেকজনের লেজ ধরে ।
২. চাকরির নিমিত্তে - মধ্যপ্রাচ্যেই এরা যায় চাকরি করতে । দেশে নিজের জমিজমা বিক্রি/বন্ধক রেখে । বিদেশে হাঁড়ভাঙ্গা খাঁটুনী করে এরা দেশে রেখে আসা পরিবার পরিজনের জন্য টাকা পাঠায় ।
স্যার, আমি আমার মন্তব্যে কাদেরকে বুঝাতে চেয়েছি তা বোল্ড করেছিলাম । এখন তার নিচে আন্ডার-লাইনও করে দিলাম ।
বসবাসের নিমিত্তে যারা প্রবাসী তাদের কতটুকু অবদান রেমিটেন্সে ?
তারা কি সেসব বড় বড় দেশে গিয়ে বাংলাদেশের জন্য পজিটিভ ও কার্যকর কোন পলিটিক্যাল ডিসিশন আনানোর জন্য ইনফুয়েন্স রাখতে পারে ? কোন উদাহরণ আছে কি ?
কিন্তু ফ্যাক্টস ও ফিগার ভিন্ন কথা বলে। শিক্ষিত, স্বচ্ছল যে সব বাংলাদেশীরা অন্য দেশে থাকার উদ্দেশ্যে যায় বা থেকে যায় - তাদের মধ্যস্থিত একটা ক্যাটাগরী নিঃসন্দেহে আপনি চমৎকার ভাবে তুলে ধরেছেন। এ শ্রেনীটি নিঃসন্দেহে স্বার্থপর। যেমন বাংলাদেশে বসবাস করা বিরাট এক জনগোষ্ঠি স্বার্থপর। এই স্বার্থপর অংশ টুকু টাকা পয়সা বানায়, বাড়ী গাড়ী করে এবং নিজ পরিবার কে নিয়ে আছে, নিজের আরাম আয়েশ নিয়ে আছে।
এর বাহিরে বাংলাদেশে যেমন অনেক একটিভ মানুষ আছে - এই যেমন আপনি - হয়তো রাত জেগে কিংবা কাজের ফাকে দেশ নিয়ে ভাবেন বলে পোষ্ট দেন, কমেন্ট করেন, মানুষকে সচেতন করার চেষ্টা করেন। অথচ ঐ সময়টায় নিজের পরিবার পরিজনকে দেন না কিংবা টাকা পয়সা বানাবার ধান্ধায় থাকেন না। ঠিক তেমনি আপনার মত বিদেশে যারা বসবাস করেন, যারা স্বার্থপর নন, যারা টাকাপয়সা আর ধন দৌলতের পেছনে ছুটেন না - তারা রাত জেগে যেমন লিখালিখি করে, তেমনি অগনিত চ্যারিটি প্রতিষ্ঠান ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাথে জড়িত। শুধু মাত্র এ জন্য যে তাতে দেশের অভাগা ও ভাগ্য বিড়ম্বিত এক বিরাট জনগোষ্ঠির উপকার হবে।
আমার মনে হয় - আপনার অভিযোগটা মূলতঃ ঐ জাতীয় লোকদের প্রতি হলেই যথার্থ হত - ডঃ আবুল কালাম আজাদ এর জন্য সম্ভবতঃ তা বড়ই বেখাপ্পা হয়েছে।
ধন্যবাদ আপনাকে - প্রবাসীদের প্রতি আপনার খোলা মনের সমালোচনার জন্য।
এর বাহিরে আর একটা রূপে ও মনে হয় বিষয়টি ব্যাখ্যা করা যায়।
আপনি দেখুন আপাত মস্তকে প্রবাসী এবং সম্ভবতঃ বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ও নেই এমন মানুষ গওহর রিজভীর পজিশন ও জয়ের পজিশান - এরা কি কোন কালে বাংলাদেশে ছিল? অথচ লিটারেলী বাংলাদেশটা তারা দুজনে চালাচ্ছে - মানে আওয়ামী ধারনা মতে বাংলাদেশকে হেফাজত করছে। খুব বেশী কি দ্বিমত করবেন?
এইসব ভাবাভাবি দেশে বসে করা কি কঠিন ছিল ?
আমি বরং চাই হেফাজতে মুসলিম। আজকের এই দজ্জালিক দুনিয়ায় যে ভাবে মুসলিম নিধন চলছে - তাতে বাংলাদেশের ভূখন্ডগত স্বাতন্ত্রের জন্য জীবন ও সম্পদ ব্যয় মূল্যহীন হবে - কোন পজিটিভ কিছু কোন ভাবেই আর আনতে পারবে না - বিশেষ করে আজকের মোড়ল, গাদ্দার ও প্রতারক অভিবাবকদের জ্বালায় - তার চেয়ে বরং আমাদের কাজ করা উচিত কিভাবে আমরা মুসলিম প্রান রক্ষা করতে পারবো - তা ঐ বাংলাদেশ নামক ভূখন্ডে হোক কিংবা অন্যত্র। এতে আমরা সাকসেস হই বা না হই - অন্ততঃ পক্ষে পরকালে নিশ্চিত কিছু সুফল পাবো। ধন্যবাদ।
মন্তব্য করতে লগইন করুন