মিডিয়ার আরেক কুরুচিঃ 'যৌন জিহাদ'
লিখেছেন লিখেছেন ডঃ আবুল কালাম আজাদ ২৩ সেপ্টেম্বর, ২০১৩, ০৮:২৩:৪২ রাত
আজকের দুনিয়ায় মিডিয়াগুলো করতে পারে না, বা বলতে পারে না এমন কিছুই নাই। তিলকে তাল করা, বা তালকে তিল করা হলো অসাধু মিডিয়ার কাজ।
তারই একটা নমুনা দেখুন এখানেঃ
কোন কোন সৌদী আলেম নাকি সিরিয়ার বিদ্রোহের সাহায্যের জন্যে নারীদেরকে সেখানে গিয়ে যৌন জিহাদে যাওয়ার ফতোয়া দিয়েছেন এবং সেই ফতোয়া দ্বারা প্রভাবিত হয়ে অনেক দেশের মুসলিম মেয়েরা এমনকি নেক্বাবী মেয়েরা সিরিয়ায় গিয়েছেন এবং তারা যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছেন। Click this link
আমি এটা দেখে অবাক হয়ে বিষয়টা নিয়ে খুজতে লাগলাম। কিন্তু আসলে সৌদির কোন আলেম এ বিষয়ে ফতোয়া দিয়েছেন তার সূত্র আমি এখনো পাই নি। তবে, সি এন এন আরবি পাতায় এ ব্যাপারে একটা প্রশ্ন তুলে ধরা হয়েছে।
তার চেয়ে বড় কথা হলোঃ যৌন জিহাদ বলে যা বুঝানো হয়েছে তার সাথে মূল আরবির কোন মিল নেই। আরবি ভাষায় যৌন জিহাদ বলে কিছু নেই । ইদানিং কিছু লোক একটা পরিভাষা ব্যবহার করছেন- তা হলো 'জিহাদুন নিকাহ', মানে বিয়ের জিহাদ। বিয়ের জিহাদ আর যৌন জিহাদ কি এক জিনিস? এই অনুবাদের পরিস্কার ভাবে একটা কুরুচির গন্ধ পাওয়া যায়। যার মূল উদ্দেশ্য হলো- নির্দিষ্ট কাউকে হেয় করা।
এখন কথা হলো- এই বিয়ের জিহাদের অর্থ কি?
এই বিয়ের মূল কাঠামো হলোঃ সাময়িক বিয়ে বা খন্ডকালীন বিয়ে। এটার ক্লাসিক্যাল শব্দ হলো 'নিকাহুল মুত'আ'। ) রাসুলুল্লাহ (স) এর যুগে যুদ্ধরত সৈনিকরা করতেন। তবে, সুন্নী স্কলারদের মতে এই ব্যবস্থা খোলাফায়ে রাশেদার যুগে বাতিল করা হয়; কিন্তু শিয়া স্কলারদের মতে শর্ত ও প্রয়োজন সাপেক্ষে এই ব্যবস্থা এখনো চালু আছে।
এই অস্থায়ী বা সাময়িক বিয়ের ব্যাপারে শিয়াদের মতে অনেক নিয়ম কানুন ও বাধা-নিষেধ আছে। এটা শুধু মাত্র একটা যৌন-লেনদেন নয়।
তাই 'জিহাদুন নিকাহ'কে 'যৌন জিহাদ' অনুবাদ করা ভুল ও পক্ষপাতদুষ্ট।
বিষয়: বিবিধ
৩৪১৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন