বাংলা চাউল-পোকায় ইউরোপিয়ান বোকা
লিখেছেন লিখেছেন ডঃ আবুল কালাম আজাদ ২৭ মে, ২০১৩, ০২:১৭:২০ রাত
আমার বিবরণের শব্দগুলো একটু ভিন্ন হলেও ঘটনাটা একেবারেই সত্য। এক বাংলাদেশী ইউরোপিয়ানের গল্প। আইনগতকারণে প্রকৃত নাম ও স্থান অব্যক্ত থাকবে।
ভদ্রলোক শিক্ষিত মানুষ। ভালো চাকুরি করেন। স্ত্রী তার সন্তানাদি নিয়ে বাংলাদেশে একটু লম্বা ছুটি কাটাতে গিয়েছেন।
বড় বাসায় একা একা থাকতে ভালো লাগে না। এর পর এ সন্ধ্যায় দেখা গেল এক অদ্ভুত ব্যাপার। বসার ঘরে হঠাৎ করে অনেক গুলো সাদা সাদা পোকা কিলবিল করে হেটে বেড়াচ্ছে। মনে হলো সাদা জ্বীনের বাচ্চারা ঘুরে বেড়াচ্ছে। তিনি তাড়াতাড়ি কাউন্সিলের গৃহায়ন স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষকে ফোন দিলেন। আর ভাবতে লাগলেন এই পোকা কোত্থেকে এলো?
কাউন্সিলের লোক আসার আগেই তিনি আবিস্কার করলেন যে এই পোকা এসেছে বাংলাদেশ থেকে নিয়ে আসা চাউলের বস্তা থেকে। বউ নেই চাই চাউলের বস্তা খুলেও দেখেন নি তিনি। এতো দিনে পোকা হয়ে গিয়েছে।
নিজের ছেলেমি ঢাকার জন্যে তাড়াতাড়ি চাউলের বস্তা বাইরে ডাস্টবিনে ফেলে এসেছেন। তবুও সেই সাদা পোকা কিলবিল করে হাটছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই কাউন্সিলের লোকজন তাদের লটবহর নিয়ে এসে কিছু পোকা ধরে বোতলে ভরে নিলো। আর সব দরজা জানালায় সেলু টেপ দিয়ে এটে দিয়ে স্প্রে করলো।
নিজের বোকামি ঢাকার জন্যে তিনি তাদেরকে পোকার এই রহস্য আর বলেন নি। তবে, কাউন্সিল তাকে দুই সপ্তাহের একটা অস্থায়ী বাসায় উঠিয়ে দিয়ে বললেন আপনি আপাতত এই বাসায় আসবেন না। তারা চিঠি দিয়ে জানালেন যে এই পোকার স্যাম্পল কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
এর মধ্যে তারা আরো তিন বার ঔষুধ দিয়ে গেছেন।
তিন সপ্তাহ পরে আবার চিঠি এলো যে এই পোকার সূত্র আমরা ধরতে পারি নি। তবে, তা ইউরোপিয়ান স্বাস্থ্য দফতরের উচ্চ পর্যায়ের বিশেষজ্ঞদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
এভাবে এক মাস বাসা ছাড়া করার পর তাকে বাসায় ফিরিয়ে আনা হলো। তারা বললো তুমি এখন নিশ্চিত থাকতে পারো। তবে, এই পোকাটা যে কি তা আমরা এখনো ধরতে পারি নি। অবশ্য এ নিয়ে গবেষনা অব্যাহত রয়েছে।
==== খবরঃ ভারতে কর্মস্থলে যৌন হয়রানির মহামারি। তা বন্ধে মক্কা শরীফের বড়ি Click this link
বিষয়: বিবিধ
১৭২৩ বার পঠিত, ০ টি মন্তব্য
পাঠকের মন্তব্য:
মন্তব্য করতে লগইন করুন